রাজনীতি
সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়ার সম্মানে জাতি আনন্দিত: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে যে সম্মান জানানো হয়েছে, তাতে গোটা জাতি আনন্দিত।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া তার জীবনের সবচেয়ে বড় সময়টা দিয়েছেন গণতন্ত্রে জন্য, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য। ১২ বছর ধরে পরিকল্পিতভাবে সশস্ত্র বাহিনীকে তার কাছ থেকে দূরে করে রাখা হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমি আজকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের, বিশেষ করে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে আমাদের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি আজ ম্যাডামকে (বেগম খালেদা জিয়া) যে সম্মান দেখিয়েছেন, এতে আমরা যেমন কৃতজ্ঞ হয়েছি, একই সঙ্গে গোটা জাতি আজ আনন্দিত হয়েছে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জে পৌঁছে তার আসনে বসার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস তার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। আগেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌঁছান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। খালেদা জিয়াকে অনুষ্ঠানে দেখে তিনি কেঁদে ফেলেন।
কাফি

রাজনীতি
বিদেশে নির্বাচন নিয়ে বৈঠক গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি: নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী

লন্ডনে নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠককে ‘গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার পরিপন্থি’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “লন্ডনে বসে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের মিটিং দেশবাসীর স্বার্থ ও গণআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে প্রতারণা। শহীদদের রক্তকে অবমাননা করে বিদেশের মাটিতে মিটিং আয়োজন কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে দেশের জনগণের মাধ্যমে, বিদেশি আলোচনায় নয়।”
তিনি আরও বলেন, ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর একটি সামাজিক চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু তা বাস্তবায়িত না হয়ে দেশকে ভুল পথে প্রবাহিত করা হয়েছে। এখন সময় এসেছে নতুন একটি জাতীয় বন্দোবস্ত গঠনের-যেটি জনগণের ইচ্ছার ভিত্তিতে হতে হবে, কোনো নির্দিষ্ট দলের সুবিধা দেখেই নয়।
নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “বর্তমান সরকার যদি সংস্কার, বিচার এবং সংবিধান প্রণয়নের প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়, তাহলে এনসিপি দ্বিতীয় গণঅভ্যুত্থানের দিকে যেতে বাধ্য হবে। প্রয়োজনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণও করবে না।”
তার মতে, শুধু রাজার বদলে রাণী বসালেই হবে না- দরকার কাঠামোগত পরিবর্তন। এনসিপি গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বপ্ন পূরণের পক্ষে। সরকারকে শহীদদের আত্মত্যাগের মূল্যায়ন করতে হবে এবং জনগণের পাশে গিয়ে জানতে হবে- তারা কী চায়।
বিএনপির অবস্থান নিয়ে প্রশ্নে নাসীরুদ্দীন বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি করলেও এখন রোজার আগেই নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। কিন্তু তারা আজও বিচার, ঘোষণাপত্র কিংবা নতুন সংবিধান নিয়ে কোনো সুস্পষ্ট প্রস্তাব দেয়নি। এতে বোঝা যাচ্ছে, তারা কেবল ক্ষমতার লোভে যুক্ত হয়েছে।”
তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়। এটি একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক শক্তির হয়ে কাজ করছে। তাই সঠিক বিচার, সাংবিধানিক সংস্কার এবং জাতীয় ঐকমতের ভিত্তিতে নির্বাচন না হলে দেশে গণতান্ত্রিক উত্তরণ সম্ভব নয়।
কাফি
রাজনীতি
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জামায়াতের

