Connect with us
৬৫২৬৫২৬৫২

জাতীয়

আনিসুল-কাদেরের ক্ষমতাবলে টোল আদায়ে ব্যবসা সিএনএসের

Published

on

এসিআই ফরমুলেশন

বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুতে টোল আদায়ে মাত্র ছয় মাসের জন্য কারিগরি সহযোগিতার দায়িত্ব পেয়েছিল কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)। কিন্তু তাদের আর সরানো যায়নি। ছয় মাসের জন্য ঢুকে তারা আট বছর সেতুটির টোল আদায়ে কাজ করেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কাজটি নিজেদের দখলে রাখতে সিএনএস যে কৌশল নিয়েছিল, সেটি হলো মামলা। আদালতে গিয়ে তারা নতুন ঠিকাদার নিয়োগপ্রক্রিয়া আটকে রাখে অভিযোগ আছে, আদালতের আদেশ যাতে সিএনএসের পক্ষে যায়, সে জন্য প্রভাব বিস্তার করতেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আনিসুল হকের ছোট ভাই আরিফুল হক ২০১০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সিএনএসের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালের মার্চে মারা যান। সূত্র বলছে, আরিফুলের মৃত্যুর পর আনিসুল হকই নেপথ্যে থেকে সিএনএসের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। যদিও প্রতিষ্ঠানটিতে তাঁর কোনো পদ ছিল না।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

‘মামলা কৌশলে’ শুধু যমুনা সেতু নয়, মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের কাজও সাত বছর করেছে সিএনএস। ২০১৮ সাল থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভৈরব) ও শহীদ ময়েজ উদ্দিন (ঘোড়াশাল) সেতুর টোলও আদায় করছে তারা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত এক যুগে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অন্তত পাঁচ ধরনের কাজ বাগিয়ে নেয় সিএনএস।

সড়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রণালয়টির অধীন বিভিন্ন দপ্তরে সিএনএসের পাওয়া কাজের অর্থমূল্য দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি। বেশির ভাগ কাজ সিএনএস পেয়েছে উচ্চ মূল্যে। এতে তারা লাভবান হয়েছে। বিপরীতে লোকসান হয়েছে সরকারের।

সড়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণ একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হয়েও সিএনএসের এত কাজ পাওয়ার পেছনে যেমন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রভাব ছিল, তেমনি সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশীর্বাদও ছিল। ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান একজোট হয়ে সরকারি কাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন। সরকারে তাঁরা ছিলেন প্রভাবশালী। কোনো কারণে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়ায় কাজ না পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে মামলা করে তা আটকে দিতে আদালতকে ব্যবহার করতেন আনিসুল হক।

আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। ওবায়দুল কাদের আত্মগোপনে। তাই তাঁদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সিএনএসের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির উজ জামান চৌধুরী সপরিবার কানাডা বাস করেন। সেখানে সিএনএসের বৈশ্বিক শাখাও খুলেছেন। তাঁর স্ত্রী সেলিনা চৌধুরী এখন সিএনএসের চেয়ারম্যান।

মনির উজ জামান চৌধুরী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক আইনমন্ত্রীর ভাই আরিফুল হক সিএনএসে কাজ করতেন। সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রভাবে কাজ পাওয়ার বিষয়টি অপপ্রচার। তাঁরা অভিজ্ঞতার কারণে কাজ পেয়েছেন।

অবশ্য সড়ক মন্ত্রণালয়ের বর্তমান একাধিক কর্মকর্তার প্রশ্ন, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলে মামলা করে দরপত্র প্রক্রিয়া আটকে রাখার উদ্দেশ্য কী?

