জাতীয়
শপথ নিলেন নতুন ৩ উপদেষ্টা, কে কোন দপ্তর পেলেন
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টা শপথ নিয়েছেন। এ নিয়ে উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। নতুন তিন উপদেষ্টার দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বঙ্গভবনে শপথ নেওয়ার পর রোববার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের দপ্তর বণ্টন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা করা হয়েছে।
চলচ্চিত্র পরিচালক ও নাট্যকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
মাহফুজ আলমকে কোনো দপ্তর দেওয়া হয়নি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সময় নিয়োগ পান ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় তিনজন উপদেষ্টা ওইদিন শপথ নিতে পারেননি। তারা পরে শপথ নেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এফটিএ বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, জাপানের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে এবং এটি বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দেবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা একথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি ও দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, জাপানের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ককে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসের মানদন্ডে পৌঁছেছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। সুশাসন নিশ্চিত করে সরকার সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন,বাংলাদেশের সাথে জাপানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্যবস্যা বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে সেই বন্ধুত্ব আরো নিবিড় হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই বাণিজ্য সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা: শ্রম উপদেষ্টা
কোনো কারখানার মালিকপক্ষ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শ্রমিকদের রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের কষ্ট অনুভব করছি। আপনাদের ন্যায্য পাওনা আপনারা অবশ্যই পাবেন।
মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা সঠিকভাবে পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ভাই-বোনদের বকেয়া পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের ফ্যাক্টরি চলে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কারখানায় সরকার-ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশকে সচল রাখতে হবে। রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ নেই।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করা ও তা নিরসনের লক্ষ্যে ক্লাস্টার-ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্লাস্টার-ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে হবে। ওই কমিটি মালিকপক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। তারা বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে কি না, সেটিও নিশ্চিত করবে। শ্রমিক অসন্তোষ কেন হচ্ছে, কারণ কী—অনুসন্ধানপূর্বক সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরিতে বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখবে এ কমিটি।
তিনি দেশের স্বার্থে শ্রমিকদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন না দিতে পারা বার্ডস গ্রুপকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে সুদমুক্ত ১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতা সম্পন্ন বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও রেয়াতি ডিকার্বনাইজেশন ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে ক্লাইমেট ক্লাবের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
এখানে প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে জার্মানি ও চিলি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ক্লাব নেতাদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন আরো বেশি দ্রুত ও টেকসই উপায়ে হ্রাস এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৩ শতাংশ কমাতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্যে পৌঁছানোর জন্য উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি বিশেষ করে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রমাণিত কম নির্গমন প্রযুক্তি প্রদর্শন ও স্থাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তির জন্য উলে¬খযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন। অর্থায়নের সীমিত সুযোগ রয়েছে এমন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরণের অধিক মূলধন বিনিয়োগ করা শিল্পের জন্য একটি বাধা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের শিল্পের জন্য রেয়াতি অর্থের সুযোগ লাভকে উৎসাহিত করে শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে অর্থায়নের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬.৮ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আমদানিতে সুষম কার্বন খরচ আরোপ করে একটি সুষম ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা সীমা সমন্বয় করের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর জোর দিয়ে, ২০০৬ সালের নোবেল পিস লরিয়েট বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।
শিল্পের ডিকার্বনাইজেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমন বিশ্বব্যাপী স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে, কারণ কিছু খাত টেকসই ব্যবস্থা অনুশীলনের তুলনায় ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এসব ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্বন সীমা সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো নীতিগুলি অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, এসব নীতি বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতামূলকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অধিক নির্গমন নীতির কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তাদেরকে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি আরো বলেন, ‘অতএব, স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার কারণে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খণ্ডিত উপায়ে উচ্চাভিলাষী প্রশমন নীতিগুলো শিল্প কর্মকা-কে এমন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে কার্বন মূল্যের কোনো নীতি নেই বা কম কঠোর, যা কার্বন নির্গমনের দিকে ধাবিত করে এবং এইভাবে সামগ্রিক বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি বলেন, ইইউ প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) রপ্তানিকৃত পণ্যগুলোতে নির্গমনের মান পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে এবং কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু নীতি শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনকে সমর্থন করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও উদীয়মান বাজারে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বেসরকারি ২৪ ট্রেনের লিজ বাতিল করল সরকার
চুক্তির শর্ত না মানায় বেসরকারি খাতে পরিচালিত ২৪টি ট্রেনের লিজ প্রাথমিকভাবে বাতিল করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। তবে এখনো লিজ বাতিল হওয়ার ২৪ ট্রেনের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। সেই সঙ্গে সুনির্দিষ্ট কারণও ব্যাখ্যা করেনি বাংলাদেশ রেলওয়ে।
চুক্তি বাতিলের তথ্যটি মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খান।
তিনি বলেন, ট্রেনের চুক্তি আজ থেকেই বাতিল করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত আজই কার্যকর হচ্ছে। তবে কেন বাতিল করা হলো এ বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, বাতিল হওয়া ২৪টি ট্রেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সালাউদ্দিন রিপন এবং তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল।
প্রাথমিকভাবে চার বছরের জন্য ২৪টি ট্রেন পরিচালনার চুক্তি হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।
এসব নেতাদের মধ্যে রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও তুরস্কের ফার্স্ট লেডি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, লিখটেনস্টাইনের প্রধানমন্ত্রী ড্যানিয়েল রিশ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট ডেনিস বেসিরোভিচ, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিনা আনসারি, ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী এডি রামা, মন্টিনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট জ্যাকভ মিলাতোভিচ, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মটলি, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আকুফো-আডো, ব্রাজিলের পরিবেশমন্ত্রী মেরিনা সিলভা প্রমুখ।
কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তুর্কি ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। সেইসঙ্গে গভীর সংস্কার ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস তুর্কি প্রেসিডেন্ট দম্পতিকে শিগগিরই বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
এমআই