রাজনীতি
আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, দয়া করে আমার নামের সঙ্গে কেউ দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনায়ক জাতীয় শব্দ ব্যবহার করবেন না। আজ মঙ্গলবার বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল যারা অতীতে দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে হয়নি। আমরা সবাই জানি, অনেকেই বলেছেন বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারলে, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী কাজ করতে পারলে, আগামী দিনে বিএনপিই সরকার গঠন করবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করছে দলের নেতাকর্মীদের ওপর। আমাদের এই ৩১ দফা হলো ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব, তার রূপরেখা। এটা প্রথমে ছিল ২৭ দফা। পরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যেসব দল শরিক ছিল, তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, এটা শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব দলের সম্মিলিত চিন্তার ফসল।’
ভার্চুয়াল বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘এই ৩১ দফাকে দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনসভা করে নয়, ছোট ছোট উঠান বৈঠক করে গ্রামে গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে মানুষকে জানাব। আমি কয়েকদিন আগে এক বক্তব্যে বলেছিলাম, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে তাহলে যেই সংস্কার করি, কাজে লাগবে না,’ বলেন তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণেরর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এরজন্য ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর যেকোন গণতান্ত্রিক দেশে, ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা তৈরি হয়।’
সবশেষে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সহকর্মী হিসাবে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ ও নেতা হিসেবে আপনাদের কাছে নির্দেশ যে, আজকের পর থেকে দয়া করে আমার নাম যখন কেউ বলবেন, দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক এই কথাগুলো কথাগুলো দয়া করে কেউ ব্যবহার করবেন না।’
এমআই

রাজনীতি
ভারত সীমান্তে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের হোসেনকে ভারতের গেদে ইমিগ্রেশন পুলিশ আটক করেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর বাংলাদেশের দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ। এরপর শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তার বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় জালিয়াতির মামলা হলে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
জুবায়ের হোসেন বাগেরহাট জেলার শরনখোলা থানার রাজের গ্রামের হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
দর্শনা ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ এসআই তুহিন হোসেন হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গেদে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তারা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী নাগরিক মো. জুবায়ের হোসেনকে আটক করে বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
জানা গেছে, বিগত বছরের ২৪ নভেম্বর বৈধভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন জুবায়ের। কিন্তু ভারতে অবস্থানরত অবস্থায় বাংলাদেশি ইমিগ্রেশন সিল জালিয়াতি করে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ থেকে না গিয়েও ভুয়া এন্ট্রি দেখিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃক আটক হয়। এরপর দর্শনা ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ তুহিন হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করে তাকে থানায় সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদ তিতুমীর বলেন, শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাজনীতি
এনসিপি কোনো জোটে যাচ্ছে না: নাহিদ ইসলাম

সাত দফা দাবিতে জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেই মন্তব্য করে দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এই মুহূর্তে জোট নয়। স্বতন্ত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এগোবে এনসিপি।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে নাহিদ ইসলাম বলেন, নিম্নকক্ষে নয়, উচ্চকক্ষে পিআর চায় জাতীয় নাগরিক পার্টি। তাই জামায়াতে ইসলামীসহ যে কয়টি দল যুগপৎ আন্দোলন করছে, তাদের সঙ্গে আমরা নেই।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির জন্য গণপরিষদের বিকল্প নেই। গণপরিষদ ও জাতীয় নির্বাচন আমরা যেহেতু একসঙ্গে চাচ্ছি, তাই সেই যৌথ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। অক্টোবরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে আবারও মাঠে নামবে এনসিপি।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিবন্ধন পেতে যাচ্ছি। শাপলা প্রতীক না দেওয়ার পক্ষে কোনো যথাযথ যুক্তি নির্বাচন কমিশন দিতে পারেনি। আমরা আশা করছি শাপলা প্রতীক পাব।
নাহিদ বলেন, আমরা শুধু উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি এবং জবাবদিহির জন্য একটা কার্যকর উচ্চকক্ষ চাচ্ছি। সেটাকে নিশ্চিত করেই যেন জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা হয়।
এ সময় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, জোট ও গণপরিষদের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা আমাদের বলেছেন, আওয়ামী দোসররা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
সভায় দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমন্বয় কমিটির নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
রাজনীতি
শাহজাহানপুর কলোনীতে জামায়াতের উদ্যোগে সুপেয় পানি বিতরণ

শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনীতে লাইনে পানি না থাকায় বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শাহজাহানপুর পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত সুপেয় পানি বিতরণকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামি বাংলাদেশের চারদফা কর্মসূচীর মধ্যে অন্যতম হলো আত্ম মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়েজিত রাখা এরই অংশ হিসেবে শাহজাহানপুর কলোনীবাসীর মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। যতদিন লাইনে পানি সরবরাহ না থাকবে জামায়াত ততদিন সুপেয় নিরাপদ পানি ওয়াসার মাধ্যমে সরবরাহ করে যাবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে সৎ নেতৃত্ব আসলে সাধারণ মানুষের সকল সমস্যার সমাধান হবে। সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচনে সাহসী ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের যে অবসান ঘটেছে তার লক্ষ্যই ছিল গনতন্ত্র ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামি কাজ করে যাচ্ছে। সুতরাং অসংখ্য শিশু-কিশোর, ছাত্র-জনতার জীবন ও পঙ্গুত্বের বিনিময়ে অর্জিত এই বিপ্লব বা গন অভ্যুত্থানকে কোন চাঁদাবাজ দুর্নিতিবাজদের হাতে বিলিন হতে দেওয়া যাবে না।
আমরা দেশের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দুর্নীতি মুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
কলোনীর বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে জামায়াতের এমন উদ্দ্যোগকে স্বাগত জানা স্থানীয় বাসিন্দারা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর, ঢাকা মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য মওলানা শরিফুল ইসলাম। থানা সূরা সদস্য আব্দুল খালেক, শাহাদাত হোসেন। শাহজাহানপুর পশ্চিম থানার সাবেক সেক্রেটারি ইবরাহিম খলিল মহসিন। ১২ নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শ্রমিক নেতা মোশাররফ হোসেন চঞ্চল প্রমুখ।
রাজনীতি
সাত বিভাগীয় শহরে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি আজ

পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচির আজ দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশের সাত বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী। এতে অংশ নেবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জামায়াতের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবারের কর্মসূচিতে বরিশাল মহানগরে নেতৃত্ব দেবেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, রংপুর মহানগরে থাকবেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, চট্টগ্রাম মহানগরে থাকবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
সিলেট মহানগরের নেতৃত্বে থাকবেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ। এছাড়া রাজশাহী মহানগরে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল, মোমেনশাহী (ময়মনসিংহ) মহানগরে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এবং খুলনা মহানগরে কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
ঘোষিত দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মহানগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছে জামায়াত।
জামায়াতের ৫ দাবিতে যা আছে
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম ও গণহত্যা, দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
রাজনীতি
ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করাই অন্যতম দায়িত্ব: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা।
সেই লক্ষ্যে, আজকের ও আগামী দিনের তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে; গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করছে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্টে তিনি এ কথা লিখেন।
তারেক রহমান লিখেন, ইতোমধ্যে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাত হাজারেরও বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন; আবার অনেকেই বহিষ্কৃত হয়েছেন। বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না, তবে বাস্তবতার প্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই আবারও প্রমাণ হলো যে, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক, এবং আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যেসব মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদেরও ঠিক সেই একই মানদণ্ডে দাঁড় করাই। এভাবেই আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই; বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবলমাত্র ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না; বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে।
সময়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিএনপি সব সময়ই নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে জানিয়ে তিনি আরও লিখেন, আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছি। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে আমাদের নীতিমালা গড়ে উঠেছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাতে জাতি আরও এগিয়ে যায় এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকে। আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক, সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা লেখেন, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলো আলাদা, তাই আমাদের পদক্ষেপগুলোকেও হতে হবে নতুনভাবে চিন্তা-নির্ভর। তবে আমরা ইতিহাসকে অস্বীকার করি না; বরং তার ভিত্তিতেই এগিয়ে যেতে চাই। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন; জনগণের ক্ষমতায়নকে রাজনীতির কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আপোষহীনভাবে গণতন্ত্র ও গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গিয়েছেন। আজ আমরা তাঁদের সেই আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখেই এগিয়ে চলেছি নতুন যুগে; যেখানে সততা, তরুণ নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হবে রাষ্ট্রগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
নিজ ঐতিহ্যকে ধারণ করে, বিএনপি প্রাধান্য দিচ্ছে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ, ভবিষ্যতমুখী এবং আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথযাত্রাকে উল্লেখ করে তারেক রহমান লিখেন, আমরা জানি, তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, তারা ফাঁকা বুলি চায় না। জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, তারা বিশৃঙ্খলা চায় না। আর বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ হোক একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সবশেষে সহকর্মী ও নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি লিখেন, আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি, এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল। আমরা একসাথে প্রমাণ করবো যে, বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্খিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব, ইনশাআল্লাহ।