ছয় মাসের জন্য ঢুকে আট বছর
যমুনা সেতুতে টোল আদায়কারীর মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালে। পরবর্তী ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া সময়সাপেক্ষ। তাই টোল আদায়ে কারিগরি সহায়তার জন্য সিএনএসকে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দেয় সেতু বিভাগ। অন্যদিকে শুরু হয় স্থায়ী ঠিকাদার নিয়োগের দরপত্র প্রক্রিয়া।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে উন্মুক্ত দরপত্রে এমন শর্ত যুক্ত করা হয়, যাতে সিএনএস ছাড়া অন্য কারও কাজটি পাওয়ার সুযোগ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে অংশগ্রহণকারী অন্য ঠিকাদারেরা আপত্তি জানান। এ কারণে দুই দফা দরপত্র বাতিল হয়। তৃতীয় দফায় সিএনএসসহ দেশি-বিদেশি পাঁচটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়।

দরপত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার এইচপিসি ও বাংলাদেশের এসইএলের যৌথ উদ্যোগের (জেভি) প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ নম্বর পায়। তারা আদায় করা টোলের মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ নেওয়ার প্রস্তাব করে। অন্যদিকে সিএনএসের প্রস্তাব ছিল সাড়ে ১২ শতাংশ। কাজটি পাবে না বুঝতে পেরে কারিগরি যোগ্যতা মূল্যায়নে অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে হাইকোর্টে রিট মামলা করে সিএনএস। এতে ঠিকাদার নিয়োগ আটকে যায়। এই জটিলতার মধ্যে সিএনএসকে আবার বিনা দরপত্রে ১০ মাসের জন্য যমুনা সেতুর টোল আদায়ের কারিগরি সহায়তার দায়িত্ব দেয় সেতু বিভাগ। এভাবে মামলা চলতে থাকে আর সিএনএসের মেয়াদ বাড়ে। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে দেন।

সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, আইনি বাধা দূর হওয়ার পর ২০১৭ সালে ডাকা দরপত্রে সর্বনিম্ন দরদাতার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে সেতু বিভাগ। কিন্তু আগের দরে তারা কাজটি করতে রাজি হয়নি। ফলে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রায় ৬০ কোটি টাকার কাজটি পায় চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন। মেয়াদ পাঁচ বছর। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সিএনএসের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছে চীনা কোম্পানিটি।

দেখা যাচ্ছে, চীনা কোম্পানির পেছনে বছরে ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। সফটওয়্যার, যন্ত্রপাতি ও জনবলের খরচ তাদের। ভ্যাট ও আয়কর এর ভেতরে। অন্যদিকে শুধু সফটওয়্যার সেবা দিয়ে বছরে ৫ কোটি টাকা নিয়ে যেত সিএনএস। জনবল ও অন্যান্য খরচ ছিল সেতু বিভাগের।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী মোহাম্মদ ফেরদৌস প্রথম আলোকে বলেন, মামলার কারণে দীর্ঘ সময় তারা নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে পারেননি।

মামলা ও দরপত্রে অনুকূল শর্ত
২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব ছিল এশিয়ান ট্রাফিক টেকনোলজিস (এটিটি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন দরপত্র আহ্বান করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। তখন ইনফ্রাটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠান তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। কিন্তু তাদের কাজ না দিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করে দেয়। ইনফ্রাটেক আদালতে যায়, মামলায় আটকে যায় ঠিকাদার নিয়োগ।

২০১৫ সালের অক্টোবর থেকে সওজ নিজস্ব উদ্যোগে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায় শুরু করে। কারিগরি সহায়তা দেয় সিএনএস। সিএনএস আগের দরপত্রে অংশ নিয়েছিল। তবে সর্বনিম্ন দরদাতা হতে পারেনি।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দরপত্র ছাড়াই একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সিএনএসকে পাঁচ বছরের জন্য মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয় সওজ। চুক্তি অনুযায়ী, আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ পেত সিএনএস। চুক্তিতে এমন শর্ত রাখা হয়, যেখানে টোলের মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও সিএনএসের টোলের ভাগ বাবদ আয়কর দেবে সওজ। ভ্যাট ও আয়কর যুক্ত করলে ঠিকাদারের পেছনে ব্যয় দাঁড়ায় আদায় করা টোলের ২৪ শতাংশের বেশি।

