অর্থনীতি
দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সহায়তা
তারল্য ঘাটটি মেটাতে দুর্বল ব্যাংকে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছে সবল ৯ ব্যাংক। তবে এসব ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক। সাতটি ব্যাংক থেকে তারা পেয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহায়তা পাওয়া ব্যাংকগুলো হলো- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ছয় ব্যাংক থেকে ১ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ছয় ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি, ন্যাশনাল ব্যাংক ৯২০ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৭০০ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাংক ৪০০ কোটি এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ২৯৫ কোটি টাকা পেয়েছে।
এসব ব্যাংকগুলোকে সোনালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, পুবালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক তারল্য সহায়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা বলেন, দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হবে। তবে আমানতকারীদের স্বার্থ সবার আগে বিবেচনা করা হবে।
চলতি সপ্তাহের সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে সভা করেন। সেই সভায় দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রাখতে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।
ক্ষমতার পালাবদলের পর ইসলামী ধারার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিলে ব্যাংকগুলোতে শুরু হয় তারল্য সংকট। পরিস্থিতি এমন হয় যে গ্রাহকরা ২০ হাজার টাকাই তুলতে পারছিলেন না।
এ পরিস্থিতিতে গভর্নর সবল ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকের নগদ টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেন। এরপর সবল ১০ ব্যাংক তারল্য সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্মতি দেয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
পাকিস্তান থেকে চট্টগ্রামে এলো পণ্যবাহী জাহাজ
পাকিস্তানের করাচি থেকে সারাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এই প্রথম করাচি থেকে সরাসরি কার্গো ভেসেল চট্টগ্রামে এলো।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
হাইকমিশন বলছে, করাচি থেকে সারাসরি পণ্যবাহী একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে, যা দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি সামুদ্রিক সংযোগকে চিহ্নিত করেছে। এই যাত্রা দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে তুলে ধরেছে।
ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ সরাসরি শিপিং রুটটিকে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলে আরও সমন্বিত ও বাণিজ্য নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেন।
হাইকমিশনার বলেন, এই উদ্যোগটি কেবল বিদ্যমান বাণিজ্য প্রবাহকে ত্বরান্বিত করবে না বরং ছোট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে বড় রপ্তানিকারকদের উভয় দিকের ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগের প্রচার করবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিমা পলিসি থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ বাদ
রাষ্ট্রীয় জীবনবিমা প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশনের এক বিমা পলিসির নাম ছিল ‘বঙ্গবন্ধু সর্বজনীন পেনশন বিমা’। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে তিন বছর আগে এটি চালু করা হয়। তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পলিসিটির নাম বদলে ফেলে জীবন বীমা করপোরেশন। এর নাম রাখা হয় ‘মেয়াদি সুবিধাযুক্ত পেনশন বিমা’।
পরিবারের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি মেয়াদ শেষে যাঁরা মাসিক পেনশন পেতে চান, তাঁদের জন্যই এ পলিসি। এই পলিসির বড় সুবিধা হচ্ছে, কেউ চাইলে মেয়াদ শেষে এককালীন শতভাগ বা ৫০ শতাংশ টাকাও তুলে নিতে পারেন।
জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. মুহিবুজ্জামান বলেন, পটপরিবর্তনের পর পলিসিটি থেকে ‘বঙ্গবন্ধু’ শব্দ বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে পলিসিটির আওতায় গ্রাহকদের সুযোগ-সুবিধা আগের মতোই আছে।
জীবন বীমা করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. আসাদুল ইসলামের সময় বঙ্গবন্ধুর নামে পলিসির নাম রাখা এবং বাদ দেওয়া হয়।
এদিকে জীবন বীমা করপোরেশনের মতো সাধারণ বীমা করপোরেশনেও ২০২০ সাল থেকে ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা’ নামে একটি বিমা পলিসি ছিল। এর নাম বদলে করা হচ্ছে ‘সর্বজনীন সুরক্ষা বিমা’। নাম পরিবর্তনের জন্য আইডিআরএর কাছে সম্প্রতি অনুমোদন চেয়েছে সাধারণ বীমা করপোরেশন। পটপরিবর্তনের পর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই করপোরেশন এ আবেদন করেছে বলে জানা গেছে। করপোরেশনের এমডি মো. হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত আবেদনে বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বিমা’ চালুর বিষয়ে করপোরেশনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল আইডিআরএ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাজারে বিশৃঙ্খলার কারণে দাম কমছে না: অর্থ উপদেষ্টা
আমদানি পর্যায়ে নিত্যপণ্যের শুল্ক কমানো হলেও ‘বাজারে বিশৃঙ্খলার কারণে’ দাম কমছে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বাজারে এতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ বলছে দাম কমছে না, অথচ এনবিআর অনেক সুবিধা দিয়েছে।
বুধবার পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘পিকেএসএফ দিবসের’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দুই অংকে পৌঁছে যাওয়া মূল্যস্ফীতিতে লাগাম দিতে সরকার আমদানি পর্যায়ে চালের পাশাপাশি পেঁয়াজ, আলু আর ভোজ্যতেলের শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু তার কোনো প্রভাব খুচরা বাজারে নেই। বরং গত এক মাসে আলুর দাম কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা, চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ থেকে ১২ টাকা, পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, রসুনের দাম ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে।
এসব পণ্যের দর বৃদ্ধি স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবন আরও কঠিন করে তুলেছে, কারণ স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের খাদ্যের পেছনে ব্যয়ের বেশিরভাগ করেন এসব পণ্য কিনতেই।
পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে গত অগাস্টে খাদ্য খাতে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল, সেপ্টেম্বরে তা ছিল ১০ দশমিক ৪০; আর অক্টোবরে হয়েছে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ মূল্যস্ফীতি।
কয়েক দিন আগেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানো সালেহ উদ্দিন আহমেদ পিকেএসএফের অনুষ্ঠানে বলেন, “ট্যাক্স কমিয়ে দিলাম, তারপরও নিত্যপণ্যের দাম কমে না। মানুষ অধৈর্য্য হয়ে গেছে, এটাই স্বাভাবিক। প্রধান উপদেষ্টাকে বললাম বাজারে দাম কমানো শুধু বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না।”
নিজের অভিজ্ঞতা থেকে দাম না কমার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এখানে অনেকগুলো ফ্যাক্ট আছে। মানুষের বাজারে কষ্ট হচ্ছে ৫০০ টাকা নিয়ে গেল দুমুঠো শাক, অন্যান্য… কিন্তু টাকা শেষ হল। আমি চেষ্টা করছি বাজারে দাম কমানোর জন্য।”
ভারতে ইলিশ রপ্তানিকে কেন্দ্র করে সামাজিক মাধ্যমে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হলেও বিষয়টি ইতিবাচক হিসেই দেখতে চান সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন।
তিনি বলেন, আমার ছোট ভাই ফোন দিয়ে বলে ভাই, ইলিশ মাছ দিয়ে দিলেন, ফেইসবুকে আপনাকে গালি দিয়ে ভরে দিচ্ছে। আমার কিন্তু ফেইসবুক নাই। একটা সিজনে ৫ লাখ ৩০ হাজার টন ইলিশ উৎপাদন হয়, ভারতে দিলাম মাত্র ৩ হাজার টন। অনেকে বলছে ভারতে ইলিশ দেওয়া ভালো সিদ্ধান্ত।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চলে গেলেও মানুষ মনে টনে রাখবে। কারণ আমরা ভালো কাজ করেছি। মানুষ বলবে, ‘স্যার আপনি ওখানে ছিলেন, আপনি অমুক কাজ করছেন’।
“অনেকে আমাদের ধন্যবাদ দেয় যে– ‘স্যার আপনি ট্যাক্সের অমুক কাজটি ভালো করেছেন।’ বন্ডের ট্যাক্স তুলে দেওয়াতে মানুষ আমাদের অনেক ভালো বলে। সঞ্চয়পত্রেও আমরা ভালো করেছি। এখন সঞ্চয়পত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিনিউ হচ্ছে। ভালো জিনিস যত তাড়াতাড়ি করা যায় ততই মঙ্গল।”
সেই সঙ্গে আক্ষেপও করেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু আবার প্রতিষ্ঠান নেই– এমন অবস্থা। ভালো প্রতিষ্ঠানের বড্ড অভাব। বিল্ডিং আছে, কিন্তু মানুষ নেই, সেখানে স্বচ্ছতার অভাব, জবাবদিহিতার অভাব। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে প্রতিদিন কথা বলি, যে তুমি এটা দেখ।”
সারা বিশ্বে এ সরকারের বিষয়ে সবাই ‘ইতিবাচক মন্তব্য করে’ দাবি করে সালেহ উদ্দিন বলেন, আমাদের দিকে কেউ মুখ বাঁকা করছে না। বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ সভায় গেলাম, ৭ থেকে ৮ দিন ছিলাম, এতগুলো সভা করতে গিয়ে আমরা ক্লান্ত। সবাই আমাদের বিষয়ে ইতিবাচক। সভা করতে করতে আমরা হয়রান হয়ে গেছি। সবাই আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চায়। তবে সব থেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কিছু শর্ত থাকে, তবে শর্ত কঠিন নয়। প্রত্যেকে হাত বাড়িয়েছে।
দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের সম্ভাবনা আছে। দেশের কৃষক মজুর ও পোশাক শ্রমিকের অবদানের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা মানুষের সঙ্গে মিলে মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাব। আমরা দায়িত্ব পালন করছি। আমরা শর্ট টার্ম সংস্কার করব, লং টার্ম সংস্কার করবে না। লং টার্ম সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আমরা চাইলেই সব কিছু পারি না, আমাদেরও কিছু বাঁধা আছে।
পিকেএসএফ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থায়ন’। পিকেএসএফ চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদিউর রহমান; স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএপের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল কাদের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অনলাইনে রিটার্ন দাখিলে ভ্যাটদাতাদের সহায়তা
ভ্যাট বা মূসক সেবামুখী ও জনবান্ধব করতে অনলাইনে জমা দেওয়ায় উৎসাহিত করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর। ভ্যাটদাতাদের ঝামেলামুক্ত রাখতে অনলাইনে দাখিল করতেও সহায়তা করছে সংস্থাটি।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) এনবিআর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এনবিআর অনলাইনে রির্টান দাখিলে উৎসাহিত করে জানায়, কাগুজে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করলে রিটার্নের তথ্য ভ্যাট অনলাইন সিস্টেমে কিংবা ভ্যাটদাতাদের সংরক্ষণে নাও থাকতে পারে। যা ভবিষ্যতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ফলে ঝামেলামুক্ত থাকতে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করা অত্যন্ত সহজ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকল ভ্যাট কমিশনারেট, বিভাগীয় দপ্তর এবং সার্কেল অফিসে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে ভ্যাটদাতাদের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। ভ্যাটদাতাগণ সংশ্লিষ্ট ভ্যাট অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন।
আধুনিক, অটোমেটেড ভ্যাট ব্যবস্থা নির্মাণে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলের আহ্বান জানায় এনবিআর।
এদিকে অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল সহজ করতে সম্প্রতি ভ্যাট জমা দেওয়ার পর কোনো হার্ডকপি কর অফিসে দাখিল করতে হবে না বলে জানিয়েছে এনবিআর। সংস্থাটি জানায়, অনলাইনে দাখিলপত্র, সহগ ঘোষণা ইত্যাদি দাখিল করার পর কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভ্যাট অফিসার কর্তৃক হার্ডকপি চাওয়া হয় যা আইনসঙ্গত নয়। তাই অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করলে হার্ডকপির প্রয়োজন নেই।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে প্রতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে রিটার্ন দিতে হয়। অন্যথায় জরিমানা ও সুদ আরোপ করা হবে। এছাড়া ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রতি মাসের বেচাকেনার ওপর ভিত্তি করে ভ্যাট রিটার্ন দিতে হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আদানির সঙ্গে বিদ্যুতের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে একতরফা চুক্তি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আবদুল কাইয়ুম। বুধবার (১৩ নভেম্বর) এই রিট পিটিশন দায়ের করেন তিনি।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে হওয়া চুক্তি দেশের স্বার্থবিরোধী উল্লেখ করে এই রিট দায়ের করেছেন এম. আবদুল কাইয়ুম। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটির শুনানি হবে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে আদানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম কাইয়ুম। আইনি নোটিশে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চাওয়া হয়।
সে সময় জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছিল। লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তিনদিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যালোচনা কমিটির সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত ও নথি কমিটিকে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়া করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। সে সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
এমআই