অর্থনীতি
অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের নিরাপত্তা জোরদার করেছে এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অটোমেটেড সিস্টেম ফর কাস্টম ডেটা (অ্যাসাইকুডা) সার্ভারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে এনবিআর। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রবেশ করার জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এনবিআর।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এনবিআরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে কর্মরত একজন কর্মকর্তার অগোচরে তাঁর অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের আইডি ব্যবহার করে একটি অসাধু চক্র গত ২০১৪ সালের ২০ মে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে এক কন্টেইনার সিগারেট খালাস করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, সিস্টেম হ্যাক করে নয় বরং কর্মকর্তার অবর্তমানে তার কম্পিউটার হতে তার আইডি ও পাসওয়ার্ড চুরি করে তা ব্যবহারের মাধ্যমে এই মালামাল খালাস করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও স্পর্শকাতর বিষয় বিধায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ অপকর্মের সাথে জড়িত প্রকৃত দোষী এবং তার সহযোগীদের চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
এনবিআর জানায়, কাস্টমস কর্মকর্তার আইডি-পাসওয়ার্ড চুরি করে তা ব্যবহারের মাধ্যমে মালামাল খালাস করার সাথে জড়িত চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মহাপরিচালক, কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্তের নেতৃত্বে একটি এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন সদস্যের নেতৃত্বে আরো একটি তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এ কাজে বাংলাদেশ পুলিশ এর সাইবার ক্রাইম ইউনিটের প্রয়োজনীয় সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
জাতিসংঘের ইউএন কনফারেন্স অন ট্রেড এন্ড ডেভেলপমেন্ট (ইউএনসিটিএডি) কর্তৃক উদ্ভাবিত অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড নামক বিশ্বস্ত ও নিরাপদ সিস্টেমটি ১৯৯৩ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষসহ বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশ ব্যবহার করছে। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রবেশ করার জন্য তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিম্নরূপ নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো-
নিরাপত্তার প্রথম ধাপ: পাসওয়ার্ড অথেনটিফিকেশন। যে কর্মকর্তার অনুকূলে ইউজার আইডি দেয়া হয়েছে তাঁকে তাঁর গোপন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এস্যাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লগইন করতে হয়:
নিরাপত্তার দ্বিতীয় ধাপ: অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে ব্যবহৃত একটি শক্তিশালী মিডিলওয়ারের সহায়তায় টু ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন এর বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা হয়েছে। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে লগ-ইন করার জন্য গোপন পাসওয়ার্ড এন্ট্রি করার পর ব্যবহারকারীর ভেরিফায়েড মোবাইল নম্বরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) চলে যাবে, যা এন্ট্রি ব্যতিরেকে তিনি সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারবেন না।
নিরাপত্তার তৃতীয় ধাপ: আই.পি. অ্যাড্রেস ডিভাইস বাইন্ডিং। অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের অথরাইজড ইউজার যে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন সেই ডিভাইসের আইপি’র বিবরণ সিস্টেমে সন্নিবেশ করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারী নির্দিষ্ট কম্পিউটার ব্যতীত অন্য কোন কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থেকে এস্যাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে প্রবেশ করতে না পারে।