মেঘনা-গোমতী সেতুতে সিএনএসের টোল আদায়ের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর সওজ দরপত্র আহ্বান করে। কিন্তু সিএনএস দরপত্র কার্যক্রমের বিরুদ্ধে আদালতে যায়। তারা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ পায়। মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয় সওজ। এর মধ্যে সাত বছর কাটিয়ে দেয় সিএনএস।

মেঘনা-গোমতী সেতুতে টোল আদায়কারীকে এখন মোট আয়ের অংশ ধরে বিল দেওয়া হয় না। নতুন ঠিকাদারকে তিন বছরের জন্য ৬৬ কোটি টাকায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর গড়ে ব্যয় ২২ কোটি টাকা। সিএনএস পেত বছরে গড়ে ৭৭ কোটি টাকা।

সওজ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে মেঘনা-গোমতী সেতুতে অতিরিক্ত মালবাহী যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। অতিরিক্ত ওজনধারী যানবাহনের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের দায়িত্বও পায় সিএনএস। আদায় করা জরিমানার ১৪ শতাংশ দেওয়া হয় তাদের। টোল ও জরিমানার ভাগ বাবদ সিএনএস মেঘনা-গোমতী সেতু থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা পেয়েছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম (ভৈরব) ও শহীদ ময়েজ উদ্দিন (ঘোড়াশাল) সেতুর টোল আদায়ের দায়িত্ব সিএনএস পায় ২০১৮ সালে। আদায় করা টোলের ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ পেয়েছে তারা। যদিও দরপত্রে নজরুল ইসলাম সেতুতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএইসি-এটিটি ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং ময়েজ উদ্দিন সেতুতে এম এম বিল্ডার্স ৮ শতাংশ প্রস্তাব করে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছিল। কিন্তু কারিগরি মূল্যায়নে সিএনএস বেশি নম্বর পাওয়ায় কাজ তাদের দেওয়া হয়।

মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ২৯ সেপ্টেম্বর সিএনএসকেই সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুতে তিন বছর ও ময়েজ উদ্দিন সেতু দুই বছরের জন্য পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিএনএসের সঙ্গে এ বিষয়ে ৪২ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছে। এ দফায় তারা আদায় করা টোলের ১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ পাচ্ছে বলে সওজ সূত্র জানিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সওজের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান বলেন, তিনি জেনে পরে জানাবেন।

সওজ সূত্র জানায়, সেতুতে টোল আদায়ে কোয়ালিটি ও কস্ট বেজড সার্ভিস (কিউসিবিএস) পদ্ধতিতে দরপত্র ডাকা হয়। এতে প্রথমে দরপত্রে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়, যাতে পছন্দের ঠিকাদারের বাইরে থাকা অন্যরা কম নম্বর পায়। এরপর আর্থিক প্রস্তাব এবং কারিগরি প্রস্তাব একসঙ্গে মূল্যায়ন করে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বেশি দর প্রস্তাব করেও কাজ পেয়ে যায় সিএনএস।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নজরুল ইসলাম ও ময়েজ উদ্দিন সেতুতে টোল আদায় করে ৩০০ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে সিএনএস। নিরপেক্ষভাবে উন্মুক্ত দরপত্র ডাকা হলে বর্তমান খরচের চেয়ে অনেক কম ব্যয়ে টোল আদায় সম্ভব।

বিআরটিএতেও সিএনএস
বিআরটিএতে পাঁচটি কাজ পেয়েছে সিএনএস—১. মোটরযানের কর ও ফি আদায়। ২. যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা করা। ৩. বিআরটিএ কার্যালয়গুলোর সঙ্গে অনলাইন যোগাযোগের ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেমের (আইএস) ব্যবস্থাপনা। ৪. বিআরটিএর সার্ভিস পোর্টাল ব্যবস্থাপনা এবং ৫. নথি ডিজিটাল ব্যবস্থায় সংরক্ষণ।

বিআরটিএ সূত্র বলছে, চলমান ও শেষ হওয়া কাজের অর্থমূল্য ৮০০ কোটি টাকার বেশি। এসব কাজের দরপত্রে এমন যোগ্যতার শর্ত যুক্ত করা হয়, যা সিএনএস ছাড়া অন্য কারও নেই। এ ছাড়া একবার কাজ পাওয়ার পর বারবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ঘটনা ঘটছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দরপত্র ছাড়াই কাজ দেওয়া হয় সিএনএসকে।

বিআরটিএর এসব দরপত্র প্রক্রিয়া এক যুগ ধরে দেখভালের দায়িত্বে আছেন সংস্থাটির পরিচালক (প্রকৌশল) সীতাংশু শেখর বিশ্বাস। তাঁকে দিয়েই দরপত্রের শর্ত তৈরি থেকে শুরু করে মূল্যায়ন সম্পন্ন করা হয়েছে। সীতাংশু শেখর প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তথ্যপ্রযুক্তির কাজে যোগ্যতার কিছু মানদণ্ড লাগে। সিএনএসের পক্ষে শর্ত দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। সিএনএস যোগ্যতা দিয়েই কাজ পেয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষার ব্যবস্থা ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টার (ভিআইসি) চালু হয়েছে মিরপুরে। এর সক্ষমতা বৃদ্ধি, যন্ত্রপাতি স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার জন্য ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর সিএনএসকে ১০৫ কোটি টাকার চুক্তিতে নিয়োগ দিয়েছে বিআরটিএ। বিআরটিএ সূত্র বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া এই কাজ করে দেওয়ার আগ্রহ দেখালেও বিআরটিএ তাতে সাড়া দেয়নি।

স্বাধীন তদন্ত ‘জরুরি’
সিএনএসের কাজ পাওয়ার প্রক্রিয়া ও মামলা কৌশল সম্পর্কে জানানো হলে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এতে বহুমুখী দুর্নীতি, রাজনৈতিক প্রভাব ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব কাজ করেছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক মন্ত্রী বা রাজনীতিকদের প্রভাবে এ রকম দুর্নীতি-অনিয়ম স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিল। এর পেছনে আমলাদের জোরালো যোগসাজশ না থাকলে হয়তো এতটা সম্ভব হতো না। তাই রাজনীতিকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আমলাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের সময়টাকে একটা সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এখন এই অনিয়ম-দুর্নীতিগুলোর স্বাধীন তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য একটা মানদণ্ড তৈরি করতে হবে। এবার ব্যর্থ হলে আর কখনোই সম্ভব হবে না।

শেয়ার করুন:-

জাতীয়

সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

Published

on

এসিআই ফরমুলেশন

রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য ধারণ করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংশোধনী প্রস্তাব আনছে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের দশম দিনের আলোচনা শুরুতে তিনি এ কথা বলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আলী রীয়াজ বলেন, কোনো কিছু চাপিয়ে দিচ্ছে না ঐকমত্য কমিশন। বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর বক্তব্য ধারণ করে সংশোধনী প্রস্তাব আনছে কমিশন। যেমন জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) নিয়ে অধিকাংশ দলের আপত্তি থাকার কারণে সংশোধনী এনে ভিন্ন প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি বলেন, যাতে ভুল বুঝাবুঝি না হয়, সেদিকে কমিশন নজর রাখছে। এর ফলে অনেক কিছু বাদ দিয়ে আলোচনায় আমরা অগ্রসর হচ্ছি।

আলোচনা ইতিবাচক হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। যতটা সম্ভব বেশি সময় মিলিত হয়ে যেন দ্রুত কাজ শেষ করা যায়, সেজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

ইসলামি এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Published

on

এসিআই ফরমুলেশন

মুসলিম বিশ্বে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ইসলামি এনজিওদের আরও বেশি সামাজিক ব্যবসায় উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

রোববার (৬ জুলাই) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিভিন্ন মুসলিম দেশের এনজিওদের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের বিশ্বে আমরা নারীদের স্বাস্থ্যসেবাকে গুরুত্ব দিই। যদি আপনি গরিব হন, তাহলে আপনার স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে সমস্যা থাকবে। আমরা স্বাস্থ্যসেবাকে গরিবদের সহায়তার একটি উপায় হিসেবে দেখেছি।’

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, সামাজিক ব্যবসা এই সহায়তা প্রদানের একটি ভালো উপায়। সারা বিশ্বের তরুণদের সামাজিক ব্যবসায় যুক্ত হয়ে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বৈঠকে উপস্থিত এনজিও নেতারা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অধ্যাপক ইউনূস পরিচালিত সামাজিক ব্যবসার প্রচারণা তাদের নিজ নিজ দেশে একই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছে।

সাক্ষাৎকালে বিদেশি প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—তুরস্ক থেকে ইসলামি বিশ্বের এনজিও ইউনিয়নের (ইউএনআইডব্লিউ) মহাসচিব আইয়ুপ আকবাল, টার্কিশ আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশনের (এটিএএ) প্রতিনিধি মুহাম্মদ হুসেইন আক্তার, মালয়েশিয়া থেকে পারসাতুয়ান ওয়াদাহ পেন্সারদাসান উম্মাহ (ডব্লিউএডিএএইচ) এবং ইউএনআইডব্লিউর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ফাওয়াজ বিন হাসবুল্লাহ, পাকিস্তান থেকে আলখিদমাত ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও ইউএনআইডব্লিউর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুস শাকুর এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে ইউএনআইডব্লিউর অডিটিং বোর্ড সদস্য ড. সালামুন বাসরি।

এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিআইআইটির সভাপতি অধ্যাপক মাহবুব আহমেদ, এসএডব্লিউএবির চেয়ারম্যান ও ইউএনআইডব্লিউর হাই অ্যাডভাইজরি বোর্ডের সদস্য এস এম রাশেদুজ্জামান, ইউএনআইডব্লিউর কাউন্সিল সদস্য ও কৃষিবিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আলী আফজাল এবং বিআইআইটির মহাপরিচালক ও আইআইআইটির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. এম. আবদুল আজিজ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

‘দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মব হয়েছিল ২০১৩ সালে’

Published

on

এসিআই ফরমুলেশন

বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ সালে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মব হয়েছে শাহবাগে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০১৩ সালে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মব হয়েছে শাহবাগে। তখন অনেক মানুষ ও রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক একত্রিত হয়ে আইন পরিবর্তন করতে সরকারকে বাধ্য করেছিল। বিচার বিভাগকে রায় পরিবর্তন করতে বাধ্য করেছিল।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মব শব্দটা বাংলাদেশে অনেক আগে থেকেই আছে। ২০২৩ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্রের একটা রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২৩ সালে মবে বাংলাদেশে ৫১ জন মারা গেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্তও একই মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, মবে ৩২ জন মারা গেছে।

তিনি স্পষ্ট করে বলেন, অতীতে এই ঘটনাগুলো যার দ্বারাই সংঘটিত হোক, সেটাকে অবশ্যই আমরা নিন্দা জানাই। মব ভায়োলেন্স কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। শুধু নিন্দা নয়, সরকারের অংশ হিসেবে আমরা দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সক্রিয় রাখতে সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব বলেন, শনিবার (৬ জুলাই) সারাদেশে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ হাজার ৫৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কেউ কেউ হয়তো মনে করেন পুলিশ নিষ্ক্রিয় বা কাজ করছে না, যার কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু পুলিশ সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং অপরাধ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।

কাফি

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

জুলাই সনদ কী, কেন সেটি নিয়ে এত আলোচনা

Published

on

এসিআই ফরমুলেশন

জুলাই সনদ ঘোষণা করতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত কয়েকমাস ধরে দফায় দফায় আলোচনার পরও মৌলিক অনেক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য দূর করা যায়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তবে জুলাই সনদ আসলে কী, কেন এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিরোধ, অন্যদিকে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্রের মধ্যে পার্থক্য কী-এসব প্রশ্ন এখন আলোচনায় আসছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কমিশন দাবি করছে, কয়েক দফার আলোচনায় এরই মধ্যে বেশ কিছু সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে, এখনো আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল বা এনসিসি গঠনসহ বেশ কিছু সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাবে দলগুলোর মধ্যে নানা মতবিরোধও দেখা দিচ্ছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, মত ভিন্নতা থাকলেও এই মাসের শেষ নাগাদ দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে তারা জুলাই সনদ চুড়ান্ত করবে।

