জাতীয়
আনিসুল-কাদেরের ক্ষমতাবলে টোল আদায়ে ব্যবসা সিএনএসের
বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুতে টোল আদায়ে মাত্র ছয় মাসের জন্য কারিগরি সহযোগিতার দায়িত্ব পেয়েছিল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)। কিন্তু তাদের আর সরানো যায়নি। ছয় মাসের জন্য ঢুকে তারা আট বছর সেতুটির টোল আদায়ে কাজ করেছে।
কাজটি নিজেদের দখলে রাখতে সিএনএস যে কৌশল নিয়েছিল, সেটি হলো মামলা। আদালতে গিয়ে তারা নতুন ঠিকাদার নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে রাখে অভিযোগ আছে, আদালতের আদেশ যাতে সিএনএসের পক্ষে যায়, সে জন্য প্রভাব বিস্তার করতেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আনিসুল হকের ছোট ভাই আরিফুল হক ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিএনএসের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালের মার্চে মারা যান। সূত্র বলছে, আরিফুলের মৃত্যুর পর আনিসুল হকই নেপথ্যে থেকে সিএনএসের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। যদিও প্রতিষ্ঠানটিতে তাঁর কোনো পদ ছিল না।
‘মামলা কৌশলে’ শুধু যমুনা সেতু নয়, মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কাজও সাত বছর করেছে সিএনএস। ২০১৮ সাল থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভৈরব) ও শহীদ ময়েজ উদ্দিন (ঘোড়াশাল) সেতুর টোলও আদায় করছে তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত এক যুগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অন্তত পাঁচ ধরনের কাজ বাগিয়ে নেয় সিএনএস।
সড়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়টির অধীন বিভিন্ন দপ্তরে সিএনএসের পাওয়া কাজের অর্থমূল্য দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। বেশির ভাগ কাজ সিএনএস পেয়েছে উচ্চ মূল্যে। এতে তারা লাভবান হয়েছে। বিপরীতে লোকসান হয়েছে সরকারের।
সড়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হয়েও সিএনএসের এত কাজ পাওয়ার পেছনে যেমন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রভাব ছিল, তেমনি সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশীর্বাদও ছিল। ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান একজোট হয়ে সরকারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন। সরকারে তাঁরা ছিলেন প্রভাবশালী। কোনো কারণে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়ায় কাজ না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে মামলা করে তা আটকে দিতে আদালতকে ব্যবহার করতেন আনিসুল হক।
আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সিএনএসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির উজ জামান চৌধুরী সপরিবার কানাডা বাস করেন। সেখানে সিএনএসের বৈশ্বিক শাখাও খুলেছেন। তাঁর স্ত্রী সেলিনা চৌধুরী এখন সিএনএসের চেয়ারম্যান।
মনির উজ জামান চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রীর ভাই আরিফুল হক সিএনএসে কাজ করতেন। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রভাবে কাজ পাওয়ার বিষয়টি অপপ্রচার। তাঁরা অভিজ্ঞতার কারণে কাজ পেয়েছেন।
অবশ্য সড়ক মন্ত্রণালয়ের বর্তমান একাধিক কর্মকর্তার প্রশ্ন, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে মামলা করে দরপত্র প্রক্রিয়া আটকে রাখার উদ্দেশ্য কী?
ছয় মাসের জন্য ঢুকে আট বছর
যমুনা সেতুতে টোল আদায়কারীর মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালে। পরবর্তী ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া সময়সাপেক্ষ। তাই টোল আদায়ে কারিগরি সহায়তার জন্য সিএনএসকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেয় সেতু বিভাগ। অন্যদিকে শুরু হয় স্থায়ী ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র প্রক্রিয়া।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে উন্মুক্ত দরপত্রে এমন শর্ত যুক্ত করা হয়, যাতে সিএনএস ছাড়া অন্য কারও কাজটি পাওয়ার সুযোগ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে অংশগ্রহণকারী অন্য ঠিকাদারেরা আপত্তি জানান। এ কারণে দুই দফা দরপত্র বাতিল হয়। তৃতীয় দফায় সিএনএসসহ দেশি-বিদেশি পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়।
দরপত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার এইচপিসি ও বাংলাদেশের এসইএলের যৌথ উদ্যোগের (জেভি) প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ নম্বর পায়। তারা আদায় করা টোলের মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ নেওয়ার প্রস্তাব করে। অন্যদিকে সিএনএসের প্রস্তাব ছিল সাড়ে ১২ শতাংশ। কাজটি পাবে না বুঝতে পেরে কারিগরি যোগ্যতা মূল্যায়নে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট মামলা করে সিএনএস। এতে ঠিকাদার নিয়োগ আটকে যায়। এই জটিলতার মধ্যে সিএনএসকে আবার বিনা দরপত্রে ১০ মাসের জন্য যমুনা সেতুর টোল আদায়ের কারিগরি সহায়তার দায়িত্ব দেয় সেতু বিভাগ। এভাবে মামলা চলতে থাকে আর সিএনএসের মেয়াদ বাড়ে। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেন।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, আইনি বাধা দূর হওয়ার পর ২০১৭ সালে ডাকা দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সেতু বিভাগ। কিন্তু আগের দরে তারা কাজটি করতে রাজি হয়নি। ফলে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রায় ৬০ কোটি টাকার কাজটি পায় চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন। মেয়াদ পাঁচ বছর। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিএনএসের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছে চীনা কোম্পানিটি।
দেখা যাচ্ছে, চীনা কোম্পানির পেছনে বছরে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। সফটওয়্যার, যন্ত্রপাতি ও জনবলের খরচ তাদের। ভ্যাট ও আয়কর এর ভেতরে। অন্যদিকে শুধু সফটওয়্যার সেবা দিয়ে বছরে ৫ কোটি টাকা নিয়ে যেত সিএনএস। জনবল ও অন্যান্য খরচ ছিল সেতু বিভাগের।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, মামলার কারণে দীর্ঘ সময় তারা নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে পারেননি।
মামলা ও দরপত্রে অনুকূল শর্ত
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব ছিল এশিয়ান ট্রাফিক টেকনোলজিস (এটিটি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন দরপত্র আহ্বান করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। তখন ইনফ্রাটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠান তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। কিন্তু তাদের কাজ না দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়। ইনফ্রাটেক আদালতে যায়, মামলায় আটকে যায় ঠিকাদার নিয়োগ।
২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে সওজ নিজস্ব উদ্যোগে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায় শুরু করে। কারিগরি সহায়তা দেয় সিএনএস। সিএনএস আগের দরপত্রে অংশ নিয়েছিল। তবে সর্বনিম্ন দরদাতা হতে পারেনি।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দরপত্র ছাড়াই একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিএনএসকে পাঁচ বছরের জন্য মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয় সওজ। চুক্তি অনুযায়ী, আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ পেত সিএনএস। চুক্তিতে এমন শর্ত রাখা হয়, যেখানে টোলের মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও সিএনএসের টোলের ভাগ বাবদ আয়কর দেবে সওজ। ভ্যাট ও আয়কর যুক্ত করলে ঠিকাদারের পেছনে ব্যয় দাঁড়ায় আদায় করা টোলের ২৪ শতাংশের বেশি।
মেঘনা-গোমতী সেতুতে সিএনএসের টোল আদায়ের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর সওজ দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সিএনএস দরপত্র কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পায়। মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয় সওজ। এর মধ্যে সাত বছর কাটিয়ে দেয় সিএনএস।
মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়কারীকে এখন মোট আয়ের অংশ ধরে বিল দেওয়া হয় না। নতুন ঠিকাদারকে তিন বছরের জন্য ৬৬ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর গড়ে ব্যয় ২২ কোটি টাকা। সিএনএস পেত বছরে গড়ে ৭৭ কোটি টাকা।
সওজ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে মেঘনা-গোমতী সেতুতে অতিরিক্ত মালবাহী যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। অতিরিক্ত ওজনধারী যানবাহনের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের দায়িত্বও পায় সিএনএস। আদায় করা জরিমানার ১৪ শতাংশ দেওয়া হয় তাদের। টোল ও জরিমানার ভাগ বাবদ সিএনএস মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা পেয়েছে।
সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভৈরব) ও শহীদ ময়েজ উদ্দিন (ঘোড়াশাল) সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব সিএনএস পায় ২০১৮ সালে। আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ পেয়েছে তারা। যদিও দরপত্রে নজরুল ইসলাম সেতুতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএইসি-এটিটি ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ময়েজ উদ্দিন সেতুতে এম এম বিল্ডার্স ৮ শতাংশ প্রস্তাব করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি মূল্যায়নে সিএনএস বেশি নম্বর পাওয়ায় কাজ তাদের দেওয়া হয়।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ২৯ সেপ্টেম্বর সিএনএসকেই সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুতে তিন বছর ও ময়েজ উদ্দিন সেতু দুই বছরের জন্য পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিএনএসের সঙ্গে এ বিষয়ে ৪২ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। এ দফায় তারা আদায় করা টোলের ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ পাচ্ছে বলে সওজ সূত্র জানিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বলেন, তিনি জেনে পরে জানাবেন।
সওজ সূত্র জানায়, সেতুতে টোল আদায়ে কোয়ালিটি ও কস্ট বেজড সার্ভিস (কিউসিবিএস) পদ্ধতিতে দরপত্র ডাকা হয়। এতে প্রথমে দরপত্রে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যাতে পছন্দের ঠিকাদারের বাইরে থাকা অন্যরা কম নম্বর পায়। এরপর আর্থিক প্রস্তাব এবং কারিগরি প্রস্তাব একসঙ্গে মূল্যায়ন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বেশি দর প্রস্তাব করেও কাজ পেয়ে যায় সিএনএস।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নজরুল ইসলাম ও ময়েজ উদ্দিন সেতুতে টোল আদায় করে ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে সিএনএস। নিরপেক্ষভাবে উন্মুক্ত দরপত্র ডাকা হলে বর্তমান খরচের চেয়ে অনেক কম ব্যয়ে টোল আদায় সম্ভব।
বিআরটিএতেও সিএনএস
বিআরটিএতে পাঁচটি কাজ পেয়েছে সিএনএস—১. মোটরযানের কর ও ফি আদায়। ২. যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা করা। ৩. বিআরটিএ কার্যালয়গুলোর সঙ্গে অনলাইন যোগাযোগের ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেমের (আইএস) ব্যবস্থাপনা। ৪. বিআরটিএর সার্ভিস পোর্টাল ব্যবস্থাপনা এবং ৫. নথি ডিজিটাল ব্যবস্থায় সংরক্ষণ।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, চলমান ও শেষ হওয়া কাজের অর্থমূল্য ৮০০ কোটি টাকার বেশি। এসব কাজের দরপত্রে এমন যোগ্যতার শর্ত যুক্ত করা হয়, যা সিএনএস ছাড়া অন্য কারও নেই। এ ছাড়া একবার কাজ পাওয়ার পর বারবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘটনা ঘটছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দরপত্র ছাড়াই কাজ দেওয়া হয় সিএনএসকে।
বিআরটিএর এসব দরপত্র প্রক্রিয়া এক যুগ ধরে দেখভালের দায়িত্বে আছেন সংস্থাটির পরিচালক (প্রকৌশল) সীতাংশু শেখর বিশ্বাস। তাঁকে দিয়েই দরপত্রের শর্ত তৈরি থেকে শুরু করে মূল্যায়ন সম্পন্ন করা হয়েছে। সীতাংশু শেখর প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তথ্যপ্রযুক্তির কাজে যোগ্যতার কিছু মানদণ্ড লাগে। সিএনএসের পক্ষে শর্ত দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। সিএনএস যোগ্যতা দিয়েই কাজ পেয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার ব্যবস্থা ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) চালু হয়েছে মিরপুরে। এর সক্ষমতা বৃদ্ধি, যন্ত্রপাতি স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর সিএনএসকে ১০৫ কোটি টাকার চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে বিআরটিএ। বিআরটিএ সূত্র বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া এই কাজ করে দেওয়ার আগ্রহ দেখালেও বিআরটিএ তাতে সাড়া দেয়নি।
স্বাধীন তদন্ত ‘জরুরি’
সিএনএসের কাজ পাওয়ার প্রক্রিয়া ও মামলা কৌশল সম্পর্কে জানানো হলে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এতে বহুমুখী দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব কাজ করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক মন্ত্রী বা রাজনীতিকদের প্রভাবে এ রকম দুর্নীতি-অনিয়ম স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিল। এর পেছনে আমলাদের জোরালো যোগসাজশ না থাকলে হয়তো এতটা সম্ভব হতো না। তাই রাজনীতিকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আমলাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সময়টাকে একটা সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখন এই অনিয়ম-দুর্নীতিগুলোর স্বাধীন তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য একটা মানদণ্ড তৈরি করতে হবে। এবার ব্যর্থ হলে আর কখনোই সম্ভব হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি, উত্তরাঞ্চলে ঘন কুয়াশার আভাস
দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। যা সময়ের সঙ্গে আরও ঘনীভূত হতে পারে। একইসঙ্গে রোববার থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আর শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এর প্রভাবে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এসময়ের মধ্যে সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর)সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায়ও সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। আর শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
তবে এসময়ের পরে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আরাকান আর্মির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
আরাকান আর্মির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে কারণ মিয়ানমারে তাদের বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
আজ শনিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে ‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতীয় আলোচনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধে বিশ্বাসী না তবে কেউ গায়ে পড়লে যাতে তার জবাব দিতে পারি তার প্রস্তুতি রাখতে হবে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে, আমরা এই নেতৃত্ব তৈরি করতে পারিনি আর যাও তৈরি হয়েছিল আমরা তাদের রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছি।
রোহিঙ্গা নিয়ে বিগত সরকারের চুক্তি অকার্যকর ছিল মন্তব্য করে তৌহিদ হোসেন বলেন, একটা দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে রোহিঙ্গা ইস্যু বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় সমস্যা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা ইস্যু ভুলে যেতে দেয়া যাবে না।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে নেগোসিয়েশন করতে হবে আর তারা তা না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেজন্য আমাদেরকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে এগোতে হবে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন যেন মিয়ানমারের জন্য লাভজনক হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে মিয়ানমার তাদেরকে খুশি মনে মেনে নেয়।
তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো যাথে তাদের স্বার্থ রক্ষা করে এ ইস্যুতে আমাদের পাশে দাঁড়াতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। রোহিঙ্গা কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে স্থানীয়রা যাতে অবহেলিত না হয় সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বাংলাদেশের তরুণদের কর্মসংস্থানে কাজ করতে চায় বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক বলেছেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের যুবকদের কর্মসংস্থানে কাজ করতে চায়।
আজ শনিবার রাজধানীর পান্থপথের দৃকপাথ ভবনে ‘পেইন্ট দ্য স্কাই, মেক ইট ইওরস : তারুণ্যের চোখে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দৃক গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে বিশ্বব্যাংক। প্রদর্শনীতে সারা দেশে ছাত্র ও যুবকদের আঁকা প্রাণবন্ত দেয়াল চিত্র দেখানো হয়েছে, যা তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে তুলে ধরে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ ১২টি জেলা থেকে শিল্পকর্মগুলো এসেছে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ইউনিক কাজ করেছে। আজকের এক্সিবিশনে প্রকাশ পেয়েছে নতুন বাংলাদেশের নতুন স্বপ্ন। যা আমাদের ইন্সপায়ার করছে। তাদের দেয়ালচিত্র আমাদের হৃদয় স্পর্শ করেছে। এই ছবির ভিশন নতুন বাংলাদেশের। যা আশা জাগায়, সচেতন করে। আমাদের ভবিষ্যৎ ও সম্ভাবনাকে ইঙ্গিত দেয়। তাদের টিকে থাকার সক্ষমতা ও স্পিড বাড়ায়।
আবদৌলায়ে সেক বলেন, একটি অবিশ্বাস্য এবং একটি অভূতপূর্ব উপায়ে ট্রমা ও ত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশি ছাত্র এবং তরুণরা তাদের সৃজনশীলতা ও শিল্পকে ব্যবহার করেছে। এ প্রদর্শনী ভবিষ্যতের জন্য তাদের অগ্রাধিকারগুলোকে তুলে ধরে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ন্যায়ের জন্য কেঁদেছে। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের পর বাংলাদেশের দেয়ালগুলো ন্যায়ের জন্য কাঁদছে। এসময় আমরা দেয়াল লেখনীর ও ছবির শক্তি দেখতে পেয়েছি। যারা এ কাজটি করেছেন তাদের সম্মান জানাই। দেয়াল লেখনীর শক্তির ফলশ্রুতিতে আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সমাজ ও স্বাধীনতা দেখতে পাচ্ছি। যেমন ছিল আফ্রিকা, মেক্সিকোতে।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, আমরা বাংলাদেশের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পার্টনার হিসেবে কাজ করতে চাই। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গঠনে যুবরা যে ভূমিকা পালন করে তা বিশ্বব্যাংক সবসময়ই স্বীকার করেছে। আমরা বিশ্বব্যাপী যুবসমাজের ক্ষমতায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা শক্তিশালী চিত্রকর্মকে সম্মান জানাতে চাই।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না নয়: আইজিপি
৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা মামলাগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করতে হবে। কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশ প্রধান বাহারুল আলম।
তিনি বলেন, নিরীহ কারো নামে মামলা হলেও যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) আইজিপি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে মাঠ পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
ডিআইজি (অপারেশনস) মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সভায় সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপার ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে অতিরিক্ত আইজি মো. গোলাম কিবরিয়া, অতিরিক্ত আইজি মো. আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত আইজি আবু নাসের মোহাম্মদ খালেদ, ডিআইজি মো. কামরুল আহসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি এবং জেলার পুলিশ সুপারদেরকে ফোর্সের সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, কোনো পুলিশ সদস্যকে অযথা ভিকটিমাইজ করা হবে না।
পুলিশ প্রধান জনগণের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, পুলিশকে জনগণের কাছে যেতে হবে, তাদের সমস্যা বা অভিযোগ শুনতে হবে এবং তদানুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইজিপি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা মোকাবিলায় পুলিশকে ধৈর্যের সঙ্গে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। সভায় পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম আরও জোরদার করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
প্রয়োজনে ভেঙে ফেলা হবে হাওরের সড়ক: ফরিদা আখতার
সিলেটের নদ–নদীর অবাধ পানিপ্রবাহ নিশ্চিত করে বন্যা মোকাবিলায় প্রয়োজনে কিশোরগঞ্জের ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম হাওরের মধ্য দিয়ে করা সড়ক ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে সিলেট নগরের একটি কনভেনশন হলে ‘হাওরে মৎস্যসম্পদ রক্ষায় স্টেকহোল্ডারস কনসাল্টেশন ওয়ার্কশপ’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আধুনিকতার নামে অপরিকল্পিতভাবে হাওরে বাঁধ ও রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাঁধের কারণে হাওর ও মৎস্যসম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিলেটকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে হলেও হাওরের সড়ক ও বাঁধের বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মৎস্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগ আয়োজনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল।
কর্মশালায় হাওর অধ্যুষিত সাত জেলা থেকে সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন সমস্যা ও দাবি উপদেষ্টার সামনে তুলে ধরেন।
কাফি