জাতীয়
বিশ্বসেরা এয়ারলাইনের স্বীকৃতি পেলো এমিরেটস
বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনের মর্যাদা অর্জন করলো এমিরেটস। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত ‘আল্ট্রাস ২০২৪’ অ্যাওয়ার্ডসে এয়ারলাইনটিকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়। ব্যতিক্রমধর্মী, প্রোডাক্ট সেবা এবং অসাধারণ ভ্যালু-ফর-মানি অভিজ্ঞতার জন্য বিশ্বের হাজার হাজার ভ্রমণকারী সেরা এয়ারলাইন হিসেবে এমিরেটসকে বেছে নেয়।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমিরেটস বাংলাদেশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এমিরেটস বাংলাদেশ জানায়, লন্ডনের ক্যান্সিংটন প্রাসাদে সম্প্রতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন এমিরেটসের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট (কমার্শিয়াল অপারেশনস ইউরোপ ও আমেরিকা) থিয়েরি অকস এবং যুক্তরাজ্যে এমিরেটসের ডিভিশনাল ভাইস-প্রেসিডেন্ট জাবর আল-আজিবি।
এমিরেটসের ‘ফ্লাই বেটার’ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এরইমধ্যে এবছর এয়ারলাইনটিকে ২০টির বেশি পুরস্কার এনে দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে টেলিগ্রাফ ট্রাভেল কর্তৃক ‘বিশ্বের সেরা এয়ারলাইন’; ৯০টি বৈশ্বিক এয়ারলাইনের মধ্যে প্রথম; দা টাইমস এবং সানডে টাইমস ট্রাভেল অ্যাওয়ার্ডস-এ ‘সেরা এয়ারলাইন’।
এমিরেটস জানায়, ট্রাভেল সেক্টরে বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয় আল্ট্রাস। এক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়। বিজয়ীরা নিয়মিতভাবে ভ্রমণকারীদের ভোটে নির্বাচিত হয়। আল্ট্রাট্রাভেল একটি স্বাধীন ও জনপ্রিয় ম্যাগাজিন, যা বিশ্বের প্রায় ১২ লাখ ভ্রমণকারী নিয়মিত পড়ে থাকেন।
এমিরেটস বর্তমানে ঢাকা থেকে সপ্তাহে ২১টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। বাংলাদেশিদের দুবাই এবং দুবাই থেকে বিশ্বের ১৪৮টি গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জলবায়ু সম্মেলনে নতুন সভ্যতা গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জলবায়ু সংকট যখন মানব সভ্যতার ধ্বংস ডেকে আনার হুমকি দিচ্ছে, তখন পুরো বিষয়টিকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানালেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, মানব সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে গ্রহণ করতে হবে ভিন্ন জীবনধারা, গড়ে তুলতে হবে ভিন্ন এক সংস্কৃতি। আর সেটা হতে পারে তার দীর্ঘদিনের লালিত ‘থ্রি জিরো’ বা ‘তিন শূন্য’ ধারণা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে।
বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ২৯) সংকট মোকাবেলার নিদান হিসেবে এই তিন শূন্যের ধারণা বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ইউনূস।
তরুণদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান, তারা যেন তিন শূন্যের আদর্শ নিয়ে গড়ে ওঠে এবং পুরো জীবন সেই আদর্শে অটল থাকে।
বাকুতে কপ-২৯ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। আগের সম্মেলনগুলোতে যে প্রতিশ্রুতি বিশ্ব নেতারা দিয়ে আসছিলেন, তার বাস্তবায়ন কোন পথে হবে, সেই আলোচনা বাকুতেও ঘুরে ফিরে আসছে।
প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে ঠিক হয়েছিল, বৈশ্বিক তাপমামাত্রা বৃদ্ধির হার প্রাক শিল্পায়ন যুগের চেয়ে দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি বাড়তে দেওয়া হবে না। সেজন্য ২০৩০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে কার্বন ও গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ৫০ শতাংশ কমানো হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে অভিযোজনের সুযোগ পায়, সেজন্য উন্নত দেশগুলোর বছরে ১০ কোটি ডলার দেবে।
এরপর পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর, সেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অগ্রগতি খুব বেশি নেই।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে জলবায়ু বিপর্যয়কে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার কথা বলেন।
তিনি বলেন, “এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের শুধু মেরামত করার কথা বলবে না, বরং আমাদেরকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি এড়ানোর জন্য একটি নতুন পথে নিয়ে যাবে। এটা অনেক বড় কাজ, অনেক প্রশ্নও উঠবে।”
বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতা তুলে ধরে ইউনূস বলেন, “জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে। আমরা আত্মবিধ্বংসী মূল্যবোধের প্রচার চালিয়ে যাওয়ায় আমাদের সভ্যতা গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। একটি নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপনের জন্য আমাদের দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক এবং যুব শক্তিকে একত্রিত করা, যে সভ্যতা নিজেই নিজেকে রক্ষা করবে, নিজেই নিজের শক্তি যোগাবে।”
প্রধান উপদেষ্টার মতে, মানুষের কাজের কারণেই তাদের আবাসভূমি পৃথিবী আজ ধ্বংসের দুয়ারে পৌঁছে গেছে।
“আমরা জেনেশুনে এই ধ্বংসপ্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি। এমন এক জীবনধারা আমরা বেছে নিয়েছি, যা পরিবেশের ক্ষতির কারণ।”
বিষয়টি ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, যে অর্থনৈতিক কাঠামো মানুষ গড়ে তুলেছে, তা কেবল সীমাহীন ভোগবাদে উৎসাহ দেয়।
“আপনি যত বেশি ভোগ করবেন, তত বেশি উৎপাদন আপনাকে করতে হবে। আপনি যদি বেশি উৎপাদন করবেন, তত বেশি অর্থ আপনি উপার্জন করবেন। আমাদের সকল কর্মকাণ্ডের মূলে রয়েছে সর্বোচ্চ লাভের ওই আকাঙ্ক্ষা, যা কি না এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমস্ত কিছুকে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী পরিচালিত করে।”
ইউনূসের বিশ্বাস, শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, শূন্য দারিদ্র্য আর শূন্য বেকারত্ব অর্জনের পথ ধরে মানুষ পৌঁছাতে পারে সেই নতুন জীবনধারায়, যা আত্মবিধ্বংসী নয়, বরং নিজেই নিজের আবাসভূমিকে রক্ষা করবে।
“শূন্য বর্জ্যের নীতি মানুষের ভোগে লাগাম দেবে; যা একান্ত জরুরি, কেবল তাই মানুষ ব্যবহার করবে। তাতে কোনো বর্জ্য অবশিষ্ট থাকবে না। এটা সেই জীবনধারা, যেখানে কার্বন নিঃসরণ নামবে শূন্যের ঘরে, কোনো জীবাশ্ম জ্বালানি মানুষ ব্যবহার করবে না। মানুষের চাহিদা মেটাবে কেবল নবায়নযোগ্য জ্বালানি।
“নতুন এই অর্থনীতি গড়ে উঠবে প্রাথমিকভাবে শূন্য ব্যক্তিগত লাভের নীতিতে, অর্থাৎ সামাজিক ব্যবসা হবে এর ভিত্তি। এটা সেই ব্যবসা কাঠামো যার উদ্দেশ্য থাকবে সামাজিক ও পরিবেশগত সমস্যার সমাধান করা, ব্যবসা থেকে লাভ করা নয়। সামাজিক ব্যবসার একটি বড় অংশ নজর দেবে পরিবেশ ও মানবজাতির সুরক্ষার দিকে।
“সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন কেবল সুরক্ষিতই হবে না, গুণগতভাবেও উন্নত হবে। এ ব্যবস্থা তরুণদের জন্য উদ্যোক্তা হওয়ার পথ খুলে দেবে। উদ্যোক্তা হওয়ার নতুন শিক্ষার মধ্য দিয়ে তরুণরা নিজেদের প্রস্তুত করবে। চাকরিপ্রার্থী তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থার জায়গা নেবে উদ্যোক্তা তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা।”
ইউনূস বলছেন, পরিবেশের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন নতুন একটি জীবনধারা, যে জীবনধারা চাপিয়ে দেওয়া নয়, যা মানুষকে বেছে নেওয়ার সুযোগ দেবে। বেছে নেওয়ার সুযোগের কারণেই তরুণরা সেই জীবনধারাকে পছন্দ করবে।
“প্রতিটি তরুণ এই তিন শূন্যের নীতি নিয়ে বেড়ে উঠবে — শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ, সম্পদের শূন্য পুঞ্জিভূতকরণ এবং শূন্য বেকারত্ব। সেটা সম্ভব হবে কেবল সামাজিক ব্যবসা গড়ে তোলার মাধ্যমে এবং নিজেদের উদ্যোক্তায় পরিণত করার মাধ্যমে। প্রতিটি মানুষ তিন শূন্যের নীতি নিয়ে বেড়ে উঠবে এবং আজীবন তিন শূন্যের নীতি ধারণ করবে। আর সেই পথ ধরেই এটি নতুন সভ্যতা গড়ে উঠবে।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশ্বাস, সেই সভ্যতা গড়ে তোলা সম্ভব। সেজন্য মানুষকে যা করতে হবে, তা হল এই পৃথিবী এবং এর সকল বাসিন্দার জন্য মঙ্গলজনক একটি জীবনধারা বেছে নেওয়া। বাকিটা করবে তরুণ প্রজন্ম; তারা এই পৃথিবীকে ভালোবাসে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জলবায়ু সম্মেলনে হাজির হওয়া বিজ্ঞানী, নীতি নির্ধারক আর অধিকারকর্মীদের উদ্দেশে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আশা করি এই স্বপ্নের পথে আপনারাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন। আমরা যদি একসাথে স্বপ্ন দেখি, তাহলে সেটা বাস্তব হবেই।”
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৮ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৮ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে ২৫ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৩ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন।