তবে, এখনো বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না হওয়ায় সময়মতো জুলাই সনদ তৈরি নিয়ে শঙ্কা দেখা যাচ্ছে। কমিশন ঘোষিত সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ না হলে আগামী ৩ অগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে জুলাইয়ের ইশতেহার ও ঘোষণাপত্র প্রকাশের কথাও বলছে এনসিপি।

এমন প্রশ্নে ঐকমত্য কমিশন বলছে, জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ দুটি একেবারেই আলাদা বিষয়। কেননা সব দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সনদ বা সংস্কার প্রস্তাবনা তৈরি হবে, সেটি জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদ।

ঐকমত্য কমিশন আরও বলছে, জুলাইয়ের ঘোঘণাপত্র তৈরির কাজ ঐকমত্য কমিশনের নয়, সেটি সরকার ও রাজনৈতিক দল মিলে করবে। শুধুমাত্র জুলাই সনদ প্রস্তুত করবে ঐকমত্য কমিশন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের পাঁচই অগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ৩১ ডিসেম্বর জুলাই প্রোক্লেমেশন বা গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। পরে অবশ্য অন্তর্বর্তী সরকারের আশ্বাসে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারের পক্ষ থেকে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।

গত ৬ জুন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, জুলাই সনদ হলো একটি প্রতিশ্রুতি। একটা জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র নির্মাণের জন্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছে, সেগুলোর মধ্য থেকে রাজনৈতিক দলগুলো যে কটিতে একমত হয়েছে, তার তালিকা থাকবে এই সনদে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাষ্ট্র সংস্কারে যে ১১টি কমিশন গঠন করে, সে সব কমিশনের প্রস্তাবগুলো নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ধারাবাহিক সংলাপ করছে ঐকমত্য কমিশন। এতে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার সংক্রান্ত মোট ১৬৬টি সুপারিশ রাজনৈতিক দলগুলোর ধারাবাহিক বৈঠক করে ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য কমিশনের সাথে ধারাবাহিক এই আলোচনায় বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়।

ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, এসব প্রস্তাবনার মধ্যে ৮০টিরও বেশি প্রস্তাবনায় সামগ্রিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছে রাজনৈতিক দলগুলো। পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ আরও ২০টির মত প্রস্তাবনা চিহ্নিত করে সেগুলো নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে।

ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ওই ২০টির মধ্যে এখন পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি বিষয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাকি প্রায় ছয় থেকে সাতটি বিষয় আমরা আলোচনা করেছি যেগুলো এখন পর্যন্ত আমরা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি।

ঐকমত্য কমিশন বলছে, গুরুত্বপূর্ণ এইসব প্রস্তাবে বড় রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজি করানোর পর এগুলো নিয়েই তৈরি হবে জুলাই সনদ।

ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমাদের এখন কতগুলো মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য দরকার। তা না হলে আবারো স্বৈরাচারের পুনরুত্থান আমরা ঠেকাতে পারবো না।

অবশ্য ঐকমত্য কমিশন চূড়ান্ত সংস্কার প্রস্তাবকে আপাতত জুলাই সনদ বললেও শেষ পর্যন্ত এটির নাম পরিবর্তনের ইঙ্গিতও দিয়েছে।

অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, এটা আসলে জাতীয় সনদ। আবার জুলাই সনদ এই অর্থে, যাতে জুলাই সনদ বললে আগামীতে বোঝা যাবে ২০২৪ জুলাইয়ে কি ঘটেছিল, যার প্রেক্ষিতে এই সনদ করতে হয়েছে। তবে জাতীয় কিংবা জুলাই সনদ যে নামই থাকুক না কেন এই সনদ আগামী দিনে দেশের রাজনীতিতে মাইলফলক হিসেবেই থাকবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা অবশ্য এই সনদকে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের দালিলিক ভিত্তি হিসেবেই দেখছেন।

