রাজনীতি
‘খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলে রোগাক্রান্ত অবস্থাতেও বিজয়ী হবে’
রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে বিএনপি বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করবে: তারেক রহমান

ক্ষমতায় গেলে বিএনপি মানুষের বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।সোমবার (৪ আগস্ট) যুবদলের এক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
তারেক রহমান বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। বিএনপি মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে কাজ করছে। আগামীর নীতি জনগণের উন্নয়নের রাজনীতি। ভোটের অধিকার ও বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করবে বিএনপি। জনগণই বিএনপির একমাত্র শক্তি।
বিএনপি কর্মমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সকল কাজ করবে বিএনপি। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে সরকার। বিএনপি সরকারে এলে কর্মক্ষম জনগণকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি করে কর্মসংস্থান তৈরি করবে। এমনকি বিভিন্ন ভাষায় প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের বিদেশে কাজ করার সক্ষমতা তৈরিতে কাজ করবে বিএনপি।
তারেক রহমান বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে সারা দেশে হেলথ কেয়ার চালু করা হবে। এখানে বেশির ভাগ কর্মী হবে নারী। সরকার গঠন করলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খালখনন কর্মসূচি আবারও শুরু করবে বিএনপি।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুবদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে শুধু অতীতের সাফল্যই নয়—ভবিষ্যতের পথও নির্ধারণ করবে জনগণের আস্থা। আমি যুবদলের প্রতি আহ্বান জানাই, জনগণের প্রতি আস্থা রাখুন, তাদের আস্থার প্রতিদান দিন। কারণ যে নেতৃত্ব জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারে, সেই-ই প্রকৃত নেতা। আর জনগণের সহায়তা ছাড়া নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব নয়।
রাজনীতি
দেশে চলছে ষড়যন্ত্র, গণতান্ত্রিক ট্রানজিশনে বাধা দিতেই অস্থিরতা: ফখরুল

দেশে একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে, যার লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে গণতান্ত্রিক ট্রানজিশন ব্যাহত করা-এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শোক ও বিজয় আয়োজিত’ যুবদলের এক যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “একটা ষড়যন্ত্র চলছে, একটা চক্রান্ত চলছে—দেশে আবার অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চলছে যেন গণতান্ত্রিক উত্তরণ ব্যাহত হয়। তবে যত দিন বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল আছে, তত দিন কোনো অপশক্তি গণতন্ত্র ধ্বংস করতে পারবে না।”
বর্তমান সময়কে ‘ট্রানজিশন পিরিয়ড’ হিসেবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা এখন একটি দুঃসময় পার করছি। কিন্তু আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ—ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামোকে পুনর্গঠন করা। বিএনপি অতীতেও দায়িত্ব নিয়েছে, এবারও সেই দায়িত্ব পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “হাসিনা সরকারের নির্যাতনের বিরুদ্ধে লড়াই করে আজকের অবস্থানে এসেছি। এখন আমাদের মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।”
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “চলো কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করি। ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সামনে এগিয়ে নেই।”
রাজনীতি
জুলাই ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠানে এখনো আমন্ত্রণ পায়নি বিএনপি: সালাহউদ্দিন

জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের অনুষ্ঠানে এখনো বিএনপি আমন্ত্রণ পায়নি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সোমবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্রসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজক মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। আর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেখানে যাবেন। তবে বিএনপি এখনো সেই অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পায়নি।
বিএনপি সহযোগিতা করছে না জুলাই সনদ নিয়ে- এমন বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে, এটি উদ্দেশ্যমূলক এবং রাজনৈতিক হীনমন্যতা বলেও জানান তিনি।
সংস্কার কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সংস্কারের কী কী ভাবনা সেটা আহ্বান করা হয়, আমাদের কাছে এবং জনগণের কাছ থেকেও তারা সংস্কারের বিভিন্ন প্রস্তাব পেয়েছে- এ কথা জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার। সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি চতুর্থ তফসিলে বর্ণিত থাকবে। আর যে-সব বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে সেসব কাগজপত্র পাঠানো মাত্র স্বাক্ষর করবে বিএনপি।
এ ছাড়া বৈধ প্রক্রিয়ায় সংস্কারের পক্ষে বিএনপি জানিয়ে তিনি বলেন, তবে আইন মেনে করতে হবে এবং সংবিধান সংস্কারের মতো জরুরি বিষয়গুলো নির্বাচিত সরকারে অধীনেই হওয়া উচিত।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। রোববার (৩ আগস্ট) তথ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
রাজনীতি
একটি দল ভারতের খপ্পরে পড়ে জুলাই চেতনার বিপক্ষে ভূমিকা রাখছে: ড. হেলাল উদ্দিন

