ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত

দলীয় রাজনীতির প্রভাব থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে মুক্ত করতে দলীয় নির্বাচনের পরিবর্তে ব্যক্তি নির্বাচনের মত দিয়েছেন ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠেয় সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করেন তিনি।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সঙ্গে দেখা করে ৪০ সদস্যের একটি টিম দুই ডিজির পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন। নির্ধারিত সময়ে পদত্যাগ না করলে পরে ব্যাংকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩০তলা ভবনে সর্বদলীয় ডাক দিয়েছিলেন। এরপর আবারও গভর্নরের সঙ্গে দেখা করেন। তখন ড. আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।
এদিন দুই ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তপ্ত হয় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা সকাল থেকে একাধিকবার বৈঠক করে পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় পদোন্নতি পাওয়া দুজন ডেপুটি গভর্নরকে পদত্যাগের দাবি জানান।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিগত সরকারের সময় যে দুইজন ডেপুটি গভর্নর নিয়োগপ্রাপ্ত তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে জানানো হয়েছে এবং এ বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান।
নজরুল ইসলাম বলেন, এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে আগের সরকারের নিয়োগ দেওয়া দুই ডেপুটি গভর্নর রয়েছেন। তাদের অবিলম্বের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। ডিজি এক ও ডিজি দুইতে পরিবর্তন আনার দাবি জানানো হয়েছিল আমাদের পক্ষ থেকে। গভর্নর বলেছেন এই বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন কর্মকর্তা এস আলম ও বিভিন্ন গ্রুপকে যারা সহায়তা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
নজরুল ইসলাম জানান, গভর্নর তাদেরকে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অনেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। কারণ সম্প্রতি সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নির্বাচন নিয়ে যেভাবে কাজ করেছে তাতে সুস্পষ্টভাবে সেই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যে নির্বাচন হচ্ছে তা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থগিত থাকবে বলেও গভর্ন তাদেরকে জানিয়েছেন বলেও জানান নজরুল ইসলাম।
গভর্নরের বক্তব্যের কারণেও ব্যাংকিংখাতে এক ধরণের অনাস্থা তৈরি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন নজরুল ইসলাম। তিনি জানান, গভর্নরের বক্তব্যের কারণে ব্যাংক থেকে আমানত তুলে নিয়েছেন অনেক গ্রাহকরা। তাই পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোন ধরণের স্ট্যাটমেন্ট দেওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
গত ৫ অগাস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর ইসলামী ব্যাংকে আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যাংকখাতেও আন্দোলন শুরু হয়। ইসলামী ব্যাংকে এস আলমের ক্ষমতার বলয় থেকে মুক্ত করার দাবিতে ৬ অগাস্ট ইসলামী ব্যাংকের সামনে আন্দোলন করেন ব্যাংকটির কয়েকশ কর্মী।
বিক্ষোভের হাওয়া লাগে বাংলাদেশ ব্যাংকেও। ৭ অগাস্ট তৎকালীন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, চার ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান ও পলিসি উপদেষ্টার পদত্যাগে উত্তাল হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরপর ওই সপ্তাহেই গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান, পলিসি উপদেষ্টা ও দুই ডেপুটি গভর্ন পদত্যাগ করেন। সেই সময়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাকি দুই ডেপুটি গভর্ন ছিলেন নুরুন নাহার ও হাবিবুর রহমান। প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য এই দুই ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সে সেসময়।
বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক বায়েজিদ সরকার ছাত্র-জনতা অভূত্যানে নিহত সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ৫ অগাস্টের আগে চুক্তিভিত্তিক ডেপুটি গভর্নর যারা এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন তাদের অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি করেন। ৭ অগাস্টে যে দাবি করা হয়েছিল সেই দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে।
বায়েজিদ সরকার বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর ৭ অগাস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকে বিক্ষোভ করা হয়। সেই সময় নানা রকমের দাবিও উপস্থাপন করা হয়। সেই দাবির মধ্যে ডেপুটি গভর্নরদের পদত্যাগের বিষয়টি ছিল। তবে এখনও তারা বাংলাদেশ ব্যাংকে রয়েছে। তাদের এ পদ থেকে চলে যেতে হবে।
পরে বিক্ষুদ্ধ কর্মকর্তাদের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগের দাবি তুলে ধরেন। এসময় গভর্নর তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
গভর্নর বলেন, আর্থিকখাতের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের চাকরিচ্যুত করা হলে আর্থিকখাতে বড় ধরনের সমস্যার পাশাপাশি বহিঃবিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হতে পারে। এজন্য তাদের পোর্টফোলিও দেখে কাজের পরিধির কমিয়ে আনা হবে বলে জানান।
এ সময় কর্মকর্তারা জানান, মূলত তাদের কারণেই আর্থিকখাতের সংস্কার কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জবাবে গভর্নর বলেন, শিগগিরই আমি এ দু’জন ডেপুটি গভর্নরের বিষয়ে বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
যেসব এলাকায় ব্যাংক খোলা আজ

তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল সংক্রান্ত লেনদেন এবং পোশাক কারখানার কর্মীদের বেতন, বোনাস পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্পঘন এলাকায় আজ শনিবার (২৯ মার্চ) ব্যাংক খোলা থাকবে।
ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকার ব্যাংকের নির্দিষ্ট কিছু শাখা আজ খোলা থাকবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবারও সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা ছিল। তবে লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
আজ শনিবার শিল্প এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। যেসব শাখা খোলা থাকবে সেসব শাখায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
শুক্রবার রাষ্ট্রায়ত্ত ৪ ব্যাংক খোলা, লেনদেন ২ ঘণ্টা

এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল-ফিতরের আগে বেতন ভাতাদি উত্তোলনের সুবিধার্থে শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে- সােনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতাধীন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের ঈদুল ফিতরের আগে বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের জন্য রাষ্ট্রীয় চার ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখা পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করে শুক্রবার সীমিত সংখ্যক লােকবলের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলাে।
ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর অফিস সূচি হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। লেনদেন পরবর্তী বাকি সময় অফিসের আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনা হবে। এ সময়ের মধ্যে জুমাতুল বিদার বিরতি থাকবে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত। ছুটির দিন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিধি অনুযায়ী ভাতা পাবেন বলে জানানো হয় নির্দেশনায়।
শিল্প এলাকায় খোলা ব্যাংক
ঈদুল ফিতরের আগে তৈরি পোশাকশিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রপ্তানি বিল বিক্রির জন্য এবং ওই শিল্পে কর্মরতদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের সুবিধার্থে শিল্পঘন এলাকায় ২৮ ও ২৯ মার্চ ব্যাংক শাখা খোলা রাখতে হবে। যেসব এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে তার মধ্যে রয়েছে- ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত পোশাকশিল্প এলাকা।
এসব এলাকায় ২৮ মার্চ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখতে হবে। লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, বাকি সময় লেনদেন পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা হবে। শনিবার ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত, এর মধ্যে লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। যেসব শাখা খোলা থাকবে, এই শাখাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ছুটির দিনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিধি মোতাবেক ভাতা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে নির্দেশনায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ঈদের আগে শেষ ব্যাংকিং লেনদেন আজ

আসন্ন ঈদের ছুটিতে টানা ৯দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক। ছুটির আগে বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) শেষ হচ্ছে স্বাভাবিক ব্যাংকিং লেনদেন। শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে সাপ্তাহিক, ঈদের ও বিশেষ ব্যবস্থার ছুটি। তবে এর মধ্যে আগামী শুক্র ও শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় গার্মেন্ট এলাকাগুলোয় সীমিত সময়ের জন্য ব্যাংকগুলোর কিছু শাখা খোলা থাকবে। এছাড়াও ঈদের ছুটিতে এটিএম বুথ, অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিকভাবে খোলা থাকবে।
ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তোলা, ঋণের অর্থ ছাড় করা, রেমিট্যান্সের ডলার ভাঙানো, সঞ্চয়পত্র ভাঙানো, মুনাফা উত্তোলনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কাজ আজ করা যাবে। এজন্য ব্যাংকগুলো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে। কলমানিসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নিয়ে টাকার জোগান বাড়িয়েছে। ঈদের আগে গ্রাহকদের টাকা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্যের জোগান দেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির কারণে বরাবরের মতো এবারও কলমানি মার্কেটে সুদের হার বেশি বাড়তে পারেনি। এখনো সুদের হার ১০ থেকে ১২ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।
আজ ব্যাংকগুলোয় নগদ টাকার বেশি চাহিদা থাকলেও কলমানির সুদের হার আগের মতোই স্বাভাবিক থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপকরা। কারণ, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি রেখেছে।
এদিকে ঈদের আগে ২৮ মার্চ শুক্রবার ও ২৯ মার্চ শনিবার বিশেষ ব্যবস্থায় কিছু এলাকায় ব্যাংকের শাখা সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকবে। এর মধ্যে শুক্রবার লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শনিবার লেনদেন হবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। এ দুইদিন ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের কিছু এলাকায় ব্যাংকের শাখা খোলা থাকবে। এ ছাড়া শনিবার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী শাখাগুলোও বিশেষ ব্যবস্থায় আগের নিয়মে খোলা থাকবে। এ সময়ে শুধু টাকা তোলা, স্থানান্তর, চেক নগদায়ন করা যাবে। রপ্তানিকারকরা তাদের রপ্তানি বিল ভাঙিয়ে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারবেন। ঋণবিষয়ক কোনো কাজ করা যাবে না।
আগামী শনিবারের পর ৬ এপ্রিল রোববার ব্যাংক খুলবে। তখন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
লভ্যাংশ বিতরণের শর্ত শিথিলতার দাবি বিএবি’র

বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে ২০২৪ সালে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া কোনো ব্যাংক লভ্যাংশ বা ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। তবে ব্যাংকগুলো যেন আগের নিয়ম অনুসারে ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারে সে দাবি জানিয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংক (বিএবি)।
সংগঠনটির মতে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ শর্ত শিথিল করা উচিত। নতুন নিয়ম ২০২৫ সাল থেকে প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে দেখা করেন বিএবি চেয়ারম্যান আবদুল হাই সরকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। প্রতিনিধিদলে কয়েকটি ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা শর্ত শিথিল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের চার ডেপুটি গভর্নর, সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্বাহী পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৩ মার্চ একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যেখানে বলা হয়েছে- ২০২৪ সালের সমাপ্ত বছরে ডিভিডেন্ড বিতরণের জন্য ২০২১ সালের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ওই নির্দেশনায় ডেফারেল নেওয়া ব্যাংকগুলোকে ৫ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড দেওয়ার সুযোগ বাতিল করা হয়েছে। ফলে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংক ২০২৪ সালে কোনো ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে না।
বিএবির নেতারা জানান, শর্তশিথিল হলে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালে ডিভিডেন্ড বিতরণ করতে পারবে। এতে ব্যাংকগুলোকে তাদের শেয়ারহোল্ডারদের কাছে আরও টানতে সহায়তা করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সিটি ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ে দুই নতুন নিয়োগ

সিটি ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ রিস্ক অফিসার মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকীকে হোলসেল ব্যাংক প্রধান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে। একই সাথে মোহাম্মদ মাহমুদ গনি ব্যাংকটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে কর্পোরেট ব্যাংকিং প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন।
আসীফ ১৯৯৯ সালে ইস্টার্ন ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৪ সালে কমার্শিয়াল ব্যাংক অফ সিলনে যোগ দেন এবং পরবর্তীকালে ২০০৬ সালে এইচএসবিসি ব্যাংকে যোগ দিয়ে ব্যাংকটির বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর অফিসে দীর্ঘ ৯ বছর কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ের নানা শাখায় কাজ করেন। ২০১৫ সালে তিনি এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিটি ব্যাংকের কর্পোরেট ব্যাংকিংয়ে যোগ দেন।
মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী গত টানা চার বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে সিটি ব্যাংকের শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এবং সাসটেনেবিলিটি ও গ্রিন ফাইন্যানসিংয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক উদ্যোগ ‘নেট-জিরো ব্যাংকিং অ্যালায়েন্স’-এ সিটি ব্যাংককে অন্তর্ভুক্তিকরণে অবদান রাখেন।
হোলসেল ব্যাংক প্রধান হিসেবে তাঁর দায়িত্বের আওতায় পড়বে কর্পোরেট ব্যাংকিং, ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট, স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স, অফশোর ব্যাংকিং ব্যবসা ইত্যাদি। আসীফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে এমবিএ এবং বিআইবিএম থেকে এমবিএম সম্পন্ন করেন।
মাহমুদ গনি ২০০১ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে সিটি ব্যাংকে যোগদান করেন। ২০০৭ সালে সিটি ব্যাংকের সামগ্রিক ট্রান্সফরমেশন প্রজেক্ট টিমের অন্যতম সদস্য হিসেবে তিনি কর্পোরেট ব্যাংকিংকে পূনর্গঠন করে বর্তমান উৎকর্ষে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। ২০১০ সালে স্বল্প সময়ের জন্য তিনি দেশের অন্য একটি ব্যাংকে যোগ দিয়ে ২০১৭ সালে কমার্শিয়াল ব্যাংকিং প্রধান হিসেবে আবার সিটি ব্যাংকে ফিরে আসেন।
২৪ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারে মাহমুদ গনি কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ে ব্যবসার প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন যার অন্যতম অভিমুখ ছিল ব্যাংকটির বৈদেশিক বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধি। মাহমুদ গনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিংয়ে এমবিএ সম্পন্ন করেন।