এ বিষয়ে বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, জুলাই আমাদের যে বার্তা দিল, সেটার একটা দলিল থাকা দরকার। সে জন্য জুলাই সনদ থাকা জরুরি।

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

জাতীয়

শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ

Published

on

এসিআই ফরমুলেশন

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক ছয় মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়সহ মোট ১০০ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব স্বাক্ষরিত গেজেট বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয়ে (বিজি প্রেস) প্রকাশ করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, তফসিল বর্ণিত আসামিদেরকে জানানো যাচ্ছে যে, যেহেতু, তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রহিয়াছে। যেহেতু এই কোর্ট বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য আত্মগোপন করিয়াছেন এবং তাহাদের আশু গ্রেফতারের সম্ভাবনা নাই।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সেহেতু ১৯৫৮ সনের ক্রিমিনাল ‘ল’ এমেন্ডমেন্ট এ্যাক্ট ৬(১৩) ধারা বিধান অনুসারে তফসিল বর্ণিত মামলায় তাহাদেরকে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে এই কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। অন্যথায় আপনাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার কার্য সম্পন্ন করা হবে।

এর আগে, ১ জুলাই বিচারক গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব। মামলাগুলোর পরবর্তী শুনানি ২০ জুলাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।

তিনি বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলায় গেজেট প্রকাশের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই মামলা গুলোর তারিখ ধার্য হয়েছে। এ তারিখের মধ্যে আসামিরা আদালতে হাজির না হলে তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে।’

প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল ও আজমিনা সিদ্দিকসহ মোট ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয় ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারির মধ্যে।

মামলাগুলো দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং এস এম রাশেদুল হাসান। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

১৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাসহ ৮ জনকে আসামি করেন উপপরিচালক সালাহউদ্দিন। তদন্তে নতুন ৪ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ১২। তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।

একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২ জন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৭ জন।

১৩ জানুয়ারি উপপরিচালক সালাহউদ্দিন শেখ রেহানাকে প্রধান আসামি করে শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন আফনান জান্নাত কেয়া।

আজমিনা সিদ্দিককে প্রধান আসামি করে ১৩ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া শেখ হাসিনা ও টিউলিপসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিটে আসামি হন ১৮ জন।

একইদিন সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ ও শেখ হাসিনাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেওয়া হয় ১৮ জনের নামে।

শেষে ১২ জানুয়ারি আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা ও পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে আরও দুইজন যুক্ত হয়ে চার্জশিট দেন মোট ১৮ জনের নামে। এই মামলায় সাক্ষী রাখা হয়েছে ১৬ জনকে।

সূত্র: বাসস

শেয়ার করুন:-
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

এসিআই ফরমুলেশন এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার1 hour ago

এসিআই ফরমুলেশনের নাম সংশোধনে সম্মতি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই ফরমুলেশনের প্রস্তাবিত নাম সংশোধনে সম্মতি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।...

এসিআই ফরমুলেশন এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার2 hours ago

দেড় ঘণ্টায় ২৫৩ শেয়ারদর বৃদ্ধি, লেনদেন ২৩৫ কোটি

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড়...

এসিআই ফরমুলেশন এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার3 hours ago

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার সময় পরিবর্তন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার সময় পরিবর্তন করেছে। আগামী ০৮ জুলাই বিকাল ৩টার পরিবর্তে বিকাল ৫টায় কোম্পানিটির...

এসিআই ফরমুলেশন এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার3 hours ago

বসুন্ধরা পেপারে নতুন চেয়ারম্যান, এমডি নিয়োগ

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কাগজ ও মুদ্রণ খাতের কোম্পানি বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। সেই সঙ্গে কোম্পানির...

এসিআই ফরমুলেশন এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার1 day ago

ব্যাংক-পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ

পবিত্র আশুরা উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (৬ জুলাই) ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকবে। সেই সঙ্গে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক...

