কর্পোরেট সংবাদ
মাইক্রোফিন্যান্সে ডিজিটাল পাশবুক চালু করলো আম্বালা ফাউন্ডেশন

দেশে মাইক্রোফিন্যান্স খাতে গ্রাহকদের জন্য আম্বালা আইটির প্রযুক্তিগত সহয়তায় প্রথম অ্যাপস ভিত্তিক ডিজিটাল পাশবুক চালু করলো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান আম্বালা ফাউন্ডেশন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শ্যামলীতে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ডিজিটাল পাশবুক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পিকেএসএফর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার, চীফ অপারেটিং অফিসার মো. এনামুল হক, উপ-নির্বাহী পরিচালক দেওয়ান তৌফিকা হোসাইন স্বাথী, হেড অব মাইক্রোফিন্যান্স এসকে হাসানুজ্জামান, উপ-পরিচালক মিনহাজ মহসিন মিশু, সহকারি পরিচালক রাব্বি আলম মন্ডল, সহকারি পরিচালক রীপা খাতুন, সহকারি পরিচালক কাজী ফয়সাল ইসলাম, সহকারি পরিচালক মো. আব্দুল আলীম, আম্বালা আইটির এজিএম মোহাম্মদ আলী, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শাফিউল ইসলাম প্রমুখ।
এ বিষয়ে আম্বালা ফাউন্ডেশনের সিওও মো. এনামুল হক বলেন, ‘ঘরে বসে লেনদেন আর হব না পেরেসান, আমার হিসাব আমার হাতে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে আম্বালা ফাউন্ডেশন খুব দ্রুত কার্যকর করতে যাচ্ছে সদস্যদের জন্য ডিজিটাল পাশবুক। যার মাধ্যমে সদস্যদের সঞ্চয় এবং সঞ্চয়ের আমানতের সব হিসাব নিকাশ দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হবে। এতে সদস্যদের আস্থা এবং বিশ্বাস দুটোই বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া সময়ের অপচয় রোধ হবে অনেক। আমরা আশা করি এই ডিজিটাল পাশবুক প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা প্রযুক্তির যুগে আরেকটি মাইলফলক প্রতিস্থাপন করতে পারবো।
আম্বালা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আরিফ সিকদার বলেন, আম্বালা ফাউন্ডেশন ১৯৯৮ সাল থেকে এ দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালে আর্থিক সেবা কার্যক্রমকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ক্ষুদঋণ কার্যক্রম শুরু করি। আমরা প্রথম থেকেই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষে সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরিচালনা করে আসছি।
তিনি বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন বাংলাদেশে এই প্রথম আমরাই গ্রাহক এবং প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পাশবই চালু করেছি। এই পাশবই চালুর ফলে একদিকে যেমন সংস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে, অন্যদিকে গ্রাহকরা তাদের সকল কার্যক্রম যেমন- ঋণের স্থিতি এবং লেনদেন যেকোন জায়গায় বসে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখতে পারবেন। আমরা মনে করি এদেশে এটি একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ। এর ফলে একদিকে যেমন স্বচ্ছতা আসবে অন্যদিকে গতিশীলতা বাড়বে।
আরিফ সিকদার আরও বলেন, খুব শীগ্রই আমরা আরেকটি সেবা চালু করছি আর তা হলো ইমার্জেন্সি লোন। আপনারা জানেন ক্ষুদ্রঋণ সেক্টরে গ্রাহকরা বছরে একবার লোন পেয়ে থাকে কিন্তু তাদের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে জরুরি ভিত্তিতে লোন প্রয়োজন হয়। যেমন- হঠাৎই পরিবারে অসুস্থতায় চিকিৎসার জন্য আর্থিক প্রয়োজন হয়, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা এই সেবাটি চালু করছি। ইমার্জেন্সি লোন চালু হলে গ্রাহকরা আমাদের এই অ্যাপটি ব্যবহার করে ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবে। আবেদন করার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই তারা তাদের কাঙ্খিত টাকাটা মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে পেয়ে যাবে। আমি মনে করি জরুরি প্রয়োজনে গ্রাহকদের এই সেবাটিও একটি যুগান্তকারি পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হবে।
এবিষয়ে পিকেএসএফর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের বলেন, আমরা যে আমাদের মাইক্রোফিন্যান্সকে ডিজিটাল করতে চাচ্ছি, এ ডিজিটাল পাশবই তার অন্যতম প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষুদ্রঋণের সাথে জড়িত। ক্ষুদ্রঋণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ২য় অবস্থানে আছে। আমাদের মোট কৃষিঋণের ৮৫% যায় ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে। এছাড়াও জিডিপিতে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমুহের বিপুল পরিমান অবদান রয়েছে। এটাকে যদি আমরা ডিজিটালে রূপান্তর করতে পারি এটা হবে বড় রকমের একটা অর্জন। এটি মাইক্রোফিন্যান্সের স্বচ্ছতা অনেক বাড়িয়ে দিবে।
এসএম

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১মার্চ শেষ হওয়া ২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিক এবং ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তার আয়োজনে বিজ্ঞান উৎসবের ৩য় আসর শুরু

সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণায় উৎসাহী করতে বিকাশ এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক মাসিক পত্রিকা বিজ্ঞানচিন্তার আয়োজনে শুরু হলো দেশব্যাপী ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব’-এর তৃতীয় আসর।
রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে ঢাকার প্রায় ১২০টির ও বেশি স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী প্রকল্প প্রদর্শন, কুইজ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হলো এবারের বিজ্ঞান উৎসব। রোবট ‘ওয়াল.ই’-এর উদ্বোধন ঘোষণার মাধ্যমে শুরু হয় এবারের আয়োজন।
পর্যায়ক্রমে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর ও সিলেট বিভাগে আঞ্চলিক পর্ব শেষে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বের আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিজ্ঞান উৎসব।
ছোটবেলা থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা তৈরি করে বিশ্বের জ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার উপযোগী করার লক্ষ্যেই এ উৎসবের আয়োজন। দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত গত দুই উৎসবে ৮৫০ টি স্কুলের ২০ হাজারের বেশি প্রতিযোগী ৬০০ টি বিজ্ঞান বিষয়ক উদ্ভাবনী প্রকল্প উপস্থাপন করে। এছাড়া প্রায় ৪৩০০ শিক্ষার্থী কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি, বিপুল সংখ্যক অভিভাবক, শিক্ষক ও দর্শনার্থীরা এই আয়োজনগুলোতে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
গতকাল (শনিবার) সকালে এই উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অবঃ), মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফারজানা শাকিল, বিজ্ঞান চিন্তার সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম, কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক, ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ফিজিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন, রম্য লেখক ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার, বিজ্ঞান বক্তা আসিফ, বিকাশের ইভিপি ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট সায়মা আহসান, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার সহ অনেকে।
শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চায় আগ্রহী করার লক্ষ্যে আয়েজিত এই উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে ঢাকার প্রায় ১২০টির ও বেশি স্কুলের শিক্ষার্থীরা দলগতভাবে ‘অ্যাডভান্স মার্স রোভার, ‘সাসটেইনেবল ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন’, ‘অ্যাকুয়াফ্লাক্স’, ‘লাইফাই’ এর মতো ১৫০টির বেশি প্রকল্প উপস্থাপন করে। প্রকল্প উপস্থাপনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা কুইজ পর্বেও অংশগ্রহণ করে। বিজ্ঞান প্রকল্পের সেরা ১৭টি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়। পাশাপাশি, কুইজে অংশগ্রহণকারী নিম্ন মাধ্যমিকে সেরা ১৭ বিজয়ী ও মাধ্যমিকে সেরা ১৫ বিজয়ীকে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরিবেশ-বান্ধব অ্যাপ বানানোর প্রকল্প বানিয়ে সেরা হন সেন্ট জোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র রাইয়িন আল রাদ।
বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। সারাদেশ থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাড়তি চমক হিসেবে ছিলো বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন স্টল, রোবটিক্স প্রদর্শনী, বিজ্ঞান ম্যাজিক, লেখক, গণিতবিদ, বিজ্ঞান বক্তাদের বক্তব্য ও শিক্ষার্থীদের প্রশ্নোত্তর পর্ব, সংগীতানুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
কর্পোরেট সংবাদ
হজযাত্রীদের সেবায় ইউসিবির হজ এজেন্সি সম্মেলন

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) হজ এজেন্সি সম্মেলনের আয়োজন করেছে। হজযাত্রীদের আরও উন্নত ও সহজসাধ্য সেবা নিশ্চিত করতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সম্প্রতি সিলেটের একটি হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল আলম ফেরদৌস।
এসময় তিনি বলেন, হজযাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী উদ্ভাবনী আর্থিক সমাধান ও সর্বোত্তম সেবা প্রদানে ইউসিবি সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন হজ এজেন্সীজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সিলেট জোনাল কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল হক, সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল কাদিরসহ ইউসিবি ও হাব-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সিলেট অঞ্চলসহ ইউসিবির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় শীর্ষস্থানীয় হজ এজেন্সিগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণে এই সম্মেলন পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়। অংশগ্রহণকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে হজযাত্রীরা আরও উন্নত, নিরাপদ ও মানসম্মত সেবা পাবেন।
কর্পোরেট সংবাদ
‘দ্বিজেন শর্মা পরিবেশ পদক’ পেলো পরিবেশযোদ্ধা ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিবেশ শিক্ষা এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখায় চারজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ‘দ্বিজেন শর্মা পরিবেশ পদক ২০২৪’ প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। সহযোগিতায় ছিলো পরিবেশবাদী সংগঠন ‘তরুপল্লব’।
গত ৩০ আগস্ট বাংলা একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার।
খ্যাতনামা প্রকৃতিবিদ ও উদ্ভিদবিজ্ঞানী অধ্যাপক দ্বিজেন শর্মা, যাঁর জীবন ও কাজ অসংখ্য মানুষকে প্রকৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, তাঁর স্মৃতিতে সম্মান জানিয়ে এই পদক চালু করা হয়েছে।
বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য ও নটরডেম কলেজের সাবেক শিক্ষক মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে সম্মাননা জানানো হয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ শিক্ষায় তাঁর চার দশকেরও বেশি সময় ধরে করা কাজের জন্য। পরিবেশ রক্ষায় তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পরিবেশবিষয়ক পত্রিকা প্রকাশ করেছেন এবং হাজারো শিক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, যারা বর্তমানে পরিবেশ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সূচিশিল্পী ও উদ্যানপ্রেমী মো. আমিনুল ইসলাম, ১৫ বিঘা জমি জুড়ে ‘গাছবাড়ি’ উদ্যান গড়ে তোলার জন্য ‘বৃক্ষসখা’ সম্মাননা পেয়েছেন। তাঁর গড়ে তোলা উদ্যানে প্রায় ১০ হাজার গাছপালার পাশাপাশি ২৫০ প্রজাতির দুর্লভ ও অনন্য গড়ন ও গঠনের গাছ রয়েছে। তিনি শিক্ষার সঙ্গে বাগানবিদ্যা ও বন্যপ্রাণী পরিচর্যার সমন্বয় ঘটিয়েছেন।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের মস্তাননগরে অবস্থিত ‘প্রজেক্ট সোনাপাহাড়’-কে সম্মাননা দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ‘মিয়াওয়াকি’ বন গড়ে তোলার জন্য। জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও অপরিকল্পিত নগরায়ণের প্রভাব মোকাবেলায় এই বন অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
এছাড়াও, রাঙামাটিতে কমিউনিটি-ভিত্তিক পরিবেশ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করার জন্য পদক জিতেছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা। তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ৮৭,৫০০টিরও বেশি পাখিবান্ধব চারা বিতরণের পাশাপাশি সড়কের পাশে হাজারো বৃক্ষ রোপণ করেছেন। সওজ লেক ভিউ গার্ডেনসহ বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব পর্যটন উদ্যোগও তাঁরই নেওয়া।
ব্র্যাক ব্যাংক ও তরুবপল্লব-এর এমন উদ্যোগ নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে সম্মাননাজয়ী প্রত্যেক ব্যক্তি তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তাঁদের কাজ আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় বন, নদী, বন্যপ্রাণী তথা পরিবেশ রক্ষা কারো একক দায়িত্ব নয়, বরং এই পৃথিবীতে টিকে থাকার লড়াইয়ে এটি আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। এই অনুকরণীয় ব্যক্তিদের দেওয়া সম্মাননা টেকসই উন্নয়নযাত্রায় পরিবেশ রক্ষাই যে মূল শক্তি, তার-ই উদাহরণ।
বিশেষ অতিথি নূরুন নাহার বলেন, এই পরিবেশ হিরোরা দেখিয়েছেন, টেকসই উন্নয়নের শুরু আসলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ব্যক্তির হাত ধরেই। তাঁদের কর্মকাণ্ড এমন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, যেখানে উন্নয়ন আর প্রকৃতি থাকবে পাশাপাশি।
ব্র্যাক ব্যাংকের ভাইস-চেয়ারপারসন ফারুক মঈনউদ্দীন বলেন, এই পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দ্বিজেন শর্মা পরিবেশ পদক তাঁদের নিরলস কাজের এক অসামান্য স্বীকৃতি এবং সমাজে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।
তরুপল্লব-এর সাধারণ সম্পাদক মোকারম হোসেন ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রকৃতি সংরক্ষণের প্রচেষ্টায় আমাদের আরও সহযোগিতা দরকার। একসঙ্গে কাজ করতে পারলে আমরা কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করতে পারবো, যা আরও অনেক মানুষকে এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় বিশ্বাস করে, প্রকৃত উন্নয়ন পরিবেশের উন্নয়নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। এই পদক তাঁদের জন্য, যাঁরা প্রকৃতি রক্ষায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাঁদের সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ার পথে সবসময় নির্ভরযোগ্য সহযোগী হয়ে থাকার ব্যাপারে আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ টেকসই ব্যাংক রেটিং এবং ব্লুমবার্গের ইএসজি রেটিংয়ে ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই স্বীকৃতি ব্র্যাক ব্যাংকের দায়িত্বশীল ব্যাংকিং চর্চা ও সবুজ ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার ব্যাপারে দেওয়া অঙ্গীকারের প্রতিফলন।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের উদ্যোগে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা

সিটি ব্যাংকের উদ্যোগে বরিশালে ‘মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং আইএসএস রিপোর্টিং’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩০ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় ব্যাংকের রিটেইল ও অপারেশনস ডিভিশনের মোট ৪৩ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বরিশাল অফিসের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমদ মাসুম। কর্মসূচির শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সিটি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমান।
এছাড়াও, উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ফাইন্যান্স বিভাগের প্রধান মো. রাকিব উদ্দিন আহমেদ ও জাহেদুল ইসলাম, ডেপুটি কেমেলকো।
এই কর্মশালার মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ, সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ এবং আইএসএস রিপোর্টিং সংক্রান্ত বিধি-বিধান সম্পর্কে তাদের জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি করেন। সিটি ব্যাংক নিয়মিত এ ধরনের সক্ষমতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার আয়োজন করে আসছে।