জাতীয়
বেক্সিমকোর সঙ্গে হামিম গ্রুপের শ্রমিকরাও যোগ দিয়েছে সড়ক অবরোধে
গাজীপুর মহানগরীর সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বেতনের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আজ বুধবারও বিক্ষোভ করছে। অবরোধ শুরু হওয়ার আগে সড়ক পারাপারের সময় হামিম গ্রুপের একটি কারখানার তিন নারী শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনায় ওই কারখানার শ্রমিকেরাও সড়কে নেমে আসেন।
চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় আজও দূর্ভোগে পড়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী মানুষজন। এছাড়া উত্তরবঙ্গের যানবাহনগুলো বিকল্প হিসেবে গাজীপুরের ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও ধামরাই-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয়রা সড়ক সচল করার দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেক্সিমকো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে পোশাক ও সিরামিক কারখানায় একচল্লিশ হাজার কর্মী রয়েছে। পার্কের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা এক মাসের (অক্টোবর) বকেয়া বেতনের দাবিতে ৬ষ্ঠ দিনের মতো চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়কে অবস্থান নেয়। এতে চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করছেন।
গত বৃহস্পতিবার তারা একই দাবীতে অবরোধ করে আসছেন। পরে শুক্রবার বিরতি দিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পুনরায় মহাসড়ক অবরোধ করে। রাতে সড়ক ছেড়ে দিলেও পরদিন আবারও তারা সড়ক অবরোধ করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দিনভর আন্দোলন করেও কারো কোন সাড়া পাননি শ্রমিকরা। পরে রাত ১০টার দিকে অবরোধ তুলে নিয়ে বাড়ি চলে গেলে রাত ১০টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু তাদের দাবী পুরন না হওয়ায় একই দাবীতে তারা বুধবারও একই মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
সূত্র আরো জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কাশেমপুর থানাধীন সারোবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতরে এসব কারখানার মালিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সালমান এফ রহমানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের বেতন সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে পারছে না। প্রতিমাসেই শ্রমিকরা আন্দোলন করে বেতন আদায় করছে। গত কয়েক মাসের মতো চলতি মাসেও অক্টোবরের বেতনের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে।
এছাড়াও পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করার পর পুলিশে সোর্পদ করেছিল। তাদের যাচাই শেষে মুচলেকা রেখে রাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, জিরানী এলাকায় হামিম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিটওয়্যার কারখানার শ্রমিকরা সকাল ৬টার দিকে কাজে যোগদিতে জিরানী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর পারাপারের সময় তিন নারী শ্রমিক অজ্ঞাত গাড়ী চাপায় আহত হয়। পরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে তাদের মধ্যে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছে। এমন গুজবে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত জিরানী এলাকায় চন্দ্রা -নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
পরে খবর পেয়ে সাড়ে ১১ টার দিকে সেনা সদস্যরা ও শিল্প পুলিশ এসে শ্রমিকদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এছাড়াও গত ১ নভেম্বর থেকে মহানগরীর পানিশাইল এলাকার ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানা বিনা নোটিশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। এর প্রতিবাদের ও কারখানা খুলে দেওয়ার দাবীতে সোমবার থেকে আন্দোলন শুরু করে ঐ কারখানার শ্রমিকরা। দুই দিন আন্দোলনের পর মঙ্গলবার কর্তৃপক্ষ আগামী বৃহস্পতিবার কারখানা খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে ঐ কারখানার শ্রমিকরা তা মেনে নেয়। একারণে ডরিনের শ্রমিকরা আজ আন্দোলনে যোগ দেয়নি।
জিএমপি কাশিমপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে শ্রমিকদের অবরোধের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শ্রমিকরা সড়ক থেকে চলে গেলে যান চলাচল শুরু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পরিবর্তন আসছে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায়
২০২২ সালের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন সংশোধন করে মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া তৈরি করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
খসড়া অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাদ যাচ্ছে। যারা সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয়নি তাদের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হবে। এজন্য ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর’ সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে সংশোধিত আইনে নির্ধারণ করা হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ সংজ্ঞা।
সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিয়ে এর আগে যারা বীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ পেয়েছেন তাদের সনদ বাতিল হয়ে যাবে।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়ার ওপর বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের মতামত নিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। খসড়াটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মতামত দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বর্তমান আইনে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা আছে, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া যাঁহারা দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিয়াছেন এবং ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া দখলদার ও হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম ও মুসলিম লীগ এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও পিচ কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করিয়াছেন এইরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক এবং সশস্ত্র বাহিনী, মুজিব বাহিনী, মুক্তি বাহিনী ও অন্যান্য স্বীকৃত বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ইপিআর নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার বাহিনীর সদস্য এবং নিম্নবর্ণিত বাংলাদেশের নাগরিকগণ, উক্ত সময়ে যাঁহাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বয়সসীমার মধ্যে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য হইবেন’।