উল্লেখ্য তিন ধাপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিকতর জোরদারের পাশাপাশি এস্যাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমের অপব্যবহার রোধে সকল কাস্টমস স্টেশনের সিস্টেম ব্যবহারকারীগণকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহারের নির্দেশনা প্রদানের পাশাপাশি ২১ দিন পরপর স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাসওয়ার্ড রিসেট ও পূর্ববর্তী ব্যবহৃত ৩টি পাসওয়ার্ড বাতিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
সিস্টেমের জাভা আর্কাইভ ফাইলসমূহের অবৈধ ডিক্রিপশন, রে-এনক্রিপশন রোধ করার জন্য কোড সিগনের সার্টিফিকেট বাস্তবায়ন করা হয়েছে যার মাধ্যমে ইন্টিগ্রিটি ভেরিফিকেশন এবং অথেন্টিসিটি অ্যাস্যুর্যান্স এর ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে ব্যবহৃত কম্পিউটারে সোস্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভিএপিআই এর কাজ করছে। টেস্টিংয়ের ফলাফল এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সুপারিশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এনবিএর জানায়, রাজস্ব আহরণের পাশাপাশি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সকল অটোমেটেড সিস্টেমের নিরাপদ ব্যবহার এবং সাইবার নিরাপত্তা জোরদারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বদ্ধপরিকর। রাষ্ট্রের সম্পদ তসরুফ ও সাইবার অপরাধে জড়িত সকল চক্র চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে নিজস্ব জনবলের পাশাপাশি প্রয়োজনে সকল অংশীজন এবং সরকারের অন্যান্য সংস্থার সহায়তা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে গৃহিত কার্যক্রমসমূহের ফলে অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম অধিকতর নিরাপদ ও সুরক্ষিত হবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুদকের ডাকে সাড়া দেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৬ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের ছয় কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তলব করা হলেও তারা হাজির হননি। এস আলম গ্রুপ ও তার সহযোগীদের হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে তাদের তলব করা হয়েছিল।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা কেউই হাজির হননি কিংবা কোনো ধরনের যোগাযোগ করেননি বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) আরও সাত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে হাজির হওয়ার তারিখ রয়েছে বলে জানা গেছে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তাদের তলব করে চিঠি দেওয়া হয়। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, চিঠিতে কর্মকর্তাদের হাজির হওয়ার পাশাপাশি তাদের পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসতে বলা হয়। এছাড়া চিঠিতে ইসলামী ব্যাংকের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরী ফুড প্রোডাক্টস নামীয় ঋণ পরিদর্শন ও মনিটরিং সংক্রান্তে কর্মকর্তা ভূমিকার বিষয়ের বিস্তারিত তথ্যসহ হাজির হতে বলা হয়।
বুধবার যাদের হাজির হওয়ার কথা ছিল তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্মপরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনিক তালুকদার, অতিরিক্ত পরিচালক শংকর কান্তি ঘোষ, ছলিমা বেগম, উপপরিচালক মো. জুবাইর হোসেন ও রুবেল চৌধুরী।
অন্যদিকে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের যুগ্মপরিচালক সৈয়দ মু. আরিফ-উন-নবী,অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, মো. শোয়েব চৌধুরী, মো. মঞ্জুর হোসেন খান ও মো. আব্দুর রউফ, উপ-পরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ এবং পরিচালক মো. সরোয়ার হোসাইন। একই ঘটনায় এর আগে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ২৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল সংস্থাটি।
অভিযোগ রয়েছে, মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী গোলাম সারওয়ার চৌধুরী, জুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসসহ অন্যান্যরা ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা ইসলামী ব্যাংকে থেকে আত্মসাৎ করেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বঙ্গবন্ধুর নামে প্রতিষ্ঠানে অনুদানে কর রেয়াত বাতিল!
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদানের বিপরীতে আয়কর রেয়াত পাওয়ার বিধান বাতিল হচ্ছে। অর্থাৎ তার নামে গড়া প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়ে আর কর রেয়াত বা ছাড় পাওয়া যাবে না। শিগগিরই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনবিআরের আয়কর শাখার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান এখন দেশের বাইরে অবস্থান করছে। তিনি এলে প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০২৩ সালের আয়কর আইন অনুযায়ী, মোট ১৫টি খাতে বিনিয়োগ ও দান করলে একজন করদাতা আয়কর রেয়াত বা তার প্রযোজ্য কর থেকে কম দেওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন। এতে বলা হয়েছে, “জাতির পিতার স্মরণে প্রতিষ্ঠিত কোনো জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে কোনো করদাতা কর্তৃক অনুদান হিসেবে প্রদত্ত যে কোনো পরিমাণের অর্থ রেয়াতি সুবিধা পাবেন।”
ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধুর নামে জাতীয় পর্যায়ের অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। এসব প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা দান বা অনুদান করলে আয়কর রেয়াত পেতেন।
তবে এনবিআর মনে করছে আয়কর রেয়াতের বিধান বর্তমানে ‘প্রাসঙ্গিকতা’ হারিয়েছে। তাই এই আইন বাতিলের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ১৬ অক্টোবর তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার তাকে ‘জাতির পিতা’ মনে করে না। একই দিন অন্তর্বর্তী সরকার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ ও ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল করে পরিপত্র জারি করে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বেক্সিমকোর মালিকদের সঙ্গে জড়িত ১১৭ বিও হিসাব তলব
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকোর মালিকদের সঙ্গে জড়িত ১১৭ বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্টের পোর্টফোলিও স্টেটমেন্টসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিও অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও টাকা থাকে। এর মাধ্যমে তারা শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন। পোর্টফোলিও স্টেটমেন্ট গ্রাহকের আগ্রহ ও তাদের বিনিয়োগ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য দেয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে তথ্য জানতে চেয়ে বলেছে বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইনটেলিজেনস ইউনিট (বিএফআইইউ) এসব তথ্য চেয়েছে। বিএফআইইউর নির্দেশনা অনুযায়ী এসব হিসাব জব্দের নির্দেশও দিয়েছে বিএসইসি।
গত ১৪ নভেম্বর চিঠি পাওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে বিও হিসাবের কেওয়াইসি (নো ইউর কাস্টমার) ফরম ও স্টেটমেন্ট আগামী তিন দিনের মধ্যে জমা দিতে বলেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই ১১৭ বিও হিসাবের সবগুলোতেই বেক্সিমকোর মালিকরা জড়িত।’ তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারের দাম কারসাজিতে বেক্সিমকোর জড়িত থাকার অভিযোগে এসব বিও অ্যাকাউন্টের কয়েকজন মালিককে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জরিমানা করেছে।’
গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বেক্সিমকোর ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানকে দুটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর থেকে বেক্সিমকো টাকার অভাবে ভুগছে। কর্মীদের বকেয়া বেতন দিতে পারছে না। কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খুলতে না পারায় গত আগস্ট থেকে কারখানাগুলো বন্ধ আছে। বর্তমানে বেক্সিমকোর ২৪ প্রতিষ্ঠান বন্ধ।
এ দিকে, বেক্সিমকোর ৬০ কোটি টাকা ঋণের আবেদন নাকচ করেছে জনতা ব্যাংক।
গত আগস্টের শেষের দিকে বিএসইসি সালমান এফ রহমানের বিও অ্যাকাউন্ট জব্দ করে। বিএফআইইউ সব ব্যাংককে তার মালিকানাধীন যেকোনো অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মানি চেঞ্জারের ডলার বিক্রির সীমা বাড়লো
পবিত্র হজ উপলক্ষে মানি চেঞ্জারগুলোর ডলার বিক্রির সীমা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে গতকাল এই সীমা বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো এখন বিদেশে গমনকারী বাংলাদেশি নাগিরকদের কাছে দুই হাজার ডলার নগদ বিক্রি করতে পারবে। আগে এই সীমা ছিল এক হাজার ডলার।
বিদেশে যেতে পাসপোর্টে ডলার ব্যবহারের অনুমতি (এন্ডোর্সমেন্ট) নিতে হয়। একজন বাংলাদেশি নাগরিক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার দেশের বাইরে খরচ করতে পারেন। সেটা নগদ ডলার ও কার্ড উভয় মিলেই। এই অনুমোদন দেয় সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি বিদেশ গমনকালে এক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বা সমমানের বৈদেশিক মুদ্রা এন্ডোর্স করতে পারেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা।
লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ২০ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো-
উল্লেখ্য, যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।