রাজনীতি
হাজী সেলিমের ছেলে সোলাইমান সেলিম গ্রেপ্তার
হাজী সেলিমের ছেলে ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার গভীর রাতে রাজধানীর গুলশানের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা-পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে নেওয়া হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন চক বাজার থানার ওসি।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোলাইমান সেলিম চকবাজার থানার একটি হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি। তিনি গুলশানে এক আত্মীয়-এর বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত সোয়া একটায় চকবাজার থানা-পুলিশ সোলায়মান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সোলায়মান সেলিম গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান। তিনি হাজী সেলিমের বড় ছেলে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাজী সেলিমও গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সেলিনা হায়াৎ আইভীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর স্পেশাল জজ আদালত থেকে ওই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
গত ১২ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে আবুল হোসেনকে রাখা হয়। আবুল হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে সিএনজি, অটোরিকশা হতে চাঁদাবাজি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার নিজ নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে রয়েছে ৪ থেকে ৫টি ফ্ল্যাট তার ব্যক্তিগত সহকারী আরিফ হোসেনকে তার পদে পদায়ন না করে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করা হয়। তার গাড়ি চালকের নামে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বরফ কল এবং পানির কল এলাকায় ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে সিদ্ধিরগঞ্জ অঞ্চলে কঠিন বর্জ্য সংগ্রহ এবং অপসারণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোপাট করে তার দুই ভাই আলী রেজী রিপন এবং আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল। নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৭ তলা বিশিষ্ট এক বিশাল বাড়ি, নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী চিত্ত বিনোদন ক্লাব ভেঙে সেখানে একটি মার্কেট নির্মাণ করেছেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৮ একর জমি দখল করে সেখানে শেখ রাসেল পার্ক নির্মাণ।
ওই সম্পদ ও দুর্নীতি ব্যতীত সাবেক মেয়র ড. সেলিনা হায়াৎ আইভীর নামে, তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গ এবং তার নিকট আত্মীয়দের নামে আরও অবৈধভাবে অর্জিত জ্ঞাত-আয় বর্হিভূত সম্পদ রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্যানুসন্ধানে সত্যতা পেয়েছে দুদক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
জাতি হিসেবে আমাদের সহনশীল হতে হবে: ফখরুল
দীর্ঘ ফ্যাসিস্ট শাসন আমলে কতগুলো গার্বেজ তৈরি হয়েছে। এগুলো পরিস্কার সত্যিকার অর্থে ১৭ দিনেও সম্ভব নয়, ১৭ মাসেও নয়। তাই জাতি হিসেবে আমাদের এখন সহনশীল হতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের পর কালিবাড়ির নিজ বাস ভবনে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ একটা কাজ খুব সফলভাবে করেছে। তা হলো জাতিকে বিভক্ত করা। এই বিভক্তি দূর করে একটা ঐক্যবদ্ধ জাতি চাই। রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন থাকবে কিন্তু ঐক্য থাকবে মৌলিক বিষয়ে। এই ঐক্য রাখার ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করেছি এবং সফলও হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এখন যেটা মনে করি এবং এখন যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার জাতি হিসেবে আমাদের অসহিষ্ণু হলে চলবে না, আমাদের সহনশীল হতে হবে। ১৭ বছরে একটা জঞ্জাল, একটা গার্বেজ তৈরি হয়েছে এটা সত্যি কথা বলতে ১৭ দিনেও সম্ভব না, ১৭ মাসেও না। তাদের সময় দিতে হবে। তাদের প্রধান যে দায়িত্ব আমরা বারবার বলছি, সব সংস্কারে তাদের হাত দেওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন নেই। নির্বাচিত যে পার্লামেন্ট আসবে তারা সে কাজগুলো করবে। এই সরকারের দায়িত্ব হবে নির্বাচনের জন্য একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা। সকলে যেন ভোট দিতে পারে। সকলে যেন অংশ নিতে পারে। আর ভোটের যে সিস্টেম আওয়ামী লীগ করে গেছে সেগুলো নির্মূল করা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিন: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচন দিন। নির্বাচনই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র পথ। অন্যান্য সরকারের দিকে না তাকিয়ে আপনাদের মত করে দেশ পরিচালনা করুন।
আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় লালমনিরহাটের বড়বাড়ি ইউনিয়নে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন সংস্কারের বিষয়গুলো শেষ করতে পারেন সে ব্যাপারে সহনশীলতা দেখাতে হবে। সব সমস্যা রাজনীতিতে না নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
ফখরুল বলেন, দেশের সব জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া। সেদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া বিতর্কিত কেউ যাতে উপদেষ্টা পরিষদের যুক্ত হতে না পারেন সেদিকেও নজর দিতে হবে। দীর্ঘ ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসন শেষে দেশের মানুষ এখন মুক্ত বাতাসের স্বাদ নিতে পারছে। শহীদ জিয়ার চেতনাকে বুকে লালন করে বিএনপি নেতাকর্মীকে এগিয়ে যেতে হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
শেখ মুজিবের ছবি সরানো বক্তব্য নিয়ে রিজভীর দুঃখ প্রকাশ
বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সরানো উচিত হয়নি- বলে নিজের করা এমন মন্তব্য নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এই তথ্য জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, আজকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় বিএনপি আয়োজিত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি সরানো উচিত হয়নি’ মর্মে একটি সংবাদ অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে।
আজ গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘বঙ্গভবন থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে’ মর্মে একটি সংবাদের প্রতি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ হয়। আমি মনে করেছিলাম, বঙ্গভবনের দরবার কক্ষে যেখানে সব রাষ্ট্রপতির ছবি থাকে সেখান থেকে শেখ মুজিবের ছবি নামানো হয়েছে। মূলত, ছবিটি সরানো হয়েছিল বঙ্গভবনের অন্য একটি অফিস কক্ষ থেকে।
শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনে শেখ মুজিবের ছবি রাখার বাধ্যতামূলক আইন করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী আইনের কোনো কার্যকারিতা থাকতে পারে না। অফিস-আদালত সর্বত্রই দুঃশাসনের চিহ্ন রাখা উচিৎ নয়। অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্যের জন্য আমি দুঃখিত।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামানো ঠিক হয়নি: রিজভী
বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি। জাতীয় পর্যায়ে যাদের অবদান আছে, তাদের স্বীকার করতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কেউ অপরাধ করলে ইতিহাস ও জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে। আওয়ামী লীগের মতো সংকীর্ণমনা দল বিএনপি নয়। বঙ্গভবন থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামানো ঠিক হয়নি। খন্দকার মোশতাকও তার ছবি নামিয়েছিলেন আর জিয়াউর রহমান আবার টাঙিয়েছিলেন সেই ছবি।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ভালো ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার শাসনামলে বিভাজন করা হয়েছিল। বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি অনেককে। রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত করা হয়েছে তাদের। একই পদে ১৫ থেকে ১৬ বছর চাকরি করেছেন তারা।
রিজভী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অনেক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়েছে, মারা গেছে। চিকিৎসকরা রাতের পর রাত জেগে থেকে চিকিৎসা করেছে, ময়নাতদন্ত করেছে। আমরা হাসপাতাল ঘুরে-ঘুরে তাদেরকে দেখতে গিয়েছি। আপনারা (উপদেষ্টা ও সচিব) কয়জন হাসপাতালে গিয়েছেন? আর আজকে অহংকার করেন, কথা বলতে চান না। আমরা আপনাদের চিনে রাখছি। আপনারা কারা? আপনারা শেখ হাসিনার দোসর। বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর কথা তুলে আজকে সচিব ও যুগ্ম সচিব হচ্ছেন। উপদেষ্টার পদে আছেন।
তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করেছেন স্বাধীনতার পরে। সব দল নিষিদ্ধ করেছেন, গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে তার হাত ধরে। এর আগে ৬০’র দশকে তিনি স্বাধিকার আন্দোলন করেছেন। মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছিল, ভোট দিয়েছিল। কিন্তু তিনি তার অঙ্গীকার রক্ষা করতে পারেননি। আমাদের স্বাধিকার আন্দোলনে তার ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতার যুদ্ধে তার কোনো ভূমিকা নেই। স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন একজন অদম্য সৈনিক, জিয়াউর রহমান।
রিজভী বলেন, দেশ স্বাধীন হলো, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। আমরা দেখলাম তাদের হাত দিয়ে হত্যা, খুন ও গুম হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি কম অত্যাচার করত তাহলে তাকে পালাতে হতো না।
কাফি