আন্তর্জাতিক
বিশ্ব ইতিহাসে সর্বোচ্চ সম্পদ ইলন মাস্কের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের অর্থ-সম্পদ আরো ফুলেফেঁপে উঠেছে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস জানিয়েছে, মাস্কই এখন ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ধনী। সাময়িকীটির ভাষ্য মতে, এর আগে কেউই মাস্কের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেননি।
সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, মাস্কের সম্পদ আসলে ৩৪ হাজার ৭৮০ কোটি ডলারের বেশি। বাংলাদেশি টাকায় যা ৪১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকার সমান (প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ধরে)। গত ৫ নভেম্বরের ভোটে ট্রাম্পের জয়ের পর মাস্কের মোট সম্পদে আরো ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার যুক্ত হয়েছে। গত শুক্রবার প্রকাশ করা ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার তালিকা অনুযায়ী, তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনী। তার সম্পদের পরিমাণ ৩৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
ফোর্বসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত কয়েক সপ্তাহে এক্সএআইয়ের বাজারমূল্য বেড়ে ৫০ বিলি
য়নে পৌঁছে গেছে। এই কোম্পানিতে মাস্কের ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। স্পেস-এক্সও লাভজনক জায়গায় রয়েছে। তাতে মাস্কের শেয়ার ৪২ শতাংশ। এই কোম্পানির বাজারমূল্য ২১০ বিলিয়ন ডলার। আর টেসলায় ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে মাস্কের। এছাড়া টেসলার শেয়ার গত নির্বাচনের পর থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টেসলার শেয়ারের ব্যাপক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক সাফল্যের ফলে এই ঐতিহাসিক অর্থনৈতিক মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।
এতদিন সর্বকালের সেরা ধনীর তকমা দেওয়া হতো ১৪ শতকে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির শাসক মানসা মুসাকে। কথিত আছে, মালির এই শাসক এতটাই সম্পদশালী ছিলেন যে তার সম্পদের পরিমাণ ধারণাও করতে পারেনি ইতিহাসবিদরা। মানি ডটকমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারও পক্ষে যতটা বর্ণনা করা সম্ভব মানসা মুসা এর চেয়েও ধনী ছিলেন।
ক্ষমতায় বসার আগে মালির শাসক ছিলেন তার ভাই মানসা আবু-বকর। ১৩১২ সালে আবু-বকর সিংহাসন ত্যাগ করে একটি অভিযানে বের হন। উত্তরাধিকার সূত্রে মালির শাসনভার গ্রহণ করেন মানসা মুসা। তার শাসনামলে মালি রাজত্বের বিস্তার ঘটতে থাকে। মানসা মুসা তার রাজত্বে আরও ২৪টি শহর যুক্ত করেন। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে শুরু করে বর্তমান নাইজার, সেনেগাল, মৌরিতানিয়া, মালি, বুরকিনা ফাসো, গাম্বিয়া, গিনি-বিসাউ, গিনি এবং আইভরি কোস্টের বড় অংশ মানসা মুসার রাজত্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এত বড় সাম্রাজ্যের সঙ্গে তার আয়ত্তে আসে স্বর্ণ ও লবণের মতো মূল্যবান খনিজ সম্পদ।
ব্রিটিশ মিউজিয়াম বলছে, মানসা মুসার শাসনামলে তৎকালীন বিশ্বে যে পরিমাণ স্বর্ণের মজুদ ছিল তার অর্ধেকই ছিল মালিতে। আর সেগুলোর সবটারই মালিক ছিলেন মানসা মুসা। শাসক হিসেবে মধ্যযুগের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদটির প্রায় অফুরান জোগান ছিল তার কাছে।
কিন্তু ধর্মপ্রাণ মুসলিম মানসা মুসা সাহারা মরুভূমি এবং মিসর পার হয়ে মক্কায় হজ পালনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়। বলা হয়ে থাকে, ৬০ হাজার মানুষের একটি দল নিয়ে মালি ত্যাগ করেন মানসা মুসা। তার সেই দলে ছিলেন সম্পূর্ণ মন্ত্রিপরিষদ, কর্মকর্তারা, সৈনিক, কবি, ব্যবসায়ী, উটচালক এবং ১২ হাজার দাস-দাসী। একই সঙ্গে খাবারের জন্য ছিল ছাগল এবং ভেড়ার এক বিশাল বহর। এরপর সেই বহর যখন কায়রো পৌঁছায় তখন ঘটে অভাবনীয় এক ঘটনা। কায়রোতে তিন মাস অবস্থান করেন মানসা মুসা। সে সময় তিনি যে হারে মানুষকে স্বর্ণ দান করেছেন তাতে পরবর্তী ১০ বছর ওই পুরো অঞ্চলে স্বর্ণের দাম তলানিতে গিয়ে পৌঁছায়। ভেঙে পড়ে অর্থনীতি।
১৩৩৭ সালে ৫৭ বছর বয়সে মারা যান মানসা মুসা। তার মৃত্যুর পর মানসা মুসার ছেলেরা আর সেই সাম্রাজ্য ধরে রাখতে পারেননি। ছোট রাজ্যগুলো একে একে বেরিয়ে যেতে থাকে। একসময় পুরো সাম্রাজ্য ধসে পড়ে। পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয়রা ধীরে ধীরে আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপন করে। ইতিহাসে এক বিস্ময়কর চরিত্র হিসেবে জায়গা পান মুসা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর নেই
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিং মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিল্লির একটি হাসপাতালে শেষ নিংশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ তার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। এরপর সন্ধ্যা ৮টার দিকে তাকে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালের (এইমস) জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ৯টা ৫১ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
ভারতের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের অন্যতম মনমোহন সিং ১৯৯১ সালে রাজ্যসভার সদস্য হন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি বিরোধী দলনেতা ছিলেন। এরপর ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত পরপর দুই মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিম পাঞ্জাবের গাহে জন্মগ্রহণ করেন মনমোহন সিং। গাহে এলাকাটি বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় তার পরিবার ভারতে চলে আসে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ওমরাহ পালনকারীদের সুখবর দিলো সৌদি আরব
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সুখবর দিয়েছে সৌদি আরব। এখন থেকে ওমরা পালনকারীরা বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণ করতে পারবেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সৌদির দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, গ্র্যান্ড মসজিদের পূর্ব দিকে মক্কা লাইব্রেরির কাছে এবং পশ্চিম দিকে গেট ৬৪-এর কাছে বিনামূল্যে লাগেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, একজন ওমরাহ পালনকারী সর্বোচ্চ চার ঘণ্টার জন্য সাত কেজি ওজনের ব্যাগ রাখতে পারবেন। তবে ব্যাগের বাইরে কিছু রাখা যাবে না। এ ছাড়া মূল্যবান ও নিষিদ্ধ জিনিসপত্র, খাবার ও ওষুধ রাখা যাবে না। ব্যাগ জমা দিয়ে টিকিট নিতে হবে ও টিকিট দেখিয়ে পরে ব্যাগ ফেরত নিতে হবে।
ওমরা পালনকারীরা সৌদি আরব সরকার অনুমোদিত ডিজিটাল হজ সেবা গেটওয়ে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে পারমিট দেখিয়ে এই সুবিধা নিতে পারবেন। মক্কার পবিত্র দুই মসজিদে প্রবেশ করতে হলে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে ওমরা পালনের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, নুসুক অ্যাপের মাধ্যমে এই সুবিধা নিতে পারবেন ওমরাহ পালনকারীরা। এ ছাড়া কাবা শরিফের আশপাশের সব এলাকায় এই সেবা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ৫ বাংলাদেশি নাগরিক গ্রেফতার
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে অন্তত পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের আন্তর্জাতিক এলাকা থেকে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেফতার করেছে আসাম পুলিশ। ভারতের ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে নর্থ ইস্টের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আসামের পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। এই বাংলাদেশিরা হলেন, হাসি আখতার, শ্রাবণী, সোহাগী খান, সুমি খান ও নীলা আক্তার।
আসাম পুলিশ বলেছে, ওই বাংলাদেশিদের গ্রেফতারের পর তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত নিরাপত্তা ও অবৈধ অনুপ্রবেশ জোরদারে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর অবস্তানে রয়েছে।
একই দিনে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বাংলাদেশি নাগরিকদের ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক দিন প্রায় ১০ থেকে ২০ বাংলাদেশি নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছেন। তবে সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমরা কঠোর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছি।
এর আগে, মঙ্গলবার আসাম থেকে ১৬ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আসামের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সেন্টিনেল আসামের প্রতিবেদনে ওই বাংলাদেশিদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়ে বলা হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ১৬ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে আসাম পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী এবং ৫ শিশু রয়েছে।