এসিআই ফরমুলেশন এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার2 days ago

বিদায়ী সপ্তাহে ব্লকে লেনদেনের শীর্ষে লাভেলো আইসক্রিম

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) পর্যন্ত দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির...

এসিআই ফরমুলেশন এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার2 days ago

সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে বার্জার পেইন্টস

বিদায়ী সপ্তাহে (২৯ জুন-০৩ জুলাই) শেয়ারবাজারে চার দিন লেনদেন হয়েছে। এসময় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের...

Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১
১৩১৫১৬১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭৩০৩১  
এসিআই ফরমুলেশন
মত দ্বিমত24 minutes ago

গণতন্ত্রের সঠিক পথে: সংসদ নয়, স্থানীয় সরকার হোক উন্নয়নের প্রধান বাহক

এসিআই ফরমুলেশন
জাতীয়47 minutes ago

সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার1 hour ago

এসিআই ফরমুলেশনের নাম সংশোধনে সম্মতি

এসিআই ফরমুলেশন
আইন-আদালত1 hour ago

হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ, আদেশ বৃহস্পতিবার

এসিআই ফরমুলেশন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

এসিআই ফরমুলেশন
আইন-আদালত2 hours ago

হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার2 hours ago

দেড় ঘণ্টায় ২৫৩ শেয়ারদর বৃদ্ধি, লেনদেন ২৩৫ কোটি

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার3 hours ago

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার সময় পরিবর্তন

এসিআই ফরমুলেশন
আবহাওয়া3 hours ago

দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

এসিআই ফরমুলেশন
আন্তর্জাতিক3 hours ago

৩৫শ বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

এসিআই ফরমুলেশন
মত দ্বিমত24 minutes ago

গণতন্ত্রের সঠিক পথে: সংসদ নয়, স্থানীয় সরকার হোক উন্নয়নের প্রধান বাহক

এসিআই ফরমুলেশন
জাতীয়47 minutes ago

সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার1 hour ago

এসিআই ফরমুলেশনের নাম সংশোধনে সম্মতি

এসিআই ফরমুলেশন
আইন-আদালত1 hour ago

হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ, আদেশ বৃহস্পতিবার

এসিআই ফরমুলেশন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

এসিআই ফরমুলেশন
আইন-আদালত2 hours ago

হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার2 hours ago

দেড় ঘণ্টায় ২৫৩ শেয়ারদর বৃদ্ধি, লেনদেন ২৩৫ কোটি

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার3 hours ago

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার সময় পরিবর্তন

এসিআই ফরমুলেশন
আবহাওয়া3 hours ago

দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

এসিআই ফরমুলেশন
আন্তর্জাতিক3 hours ago

৩৫শ বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

এসিআই ফরমুলেশন
মত দ্বিমত24 minutes ago

গণতন্ত্রের সঠিক পথে: সংসদ নয়, স্থানীয় সরকার হোক উন্নয়নের প্রধান বাহক

এসিআই ফরমুলেশন
জাতীয়47 minutes ago

সংশোধনী প্রস্তাব আনছে ঐকমত্য কমিশন: আলী রীয়াজ

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার1 hour ago

এসিআই ফরমুলেশনের নাম সংশোধনে সম্মতি

এসিআই ফরমুলেশন
আইন-আদালত1 hour ago

হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শেষ, আদেশ বৃহস্পতিবার

এসিআই ফরমুলেশন
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার2 hours ago

এসএসসির ফল প্রকাশ ১০ জুলাই

এসিআই ফরমুলেশন
আইন-আদালত2 hours ago

হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার2 hours ago

দেড় ঘণ্টায় ২৫৩ শেয়ারদর বৃদ্ধি, লেনদেন ২৩৫ কোটি

এসিআই ফরমুলেশন
পুঁজিবাজার3 hours ago

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভার সময় পরিবর্তন

এসিআই ফরমুলেশন
আবহাওয়া3 hours ago

দুপুরের মধ্যে ৭ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস

এসিআই ফরমুলেশন
আন্তর্জাতিক3 hours ago

৩৫শ বছরের পুরনো শহরের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা