জাতীয়
পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, থানা হলো পুলিশি সেবার কেন্দ্রবিন্দু। থানায় সেবা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। কারণ যিনি থানায় আসছেন, ধরে নিতে হবে তিনি কোন না কোনোভাবে বাদী, ভিকটিম কিংবা সাক্ষী। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে যথাযথ পুলিশি সেবা দিয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে অক্টোবর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন আইজিপি। মাসিক এ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।
বক্তব্যের শুরুতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আত্মাহুতি দানকারী সব শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন আইজিপি। একইসঙ্গে স্মরণ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রাণ উৎসর্গকারী ও আহত পুলিশ সদস্যদের।
আইজিপি বলেন, পুলিশ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একটি সংস্থা। জনগণকে সেবা দেওয়াই পুলিশের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সেবা দেওয়ার মাধ্যমেই জনগণের কাঙ্ক্ষিত পুলিশ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সব পুলিশ সদস্যকে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে।
আইজিপি বলেন, অপরাধের হটস্পটগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সেখানকার নাগরিক কমিটিকে শক্তিশালী করে তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে অপরাধ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটলে সেটা আড়াল করা যাবে না। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া যাবে না। তবে কোনো মামলায় নিরীহ ও নির্দোষ ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
ইন্টেলিজেন্স বেজড পুলিশিংয়ে গুরুত্বারোপ করে আইজিপি বলেন, চুরি, ছিনতাই, কিশোর গ্যাং-সহ অন্যান্য সংঘবদ্ধ অপরাধের ব্যাপারে আগে থেকেই ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ করে তা প্রতিরোধ করতে হবে। অপরাধ সংঘটনের আগেই অপরাধ প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করেন আইজিপি।
আইজিপি বলেন, ঢাকা শহরের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে যানজট। আগের তুলনায় ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নতির জন্য ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে ধন্যবাদ জানান আইজিপি এবং আরো উন্নতি করতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, পুলিশের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। সব পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নিয়মিত বিভিন্ন পেশাগত বিষয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আইজিপি বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের বর্তমান সময়ে পুলিশি কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা ও চ্যালেঞ্জের কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং পর্যায়ক্রমে তা সমাধানের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা মহানগরীতে আড়াই কোটি জনসংখ্যা রয়েছে। তাদের সেবা দিতে ডিএমপি সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। এই মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নগরবাসীর সেবা দিতে আমাদের সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে অবস্থা ছিল, সেই পরিস্থিতি থেকে অনেক উন্নত হয়েছে। আপনারা কাজ করছেন বলেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই উন্নতি হয়েছে। যেকোনো পেশায় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আমরা যে কাজগুলো করি এর মধ্যেও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যে চ্যালেঞ্জ আসবে, সেগুলো যাতে আমরা মোকাবেলা করতে পারি সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, দস্যুতা ও চাঁদাবাজির ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য আমাদের পুলিশি তৎপরতা জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি যেসব ঘটনা ঘটবে তার সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অপরাধপ্রবণ স্থানগুলো চিহ্নিত করতে হবে। অপরাধপ্রবণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট ও টহল বাড়ানোর পাশাপাশি জনগণের সাথে সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) ফারুক হোসেন অক্টোবর ২০২৪ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
পরে অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অক্টোবর মাসে ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন আইজিপি।
মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. ইসরাইল হাওলাদার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপির সব থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মিই বড় সমস্যা: তৌহিদ হোসেন

দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।
বক্তব্যে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিদেশগামীদের ৮০ শতাংশ সমস্যা ঢাকা থেকে সৃষ্টি আর ২০ শতাংশ গন্তব্য দেশে গিয়ে। দূতাবাসে লোকবল কম থাকলেও প্রবাসীদের ১০০ শতাংশ সমস্যা সমাধান করতে হয়।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।
রেমিট্যান্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এ ছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিট্যান্স পাঠান।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নয় মাসে এক আকাশ ভালোবাসা পেয়েছি: প্রেস সচিব

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের ক্ষমতায় আসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যার নেতৃত্বে রয়েছেন নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সরকারের প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শফিকুল আলম।
প্রায় নয় মাস দায়িত্ব পালনের পর নিজের ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে আজ তিনি তুলে ধরেছেন তার অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তি।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লেখেন, গত নয় মাসে আমি কী অর্জন করেছি: এক চিমটি ঘৃণা, একমুঠো অবিশ্বাস ও এক আকাশ ভালোবাসা।
শফিকুল আলমের এই স্ট্যাটাস ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মন্তব্য করছেন, একজন মুখপাত্র হিসেবে তার প্রকাশভঙ্গি প্রশংসনীয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ

ভারতে ওয়াকফ বিল পাস ও মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি।
এসময় বক্তারা বলেন, গুজরাটের কসাই মোদী একের পর এক মুসলিমদের অধিকার খর্ব করছে। তারা মুসলমানদের ঘর-বাড়ি ভেঙে দিছে। তাদের জন্মস্থান থেকে উচ্ছেদ করছে। সর্বশেষ ওয়াকফ বিল পাস করে ভারতে মুসলমানদের অধিকার খর্ব করছে। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে সমগ্র ভারতে মুসলিমরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের হত্যা করা হচ্ছে। আমরা এসব নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানাই। এক হিন্দুত্ববাদী সরকার আমাদের ১৬ বছর নিষ্পেষিত করছে। এর পরিণতি ভারতকে ভোগ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন,গাজাকে আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্ত আমাদের বিজয় গাজাতেই হবে। ইসরায়েল তাদের পাপের ফল ভোগ করবে। আমরা আরব বিশ্বকে বলবো, আপনারা মাঠে নামুন। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইহুদিদের মোকাবিলা করুন। বিশ্ব মুসলমান একত্র হলে ইহুদিসহ মুসলমানদের শত্রুরা নিশ্চয় পরাজিত হবে।
এসময় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেন, বিগত ৬ সপ্তাহ ফিলিস্তিনে কোনো সহায়তাও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই মুহূর্তে সারা দুনিয়ার জন্য ইসরায়েল একটি বিষফোঁড়া। পৃথিবীতে সভ্যতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইসরায়েলকে থামাতে হবে। বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। এদেশের কোনো দোকানে ইসরায়েলের পণ্য চলতে পারে না।
তিনি বলেন, মসজিদ মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়াই ভাততের এজেন্ডা। তাই বিতর্কিত ওয়াকফ বিল ভারতে আর চলতে দেওয়া যাবে না। আমরা হয়তো দেখে যেতে পারবো না তবে ভারত একসময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা দূতাবাসকে সামলাতে হয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) ফরেন সার্ভিস ডে উপলক্ষে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, প্রবাসীদের সমস্যা সবার আগে সমাধান করতে হবে। দূতাবাসের সীমাবদ্ধতা থাকলেও মানুষকে আগে সেবা দিতে হবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি হয়। পরে সৃষ্ট সমস্যা সামলাতে হয় দূতাবাসকে। সুতরাং প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দিয়েই কর্মী পাঠানো গেলে প্রবাসীদের সমস্যা কম হবে। একইসঙ্গে মিশনগুলোর ওপর চাপ কমবে।
রেমিটেন্সের ব্যাপারে তৌহিদ হোসেন বলেন, ১৯৮০ এর দশকে এক বিলিয়ন ডলার রফতানি ছিল। এখন (বর্তমান) ৬০ বিলিয়ন ডলার, যেখানে কিছুটা হলেও দূতাবাসের ভূমিকা আছে। এছাড়া সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এক কোটি প্রবাসী দেশে রেমিটেন্স পাঠান।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আরাকান আর্মি বড় সমস্যার জায়গা। বাংলাদেশ না পারছে তাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে, না পারছে তাদেরকে এড়িয়ে যেতে।
এ সময় তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বৈশ্বিক জনমত সৃষ্টিতে ফরেন সার্ভিসের কর্মকর্তারা কলকাতা থেকে কাজ শুরু করেছিলেন। ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল তখন ৬৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশন গঠন হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর

প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার সম্ভবত এখন সময় এসেছে।
আজ, ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার) সকালে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন কথা বলেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, আমরা এমন একটি প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলাম, বাংলাদেশ কি এখন পাকিস্তানপন্থি পররাষ্ট্রনীতির দিকে ঝুঁকছে? প্রশ্নটি মোটেই আমাদের বিস্মিত করেনি। সব সময় কিছু মানুষ থাকবে যারা বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচয়ে বিশ্বাস করতে চায় না।
তিনি বলেন, আমাদের জবাব ছিল স্পষ্ট। অতীতে যাই ঘটুক না কেন, এখন থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি হবে একান্তভাবে বাংলাদেশের স্বার্থনির্ভর ও প্রো-বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের বেসামরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও বুদ্ধিজীবী মহলের অনেকেই মনে করেন যে, ক্ষমাপ্রার্থনা একটি সদিচ্ছা ও সৌজন্যের প্রতিফলন হতো। কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সামরিক আমলাতন্ত্র বরাবরই এ ধারণার বিপক্ষে থেকেছে, ফলে আজও আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়া হয়নি।
ডেপুটি সেক্রেটারি আরও লেখেন, বাংলাদেশ পাকিস্তানের কাছ থেকে সম্পদ বণ্টনের বিষয়টিও উত্থাপন করেছে। যেটি পূর্ববর্তী সরকারগুলো এড়িয়ে চলেছিল এবং আলোচনার পরিবর্তে বিচ্ছিন্নতাকে প্রাধান্য দিয়েছিল। একটি হিসাবে, ১৯৭৪ সালের হিসাবে বাংলাদেশের দাবি করা অর্থের পরিমাণ ছিল অন্তত ৪.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই হিসাব তৈরি হয়েছিল অভ্যন্তরীণ মূলধন সৃষ্টি, বৈদেশিক ঋণ নিষ্পত্তি এবং বৈদেশিক সম্পদের ধারণার ভিত্তিতে।
এছাড়া ১৯৭০ সালের নভেম্বরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব পাকিস্তানের জন্য বিদেশি দেশ/সংস্থাগুলোর দেওয়া প্রায় ২০০ মিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত দাবি রয়েছে বাংলাদেশের। এই অর্থ যুদ্ধের সময় ঢাকা থেকে পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের লাহোর শাখায় স্থানান্তর করা হয়।
‘আটকে পড়া পাকিস্তানিদের’ প্রত্যাবাসনও দুই দেশের সম্পর্কের অন্যতম একটি অন্তরায়। অতীতে পাকিস্তান প্রায় ১,২৫,০০০ নাগরিককে ফেরত নিয়েছে, কিন্তু এখনো প্রায় ৩,২৫,০০০ মানুষ বাংলাদেশের ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে বসবাস করছেন।
এ বিষয়গুলোই মূলত বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্ভবত এখন সময় এসেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জন্য অতীতের সমস্যা কাটিয়ে ভবিষ্যতের মঙ্গল চিন্তা করে একসঙ্গে কাজ করার। একটি প্রতিবেশীকে খুশি রাখতে গিয়ে আরেকজন থেকে দূরে থাকার নীতি একটি স্বাধীন দেশের পররাষ্ট্রনীতি হতে পারে না।