অন্যান্য
অরবিসের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দেশে চোখের যত্ন ও পরিষেবা সম্প্রসারণের জন্য অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে কাজ ও সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ডেরেক হডকির সাথে এক বৈঠকে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চোখের যত্নের সেবা সম্প্রসারণ করতে হবে এবং এ লক্ষ্যে আরা অরবিস ইন্টারন্যাশনালের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হড, অরবিস ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ডেরেক বাংলাদেশ সফর করছেন। এখন চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ চলছে। ডেরেকে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীতে অধ্যাপক ইউনূসের সাথে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
অরবিস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মুনির আহমেদ প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাতের সময় ডেরেকের সাথে ছিলেন। অরবিস প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টাকে ফ্লাইং আই হাসপাতালের একটি মডেল সংস্করণ উপস্থাপন করেন। অধ্যাপক ইউনূস এটির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ডেরেক অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কাজ সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবিহিত করেন। অরবিস ১৯৮২ সালে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি-সংরক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছিল। অরবিস গত ৩৯ বছর ধরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে কাজ করছে।
ডেরেক বলেন, এই সময়ের মধ্যে, অরবিস এ পর্যন্ত কমিউনিটি আউটরিচ ইভেন্টে ৭.৮ মিলিয়নেরও বেশি চোখের স্ক্রিনিং পরিচালনা করেছে, প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে ৪.৫ মিলিয়নেরও বেশি ব্যক্তিকে ওষুধ ও অপটিক্যাল চিকিৎসা প্রদান করেছে, ২৫৮,০০০টিরও বেশি চোখের সার্জারি করেছে এবং বাংলাদেশের ৪০ হাজারের বেশি লোককে চোখের যত্ন নেওয়ার বিষয়ে প্রশিক্ষিত করেছে।
অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশে চক্ষু স্বাস্থ্য খাতে অরবিসের অবদানের কথা স্বীকার করেন এবং ফ্লাইং আই হাসপাতালের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অরবিস এখন বাংলাদেশে ১১তম প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ড. ইউনূস বলেন, আমি অরবিসকে ভালোবাসি। আমি ফ্লাইং আই হসপিটালকে ভালোবাসি। তিনি উল্লেখ করেন যে, অরবিস বাংলাদেশে চোখের স্বাস্থ্য খাতে ভূমিকা পালনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম।
ডেরেক বলেন, অরবিস ব্যক্তি, পরিবার ও জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করার জন্য বিশ্বব্যাপী ২ শতাধিক দেশ ও ভূখণ্ডে দৃষ্টি সংরক্ষণের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
বিশ্বজুড়ে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ সম্পূর্ণভাবে পরিহারযোগ্য অন্ধত্ব ও দৃষ্টিশক্তি হ্রাসের সমস্যা নিয়ে বসবাস করছে উল্লেখ করে ডেরেক বলেন, চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিস জোরদার ও টেকসই চোখের যত্ন ব্যবস্থা নিয়ে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
অরবিস প্রেসিডেন্ট বলেন, অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করছে এবং প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রযুক্তির প্রয়োগ করছে।
তিনি বলেন, গত চার দশক ধরে অরবিস শিশুদের চোখের যত্ন, মাইক্রোসার্জারি, রেটিনাল সার্জারি, কর্নিয়ার রোগ, প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথি এবং ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথির ওপর গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশের স্থানীয় অংশীদারদের দক্ষতা ও জ্ঞানের উন্নতিতে সাহায্য করেছে।
ডেরেক এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে আরও অবিহিত করেন, অরবিস সারা দেশে বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় ৪২টি দৃষ্টি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করে চোখের যত্নের সাথে জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করেছে; ১৭টি সেকেন্ডারি হাসপাতাল, চারটি তৃতীয় হাসপাতাল, দুটি ওয়েট ল্যাব, একটি মানসম্পন্ন রিসোর্স সেন্টার ও একটি ডিজিটাল ট্রেনিং হাব প্রতিষ্ঠা বা উন্নতিতে সহায়তা করেছে।
এছাড়া, অরবিস ৪০০টি কমিউনিটি ক্লিনিককে ভিশন স্ক্রিনিং টুলস দিয়ে সজ্জিত করেছে এবং শৈশব অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ, প্রিম্যাচুরিটি রেটিনোপ্যাথির স্ক্রিনিং ও ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় নির্দেশিকা তৈরি করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
ধর্ষণের শিকার শিশুটি এখনো লাইফ সাপোর্টে: আইএসপিআর

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি এখনো ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সেখানে তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, গত ৮ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় মাগুরা সদর উপজেলায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশুটি সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন অবস্থায় সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে ভর্তি হয়। এ সময় শিশুটি সম্পূর্ণ অচেতন অবস্থায় ছিল। এই সময় তার রক্তচাপ ১২০/৭০ মি.মি. (কার্ডিয়াক সাপোর্টসহ), হৃদ স্পন্দন ১১৮/মিনিট, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৬ শতাংশ পাওয়া যায়।