বর্তমান সংজ্ঞায় সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেননি এমন আট ধরনের ব্যক্তি ও পেশাজীবীদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ভারতে গিয়ে যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, যারা বিদেশে থেকে যুদ্ধের ওপর জনমত গঠন করেছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী-দূত, মুজিবনগর সরকারে সম্পৃক্ত এমএনএ এবং যারা পরবর্তীতে গণপরিষেদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন, বীরাঙ্গনা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক; স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সব খেলোয়াড়, আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া মেডিকেল দলের সব সদস্যদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হয়েছিল।
সংশোধিত অধ্যাদেশের খসড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের এ দেশীয় সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন এমন সকল বেসামরিক নাগরিক ওই সময়ে যাদের বয়স সরকার নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে ছিল এবং সশস্ত্র বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, বিএলএফ ও অন্যান্য স্বীকৃত বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রেজিমেন্ট (ইপিআর), নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স ও আনসার সদস্য তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গণ্য হবেন। বেসামরিক নাগরিক বলতে যে সকল ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন; হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাহাদের সহযোগী কর্তৃক নির্যাতিতা সকল নারী (বীরাঙ্গনা); মুক্তিযুদ্ধকালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া ফিল্ড হাসপাতালের সকল ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা-সহকারীকে বুঝাবে।
যারা বিদেশে থেকে যুদ্ধের পরে জনমত গঠন করেছেন, মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী-দূত; মুজিবনগর সরকারে সম্পৃক্ত এমএনএ এবং যারা পরবর্তীতে গণপরিষেদের সদস্য হিসেবে গণ্য হয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলা বেতর কেন্দ্রের শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দায়িত্ব পালনকারী বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সব খেলোয়াড়দের মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে রাখা হয়েছে খসড়া অধ্যাদেশে।
মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা থেকে শুধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের নতুন সংজ্ঞা বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের জনগণের জন্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খায় হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ’।
বর্তমান আইনে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ অর্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণায় সাড়া দিয়া দখলদার ও হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম ও মুসলিম লীগ এবং তাহাদের সহযোগী রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, মুজাহিদ বাহিনী ও পিচ কমিটির বিরুদ্ধে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধার নতুন সংজ্ঞা চূড়ান্ত হলে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ পড়বেন।
খসড়া অধ্যাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীদের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে দেশের অভ্যন্তরে বা প্রবাসে অবস্থান করে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দীপিত করা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বেগবান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করার প্রয়াসে সংগঠকের ভূমিকা পালন, বিশ্বজনমত গঠন, কূটনৈতিক সমর্থন অর্জন এবং মনস্তাত্বিক শক্তি অর্জনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের যেসব নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা করেছেন।
সংশোধিত আইনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার’ সংজ্ঞা যুক্ত করা হচ্ছে। এতে বলা হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ অর্থ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের পক্ষে মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত বাংলাদেশের জনগণের সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকল্পে যে চেতনা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নতুন প্রক্রিয়ায় মার্কিন ভিসা আবেদন শুরু ৮ ফেব্রুয়ারি
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন ভিসা পরিষেবা চালু করবে ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। এর ফলে তাদের বর্তমান অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অ্যাক্সেস সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।
পরিবর্তনের অংশ হিসেবে ভিসা পরিষেবা ওয়েবসাইট ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহার যাবে না। দূতাবাস মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) একটি ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, আমরা ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নতুন সিস্টেমের মাধ্যমে আমাদের ওয়েবসাইট পরিষেবা পুনরায় চালু করবো। সাময়িক বিরতি সত্ত্বেও এই সময়ের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টসহ আবেদনকারীদেরকে তাদের জন্য নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী তাদের অ্যাপয়েন্টমেন্টে উপস্থিত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়াও মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে দূতাবাস প্রতি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় অ-অভিবাসী ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রকাশ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারগুলো খোলার অনুমতি পেল দুদক
বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের সব লকার ফ্রিজ করার পর এবার তা খুলে দেখার অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ অনুমতি দেন। একই সঙ্গে দুদক কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার জন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানকে নিয়োগ দেন।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ আদেশ দেন তিনি।
আদেশে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নমনীয় লকার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে খুলে প্রাপ্তসামগ্রী ইনভেন্টরি করার নিমিত্তে অনুসন্ধানকারীদের অনুমতি দেওয়া হয়।
এর আগে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে রাখা সব কর্মকর্তার সেফ ডিপোজিট সাময়িক সময়ের জন্য ফ্রিজ (স্থগিত) করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাতে কোনো কর্মকর্তা রক্ষিত মালামাল লকার খুলে নিতে না পারেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই যাতে লকার থেকে অর্থ-সম্পদ সরিয়ে নিতে না পারেন, সে জন্য সব লকার ফ্রিজ করার অনুরোধ জানিয়ে রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, গত ২৬ জানুয়ারি আদালতের অনুমতিতে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে গঠিত দুর্নীতি দমন কমিশনের টিম বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে তার জমা করা তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫ দশমিক ৪ গ্রাম স্বর্ণ ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে।
তল্লাশিকালে রেজিস্ট্রার পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য কিছু কর্মকর্তাও সিলগালা করে সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন। এসব সিলগালা কৌটাতেও অপ্রদর্শিত সম্পদ থাকার অবকাশ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বলে মনে করছে দুদক।
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের ‘দুদক ও সম্পদ পুনরুদ্ধার বিষয়ক’ আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সম্পদ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ওই ভল্টে রক্ষিত সম্পদ সাময়িক ফ্রিজের সম্মতি দিয়েছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এক বছরে মেট্রোরেলের আয় ২৪৪ কোটি টাকা
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে টিকিট বিক্রি করে আয় হয়েছে প্রায় ২৪৪ কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আয় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) উত্তরায় মেট্রোরেলের ডিপোতে রিপোর্টার্স ফর রেল অ্যান্ড রোডের (আরআরআর) সদস্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে সভায় এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
তিনি জানান, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিকেট বিক্রি বাবদ ২৪৩ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ আমাদের ইনকাম হয়েছে। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৮ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ৫১৪ টাকা।
মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, প্রথম বছর পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছিল। তখন চলতে আগারগাঁও পর্যন্ত। তখন ফ্রিকোয়েন্সি ছিল কম। দিনের ১০টা হয়ত ট্রেন চলেছে। আস্তে আস্তে আমরা ট্রেন বাড়িয়েছি। গত বছর আমরা পুরোটাতে চালু করেছি। আমাদের ট্রেনের টিপ এখন ২০০টি হয়ে গেছে। আগে ছিল ১০টির মতো ট্রেন। আমরা এখন শুক্রবারেও চালু করেছি, আগে যেটি ছিল না।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, তিন লাখ ৮২ হাজার প্যাসেঞ্জার গতকাল সর্বোচ্চ মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে। সেটা অবশ্য শুরুর দিকে ছিল ১৫-২০ হাজার। আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ যাত্রী পরিবহন করা। এটি ব্রেক ইভেন্ট পর আমাদের হবে। আমরা যদি হেডওয়ে কমাই, তাহলে এটি আর বেশি দিন দূরে নয়। আমরা যদি টঙ্গী পর্যন্ত চালু করতে পারি তাহলে আমাদের যাত্রী আরও বাড়বে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৩ দফা দাবিতে জিপি হাউজের সামনে চাকরিচ্যুতদের বিক্ষোভ
অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগে এবং ছাঁটাই করা শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল ও মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবিতে জিপি হাউসের সামনে অবস্থান নিয়েছেন গ্রামীণফোনের চাকুরিচ্যুতরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদ’ এর ব্যানারে প্রায় ২ শতাধিক ব্যক্তি এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এসময় তাদের ‘ন্যায্য পাওনা আদায় চাই, কারও দয়া নয়’, ‘জিপি ম্যানেজমেন্টের দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘এক দফা এক দাবি, ৫ শতাংশ মুনাফা দিবি’, ‘গ্রামীণফোনের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ম্যানেজমেন্টের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘বকেয়া না দিলে, পিঠের চামড়া থাকবেনা রে, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ ইত্যাদি বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে ও স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বলেন, গ্রামীণফোন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের মনস্টার ভাবে। তারা কোনো কারণ না দেখিয়ে এবং আগে কোনোধরনের নোটিশ না দিয়েই খেয়ালখুশি মতো অবৈধভাবে কর্মীদের ছাঁটাই করেছে। তারা হঠাৎ করে ই-মেইল পাঠিয়েও একদিনেই অনেককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। এমনকি ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৩৬০ জন কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
চাকরিচ্যুত ও অধিকার বঞ্চিত গ্রামীণফোন শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আবু সাদাত মো. শোয়েব বলেন, ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল, মুনাফার ৫ শতাংশ বিলম্ব জরিমানাসহ ন্যায্য পাওনার দাবি এবং শ্রমিক স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত কর্মকর্তাদের বিচারের দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
অন্যদিকে, চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের অবস্থান কর্মসূচি ঘিরে জিপি হাউসের ভেতরে ও সামনে বাড়তি পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা গেছে।
কাফি