আসামের পুলিশ বলেছে, গ্রেপ্তারকৃত বাংলাদেশিরা বেঙ্গালুরু থেকে আসামের গুয়াহাটি হয়ে দক্ষিণ সালমারার মানকাচরে গিয়েছিলেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে স্বীকার করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সৌদিতে সড়কে প্রাণ গেলো চার বাংলাদেশির
সৌদি আরবের মদিনা শহরে গত ২১ ডিসেম্বর ময়লার গাড়িকে পেছন থেকে আরেকটি গাড়ি ধাক্কা দিলে চার বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হন। নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার।
তারা হলেন – ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার পাইথল গ্রামের বদরুদ্দিন তোতা মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (৩৮)। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা। অপরজন কুরচাই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে ইকরাম (২৪)। তিনি এক সন্তানের বাবা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আরও বলেন, নিহতদের মরদেহ আনার প্রক্রিয়া চলছে। তবে কখন বা কবে আসবে, তা এখন বলা যাচ্ছে না।
নিহত শ্রমিক ইকরামের বাবা আবু সাঈদ বলেন, আমার ছেলে ইকরাম এক সন্তানের বাবা। এক বছর আগে সংসারের হাল ধরতে সৌদি আরবের মদিনায় গিয়েছিল সে। সেখানে ইকরাম রাস্তা ক্লিনারের কাজ করত। ঘটনার দিন সকালে কাজ করে ময়লার গাড়িতে করে ৮/১০ জনকে নিজ বাসায় ফিরছিল। ফেরার পথে পেছন থেকে অন্য গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই আমার ছেলে ইকরামসহ ৪ জন মারা যায়। এসময় আহত হয় আরও দুজন। চারজনের একজন আমার ছেলে ইকরাম। আরেকজন সুমন মিয়া পাইথল গ্রামের বাসিন্দা। অপর দুইজনের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা বলে জানতে পারছি।
তিনি আরও বলেন, ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকেই বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। ছেলের মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। ছেলের স্ত্রী রুনা শোকে পাথর হয়ে গেছে। কারও সঙ্গে কথা বলছে না। আমার ছেলের দুই বছরের এক সন্তান রয়েছে। সে শুধু সবার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। মরদেহ আনার জন্য কাগজপত্র তৈরি করছেন বলেও জানান তিনি।
নিহত ইকরামের বড় বোন শাহিনুর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে বাড়িতে এসেছি। আমার ভাই ওই কাজে বের হওয়ার সময় সবার সঙ্গে কথা বলেছিলে, কে কেমন আছে জানতে চেয়েছিল সে। আমার সেই ভাই কথা বলার কয়েক ঘণ্টা পরেই মারা গেছে। ভাই আর আমাদের সঙ্গে কথা বলবে না।
পাইথল গ্রামের নিহত সুমনের চাচা চাচা শাহিন মিয়া বলেন, সুমন এক যুগ ধরে সৌদি আরবের মদিনায় শ্রমিক হিসাবে কাজ করে আসছিল। গত দুই বছর আগে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল। এভাবে তার মৃত্যু পরিবারের কেউ মেনে নিতে পারছে না। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্ত্রী সন্তানরা মরদেহের অপেক্ষায় আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
টায়ারে সমস্যা থাকায় ৭ লাখ গাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছে টেসলা
টায়ারে সমস্যা থাকার কারণে প্রায় সাত লাখ বিদ্যুচ্চালিত (ইভি) গাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছে আমেরিকার গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা।
কোম্পানিটি জানায়, টায়ার প্রেসার মনিটরিং সিস্টেমের সতর্কতা বাতি গাড়ি চালানোর সময় নাও জ্বলতে পারে ও কম টায়ারের চাপ সম্পর্কে চালককে সতর্ক করতেও ব্যর্থ হতে পারে। ফলে রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় বাড়তে পারে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। তাই মডেল ৩, মডেল ওয়াই ও সাইবারট্রাক গাড়িকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্বাই নিউজ জানায়, টেসলা বিনামূল্যে সফটওয়্যার আপডেটের মাধ্যমে সমস্যাটি সমাধান করবে।
২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এই ত্রুটিযুক্ত গাড়ির মালিকদের জানিয়ে চিঠি পাঠানোর কথা বলেছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানিটি। এবারই প্রথম নয়, বছরজুড়েই বেশ কয়েকবার বিভিন্ন মডেলের গাড়ি ফিরিয়ে নিয়েছে টেসলা। চলতি বছরের জুলাইয়ে গাড়ির হুড বা বনেটে সমস্যার কারণে ১৮ লাখ গাড়ি তুলে নেওয়া হয়।
টেসলা এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২২ লাখ গাড়ি প্রত্যাহার করে। গাড়ির যন্ত্র প্যানেলের কিছু সতর্কতা বাতি আকারে খুব ছোট থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কাফি