জাতীয়
এএসপি-ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিত

৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের সহকারী পুলিশ সুপারদের (শিক্ষানবিশ) প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে স্থগিত করা হয়েছে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানও।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জারি করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। রাজশাহী সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপালকে এ ব্যাপারে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মহিউল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীতে বর্তমানে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৩ জন এবং ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের ৬৩ জনসহ মোট ৬৬ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপার এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।
আগামী ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সমাপনী কুচকাওয়াজ অনিবার্য কারণবশত স্থগিত করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে। প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।
প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআইদের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান স্থগিতকরণ প্রসঙ্গে পুলিশ সদর দপ্তরের অ্যাডিশনাল ডিআইজি, মোছা. শেহেলা পারভীনের সই করা পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহীতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আগামী ২৬ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছিল।
অনিবার্য কারণবশত এই প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হলো। প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।
কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।

জাতীয়
যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে একটি বাসায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন সদস্য দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ধলপুর বউবাজার লিচুবাগান মসজিদের পার্শ্ববর্তী একটি ভবনের ৭ম তলায় এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- মো. তুহিন হোসেন (৩৮), তার স্ত্রী ইবা আক্তার (৩০), দুই ছেলে তাওহীদ (৭) ও তানভীর (৯)। তুহিন মোতালেব প্লাজায় একটি মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে কাজ করেন। তাদের বাড়ি মাদারীপুরের সদর উপজেলায়।
দগ্ধ ইবার বোন ফারজানা আক্তার জানান, বাসায় পরিবারটির ওই চার সদস্য থাকেন। শুক্রবার রাতে যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন এসি থেকে একটি বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে ঘরে আগুন ধরে গেলে তারা চারজনই পুড়ে যান।
তিনি আরও জানান, আশপাশের ভাড়াটিয়ারা আগুন নিভিয়ে রাতেই তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। তাদের চারজনের অবস্থায়ই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জাতীয়
নিক্সনের উসকানিতে ভাঙ্গায় সহিংসতা: পুলিশ

ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের উসকানিমূলক বক্তব্য ও কর্মকাণ্ডের কারণে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযোগ আনা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রকাশিত গেজেটে ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন ফরিদপুর-৪ থেকে পৃথক করে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্থানীয়রা ৫ সেপ্টেম্বর থেকে সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।
পুলিশের দাবি, এই আন্দোলনকে কাজে লাগিয়ে সাবেক সাংসদ নিক্সন চৌধুরী সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক উসকানিমূলক ভিডিওবার্তা ছড়িয়ে দেন। ৯ সেপ্টেম্বর দেওয়া এক ভিডিওতে তিনি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ আখ্যা দেন এবং আন্দোলনকে সহিংস রূপ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ সেপ্টেম্বর তার সমর্থকরা ভাঙ্গা থানা, হাইওয়ে থানা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়, নির্বাচন অফিস ও কৃষি অফিস ভাঙচুর করে এবং সরকারি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ব্যাপক সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়। ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ১৯ সেপ্টেম্বর নিক্সন চৌধুরী আবারও ভিডিওবার্তায় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে অবৈধ বলে আখ্যা দেন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন যে মামলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ বলছে, এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি জনগণকে আরও সহিংস আন্দোলনে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ বলছে, কারো কোনো উসকানিমূলক বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হয়ে জনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন মেনে চলুন এবং পুলিশকে সহযোগিতা করুন। মামলা দিয়ে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হলো। কেউ যদি উসকানিমূলক বক্তব্য বা গুজব প্রচারে অংশ নিলে তা দ্রুত নিকটস্থ থানায় জানানোর অনুরোধ করা হলো।
জাতীয়
নির্বাচনে দায়িত্ব পালনে দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ: আইজিপি

নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালনে সক্ষম করতে সারা দেশের দেড় লাখ পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন ভেন্যুতে তিন দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
নির্বাচনী দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশ সদস্যদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাজারবাগে ডিএমপি ট্রেনিং একাডেমিতে অনুষ্ঠিত ট্রেনিং অব ট্রেনার্স (টিওটি) কোর্সের তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কোর্স পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন আইজিপি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর তিন দিনব্যাপী এই কোর্সটি শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি করা। এই প্রশিক্ষকরা পরবর্তীতে ডিএমপির অন্যান্য পুলিশ সদস্যকে পর্যায়ক্রমে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। এর মাধ্যমে জনসাধারণের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখা এবং জানমাল ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি কার্যক্রমকে আরও যুগোপযোগী করা হবে।
কোর্সের সেশনটি উপভোগ করে আইজিপি প্রশিক্ষণার্থীদের মূল্যবান নির্দেশনা প্রদান করে বলেন, প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো পুলিশ সদস্যদের নির্বাচনমুখী ওরিয়েন্টেশন প্রদান করা, যাতে তারা তাদের দায়িত্ব পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে পারে।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুলিশ বাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতীয়
আবাসন পরিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত

আবাসন পরিদপ্তরের ৩ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বাসা বরাদ্দে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে আবাসন পরিদপ্তরের উপপরিচালক রাশেদ আহম্মেদ সাদী ও সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইনকে সাময়িক বরখাস্ত করে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে আবাসন পরিদপ্তর থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
চাকরির গ্রেড ও মূল বেতন বিবেচনায় না নিয়ে সরকারি বাসা বরাদ্দের সুপারিশ প্রদান, ডি-১ ও ডি-২ শ্রেণির বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি এবং বাসা বরাদ্দ সংক্রান্ত সভার দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করাসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রাশেদ আহম্মেদ সাদী সরকারি বাসা বরাদ্দ সিন্ডিকেটের মাধ্যেম বিপুল অর্থ ও স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছে। তাদের অভিযোগ তদন্তনাধীন এবং তা স্পর্শকাতর। তারা চাকরিতে বহাল থাকলে আরও বেশি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারেন এবং তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এ সব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাশেদ আহম্মেদ সাদী এবং বিলাল হোসাইনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২ (১) অনুযায়ী সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
এছাড়াও আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আবাসন পরিদপ্তরের বাসা বরাদ্দের নামে আবেদনকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ দাবি করাসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী হিসাবরক্ষক নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনিও বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।
জাতীয়
দুর্গাপূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন দাবি

দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করা সহ ৪ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাবনা’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়েছে।
দাবিগুলো হলো– দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করতে হবে; প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করা; গত বছরের মতো দুর্গা পূজায় সেনাবাহিনীর টহল দেওয়া এবং পূজায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে একটি মনিটারিং সেল গঠন করা।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মুখপাত্র ও নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। দুর্গা পূজার মূল ৩টি দিনই হলো অষ্টমী, নবমী ও দশমী। এই উপলক্ষ্যে দিন-রাত পূজার কাজে ব্যস্ত থেকে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে সার্থকভাবে দুর্গা পূজা সম্পাদন করতে হয়।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। কারণ ৫ দিনের পূজায় মাত্র ২ দিন সরকারি ছুটি, যার মধ্যে আগে ছিল একদিন বর্তমান সরকার এসে সেটা দু’দিন করেছে। কিন্তু আমাদের দাবি ছিল ৩ দিন। যার কারণে হিন্দু সম্পদায়ের অনেকেই দুর্গা পূজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উপস্থিত থেকে পূজার আনন্দ ও ধর্মীয় যজ্ঞ শেষ করতে পারে না। এমনকি পরিবার পরিজনের সঙ্গে পূজার আনন্দ ভাগ করে নিতে পারে না। তাই এবার থেকে দুর্গা পূজায় সরকারি ছুটি ৩ দিন (অষ্টমী, নবমী ও দশমী) করা হোক।
তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে মন্দিরে প্রতিমা বানানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে। দুর্গা পূজা ও নির্বাচন এই দুটি বিষয় নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অতীত অভিজ্ঞতা মোটেই সুখকর নয়। কারণ, পূজার আগে ও পরে এবং যে কোনো নির্বাচনের আগে ও পরে হিন্দু সম্প্রদায় ও তাদের স্থাপনার উপর আঘাত নিয়মিত ভাবে হচ্ছে। এরই মধ্যে ৪টি জেলায় দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। পুজার আরও ১০ দিন বাকি এ হামলা ও ভাঙচুর আরও বাড়বে বলে আমরা মনে করছি। এরই মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সন্নিকটে। তাই এবার পূজা মণ্ডপ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের স্থাপনা সাম্প্রদায়িক শক্তির লক্ষ্য বস্তুতে পরিণত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে এই উৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায় এখনই ভাবতে শুরু করেছে।
পূজায় নিরাপত্তার শঙ্কা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা ২০২৫ সালের শারদীয় দুর্গা পূজা নিয়ে শঙ্কা বোধ করছি। সারা দেশব্যাপী পূজার আগে ও পরে এমনকি পূজা চলাকালীন সময়ে দুর্গা মন্দিরে হামলার আশঙ্কা করছি। কোন জায়গায় হামলা হতে পারে সেই সমস্ত জায়গাসহ সারা দেশে দুর্গা পুজার আগে ও পরে নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রত্যেকটি স্থায়ী ও অস্থায়ী পূজা মন্দিরে ও মণ্ডপে সরকারি খরচে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থাসহ প্রতিটি মন্দিরে পূজার ১০ দিন আগে থেকে পূজা চলাকালীন সময় নিরাপত্তা জোরদার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ড. প্রভাস চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন– বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরী, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনিন্দ্র কুমার দেবনাথ, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জোটের সভাপতি শ্যামল কুমার রায় প্রমুখ।