আধিপাত্যবাদের দোসর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর একটি দল আওয়ামী লীগের শূন্যস্থান পূরণ করতে ভারতের খপ্পরে পড়ে জুলাই চেতনার বিপক্ষে ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে ন্যাশনাল ফিজিওথেরাপি ফোরামের (এনপিএফ) উদ্যোগে ‘৩৬ জুলাই দ্বিতীয় স্বাধীনতা উপলক্ষে শহীদ ও আহতের সম্মানে’- দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পথ বন্ধ করতে হবে। জাতিকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য শুধুমাত্র জুলাই ঘোষণাপত্রের এক টুকরো কাগজ উপস্থাপন করা হলে জুলাইয়ের চেতনা বাস্তব রূপ লাভ করতে পারবে না। রবং ফ্যাসিবাদ একেবার, একেক রূপে ফিরে আসবে।
যারাই ভারতের খপ্পরে পড়বে তাদেরকেই ভারতে পাড়ি জমাতে হবে মন্তব্য করে ড. হেলাল বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব যারা বিশ্বাস করে তারা কখনো দেশ ছেড়ে বিদেশে চলে যেতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কত ধরনের ট্যাগ লাগানো হয়েছে এবং হচ্ছে। নানান রকম অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা ও ষড়যন্ত্র চলছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাকর্মী আজ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী বিদেশের মাটিতে বসে কখনোর রাজনীতি করেনি। জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে জামায়াতে ইসলামী বরাবরই রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। জাতির যেকোন প্রয়োজনে সবার আগে, সবখানে জামায়াতে ইসলামী ছুঁটে যায় এবং যাবে। বাংলাদেশ ব্যতিত পৃথিবীর কোথাও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের কোন ঠিকানা নাই। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা-সার্বভৌত্বে বিশ্বাসী। যার কারণে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্রী প্রহরীর ভূমিকা পালন করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, দলমত, ধর্মবর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকল মানুষকে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সমান দৃষ্টিতে মূল্যায়ন করেছে এবং করবে। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে, দেশপ্রেমিক সচেতন সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অংশগ্রহন নতুন বাংলাদেশ গঠন করা হবে। একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক সুখি-সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন কল্যাণ ও মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এনপিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. এস এম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য, সহকারী জোন পরিচালক মো. আব্দুল হাই, গুলিবিদ্ধ জুলাই যোদ্ধা ইয়াছির আলী। অনুষ্ঠানে এনপিএফ ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
আরব আমিরাতে আটক ২৬ প্রবাসীর মুক্তির দাবি এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্সের

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক ২৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশির মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে এনসিপি ডায়াস্পোরা অ্যালায়েন্স। সোমবার (৪ আগস্ট) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন তারিক আদনান মুন।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিরা গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের গণআন্দোলনের সময় সংহতি জানিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অপরাধের অভিযোগ নেই, তবুও তাঁরা প্রায় ৮–৯ মাস ধরে আমিরাতের বিভিন্ন বন্দিশালায় আটক রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশের দূতাবাসের সরবরাহকৃত তথ্যের ভিত্তিতেই আমিরাত কর্তৃপক্ষ এই প্রবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এনসিপির দাবি, এ ঘটনায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো হলো: আটক প্রবাসীদের বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং একটি কনসুলার যোগাযোগ চ্যানেল চালু করতে হবে। দ্রুত কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ নিয়ে তাঁদের মুক্তি ও দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া আরব আমিরাতে আটককৃতদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। তালিকাটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
তারিক আদনান মুন বলেন, “এই ২৬ জন কেবল নাম নয়—তাঁরা প্রত্যেকে একটি পরিবারের আশ্রয় ও নির্ভরতার প্রতীক। তাঁদের বন্দিত্বে তাঁদের পরিবার বাংলাদেশে চরম আর্থিক ও মানসিক সংকটে পড়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক মাহাবুব আলম এবং বন্দী প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা।
কাফি