শিশুটির গলার সামনের দিকে গভীর ক্ষত এবং শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। রোগীর যথাযথ অবস্থার নিরূপণ এবং সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য সিএমএইচের কমান্ড্যান্ট, চিফ সার্জন জেনারেল, শিশু বিভাগের উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান, স্ত্রী ও ধাত্রী বিদ্যা বিভাগের উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান, শিশু সার্জারি বিভাগের উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান, সিনিয়র অবেদনবিদ্যা বিশেষজ্ঞ, সিনিয়র শিশু নিউরোলজিস্টের সমন্বয়ে উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিভিন্ন প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করা হয়।
আইএসপিআর আরও জানায়, পরীক্ষায় শিশুটির নিউমোথ্রোক্স (আরটি), এআরডিএস ও ডিফিউজ সেরিব্রাল ইডমা ধরা পড়ে এবং একই সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয়। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমানে শিশুটি লাইফ সাপোর্টে আছে।
গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) গত বুধবার ঘটে যাওয়া ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তাকে আসামি করে এই মামলা করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত গানম্যান আশিকুর রহমান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগের পর তা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। শেরে বাংলা নগর থানার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মামলার বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান (৫৮), নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম (৫৭), নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন (৩০), সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে এবং কমিশনার মো. মহসিন চৌধুরী, মো. আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখের উপস্থিতিতে কমিশনের নির্ধারিত সভাকক্ষে সভা চলাকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাসহ আরও কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কমিশনের সভাকক্ষে জোরপূর্বক ও অনধিকার প্রবেশের মাধ্যমে কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করেন। এরই মধ্যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন, সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, কমিশনের লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে মারাত্মক অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন।
এর আগে, গত বুধবার বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংস্থাটির কর্মকর্তা- কর্মচারীরা চার দফা দাবিতে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে প্রায় চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনারকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করেন। দাবি পূরণ না হওয়ায় চেয়ারম্যানসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। ফলে গতকাল কার্যত অচল ছিল বিএসইসি।
এদিকে গতকাল সকালে অর্থ উপদেষ্টা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কাছে পুরো পরিস্থিতি তুলে ধরেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও তিন কমিশনার। ওই দিনই সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে কঠোর বার্তা নিয়ে বেলা তিনটার পর যৌথ বাহিনীর কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে কার্যালয়ে ফেরেন চেয়ারম্যান ও তিন কমিশনার। এরপর চেয়ারম্যানের গানম্যান বুধবারের ঘটনায় থানায় মামলা করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
শিক্ষার্থীদের হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন গ্রহণে ইউসিবির আর্থিক সহায়তা প্রদান

দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি (ইউসিবি) ও স্বনামধন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানীর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষ থেকে শুরু করে সকল শিক্ষার্থীর হেপাটাইটিস বি ভ্যাকসিন গ্রহণে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এই মহৎ উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত বুধবার (৫ মার্চ) ইউসিবি প্রধান কার্যালয়ে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহির সন্ধানীর পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নবজাতক শল্যচিকিৎসা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. আবদুল হানিফের (টাবলু) হাতে ১২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন। এ সময় উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউসিবির চেয়ারম্যান শরীফ জহির বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বাংলাদেশের সব প্রান্ত থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হন। এজন্য সকল ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং শিক্ষার্থীদের ‘হেপাটাইটিস বি’-এর মতো মারাত্মক অসুখ সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। যেহেতু এখন ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, তাই এটি গ্রহণ করে সুরক্ষিত থাকা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয়টি আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং এই উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা তাদের পাশে থাকতে পেরে গর্বিত।
প্রফেসর ড. আবদুল হানিফ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং চেয়ারম্যান শরীফ জহিরকে এই সুরক্ষা প্রদানের জন্য সন্ধানীর পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই উদ্যোগটি আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে। আমরা খুব শীঘ্রই মেডিকেল কলেজে এই ভ্যাকসিন প্রদানের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
বেক্সিমকোর কর্মীদের পাওনা পরিশোধে ৫২৫ কোটি টাকা দেবে সরকার

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকোর লে-অফ হওয়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের ৩৩ হাজার ২৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বেতন বাবদ ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করবে সরকার। আগামী ৯ মার্চ থেকে এই বেতন দেওয়া শুরু হবে এবং সেটি রোজার মাঝামাঝি শেষ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান শ্রম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বেক্সিমকো লিমিটেডের ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত বেতন পাবেন
সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেক্সিমকোর বন্ধ কারখানার ৩১ হাজার ৬৬৯ জন শ্রমিক এবং ১ হাজার ৫৬৫ জন কর্মকর্তাকে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা পরিশোধ করা হবে। এ জন্য অর্থ বিভাগ তাদের পরিচালন ব্যয় থেকে ৩২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং শ্রম মন্ত্রণালয় ঋণ হিসেবে বাকি ২০০ কোটি টাকা দেবে।
তিনি বলেন, আমরা কোনো শ্রমিকের বিরুদ্ধে না। কোন শ্রমিকের চাকরি যাক এটা আমরা চাই না, কারণ তাদেরও ফ্যামিলি আছে।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বেক্সিমকোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমন কিছু করবেন না, যাতে আমাদের কঠোর হতে হয়।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকোর লে-অফকৃত প্রতিষ্ঠান নিয়ে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীকে প্রধান করে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
কমিটিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের একজন করে প্রতিনিধি এবং বেক্সিমকোর রিসিভারকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান এই কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
শ্রমিক অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে গত ২৪ নভেম্বর শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে আহ্বায়ক করে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন করে সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
অ্যাসেট ট্রিপল এ অ্যাওয়ার্ডস অর্জন করেছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট

ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (ইউসিবিআইএল) বাংলাদেশের আর্থিক খাতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি অ্যাসেট ট্রিপল এ অ্যাওয়ার্ডস ফর সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ২০২৫-এ পাঁচটি বিভাগের সকল পুরস্কার অর্জন করে, যা টেকসই অর্থায়নে এর নেতৃত্বকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
এর আগে, ফাইন্যান্স এশিয়া অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডস ২০২৪-এ ইউসিবিআইএল দক্ষিণ এশিয়া ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ছয়টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছিল। এই ধারাবাহিক সাফল্য বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বাজার উন্নয়নের অন্যতম দায়িত্বশীল চালিকাশক্তি হিসেবে ইউসিবিআইএল-কে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
অ্যাসেট ট্রিপল এ অ্যাওয়ার্ডস ফর সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ২০২৫-প্রাপ্ত পুরস্কারসমূহ হচ্ছে: বেস্ট অ্যাডভাইজর অ্যাওয়ার্ডস—বেস্ট বন্ড অ্যাডভাইজর; বেস্ট ইকুইটি অ্যাডভাইজর এবং বেস্ট ডিল অ্যাওয়ার্ডস—বেস্ট বন্ড; বেস্ট ইকুইটি, বেস্ট রাইটস ইস্যু।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবগুলো ক্যাটাগরিতে পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে ইউসিবিআইএল দেশের শীর্ষস্থানীয় টেকসই অর্থায়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করেছে।
বিগত কয়েক বছরে ইউসিবিআইএল ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে: টানা দুই বছর ফাইন্যান্সএশিয়া ও ইউরোমানি কর্তৃক ‘বাংলাদেশের সেরা ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক’ নির্বাচিত হওয়া এবং এশিয়ামানি, দ্য অ্যাসেট ট্রিপল এ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে একাধিক পুরস্কার অর্জন।
ইউসিবিআইএল টেকসই ও সময়োপযোগী আর্থিক সমাধানের মাধ্যমে দেশের পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে টেকসই ও প্রভাবশালী বিনিয়োগের নতুন দ্বার উন্মোচনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।