খেলাধুলা
প্রতি উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে: ক্রীড়া উপদেষ্টা

দেশের প্রতিটি উপজেলায় স্টেডিয়াম তৈরি করা হবে। এসব স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের নামে নামকরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের পশ্চিম পাশে শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য ‘শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে আরো সময় লাগবে। এখনো গণকবরের সন্ধান মিলছে। জুলাই-আগস্টের গণবিপ্লবের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে পাঠ্য পুস্তকে একটি অধ্যায় যুক্ত করা হবে।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এই মাঠের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ ফারহান খেলার মাঠ। কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের নাম করেছি শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম। টাঙ্গাইলের জেলা স্টেডিয়ামের নাম করা হয়েছে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া মারুফের নামে। ২২০টির অধিক উপজেলা স্টেডিয়াম হবে। আমরা নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই ২২০টি স্টেডিয়ামের নাম সেই উপজেলার শহীদের নামে নামকরণ করা হবে।
শহীদের ত্যাগ এবং রক্তের মূল্য কখনও পরিশোধ করা সম্ভব হবে না মন্তব্য করে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু আমাদের সাধ্যের মধ্যে যতটা সম্মান প্রদর্শনের সুযোগ আছে, সেটা আমরা করার চেষ্টা করছি।
পাঠ্য বইয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে পরবর্তী বছরের পাঠ্যপুস্তকে যেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম পড়তে পারে সেই জন্য শহীদদের গল্পগুলো তুলে ধরতে পারি, সেই প্রচেষ্টা শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নিচ্ছে। তবে ২০২৫ সালের যে পাঠ্যপুস্তক আসছে, সময় স্বল্পতার কারণে অন্তর্ভুক্তিটা হয়তো ততটা দৃশ্যমান করা সম্ভব হয়নি। একটা চ্যাপ্টার আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে থাকবে এবং সেইখানে আমাদের শহীদদের স্মৃতি কথা লেখা থাকবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শহীদ ফারহান ফাইয়াজের বাবা শহীদুল ইসলাম জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদের আত্মত্যাগ যেন হারিয়ে না যায়। সে চেষ্টা অব্যাহত রাখার তাগিদ দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খেলাধুলা
মার্চে বুমরাহকে পাচ্ছে না মুম্বাই

২০২৫ আইপিএল শুরু হওয়ার আগেই বড় ধাক্কা খেলো মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে সম্ভবত আইপিএলের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে পাবে না দলটি। ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এই তথ্য।
জানা গেছে, চোটে থাকা বুমরাহর এখনও পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলছে। তিনি এখনও পুরো ফিট নন। সম্ভবত এপ্রিলের প্রথম দিকে তিনি স্কোয়াডে যোগ দিতে পারেন। এদিকে মার্চ মাসেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তিনটি ম্যাচ রয়েছে। সেই ম্যাচগুলোতে বুমরাহকে পাওয়া যাবে না বলেই দাবি করেছে ক্রিকইনফো।
ভারতীয় দলের তারকা পেসার বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে মেডিকেল টিমের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স পাননি। তিনি ছাড়পত্র পেলে তবেই মুম্বাইয়ের দলে যোগ দিতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের সময় থেকেই বুমরাহ পিঠের খিঁচুনিতে ভুগছিলেন। সেই চোট এখনও সারেনি। যার জেরে জানুয়ারি মাস থেকেই তিনি ২২ গজের বাইরে রয়েছেন।
তারপরও বুমরাহর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডে রেখেছিল ভারত। কিন্তু তারকা বোলার টুর্নামেন্টের জন্য সময় মতো চোট সারিয়ে ফিট হয়ে উঠতে পারেননি। যে কারণে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে পারেননি।
বুমরাহ এরইমধ্যে জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে বোলিং শুরু করলেও, এখনও পুরো শক্তি দিয়ে বল করছেন না। যে কারণে বুমরাহ ঠিক কত ম্যাচ মিস করবেন এবং ফেরার নির্দিষ্ট তারিখ আছে কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে বুমরাহের চোট নিয়ে বিসিসিআই ধীরে চলো নীতিই নিয়েছে। তারা তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অধিনায়কের নাম ঘোষণা করলো দিল্লি ক্যাপিটালস

লোকেশ রাহুলকে পেছনে ফেলে দিল্লি ক্যাপিটালসের নতুন অধিনায়ক হলেন অক্ষর প্যাটেল। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় দলের এই তারকা অলরাউন্ডারকে নতুন দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ।
৩১ বছর বয়সী অক্ষর ২০১৯ সালে প্রথমবার দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেন এবং তারপর থেকে দলের অন্যতম সেরা পারফর্মার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। গত ছয় মৌসুমে তিনি ৮২ ম্যাচে ৯৬৭ রান করার পাশাপাশি ৭.০৯ ইকোনমি রেটে ৬২টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন।
দলের নতুন অধিনায়ক সম্পর্কে দিল্লি ক্যাপিটালসের চেয়ারম্যান কিরণ কুমার গ্রান্ধি বলেছেন, ‘আমরা অক্ষরকে দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তিনি ২০১৯ সাল থেকে আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এই দলের মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটান। গত দুই মৌসুমে তিনি ভাইস-ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করেছেন, এবং এখন স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়কের ভূমিকায় এগিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের কোচিং স্টাফ ও অভিজ্ঞ নেতৃত্ব গোষ্ঠীর পূর্ণ সমর্থন তার সঙ্গে রয়েছে। আমি নিশ্চিত, এই নতুন দায়িত্বে তিনি দুর্দান্ত কাজ করবেন।’
নতুন অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর অক্ষর প্যাটেল বলেছেন, ‘দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মালিকপক্ষ ও কোচিং স্টাফের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ক্যাপিটালসের হয়ে খেলার সময় আমি একজন ক্রিকেটার ও ব্যক্তি হিসেবে বেড়ে উঠেছি এবং এখন নিজেকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ও আত্মবিশ্বাসী মনে করছি।’
১৫০টি আইপিএল ম্যাচে অক্ষর প্যাটেল ১৬৫৩ রান ও ১২৩ উইকেট নিয়েছেন। ২০১৬ সালে ৫ বলে ৪ উইকেট নেওয়ার মাধ্যমে তিনি একটি দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছিলেন। ২০১৯ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসে যোগ দেওয়ার পর তিনি একজন নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
দিল্লি ক্যাপিটালস তাদের আইপিএল মিশন শুরু করবে ২৪ মার্চ। বিশাখাপত্তনমে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ অক্ষর প্যাটেলের দলের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আজ বুধবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের ভ্যারিয়েইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানান অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটার।
পোস্টে মাহমুদউল্লাহ লেখেন, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র সর্বশক্তিমান আল্লাহর জন্য। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি আমার সকল সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছেন।
‘বিশেষ ধন্যবাদ আমার বাবা-মা, শ্বশুরবাড়ির সবাইকে, বিশেষ করে আমার শ্বশুরকে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে আমার ভাই এমদাদ উল্লাহকে, যিনি শৈশব থেকেই আমার সাথে ছিলেন, আমার কোচ ও মেন্টর হিসেবে।’
‘সবশেষ আমার স্ত্রী ও সন্তানদের অসীম ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই, সুখে-দুঃখে আমার শক্তি হয়ে যারা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন। আমি জানি, রায়েদ আমাকে লাল-সবুজের জার্সিতে মিস করবে।’
কয়েকদিন শোনা গেছে, মাহমুদউল্লাহ মাঠ থেকে অবসর নেবেন। সতীর্থ, ভক্ত-সমর্থকদের মন জিতবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তেমন কিছুই হলো না।
অনেকটা আক্ষেপের সুরেই মাহমুদউল্লাহ লেখেন, সবকিছু সবসময় নিখুঁতভাবে শেষ হয় না, কিন্তু জীবন এগিয়ে নিতে হয়। শান্তি… আলহামদুলিল্লাহ। আমার দল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য রইল শুভকামনা!
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশের ব্রোঞ্জ নিশ্চিত

ইরানে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশীপে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জের লক্ষ্যে গিয়েছিল। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। আজ গ্রুপের শেষ ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৪২-২৭ পয়েন্ট হারিয়ে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে।
কাবাডিতে সেমিফাইনালে হারলেও দুই বিজিত দল ব্রোঞ্জ পায়। ফলে স্বাগতিক ইরানের কাছে হারলেও ব্রোঞ্জ বাংলাদেশের জানিয়েছেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসএম নেওয়াজ সোহাগ। বাংলাদেশ সময় আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় শুরু হবে ইরান-বাংলাদেশ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচ। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ নেপাল।
সব ম্যাচ জিতে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এশিয়ান নারী কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ফেভারিট ভারত। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারত ৭৩-১৯ পয়েন্টের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মালয়েশিয়াকে। অপেক্ষা ছিল রানার্স-আপ দলের। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উভয় দলই ভারতের কাছে হেরেছে। আবার মালয়েশিয়াকে হারিয়েছে দুই দলই। তাই গ্রুপে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড দুই দলের পয়েন্ট ছিল সমান। এর ফলে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের ম্যাচ হয়ে দাঁড়িয়েছিল অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনাল।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিললেও প্রথমার্ধে ৯ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। ২২ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ও ১৩ পয়েন্ট নিয়ে থাইল্যান্ড বিরতিতে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছন্দ ধরে রাখে বাংলাদেশ। ম্যাচে আর ফিরতে পারেনি থাইল্যান্ড। ৪২-২৭ পয়েন্টে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ চারে নাম লেখায় বাংলাদেশ।
‘এ’ গ্রুপে চার দল হলেও ‘বি’ গ্রুপে তিন দল। ইরাক দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। স্বাগতিক ইরান ও নেপালের ম্যাচ ছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। বড় ব্যবধানে ইরান হারিয়েছে নেপালকে। ৪৭-১৪ পয়েন্টে ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছেছে ইরান। আর তাই সেমিফাইনালে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ইরান পেয়েছে ‘এ’ গ্রুপ রানার্স-আপ বাংলাদেশকে। আর অন্য সেমিফাইনালে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ভারত মুখোমুখি হবে ‘বি’ গ্রুপ রানার্স-আপ নেপালের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অবশেষে বিদ্রোহ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সাবিনাদের

বিদ্রোহী ফুটবলাররা অনুশীলনে ফিরতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফুফের নারী উইং কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বাফুফে ভবনে বিদ্রোহী মেয়েদের সঙ্গে সভা করেছেন কিরণ। সেখানেই বিদ্রোহের অবসান হয়েছে বলে বাফুফের এই অন্যতম সদস্য জানিয়েছেন।
তবে সাবিনাসহ অন্যরা এখনই কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলনে ফিরছেন না। আপাতত ছুটিতে যাবেন সবাই। তারপর ফিরে এসে নতুন করে অনুশীলনে যোগ দেবেন।
সাবিনাদের সঙ্গে সভা করে রবিবার সংবাদ মাধ্যমকে কিরণ জানিয়েছেন, আমাদের চেষ্টা অব্যাহত ছিল তাদেরকে ফিরিয়ে আনার জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় আজকেও বসেছিলাম। বসার পর বলতে পারি মেয়েরা অনুশীলনে ফিরছে। তবে এখনই ফিরবে না। ২৪ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যাবে। এলে সবার জন্য বন্ধ হবে ক্যাম্প।
সিনিয়র খেলোয়াড়রা ব্রেক চাইছে। ওদের জন্য ব্রেক হবে। তারপর ওরা ক্যাম্পে ফিরে অনুশীলন করবে। এর আগে আমরা যা করবো বাফুফে, কোচ ও খেলোয়াড় সহ সবার সঙ্গে বসে ভুল বোঝাবুঝি যা ছিল তা মিটিয়ে দেওয়া হবে।
বিরতি থেকে ফিরে এসে সাবিনারা অনুশীলন সহ কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আসবেন বলে কিরণ জানিয়েছেন। তার ভাষায়, যেহেতু এক সঙ্গে সবাই অনুশীলন করবে। মাঠে কারও প্রতি অসন্তোষ থাকলে তাহলে ভালো কিছু হবে না। তাই আমরা এক সঙ্গে বসে নিরসনের চেষ্টা করবো।
মেয়েরা আজ আমাকে বলেছে ফিরে এসে চুক্তি করবে। অনুশীলন ফিরবে। আমাদের জন্য এটা ইতিবাচক। যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল সেগুলো থেকে তারা সরে এসেছে।
এদিকে ২৬ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ আর আগামী ২ মার্চ একই দলের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সাবিনা-মনিকাসহ ১৮ ফুটবলারের কেউ আমিরাত ম্যাচের স্কোয়াডে থাকছেন না।
দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল ১৮ নারী ফুটবলারের এই বিদ্রোহ। গত ৩০ জানুয়ারি বাফুফে ভবনের সামনে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোচ পিটার বাটলারের বিরুদ্ধে তিন পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ তুলে ধরেন সাবিনারা। বাটলারকে কোচ রেখে দেওয়া হলে অনুশীলনে যোগ দেবেন না এবং সবাই একযোগে অবসরের হুমকি দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসানকে চেয়ারম্যান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বাফুফে। সেই কমিটি তদন্ত শেষে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর কয়েক দফা বাফুফে সভাপতিও এই বিদ্রোহী ফুটবলারের অনুশীলনে ফেরার আহ্বান জানান।
বাফুফের নারী উইং থেকেও একাধিকবার বৈঠক হয় মেয়েদের সঙ্গে। কিন্তু এই ১৮ ফুটবলার সিদ্ধান্ত বদলাতে রাজি হননি। অবশেষে তারা পুরোনো সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন আজ।