ইরানের সামরিক ও পরমাণু স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ১৩ জুন (শুক্রবার) ভোর ৪টার দিকে ইরানের রাজধানী তেহরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলায় ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আরজিএস)-এর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মাদ বাঘেরি, খতম-আল আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের কমান্ডার ঘোলামালি রশিদ এবং কয়েকজন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ইরানের শীর্ষ উপদেষ্টা আলী শামখানি নিহত হয়েছেন।
জামায়াত নেতারা বলেন, আমরা এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। তারা যেন শহীদের মর্যাদা লাভ করেন- এই প্রার্থনা করি।
তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ তায়ালা তাদের জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দিন এবং শোকাহত পরিবার-পরিজনকে ধৈর্য ধারণের তাওফিক দান করুন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা আশা করি ইরানের সরকার ও জনগণ এই শোক ও ক্ষয়ক্ষতির ঘোর কাটিয়ে উঠে শিগগিরই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সক্ষম হবেন।
কাফি
রাজনীতি
ইউনূস-তারেক বৈঠক ‘টার্নিং পয়েন্ট’, অনিশ্চয়তা কাটছে: ফখরুল

লন্ডনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকটিকে ‘টার্নিং পয়েন্ট’ বা মোড় ঘোরানো ঘটনা বলে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “চতুর্দিকে একটা অনিশ্চয়তা ছিল এবং অনেকে অনেক কথা বলছিলো। আজ এই দুই নেতা প্রমাণ করেছেন- বাংলাদেশের মানুষ প্রয়োজনের সময় ঐক্যবদ্ধ হতে পারে।”
শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা থেকে দেড় ঘণ্টার বৈঠক হয় অধ্যাপক ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে। ওই বৈঠকের পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, তারেক রহমানের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে (রমজান মাস শুরুর আগেই) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। তবে তার জন্য জরুরি সংস্কার ও বিচারের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন।
এই ঘোষণার পর বিকেলে গুলশানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, “বৈঠকের যৌথ ঘোষণায় অন্তর্বর্তী সরকারের নির্ধারিত নির্বাচনের সময়সীমা উপযুক্ত নয় বলে সেটিকে এগিয়ে আনার বিষয়ে তারেক রহমানের প্রস্তাবে প্রধান উপদেষ্টা সম্মত হয়েছেন।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা এবং অতীতের দুঃখজনক অধ্যায় ভুলে গিয়ে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা।”
তিনি তারেক রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “এই বৈঠক সফল করার মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রনায়কোচিত গুণাবলির পরিচয় দিয়েছেন।”
রাজনীতি
ড. ইউনূসকে যে উপহার দিলেন তারেক রহমান

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বহুল আলোচিত বৈঠকটি সম্পন্ন হয়েছে। এই বৈঠকে তারেক রহমান অধ্যাপক ইউনূসকে দুটি বই এবং একটি কলম উপহার দিয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) বৈঠকটি শুরু হয় এবং সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টা) শেষ হয়। বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে তারেক রহমানের দেওয়া উপহারের দুটি বই ও একটি কলমের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।
উপহারের বই দুটি হলো:
১. ‘নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেইক এ ডিফরেন্স’ (No One Is Too Small to Make a Difference): এটি বিশ্ববিখ্যাত জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের প্রথম ইংরেজি বই। এই বইটিতে গ্রেটা থুনবার্গের বিশ্বজুড়ে জলবায়ু সমাবেশ থেকে জাতিসংঘ, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে দেওয়া তার গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যগুলোর সংগ্রহ রয়েছে।
২. ‘নেচার ম্যাটারস: ভাইটাল পোয়েমস ফ্রম দ্য গ্লোবাল মেজরিটি’ (Nature Matters: Vital Poems from the Global Majority): এটি একটি নির্বাচিত কবিতা সংগ্রহ, যা প্রকৃতি এবং পরিবেশবিষয়ক কবিতাগুলোকে বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করে। এই সংগ্রহে বিভিন্ন জাতি ও সংস্কৃতির কবিদের লেখা কবিতা স্থান পেয়েছে।
জাতীয়
ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠক সম্পন্ন

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর মধ্যে লন্ডনে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি শেষ হয়েছে। বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক শেষ হয় ৩টা ৩৫ মিনিটে। মোট ১ ঘণ্টা ৩৫ মিনিটের এই বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে তারেক রহমান ডরচেস্টার হোটেল ত্যাগ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম জানান, এটি তাদের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক ছিল। বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন।