জাতীয়
আমরা এক পরিবার, কেউ কারো শত্রু হবো না: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনের আবদ্ধ করা। কেউ কারও ওপরে না, আবার কেউ কারও নিচেও না; এই ধারণা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
আজ (বৃহস্পতিবার) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে ঢাকা সেনানিবাসের আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয় সদস্য এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ সূচনা করে। সেই আক্রমণের ফলে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত হয় এবং ফলশ্রুতিতে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করি। আমি আজ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি স্বাধীনতা যুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী সকল বীর শহীদদের এবং মহান আল্লাহর দরবারে আমি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আমি সকল শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং সম্মানিত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের এই আয়োজনে আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে যে সকল খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারী উপস্থিত আছেন তাদের জন্যেও রইল আমার বিনীত শ্ৰদ্ধা ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা, যার ফলে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও পরিচিতি লাভ করেছে। দেশ স্বাধীন করার মহান ব্রত নিয়ে ৭১ এর ২৫ মার্চ রাত থেকে বাঙালি সেনারা সেনানিবাস ত্যাগ করে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। একই সাথে এই দেশের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র জনতা সাধারণ মানুষ সকলেই যার যা কিছু আছে তাই নিয়েই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে; যা একটি জনযুদ্ধে রূপ নেয়। আমাদের মা বোনেরা মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণসহ বিভিন্নভাবে যুদ্ধে সহযোগিতা করেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধরত সকল বাহিনীকে ‘বাংলাদেশ ফোর্সেস’ নামে সাংগঠনিক রূপ দেয়া হয়। সমগ্ৰ বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করে সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে যুদ্ধ পরিচালিত হয়। মাত্র ২টি গান বোট ‘পদ্মা’ ও ‘পলাশ’ নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জলপথে যুদ্ধ শুরু করে। এছাড়াও পাকিস্তান নৌবাহিনীতে কর্মরত বাংলাদেশি সাবমেরিনার এবং নাবিকদের সমন্বয়ে গড়ে তোলা অকুতোভয় নৌ কমান্ডোদল ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নামক দুঃসাহসী আক্রমণ পরিচালনা করে বিভিন্ন নদী বন্দরে খাদ্য ও রসদ বোঝাই শত্রু জাহাজ ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এছাড়াও বিমান বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ‘কিলো ফ্লাইট’ চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের জ্বালানি ডিপোসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সফল আক্রমণ পরিচালনা করে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর এই অবদানকে সাধারণ মানুষের আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করার উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর পালিত হয় সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা চলমান রয়েছে। সময়ের আবর্তে অধিকাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা আজ বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন কালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানানোর ক্ষেত্রে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী যে উদ্যোগ প্রতিবছর নিচ্ছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এ জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই ।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশের সূচনা করেছি। এ নতুন দেশে আমাদের দায়িত্ব সব মানুষকে এক বৃহত্তর পরিবারের বন্ধনে আবদ্ধ করা। পরিবারে মতভেদ থাকবে বাকবিতণ্ডা হবে তবে আমরা কেউ কারও শত্রু হবো না, কাউকে তার মতের জন্য শত্রু মনে করবো না। কাউকে ধর্মের কারণে শত্রু মনে করবো না, আমরা সবাই সমান। আমরা সবাই এক পরিবারের সদস্য। কেউ কারও ওপরে না, আবার কেউ কারও নিচে না এই ধারনা আমরা আমাদের জাতীয় জীবনে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যহীন শোষণহীন এবং কল্যাণময় এবং মুক্ত বাতাসের স্বপ্ন নিয়ে রাষ্ট্রকে স্বাধীন করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা আমি সেই স্বপ্ন পূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা এখন থেকে এই বাংলাদেশকে গড়তে চাই, যেন জনগণই এদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হয়। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবিক ও কল্যাণকর রাষ্ট্র হিসেবে সমাদৃত হয়। বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায়ে রাখব, পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হবে পারস্পরিক সম্মান, আস্থা, বিশ্বাস ও সহযোগিতা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

জাতীয়
চারদিনের সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস চারদিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন। আজ শনিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি লন্ডন সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছিল।
লন্ডন সফরে ড. ইউনূস বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে অংশ নেন:
‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ গ্রহণ: গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) লন্ডনের সেন্ট জেমস প্যালেসে এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাপী শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং পরিবেশ-প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠায় আজীবন অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস তাকে এই সম্মানের জন্য মনোনীত করেন।
গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক: সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক: সফরের শেষ দিন শুক্রবার (১৩ জুন) প্রধান উপদেষ্টা লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-এর সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। এই বৈঠকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়েই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই সফর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জাতীয়
যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার সকাল পৌনে ১০টায় তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমনাটি লন্ডন সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
চার দিনের এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের স্পিকার ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন এবং বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও গতকাল বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে- অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিবৃতিতে জানানো হয়, তারেক রহমানের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ড. ইউনূস বলেছেন, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই সফরে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার শাসনামলে ২৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে গেছে। এর একটা অংশ যুক্তরাজ্যে পাঠানো হয়েছে। তাই এবার যুক্তরাজ্য সফরে বড় ফোকাস দেওয়া হচ্ছে সম্পদ পুনরুদ্ধারে। তিনি উল্লেখ করেন, এ বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাংলাদেশকে যথেষ্ট সহযোগিতা করছেন। এর উদাহরণ হিসেবে তিনি শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পদ জব্দ করার ঘটনা উল্লেখ করেন।
এদিকে এই সফরে অধ্যাপক ইউনূস ‘কিং চার্লস তৃতীয় হারমনি অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ সম্মাননা গ্রহণ করেন। সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
জাতীয়
চাঁদা দিতেই হবে, পুলিশের বাপ আসলেও কিছু করতে পারবে না

গ্রাম থেকে আসা এক ব্যক্তিকে ‘চাঁদা দিতেই হবে, পুলিশের বাপ আসলেও কিছু করতে পারবে না’ বলে ধমকাচ্ছেন সদরঘাটের একজন চাঁদাবাজ।
শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেলে লঞ্চ থেকে নেমে এমন আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই ব্যক্তি।
জাতীয়
ভোটের তারিখ শিগগিরই ঘোষণা করবে ইসি: খলিলুর রহমান

নির্বাচন কমিশন শিগগিরই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেনটেটিভ খলিলুর রহমান।
শুক্রবার (১৩ জুন) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণায় বাধা আছে কিনা – সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমরা কোনো সমস্যা দেখি না। নির্বাচন নিয়ে আমরা দু’পক্ষই যৌথ বিবৃতিতে বলে দিয়েছি। আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন শিগগিরই তারিখ ঘোষণা করবে।
শেখ হাসিনার বিচার ও তাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নির্বাচনী রূপরেখার সঙ্গে প্রভাব ফেলবে কি না, এমন প্রশ্নে খলিলুর রহমান বলেন, সংস্কার ও বিচার নিয়েও যৌথ বিবৃতিতে বলা আছে। আমরা মোটামুটি কনফিডেন্ট, নির্বাচনের আগেই আমরা এর অগ্রগতি দেখতে পাব।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করার প্রয়োজন হবে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
জাতীয়
একদিনে করোনায় ২ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৫

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে, সবশেষ গত ৫ জুন একজনের মৃত্যু হয়েছিল। শুক্রবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার রিপরীতে ৫ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনা থেকে তিনজন সুস্থ হয়েছেন।
দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮০০ জন। এরমধ্যে ২৯ হাজার ৫০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪০১ জন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।
কাফি