আইন-আদালত
বিচারের শুদ্ধতার জন্য ট্রাইব্যুনালে আপিলের বিধান: আইন উপদেষ্টা

বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তবর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তী আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখায় বিচার বিলম্বিত হবে কি না? প্রশ্ন করা হলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, বিচারের শুদ্ধতার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের বিধান রাখা হয়েছে। তবে তা খুব সীমাবদ্ধ ক্ষেত্রে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে রাজনৈতিক দলের বিচার থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারের শুদ্ধতা রক্ষার জন্য রাজনৈতিক দলের ইস্যু আনা উচিত না।
এ সময় গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বুধবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
এ বিষয়ে ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ট্রাইব্যুনাল আইনে রাজনৈতিক দলকে বিচারের আওতায় আনার যে ধারাটি খসড়ায় রাখা হয়েছিল, তা বাদ দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদ মনে করছে, এই বিচারের সঙ্গে অন্য কোনো বিষয়কে জড়ানো ঠিক হবে না। রাজনৈতিক দল বা সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয় যুক্ত করা হলে এই আইনকে অযথাই প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সরকার সে সুযোগ দিতে চায় না।
কোনো রাজনৈতিক সংগঠনকে তাদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন হলে বা সমাজে দাবি উঠলে দেশে সন্ত্রাস দমন আইন, নির্বাচনী আইন, ১৯৭৮ পলিটিক্যাল পার্টি অর্ডিন্যান্সে রয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন-আদালত
দুদকের মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন জোবাইদা রহমান

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কিমিশনের (দুদক) দায়েরকৃত মামলায় ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তারেকপত্নীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) তিন বছরের কারাদণ্ডের আপিলের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করেন হাইকোর্ট।
জোবাইদা রহমানের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জোবাইদা রহমান ও তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক।
মামলার বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তারেক রহমানকে দুটি অভিযোগে নয় বছর ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ২০০৪- এর ২৬(২) ধারায় তারেক রহমানকে তিন বছর ও ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাকে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জোবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছর কারাদণ্ড দেন। তাকেও জরিমানা করা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।
এদিকে গত বছরের শেষের দিকে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জোবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে সরকার। সেই গেজেটে বলা বলা হয়, ডা. জোবাইদা রহমানের সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন ও বিচার বিভাগের মতামতের আলোকে ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন (১০ অক্টোবর, ২০২৪ ইং তারিখের বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশিত) সংশোধনপূর্বক আইনের ক্ষমতাবলে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত, ঢাকা এর মেট্রো বিশেষ মামলা নং-৩৪১/২০২২ [কাফরুল থানার মামলা নং-৫২, তারিখ-২৬-০৯-২০০৭] -এ তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ আদালতে আপিল দায়েরের নিমিত্ত বিনাশর্তে ১ (এক) বছরের জন্য স্থগিত করা হলো।
এরপর চলতি বছরের ৬ মে দেশে ফেরেন জোবাইদা রহমান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
এস আলম গ্রুপ সংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের এপিএস মো. রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী মোসা. লুৎফুন নাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব মো. আকিজ উদ্দিন, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম মোজাম্মেল হক, ব্যবসায়ী মো. নজরুল ইসলাম, মো. আলনার আলী, বেদার উল ইসলাম, মো. জসিম উদ্দিন, রোখসানা খাতুন, রবিয়া খাতুন, নাছির উদ্দিন, মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন, মো. গোলামুর রহমান, এস. এম জামাল উদ্দিন, হাসমত আরা বেগম ও মুহাম্মদ সাইফু উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান ও দুদকের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক পৃথক দুটি আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নগদে প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড অবৈধ: চেম্বার আদালত

মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদ-এ প্রশাসক ও নতুন বোর্ড নিয়োগকে বেআইনি ঘোষণা করেছেন সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার জজ আদালত। গত বুধবার (৭ মে) অনুষ্ঠিত শুনানিতে আদালত এ রায় ঘোষণা দেন।
চেম্বার আদালতের আদেশে বলা হয়, প্রশাসক নিয়োগ ও নতুন বোর্ড বসিয়ে নগদের ওপর সাময়িক নিয়ন্ত্রণ আরোপের চেষ্টা আইনসঙ্গত নয়। এর ফলে ডাক বিভাগের আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে মূল মালিকপক্ষের নিয়ন্ত্রণে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হতে পারবে—এ নিয়ে আর কোনো আইনগত বাধা রইল না।
নগদ মালিকপক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার রায়ের পর বলেন, এই রায় দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করেছে, জোর করে প্রশাসক বসিয়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দখল করা যায় না। সুপ্রিমকোর্ট একটি সাহসী ও ন্যায়সংগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যা সুশাসনের প্রতিফলন।
এবিষয়ে নগদের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, গত আট মাস আমি জার্মানিতে একটি রেগটেক প্রজেক্ট নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম, যেটি খুব শিগগির আরেকটি ইউনিকর্ন হতে চলেছে। তাই আমি নগদে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ফিরছি না, এটি আমি বোর্ডকেও জানিয়ে দিয়েছি। তবে নগদ আমার সন্তানের মতো, তাই নতুন বোর্ড বা সিইও যদি কখনো আমার পরামর্শ চান, আমি সবসময় প্রস্তুত থাকব।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টও এ বিষয়ে করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দেন এবং স্পষ্ট করে দেন যে, প্রশাসক নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
জানা গেছে, নগদের মালিকপক্ষ প্রথম থেকেই প্রশাসক নিয়োগকে অবৈধ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ষড়যন্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে এখন তা পুরোপুরি প্রমাণিত হয়েছে যে, কোনো প্রতিষ্ঠানকে জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার চেষ্টা যেমন অবৈধ, তেমনি তা দেশের ব্যবসা-বিনিয়োগ পরিবেশের জন্যও হুমকি।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই রায় শুধুমাত্র নগদের জন্য নয় বাংলাদেশের ফিনটেক খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে এবং বেসরকারি খাতের স্বাধীনতা ও বিনিয়োগ নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন

২০০৯ সালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাগারে আটক ৪০ বিডিআর জওয়ানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১২ মে) আদালত সূত্রে জানা যায়, ঢাকার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ইব্রাহিম মিয়ার আদালত গত ৮ মে এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর মো. বোরহান উদ্দিন জানান, আসামিদের মধ্যে অনেকেই সাজাপ্রাপ্ত এমনকি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিও রয়েছেন। জামিন আবেদন করা আসামিদের নথিপত্র যাচাই করে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে ৪০ জনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। বাকি আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
জামিন পাওয়া আসামিরা হলেন- রেজাউল করিম, শাজাহান, রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, রেজাউল করিম, মো. শামীম, ওয়ালি উল্লাহ, হাবিবুর রহমান, তারিকুল ইসলাম, বনি আমিন চৌধুরী, মো. এ বারিক, ইমতিয়াজ আহমেদ নবীন, মোয়াজ্জেম হোসেন, মিজানুর রহমান, সিদ্দিকুর জামান জোয়ার্দার ওরফে লিটন, মো. এ মোনাফ, আকিদুল ইসলাম, খলিলুর রহমান, মিজানুর রহমান, কৌতুক কুমার সরকার, মো. সালাউদ্দিন, সোহরাব হোসেন, কামাল হোসেন, মো. ইশহাক, দারুল ইসলাম, শ্রী সুমন চক্রবর্তী, আবু সাঈদ, সেজান মাহমুদ, মো. সেলিম, বিধান কুমার সাহা, মাসুম হাসান, ফিরোজ মিয়া, শ্রী তাপস কুমার বিশ্বাস, রফিকুল ইসলাম, কামাল মিয়া, নূর-এ-আলম মিয়া, এনামুল হক, শফিকুল ইসলাম, রবিউল আলম এবং আল আমিন।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি ১৭৮ জন জন বিডিআর জওয়ানকে জামিন দেন একই আদালত। পরে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে কারামুক্ত হন তারা।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।
২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।
অন্যদিকে, হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি উঠছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেধে দিয়েছে সরকার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ, প্রতিবেদন দাখিল আগামীকাল

গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে।
রবিবার (১১ মে) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। এ সংক্রান্ত মামলায় আগামীকাল সোমবার তদন্ত সংস্থা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন জমা দেবে।
নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা প্রথমে চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর চিফ প্রসিকিউটর সেই তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন এবং আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন।
এর আগে, গত শুক্রবার ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যার তদন্ত রিপোর্ট আগামী সোমবার চিফ প্রসিকিউটর বরাবরে দাখিল করবে আশা করছি। তদন্ত রিপোর্ট দাখিল হওয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ, অর্থাৎ ফরমাল চার্জ দাখিলের মাধ্যমে হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত ২০ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলা ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম ও খুনের ঘটনায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপর মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হয়। এ মামলায় পরে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও (গণঅভ্যুত্থানের সময় আইজিপির দায়িত্বে ছিলেন) আসামি করা হয়।
গণহত্যার এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদনের দাখিলের সময় এ পর্যন্ত তিনবার বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় বৃদ্ধির আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ)। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দুই মাস বাড়িয়ে আগামী ২৪ জুনের মধ্যে জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেন ট্রাইব্যুনাল।