কর্পোরেট সংবাদ
ওয়ালটনের সঙ্গে সিটি ব্যাংকের এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি

গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সঙ্গে এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি করলো সিটি ব্যাংক পিএলসি। চুক্তির আওতায় এখন সিটি ব্যাংক থেকে বেতন-ভাতা, অর্থ প্রদান, অর্থ সংগ্রহ, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ পারসোনাল, হোম ও কার লোন সুবিধা ইত্যাদি প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং পরিষেবা গ্রহণ করতে পারবেন ওয়ালটন পরিবারের সদস্যগণ।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন হাই-টেকের করপোরেট অফিসে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটনের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) মো. জিয়াউল আলম (আইসিএবি), এসিএ (আইসিএইডব্লিউ) এবং সিটি ব্যাংক পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ও হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং অরূপ হায়দার।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম, সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার, ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) এস এম মাহবুবুল আলম, সিটি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার মাসরুর আরেফিন, ওয়ালটনের এএমডি মো. নজরুল ইসলাম সরকার ও ইভা রিজওয়ানা, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদানকালে ওয়ালটন হাই-টেকের চেয়ারম্যান এস এম শামছুল আলম বলেন, সিটি ব্যাংকের সঙ্গে ওয়ালটনের দীর্ঘদিনের সুসম্পর্ক এবং পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে। আজকের এই চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সেই সহযোগিতা ও সুসম্পর্কের মাত্রা আরো প্রসারিত হলো।
ওয়ালটন হাই-টেকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা সর্বদা ওয়ালটন পরিবারের সদস্যদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা প্রদানে সচেষ্ট থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো। এর ফলে ওয়ালটনে কর্মরত সদস্যগণ সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংকিং সেবা আরো দ্রুত ও সহজে পাবেন। এই চুক্তির ফলে সিটি ব্যাংকও লাভবান হবে।
সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বলেন, বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স খাতে ওয়ালটন সেরা প্রতিষ্ঠান। তারা দেশ-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। সিটি ব্যাংকও দেশের সেরা ব্যাংক। আজ দেশের দুই সেরা প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানই উপকৃত হবে। আশা করি- ওয়ালটন ভবিষ্যতে বিভিন্ন ধরনের হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে আরও এগিয়ে যাবে। ওয়ালটনের এই অগ্রযাত্রায় সব ধরনের ব্যাংকিং সহযোগিতা প্রদান করবে সিটি ব্যাংক।
সিটি ব্যাংকের এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ওয়ালটনের সঙ্গে কাজ করছে সিটি ব্যাংক। এতোদিন ওয়ালটন পণ্য ক্রয়ে সিটি ব্যাংক কার্ড হোল্ডারদের জিরো ইন্টারেস্টে কিস্তি সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। আজ থেকে ওয়ালটনের কর্মরত সদস্যগণকে এমপ্লয়ি গ্রিন ব্যাংকিং সুবিধাও প্রদান করা হবে। ওয়ালটনের মতো সেরা প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।
তিনি আরো জানান, ওয়ালটনের প্রতিটি একাউন্টের বিপরীতে একটি করে গাছ রোপণ করা হবে যা সিটি ব্যাংকের গ্রিন ব্যাংকিং এর একটি উদ্যোগ।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ওয়ালটন হাই-টেকের এএমডি ও সিএফও মো. জিয়াউল আলম, এফসিএ, এসিএ (আইসিএইডব্লিউ)। এরপর অতিথিবৃন্দ ওয়ালটন করপোরেট অফিসে সিটি ব্যাংকের একটি এটিএম বুথ উদ্বোধন করেন।
এসএম

কর্পোরেট সংবাদ
ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে ঢাকায় ব্যাংকার্স মিট

সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ফিনটেক প্রতিষ্ঠান ফিলপস লিমিটেড ঢাকায় আয়োজন করলো ব্যাংকার্স মিট ২০২৫। দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং জ্যেষ্ঠ নির্বাহীদের একত্রিত করে এই অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎমুখী ডিজিটাল ব্যাংকিং নিয়ে আলোচনা, সহযোগিতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের সহযোগিতায় ঢাকায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ভাবন ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের দিকগুলো তুলে ধরা হয়।
ফিলপস প্রদর্শন করে তাদের সর্বশেষ প্রযুক্তি সমাধান যার মধ্যে ছিল ডিজিটাল ঋণ প্রদানের প্ল্যাটফর্ম ও ডিজিটাল কাস্টমার অনবোর্ডিং সলিউশন যা গ্রাহককেন্দ্রিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে।
ফিলপসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার তুষার হাসান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে গভীর ও দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক তৈরি করা এবং তাদের কৌশলগত লক্ষ্যের সাথে আমাদের সমাধানকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা।”
অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিল বিশ্ববিখ্যাত ফিউচারিস্ট, আন্তর্জাতিক বেস্টসেলিং লেখক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ব্রেট কিং-এর কী-নোট বক্তব্য। তিনি দেখান কিভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তি বৈশ্বিক আর্থিক খাতকে বদলে দিচ্ছে এবং ঐতিহ্যবাহী ব্যাংক ও ডিজিটাল-প্রথম ফিনটেকের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে তুলছে।
কিং বলেন, বাংলাদেশ এখনই লিগ্যাসি সিস্টেম ছেড়ে “ভবিষ্যতের ব্যাংক” মডেলে যেতে পারে। তিনি টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু বিষয়ক ভূমিকার গুরুত্বও তুলে ধরেন এবং ব্যাংক ৫.০ ধারণা উপস্থাপন করেন, যেখানে ডিজিটাল অবকাঠামো, রিয়েল-টাইম গ্রাহক সংযোগ এবং গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবন প্রতিযোগিতার মূল চালিকাশক্তি হবে।
অনুষ্ঠানে ফিলপস সিটি ব্যাংক ও এবি ব্যাংকের সাথে নতুন অংশীদারিত্বের ঘোষণা দেয়। সিটি ব্যাংকের জন্য এই সহযোগিতায় তাদের ফ্ল্যাগশিপ সিটি টাচ ডিজিটাল ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম সম্পূর্ণভাবে পুনর্গঠন করা হবে, যাতে আরও স্মার্ট ও নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত হয়। অন্যদিকে এবি ব্যাংকের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে চালু হবে ডিজিটাল ন্যানো লোন সুবিধা।
কী-নোট শেষে, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান মাসরুর আরেফিন বলেন, “আমরা ফিলপসের প্রতি কৃতজ্ঞ, তারা এমন এক সময়ে ব্রেট কিং-কে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে যখন আমাদের খাত বড় পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে। ব্যাংকার্স মিট ২০২৫-এর আলোচনা প্রযুক্তিনির্ভর উদ্ভাবন ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির জরুরিতা আরও স্পষ্ট করেছে।”
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে ফিলপসের সিইও বিশ্বাস ধাকাল বলেন,“ফিলপস উদীয়মান বাজারে বছরের পর বছর সফলতার মাধ্যমে অর্জিত প্রযুক্তি ও পরিচালন দক্ষতার সমন্বয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদে এখানে থাকতে চাই এবং ব্যাংক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও শিল্পের অংশীদারদের সাথে একযোগে কাজ করে ডিজিটাল রূপান্তর ও গ্রাহক-প্রথম উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করবো।”
ফিলপস হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বৈশ্বিক ফিনটেক এনাবলার, যারা ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রদানকারী ও সিস্টেম অপারেটরদের সাথে অংশীদারিত্বে কাস্টমাইজড ডিজিটাল সমাধান তৈরি ও বাস্তবায়ন করে। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ডিজিটাল আর্থিক রূপান্তরে প্রমাণিত প্রযুক্তি সক্ষমতা নিয়ে বর্তমানে তারা জিসিসি ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সম্প্রসারণ করছে। সমাধান স্থপতি ও রূপান্তর পরামর্শক হিসেবে ফিলপস কৌশল নির্ধারণ থেকে শুরু করে কার্যকর বাস্তবায়ন পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকে, যাতে জনপরিসরে প্রভাব নিশ্চিত হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপে ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন

ব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহক সংখ্যার এক উল্লেখযোগ্য মাইলফক অর্জন করেছে, যা গ্রাহকদের মাঝে অ্যাপটির জনপ্রিয়তার প্রতিফলন।
এই ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপটি গ্রাহকদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে, যা তাঁদের ২৪/৭ ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকিং অ্যাপটি চলতি বছরের জুলাই মাসে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের এক নতুন রেকর্ড। ‘আস্থা’ অ্যাপ যে দেশের ডিজিটাল ব্যাংকিং অঙ্গনে নিরাপদ, স্মার্ট ও নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সেবার মাধ্যম হিসেবে গ্রাহকদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে, এটি তার-ই প্রতিফলন।
এই মাইলফলক শুধু গ্রাহকদের কাছে ‘আস্থা’র গ্রহণযোগ্যতাই নয়, বরং ডিজিটাল উদ্ভাবনে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বেরও প্রতিফলন। বাংলাদেশে ডিজিটাল আর্থিক সেবার বিকাশে ‘আস্থা’ গ্রাহকদের দিয়েছে তাঁদের আর্থিক ব্যবস্থাপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, যেখানে তাঁরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারছেন।
‘আস্থা’ গ্রাহকদের এক প্ল্যাটফর্মেই ব্যাংকিং ও লাইফস্টাইলের বিস্তৃত সেবা দিচ্ছে। এখানে মাত্র কয়েক ট্যাপেই গ্রাহকরা ব্রাঞ্চে না গিয়ে ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, অথবা ডিপিএস নম্বর দিয়ে সহজেই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা যায়, যার ফলে সব ধরনের ডিজিটাল জ্ঞানসম্পন্ন গ্রাহকরা কোনোপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংকিং সেবা নিতে পারছেন। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের প্রসারেও ভূমিকা রাখছে। শুধু তা-ই নয়, গ্রাহকরা এখানে কার্ড ও লোনের জন্য আবেদন থেকে শুরু করে এটিএম/ব্রাঞ্চ/মার্চেন্টের লোকেশনও জানতে পারেন খুব সহজে।
‘আস্থা’তে গ্রাহকরা নিজেদের সুবিধানুযায়ী এনপিএসবি, বিইএফটিএন, ভিসা ডিরেক্ট এবং আরটিজিএস ব্যবহার করে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। মোবাইল ওয়ালেট ফান্ড ট্রান্সফার, কিউআর কোড-ভিত্তিক ‘স্ক্যান অ্যান্ড পে’, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ সুবিধাগুলো গ্রাহকদের জীবনকে করে তুলেছে আরও সহজ। এই সেবাগুলো পেতে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে না কোনো চার্জ, দাঁড়াতে হচ্ছে না লাইনে, কিংবা যেতে হচ্ছে না কোনো ব্রাঞ্চে।
অ্যাপটিতে কোডের মাধ্যমে কার্ডবিহীন এটিএম উত্তোলন, স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে নিয়মিত বিল প্রদান (যেমন- বিকাশ, রকেট, ইনস্যুরেন্স), বিকাশ পুল মানি ফিচারের মাধ্যমে ওয়ালেট থেকে ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। গ্রাহকরা এই অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন।
ব্যাংকিং ও লাইফস্টাইলের অনন্য সমন্বয় আস্থা অ্যাপকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ‘আস্থা’ লাইফস্টাইলের মাধ্যমে গ্রাহকরা বাসের টিকিট বুকিং, প্রথম আলোর ই-পেপার পড়া, ‘আস্থা প্লে’-তে কনটেন্ট স্ট্রিমিং, গান শোনা এবং ‘আস্থা লার্নিং’-এ দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সে অংশ নিতে পারেন। আধ্যাত্মিক প্রশান্তির জন্য রয়েছে ‘আস্থা ইসলামিক’, যেখানে গ্রাহকরা নির্বাচিত ধর্মীয় কনটেন্ট উপভোগ করতে পারেন। এক প্ল্যাটফর্মে একসাথে ভ্যালু এবং সহজ ও নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
‘আস্থা’ গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনাতেও সহায়তা করে। গ্রাহকরা ‘আস্থা’ অ্যাপের মাধ্যমে এফডিআর/ডিপিএস খোলা বা ভাঙানো, কার্ড রিসেট বা ব্লক করা, নমিনির নাম আপডেট করা, অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, ট্যাক্স সার্টিফিকেট ও পজিটিভ পে কনফার্মেশন ডাউনলোড করতে পারেন। এই সুবিধাগুলো বিশেষ করে এসএমই, পেশাজীবী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ কার্যকর।
এই অর্জন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ‘আস্থা’র মাধ্যমে গ্রাহকরা শুধু আর্থিক লেনদেনই করছেন না, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন।