বদলিকৃত কর্মকর্তাদের তালিকা দেখুন এখানে…
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কপ-২৯ সম্মেলনে আজ ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (১৩ নভেম্বর) কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস-২৯ (কপ-২৯)-এ ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কপ২৯-এ ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।’
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কপ২৯ সম্মেলন শুরু হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সফরে এখন বাকুতে রয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস মঙ্গলবার বাকুতে কপ২৯-এর উদ্বোধনী দিনে ব্যস্ত দিন পার করেন। ওইদিন তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ২০ জন শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা কপ২৯ ভেন্যুতে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তুর্কি ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি গভীর সংস্কার ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। ড. ইউনূস তাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টা করেন। ড. ইউনূস জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বন্দি ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের সঙ্গে দেখা করেছেন।
অন্যদের মধ্যে তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার রাষ্ট্রপতি, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিফা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস আইওএম মহাপরিচালকের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এফটিএ বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, জাপানের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে এবং এটি বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দেবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা একথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি ও দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, জাপানের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ককে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসের মানদন্ডে পৌঁছেছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। সুশাসন নিশ্চিত করে সরকার সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন,বাংলাদেশের সাথে জাপানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্যবস্যা বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে সেই বন্ধুত্ব আরো নিবিড় হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই বাণিজ্য সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা: শ্রম উপদেষ্টা
কোনো কারখানার মালিকপক্ষ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শ্রমিকদের রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের কষ্ট অনুভব করছি। আপনাদের ন্যায্য পাওনা আপনারা অবশ্যই পাবেন।
মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা সঠিকভাবে পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ভাই-বোনদের বকেয়া পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের ফ্যাক্টরি চলে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কারখানায় সরকার-ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশকে সচল রাখতে হবে। রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ নেই।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করা ও তা নিরসনের লক্ষ্যে ক্লাস্টার-ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্লাস্টার-ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে হবে। ওই কমিটি মালিকপক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। তারা বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে কি না, সেটিও নিশ্চিত করবে। শ্রমিক অসন্তোষ কেন হচ্ছে, কারণ কী—অনুসন্ধানপূর্বক সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরিতে বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখবে এ কমিটি।
তিনি দেশের স্বার্থে শ্রমিকদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন না দিতে পারা বার্ডস গ্রুপকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে সুদমুক্ত ১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই