প্রবাস
চীনে বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন
চীনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালিত হয়েছে। বিএনপি বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যোগে ৭ নভেম্বর দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় মো. ওয়ালী উল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।
এছাড়া সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, হোসাইন মোহাম্মদ সাখাওয়াত, মাসুদ আহমেদ, শেখ মাহবুবুর রশীদ, মো. রুহুল আমিন, আসিফ হক রুপু, মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন, মোহাম্মদ হাসমত আলী মৃধা, মোহাম্মদ হাসেম, মো. নাদিম আহমেদ, সালাউদ্দিন রিক্তা, মনোয়ার মো. বায়েজিদ সহ চীন বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীরা।
এই সভায় নেতাকর্মীরা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের তাৎপর্য এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দশ মাসে গেছেন পৌনে ৪ লাখ বাংলাদেশি
প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এখন পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে সৌদি আরব। দেশটির গিগা প্রকল্পগুলোতে কর্মসংস্থানের সন্ধানে চলতি বছরের শুরু থেকেই দক্ষ শ্রমিকদের অভিবাসন বেড়েছে। এ বছর প্রায় সাত লাখ বাংলাদেশি বিদেশে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে রেকর্ড ৩ লাখ ৭৪ হাজার জনই গেছেন সৌদি আরবে।
ঢাকার বরাত দিয়ে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সর্বশেষ তথ্য উল্লেখ করে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে মালয়েশিয়া ও কাতারের পরই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী রয়েছেন সৌদি আরবে।
এই বিষয়ে বিএমইটির অতিরিক্ত সচিব শাহ আবদুল তারেক বলেছেন, বেশ কয়েকটি চলমান গিগা প্রকল্পের কারণে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য উচ্চ চাহিদা রয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা দক্ষ কর্মী রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়েছি। আমাদের অনেক নির্মাণশ্রমিক দক্ষ ক্যাটাগরিতে সৌদি আরবে যান। অনেক চালক এবং ইলেকট্রিশিয়ানও দক্ষ শ্রমিক হিসেবে সে কাজ করছেন।
সৌদি আরব তার ‘ভিশন-২০৩০’ বাস্তবায়ন পরিকল্পনার অধীনে বেশ কয়েকটি গিগা প্রকল্প চালু করেছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে বহু বিলিয়ন ডলারের নিওম স্মার্ট সিটিও রয়েছে। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এসব প্রকল্পের তত্ত্বাবধান করছেন।
সৌদি শ্রমবাজারে কর্মীদের পেশাগত যোগ্যতাকে এগিয়ে নিতে গত ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে একটি দক্ষতা যাচাই কার্যক্রম চালু করেছে দেশটি। এই কার্যক্রমটি প্লাম্বার, ইলেকট্রিশিয়ান এবং নির্মাণ শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। পাশাপাশি সৌদি আরবে কর্মসংস্থানের জন্য সম্ভাব্য বাংলাদেশি কর্মীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ১৫০টি কেন্দ্র স্থাপন করেছে বাংলাদেশের বিএমইটি কর্তৃপক্ষও।
বিএমইটির অতিরিক্ত সচিব শাহ আবদুল তারেক বলেন, আমরা আধুনিক যন্ত্রপাতি ও লজিস্টিকস দিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে আরও প্রস্তুত করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।
‘আমাদের প্রাইভেট সেক্টর রিক্রুটিং এজেন্টরা সৌদি গিগা-প্রকল্পের সঙ্গে আরও যুক্ত হতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, আমি মনে করি আগামীতে সৌদিতে আমাদের দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি বাড়বে।’
বাংলাদেশি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকেরা সৌদি আরবকে বেছে নিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, দক্ষ বাংলাদেশি অভিবাসীদের আইটি এবং আর্থিক খাতেও নিয়োগ করা হচ্ছে। কারণ, সৌদি আরব নিজেকে অত্যাধুনিক ডিজিটাল অবকাঠামোসহ একটি বৈশ্বিক বিনিয়োগ শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
ফ্রান্সে ইসলামী জ্ঞান প্রচারে কাজ করছে প্রবাসী বাংলাদেশী
ফ্রান্সের নতুন প্রজন্মকে ইসলামের জ্ঞান ও আলোয় আলোকিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামী সেন্টার। রোববার প্যারিসের স্তায় অবস্থিত সেন্টার মিলনায়তনে শোকরানা সমাবেশ ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানে মসজিদ নেতৃবৃন্দ এই বক্তব্য তুলে ধরেন।
মসজিদের সাথেই ক্রয়কৃত নতুন অংশ পরিদর্শন উপলক্ষ্যে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি কাজী হাবিবের পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সিরাজুল ইসলাম সালাউদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব জালাল আহমদ, মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল ও মসজিদ ইমাম মাওলানা আহমাদুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা বলেন, দিনে দিনে রাজধানী প্যারিসে প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলিম কমিউনিটি বড় হচ্ছে। সেক্ষেত্রে অনেক সময় নামাজ ও অন্যান্য অনুষ্ঠানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় মুসল্লিদের। তবে ক্রয়কৃত নতুন অংশ সংস্কার শেষে চালু হলে সেই সমস্যার লাঘব হবে অনেকাংশেই।
পরে বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিমের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতি, সকলের সুস্থতা কামনা এবং মৃতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
লেবানন থেকে ফেরত এসেছেন ৫৪ প্রবাসী বাংলাদেশী
যুদ্ধবিদ্ধস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক আটকে পড়া ৫৪ বাংলাদেশী ফেরত এসেছেন। সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে সোমবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় সৌদি এয়ারলাইন্স (এসভি ৮১০) ফ্লাইটযোগে তারা দেশে ফেরত আসেন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) আরো ৬৫ জন বাংলাদেশীর প্রত্যাবাসন করার কথা রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় এ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রত্যাবাসনকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। এছাড়াও বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রোববার স্থানীয় সময় রাত ১১টার কিছু আগে লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংস্থা মিডল ইস্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে রওনা হন ৫৪ জন বাংলাদেশী। দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় তাদেরকে একটি বাসে করে বৈরুতের রফিক হারিরি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।
লেবাননে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ সম্পর্কে প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা বলেন, লেবাননে কোনো জায়গাতেই বাংলাদেশীরা নিরাপদে নেই। তাদের ফিরিয়ে আনতে যা করার, সরকার করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশীদের জন্য সরকার এখন পর্যন্ত ১৭ কোটি টাকা খরচ করেছে।
আইওএম জানায়. ২০০ বাংলাদেশীকে লেবানন থেকে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে তারা।
আইওএমের পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত সবাইকে ৫ হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের সাইকো সোশ্যাল সাপোর্ট দেয়া হবে।
লেবাননে চলমান যুদ্ধাবস্থায় ১ হাজার ৮০০ প্রবাসী বাংলাদেশী দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
চীনে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে ‘ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ট্যুর’
চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ইনার মঙ্গোলিয়া এবং শানশি প্রদেশের বিভিন্ন শহরে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাত দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক অন্তর্দৃষ্টিতে চীনের দৃশ্য’ প্রোগাম। ‘নতুন যুগে উন্মুক্ততা এবং একীকরণের রাস্তা’—এই থিম নিয়ে এ ভ্রমণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
চীনের নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন ব্যুরোর সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের পরিচালনায় ইভেন্টটি যৌথভাবে আয়োজন করে ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, শানশি প্রদেশের সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং চায়না ডেইলি নিউজপেপার।
এই সফরের ফলে পরিদর্শনকারী দলটি অঞ্চলগুলোর উচ্চমানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, শিল্প ও অবকাঠামো উন্নয়ন, কৃষি ও পরিবেশগত অর্জন, সংস্কৃতি এবং ঐতিহাসিক ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারে।
সাত দিনব্যাপী বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য পরিদর্শনকারী দলের সদস্যরা আধুনিক উৎপাদন উদ্যোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জাদুঘর, বড় প্রকল্পগুলোর নির্মাণ স্থান, তথ্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্র, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও আন্তর্জাতিক লজিস্টিক হাব, রেলওয়ে লজিস্টিক সেন্টার, সিড ইন্ডাস্ট্রি সেন্টার ও কৃষিশিল্পের স্থান এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কেন্দ্রসহ অন্যান্য স্থান পরিদর্শন করে।
বাংলাদেশ, কাজাখস্তান, মঙ্গোলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের ২০ জন বিদেশি মিডিয়া সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের একটি দল এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
প্রবাস
লেবাননের অবৈধ বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য দুঃসংবাদ
লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে আগ্রহী অবৈধ বাংলাদেশি কর্মীদের জরিমানা দিয়ে ফিরতে হবে বলে জানিয়েছে বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস। স্থানীয় সময় রোববার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ দূতাবাস এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
দূতাবাস জানায়, লেবাননে থাকা অনিয়মিত প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের দেশে ফেরত যেতে হলে সে দেশের জেনারেল সিকিউরিটি অফিসে (আমলনামা) প্রয়োজনীয় সার্ভিস চার্জ ও জরিমানা দিয়ে এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করে অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ।
দূতাবাস আরও জানায়, বাংলাদেশ দূতাবাস এ বিষয়ে জেনারেল সিকিউরিটি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে। সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লেবানন প্রবাসী অনিয়মিত কর্মীদের দেশে পাঠানোর বিষয়টি উপযুক্ত সময়ে দূতাবাসের ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেয়া হবে।
এমআই