এমন অর্জন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার মোকাররবিন মান্নান বলেন, আস্থা ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে ব্যাংকিংকে সহজ ও সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
তিনির আরও বলেন, ১০ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারীই প্রমাণ করে যে, অ্যাপটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি এখন আর শুধু ব্যাংকিংয়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এখন দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার, ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদান এবং ভবিষ্যতের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
সুপারস্টার গ্রুপের এসএমই’র জন্য অর্থায়ন সুবিধা বৃদ্ধি করবে আইপিডিসি

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং সুপারস্টার গ্রুপ (এসএসজি) বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। যার মাধ্যমে সুপারস্টার গ্রুপের আওতাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য অর্থায়ন সুবিধা বৃদ্ধি করবে আইপিডিসি। এতে করে, উদ্যোক্তারা সহজে এসএসজি বিডি’র পণ্য ক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে, যা তাদের ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের এসএমই খাতকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তারা সহজে মূলধন পাবে, যার ফলে তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় অর্থনীতিতে আরও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সহজ লেনদেন ও ব্যবসায়িক সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে কাজ করছে উভয় প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ অপারেটিং অফিসার মো. আশিক হোসেন বলেন, এসএমই আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড আর এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় আর্থিক সরঞ্জাম সরবরাহে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। এই চুক্তি ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশব্যাপি উদ্যোক্তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুযোগও তৈরি করবে।
সুপারস্টার গ্রুপ বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বরাবরই শক্তিশালী ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি ও পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসএমই খাতকে উন্নত করতে কাজ করেছি। আইপিডিসি’র সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের আওতাধীন উদ্যোক্তাদের সহজ অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করবে, ফলে তারা আরও দ্রুত ও সহজে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং উন্নত সেবা প্রদান করতে পারবে।
এই সমঝোতা স্মারক এসএমই খাতের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং সুপারস্টার গ্রুপ-এর যৌথ প্রচেষ্টাকে তুলে ধরছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের ভূমিকা আরও দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে সিক্রেট রেসিপি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি সিক্রেট রেসিপি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠান চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এই অংশীদারিত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন থেকে সিক্রেট রেসিপির সব আউটলেটে বিশেষ অফার বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স আউটলেটে হাইসেন্স ব্র্যান্ডের পণ্যে আকর্ষণীয় অফার উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং ফেয়ার গ্রুপের হেড অব ট্রেজারি মো. জাহিদুল কবীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দার তানভীর ফয়সাল; ফেয়ার গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং জে এম তসলিম কবীর এবং পেপারনি লিমিটেডের হেড অব বিজনেস কে.এস.এম. মহিতুল বারী।
এই চুক্তি প্রায়োরিটি গ্রাহকদের উন্নত লাইফস্টাইল সুবিধা ও কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির পতিফলন, যা তাদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বাড়াবে।