সারাদেশ
অনিয়মে বন্ধ হয় আওয়ামীলীগ নেতার ডায়াগনস্টিক: সিভিল সার্জনের পদত্যাগ দাবী চাঁদপুর জেলা বিএনপি নেতাদের

বৈষম্য বিরোধী ছাত্রআন্দোলন চাঁদপুরের সমন্বয়ক রাকিব ভূঁইয়াকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের দালাল কর্তৃক হামলার ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এতে তাকওয়া, মীম ও গ্রীন ভিউ নামে ৩টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে তাকওয়া নামে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করায় বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত এসব ঘটনার দায়ভার চাপানো হচ্ছে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন এর ওপর।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে সড়কে সিভিল সার্জনের পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে চাঁদপুরের বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় তাকওয়া, মীশ ও গ্রিণ ভিউ এক্স-রে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কার্যক্রম বন্ধ। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান গেটও তালা বদ্ধ।
এসব বিষয় জানার জন্য সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে সিভিল সার্জনকে পাওয়া যায়নি। কথা হয় মেডিকেল অফিসার (এমও-সিএস) ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেন এর সাথে। তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক সিভিল সার্জনকে ফোন দিয়েছেন। তিনি ব্যস্ত আছেন পরে কথা বলবেন এমনটি হয়েছে। কিন্তু তাকওয়াসহ ৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ হওয়ার বিষয়ে সিভিল সার্জন এর কোন সম্পৃক্ততা নেই। আজকে এসে দেখলাম আমাদের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ।
৩টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানাগেল, সমন্বয়ক রাকিব ভূঁইয়াকে সরকারি জেনারেল হাসপাতালের দালাল কর্তৃক হামলার ঘটনার পর তাকে হাসপাতালে দেখতে আসেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। তিনি ওই সময় ঘটনার সাথে জড়িত ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা তা দেখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এরপরে গত বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খাঁন। এতে সহযোগিতা করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (এমও-সিএস) ডা. মো. শাখাওয়াত হোসেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজন কুমার দাসসহ একটি যৌথ টিম।
এই বিষয়ে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খাঁন বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে রোগীরা যাতে কোনো ভাবেই দালাল চক্রের শিকার হতে না হয় এবং সঠিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যে জটিলতার কথা বলা হয়েছে, তা দ্রুত সমাধান করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। তবে, যদি সঠিক কাগজপত্র না থাকে, তাহলে কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. শাখাওয়াত হোসেন এসব প্রতিষ্ঠানের কাগজপত্র সম্পর্কে বলেন, আমরা সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত, তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য লাইসেন্স নবায়ন এবং অন্যান্য নিয়মকানুন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিষয়ে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ নুর আলম দীন বলেন, বিএনপির সভাপতির সাথে আমার কিছুই হয়নি। তাকওয়া নামে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করায় এই আন্দোলন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নিউ তাকওয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর মালিক হচ্ছে নাসরিন পারভীন ও কাজী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। এর মধ্যে নাসরিন পারভীন হচ্ছে সাবেক মন্ত্রী ও এমপি ডাঃ দীপু মনির চাঁদপুর প্রতিনিধি ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন বাবুর স্ত্রী। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে। কিন্তু সেই সাইফুদ্দিন বাবুর স্ত্রীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার বিষয়টি বিএনপির লোকজন জড়িত থাকায় ভিন্ন দিকে প্রবাহিত হয়। বিএনপির নামধারী মহসীন পাটওয়ারী হচ্ছে হাসপাতালের দালালদের মধ্যে অন্যতম। তার অপকর্মের বিষয়ে স্থানীয় পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এসব বিষয়গুলো সামনে আসার কারণে এটি গড়ায় জেলা বিএনপি সভাপতি পর্যন্ত।
চাঁদপুর হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহীন বলেন, কোন হাসপাতাল এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাগজপত্র নবায়ন না থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে। এতে আমাদের কোন কিছু করার নেই। কিন্তু এসব কাগজপত্র নবায়ন করতে সয়ম লাগে। এটি কোন সমস্যা না। হাসপাতাল কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিকদেরকে নিয়মিত সরকারি কর ও নবায়ন ফি জমা দিতে হবে। এরপরে বাকী কাজ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। কিন্তু দেখাগেছে অনেক প্রতিষ্ঠান কয়েকবছর তাদের কাগজপত্র নবায়ন করেনি।
এবিষয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের মন্তব্য জানতে তাঁর ব্যক্তিগত মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি। ফলে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ধর্ম ও জীবন
সৌদি আরবে কক্সবাজারের ওয়াহিদুর রহমানের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

কক্সবাজারের কৃতী সন্তান আ.ফ.ম.ওয়াহিদুর রহমান মাক্কী সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
তিনি কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন গর্জনীয়া পূর্ব বোমাংখিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম মাওলানা মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন, গর্জনীয়া ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হেড মাওলানা। তার দাদা মাওলানা ওবায়দুল হক চট্টগ্রামের বিখ্যাত দারুল উলুম আলিয়া মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
অ.ফ.ম ওয়াহীদুর রহমান বর্তমানে পবিত্র হারামাইন শরীফাইন সৌদি আরবের অনুবাদ প্রকল্পে বাংলা বিভাগে অনুবাদক, ভাষ্যকার ও তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কর্মরত।
তিনি সৌদি আরবের মক্কা উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে পিএইচডি অর্জন করেন। তার গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম ছিল- ‘ইমাম আল-বায়হাকী আস-সুনান আল-কুবরায় যা বর্ণনা করেছেন তার মাধ্যমে আল্লাহর দিকে ডাকার আইনশাস্ত্র’।
তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকার তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে হাদিস বিভাগে কামিল ও ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা-ই- আলিয়া, ঢাকা থেকে কামিল তাফসির বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন।
এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের রঙ্গিখালী দারুল উলুম মাদ্রাসা থেকে দাখিল এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের উম্মুল মাদারিস খ্যাত চুনতী হাকিমিয়া আলিয়া মাদ্রাসা থেকে যথাক্রমে আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় সম্মানের সাথে উত্তীর্ণ হন।
তিনি ১৯৯৯-২০০৪ ইংরেজি সাল পর্যন্ত ঢাকা মোহাম্মদপুরে অবস্থিত গাউছিয়া ইসলামীয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আ.ফ.ম.ওয়াহীদুর রহমান মাক্কী সৌদি সরকারের যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ পৃথিবীর ২০টি ভাষায় খুতবাতুল আরাফার তথা হজের খুতবাহ সম্প্রচার প্রকল্পে বাংলা ভাষ্যকার হিসেবে ২০২০, ২০২১ ও ২০২৩ সালে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া ও তিনি মক্কায় ইসলামিক সেন্টার এর একজন দায়ী হিসেবে বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে দাওয়াতী কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
কাফি
সারাদেশ
পাবনায় ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুট

পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়ায় ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় জানালার গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। এসময় দুটি কম্পিউটার ভাঙচুর ও হার্ডডিস্ক লুট করা হয়। প্রমাণ ধ্বংস করতে এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা।
বুধবার (১৮ জুন) দিনগত রাতে উপজেলার টেবুনিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে ব্যাংক খোলার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
স্থানীয়, পুলিশ ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার স্বাভাবিক কার্যক্রম শেষে ব্যাংক বন্ধ করে চলে যান শাখা সংশ্লিষ্টরা। পরদিন ব্যাংকের অফিস সহকারী (মেসেঞ্জার) রাসেল এসে ব্যাংক খুলে দেখেন জানালার গ্রিল কাটা এবং পুরো ব্যাংক তছনছ অবস্থায় রয়েছে। পরে সংশ্লিষ্টদের খবর দিলে দেখা যায়, ভল্টে থাকা টাকা, কম্পিউটার ও হার্ডডিস্ক লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে ব্যাংকের অফিস সহকারী রাসেল প্রামাণিক বলেন, রাতের কোনো একটি সময় এ ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। সকালে অফিসে ঢুকে দেখি জানালার গ্রিল কাটা, কম্পিউটার ভাঙা ও চেয়ার ছড়ানো। এরপর আমি স্যারদের জানাই।
এজেন্ট শাখার ইনচার্জ নাঈম হাসান বলেন, খবর পেয়ে অফিসে এসে দেখি ভল্ট ভাঙা ও তাতে থাকা ১২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা নেই। অফিসের দুটি কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এবং সিসিটিভি সিস্টেমও ভাঙচুর করা হয়েছে। এসময় চেয়ারে ঘটনায় জড়িতদের পায়ের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ভল্ট ভেঙে টাকা ও কম্পিউটার চুরি হয়েছে বলে দাবি শাখা সংশ্লিষ্টদের। তবে ভল্ট ভাঙা হয়েছে বলে মনে হয়নি। ব্যাংক সংশ্লিষ্টদের দ্বন্দ্বেও এমনটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
সারাদেশ
২৪ ঘণ্টায় সিলেটে আরও ৪ জনের করোনা শনাক্ত

গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে নতুন করে আরও চারজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে নতুন করে সিলেটে ছয়জন করোনা আক্রান্ত হলেন। বুধবার (১৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে চারজনের কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জন। তাদের মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে তিনজন, নর্থইস্ট হাসপাতালে একজন, রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ও সীমান্তিকে একজন।
এদিকে নতুন করে সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু হওয়ায় প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরই মধ্যে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীদের চিকিৎসায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের একটি ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে করোনার পরীক্ষার কিটসহ সব সরঞ্জামাদি সরবরাহ ও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. আনিসুর রহমান জানান, করোনা পরীক্ষার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি সংস্থা সীমান্তিকে তিনটি আরটি-পিসিআর ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার চাহিদা কম থাকায় শুধুমাত্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চলবে পরীক্ষা। রোগী বাড়লে বাকি দুটি ল্যাবও ব্যবহার করা হবে।
সারাদেশ
বাস-কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩

কক্সবাজার রামুতে যাত্রীবাহী বাস ও কাভার্ডভ্যানের সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। সোমবার (১৬ জুন) সকাল ৯টার দিকে রামু রশিদ নগর ইউনিয়নের জেটিরঘাটা রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, কক্সবাজার সদরের পিএমখালী এলাকার বাসিন্দা হাবিব উল্লাহ (৫৫), তার ৯ বছরের শিশু রিয়াদ, রামু এলাকার বাসিন্দা রিমঝিম বড়ুয়া।
প্রত্যক্ষদর্শী কুদ্দুস জানান, কক্সবাজার শহর থেকে ছেড়ে আসা পূরবী বাস ও বিপরীত থেকে আসা কার্ভারভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়েছেন। আহতদের বাস কেটে উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন শিশু, একজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। নিহতদের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে।
সারাদেশ
গোপালগঞ্জে তিন বাসের সংঘর্ষে পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ২

গোপালগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে তিনটি বাসের পরপর সংঘর্ষে পুলিশের এক কর্মকর্তা ও বাসের এক সহকারী নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মেরী গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এটিএসআই রফিকুল ইসলাম (৫২) নিহত দুইজনের একজন। তিনি উদ্ধারকাজ পরিচালনার সময় চতুর্মুখী সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন এবং পরে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত অপর ব্যক্তি আরমান পরিবহনের বাস হেল্পার। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে ভাটিয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মো. মাকসুদুর রহমান মোরাদ জানান, পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে প্রথমে ধাক্কা দেয় আরমান পরিবহনের একটি বাস। সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে এসপি গ্রীন লাইনের আরেকটি বাস এসে ধাক্কা দিলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি দল দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করে। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী নিউ বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাস ও ট্রাককে সজোরে ধাক্কা দিলে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। এতে উদ্ধার কাজে থাকা এটিএসআই রফিকুলসহ আরও তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধার কাজে অংশ নেয় গোপালগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট, যার নেতৃত্বে ছিলেন সিনিয়র স্টেশন অফিসার মালেক আলী সরদার। প্রায় দুই ঘণ্টা পর, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন সরিয়ে নেওয়ার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কাফি