পর্যটন
১৭৮ দেশ ভ্রমণের বিশ্ব রেকর্ড নাজমুন নাহারের
অস্ট্রেলিয়ার ঠিক উত্তরে এবং ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত পাপুয়া নিউগিনি অপূর্ব সুন্দর একটি দেশ। আমি যখন সলেমোন দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফ্লাইটে উঠলাম পাপুয়া নিউগিনি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ওই ফ্লাইটে মাত্র ১২ জন যাত্রী ছিলাম আমরা। আমার জীবনে কখনো এত বড় ফ্লাইটে এত ফাঁকা দেখিনি। তার মধ্যে আমি আর ইংল্যান্ডের মাথিও ছিলাম একমাত্র ট্যুরিস্ট। অনলাইনে ভিসার আবেদন করেছি, ভিসা পেতে খুব বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু এই দেশে আসার পূর্বে পথে পথে সবাই আমাকে নিষেধ করেছে। আবার নতুন করে এখানে আসতে আমার অনেক টাকা লাগবে তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও এই যাত্রায় আমি দেশটি কম খরচে ভ্রমণ করে শেষ করতে পারব তাই ভেবে রওনা হয়েছি। আমার সহ-অভিযাত্রী মাথিও হাসতে হাসতে আমাকে বলছে জান নিয়ে ফিরে আসতে পারবো তো? কোভিড মহামারীর পর থেকে নানা ধরনের সিভিল আনরেস্ট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া ইতোপূর্বে তাদের প্রাকৃতিক আর্থ কুইকের মত অনেক দুর্যোগ ঘটেছে। সিকিউরিটি ছাড়া কোন নির্দিষ্ট জায়গায় এখানে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা কিংবা হাঁটাচলা করা টুরিস্টদের জন্য রিস্কি। আমি ভ্রমণ করলাম অপূর্ব রহস্যময়ে এই পাপুয়া নিউগিনি। নিজ চোখে না দেখলে বুঝা যাবে না এই দেশ যে কত সুন্দর। এখানকার রেইন ফরেস্ট, তার পাশে পাহাড়ের ভ্যালি, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আর তার মাঝে যেতে যেতে বড় বড় ব্ল্যাক স্টোন, বাহারি রঙের গাছ, অপূর্ব সুন্দর পাখি, আর এখানকার আদিবাসীদের মুগ্ধ হওয়া কালচারাল ডান্স দেখলে মনে হবে এখানে নিরাপত্তার ঝুঁকি না থাকলে এই প্রকৃতির অনাবিল সৌন্দর্যে আরো বেশ কিছু সময় কাটানো যেত। এবং হেঁটে হেঁটে এখানকার প্রকৃতিকে আরো কাছ থেকে দেখা যেত। তবে শোনা গেছে এখানে পৃথিবীর অনেক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা এসে ছুটি কাটায়। এখানকার সবুজ দেখলে চোখের জ্যোতি বহুবছর ঠিক থাকবে।
যা কিছুই হোক তবে এখানকার সাধারণ মানুষ কিন্তু অনেক ফ্রেন্ডলি। তারা নিজ থেকে কথা বলতে আসলে তাদেরকে ইগনোর করা যাবেনা। এখানকার মানুষ পান সুপারি খেতে খুব পছন্দ করে, এটা ওদের একটা কালচার। যেতে যেতে রাস্তার দিকে তাকালে দেখা যাবে এখানকার প্রতিটা মানুষের ঘাড় থেকে সাইডে ট্রেডিশনাল একটা ক্রস ব্যাগ ঝুলানো থাকে।
এভাবে পাপুয়া নিউগিনি ঘুরতে ঘুরতেতার প্রকৃতিকে দেখি। দক্ষিণ গোলার্ধের প্রশান্ত মহাসাগরের সীমাহীনতায় চোখ মেলি। অসাধারণ পেস্ট কালারের পানির রূপ আর তার চারপাশে ছোট্ট পাহাড়ের ভ্যালি। পাপুয়া নিউগিনির দক্ষিণ গোলার্ধের সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ লোলোটা আমাকে মুগ্ধ করেছে বেশি। ছোট্ট একটা বোটে করে দুলতে দুলতে গিয়েছিলাম সেখানে। এভাবে আমি ছুঁয়েছি পৃথিবীর বিভিন্ন গোলার্ধের শেষ সীমানাগুলো। এটি সমুদ্রের বুকে জেগে থাকা খুবই ছোট্ট একটি দ্বীপ। দিনের বেলায় দেখা যায় চারিদিকে অপূর্ব সুন্দর পানির রং, আর কোরাল লাইফ।
সন্ধ্যা হলে এখানে ঘনিয়ে আসে নিয়ন আলোর স্নিগ্ধতা, আর সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে জেগে ওঠা সুর। জোয়ার এলে এখানে সমুদ্রের পানিতে সব ডুবে যায় সন্ধ্যার দিকে আবার যখন ভাটা হয় তখন সমুদ্রের বুকে অনেক দূর হেঁটে চলে যাওয়া যায় সাদা বালির উপর দিয়ে।
আমাদের জীবন ছোট হলেও বিধাতার এই প্রকৃতি অসীম। ছোট্ট এই জীবনের সময়গুলো পথের সংগ্রামের মাঝে কঠিন থাকলেও যখন পৃথিবীকে এভাবে দেখি তখন মনে হয় ভ্রমণ জীবনের এক অপূর্ব প্রাণের স্পন্দন। পৃথিবীর সাথে এই আত্মার কানেকশন আমাকে নিয়ে এসেছে এই দূর দিগন্তের নীচে এমন অপরূপ মহাবিস্ময়কে কাছে পাওয়ার জন্য। এভাবেই যেতে যেতে পোর্ট মোরেসবির এলেবিচ, ডাউন টাউন, বিভিন্ন ছোট-ছোট গ্রাম, পর্বতমালা, ন্যাশনাল পার্কসহ আরো অনেক দর্শনীয় স্থান দেখেছি। পুরো দেশকে দেখার জন্য আবার কখনো আসতে হবে। এই দেশ ভ্রমণ করাও এত সহজ নয়, এখানকার এক প্রদেশ থেকে আরেক প্রদেশে যেতে কোন সড়ক পথে যানবাহন নেই, ফ্লাইটে যেতে হয়।
এক দেখায় এই দেশ শেষ হওয়ার মতো নয়। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দেশের মাঝে পাপুয়া নিউ গিনি। এখানকার আগ্নেয়গির, প্রকৃতি, একই দেশে হাজার রকমের আদিবাসী কালচার, ৮৫০টির বেশি ভাষা, এখানকার জাতীয় ঐতিহ্যবাহী খাবার মুমু খেলে তার স্বাদ মুখে লেগে থাকবে। মাংস, ফল-মূল, সবুজ শাকসবজি, এবং নারকেল দুধের সংমিশ্রণটি সুন্দরভাবে রান্না করা হয়। সবমিলিয়ে পাপুয়া নিউগিনি পৃথিবীর মাঝে ভিন্ন কালচার এবং প্রকৃতির এক রহস্যপূর্ণ একটি দেশ। এ নিয়ে বিশ্বের মোট ১৭৮টি দেশ ভ্রমণ করা হলো আমার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের দল ঘোষণা
আগামী ১৮ জানুয়ারি মালয়েশিযায় পর্দা উঠবে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের শক্তিশালী স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশ্বকাপে টাইগ্রেসদের হয়ে অধিনায়কত্ব করবেন সুমাইয়া আক্তার।
সদ্য শেষ হওয়া এশিয়া কাপের দল থেকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। দুটি পরিবর্তন হয়েছে। মাহারুন নেছা ও আরভিন তানি বাদ পড়েছেন। আর দলে ডাক পেয়েছেন লাকি খাতুন এবং সাদিয়া ইসলাম।
টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২ ফেব্রুয়ারি। মালয়েশিয়ার বায়োমাস ক্রিকেট ওভালে হবে আসরের সবগুলো সব ম্যাচ। আসরে অংশ নিচ্ছে মোট ১৬টি দল।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল:
সুমাইয়া আক্তার (অধিনায়ক), আফিয়া আশিমা ইরা, ফাহমিদা ছোয়া, ফারিয়া আক্তার, হাবিবা ইসলাম পিংকি, জান্নাতুল ইসলাম মাওয়া, জুয়াইরিয়া ফেরদৌস, লাকি খাতুন, আনিসা আক্তার সোবা, মোসাম্মৎ ইভা , ফারজানা ইয়াসমিন, সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা, নিশিতা আক্তার নিশি, সাদিয়া আক্তার ও সাদিয়া ইসলাম।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য শেষ ম্যাচ ছিল মান বাঁচানোর লড়াই। ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানরা সেটা রক্ষা করতে পারল না। শেষ ম্যাচে ৮০ রানের ব্যবধানে উইন্ডিজকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করল টাইগাররা।
২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রতিপক্ষকে তাদের মাঠে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ভারত, পাকিস্তান এবং ইংল্যান্ডের পর চতুর্থ দল হিসেবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ।
সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪১ বলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৭২ রান করেন জাকের আলি। জবাবে খেলতে নেমে ১৬ ওভার ৪ বলে ১০৯ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
১৯০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় বলেই ব্রান্ডন কিংকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। সিরিজের সবগুলো ম্যাচেই তাসকিনের শিকার হয়েছেন কিং।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ০.৫ ওভারে খেলার পরই হানা দেয় বৃষ্টি। তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিট বিশেক পরই আবার খেলা শুরু হয়। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিন আক্রমণে যায় বাংলাদেশ। নতুন বলে আরো একবার দুর্দান্ত শুরু করেন শেখ মেহেদি। নিজের প্রথম ওভার করতে এসেই উইকেটের দেখা পান। এই ডানহাতি অফ স্পিনারকে লং অন দিয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে বদলি ফিল্ডার আফিফ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন জাস্টিন গ্রিভস। তাতে ৭ রান তুলতেই ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।
এরপর নিকোলাস পুরাণ ও জনসন চার্লস জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে গিয়ে ফেরেন পুরাণ। এই অভিজ্ঞ ব্যাটারকে বোকা বানিয়েছেন মেহেদি। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে নিচু হয়ে ভেতরে ঢোকা বলে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন পুরাণ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১৫ রান।
পাঁচে নেমে ডাক খেয়েছেন রোস্টন চেইস। চার বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই হাসান মাহমুদের বলে মেহেদির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রাখা চার্লস ফিরেছেন রান আউটের শিকার হয়ে। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ২৩ রান। তাতে দলীয় ফিফটির আগেই ৫ উইকেট হারায় উইন্ডিজ।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা। লোয়ার মিডল অর্ডারে রভম্যান পাওয়েল-গুড়াকেশ মোতিরাও ছিলেন আসা-যাওয়ার মিছিলে। খানিকটা ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল রোমারিও শেফার্ড। তবে তার ২৭ বলে ৩৩ রানের ইনিংস কেবলই জয়ের ব্যবধান কমিয়েছে।
বাংলাদেশের হয়ে ২১ রানে ৩ উইকেট শিকার করে ইনিংসের সেরা বোলার রিশাদ হোসেন। তাছাড়া তাসকিন ও মেহেদি দুটি করে উইকেট পেয়েছেন। আর একটি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম সাকিব ও হাসান মাহমুদ।
এর আগে লিটনের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমে রীতিমতো ঝড় তোলেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত শুরু পায় বাংলাদেশ। অফফর্মে থাকা লিটনকেও আজ বেশ আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল। দারুণ কিছু শটও খেলেছেন। তবে ১৪ রানের বেশি করতে পারলেন না। অধিনায়ক ফেরায় ভাঙে ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি।
লিটন ফেরার পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইমন। দুর্দান্ত ব্যাটিং করা এই ওপেনার আলজারি জোসেফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন জাস্টিন গ্রেভসের হাতে। সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। যেখানে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ইমন। ইমনের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৫৪ রান তোলে।
তিনে নেমে ভালো শুরুর আভাস দিলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি তানজিদ তামিম। এক ছক্কায় ৯ বলে ৯ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যকফুটে গেলে আরো একবার দলের হাল ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও জাকের আলি। চতুর্থ উইকেট জুটিতে শুরুতে দুজনে কিছুটা রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলেছেন। আর রানের গতি বাড়াতে গিয়েই ফিরেছেন মিরাজ। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৩ বলে ২৯ রান।
এদিন ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন দেওয়া হয় শামিম হোসেনকে। কিন্তু গত দুই ম্যাচে দারুণ ব্যাট করলেও আজ তার ভাগ্য সহায় হয়নি। ২ রান করে জাকেরের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়েছেন। একই পথে হেটেছেন শেখ মেহেদিও।
দুই ব্যাটারের রান আউটের সঙ্গেই ছিল জাকেরের নাম। তাই বাড়তি দায়িত্ব ছিল তার ওপর। সেটা ভালোভাবেই পুষিয়ে দিয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। শুরুতে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করলেও ফিনিশিংটা করেছেন দুর্দান্ত। এক প্রান্তে রীতিমতো টর্নেডো বইয়ে দিয়ে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় ৪১ বলে করেছেন অপরাজিত ৭২ রান।
জাকেরকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তানজিম সাকিব। এক চার ও এক ছক্কায় ১২ বলে ১৭ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
কম খরচেই ঘুরে আসুন বিশ্বের ৫ দেশে
বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন সবাই দেখেন। তবে বিদেশ ভ্রমণে যেতে গুনতে হয় বেশ বড় অংকের টাকা। বাংলাদেশি মুদ্রার সঙ্গে বিদেশি মুদ্রার পার্থক্য দেখে অনেকেই ভ্রমণে যেতে সংকোচবোধ করেন।
তবে বাংলাদেশ ও ভারতের আশপাশেই এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে একটু বুদ্ধি করে পরিকল্পনা করলেই কম খরচে ঘুরে আসা যায়। ঠিক সময় বিমানের টিকিট কিনে রাখতে পারলে বাজেটের মধ্যেই বিদেশ ঘুরে আসতে পারবেন। জেনে নিন কম খরচেই কোন কোন দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন-
ভিয়েতনাম
কলকাতা থেকে সরাসরি বিমানে চেপে ভিয়েতনাম পৌঁছনো যায়। সেখানকার ইতিহাস জানতে গেলে ঘুরে দেখতে হবে সংগ্রহশালা। গ্র্যান্ড নটার ডাম ক্যাথিড্রাল, ফরাসি উপনিবেশকালে বেশ কিছু স্থাপত্য আছে এখানে। এছাড়া যাওয়া যেতে পারে ইতিহাসের স্মৃতিবিজড়িত হুই শহরে।
এখানকার পারফিউম নদীতে নৌকাবিহারের স্মৃতি ভুলতে পারা কঠিন। এছাড়া আছে একাধিক প্যাগোডা। হাতে সময় থাকলে ঘুরে দেখে নিতে পারেন হ্যানয়, মি সান, হোই অ্যান শহরগুলো। থাকা, খাওয়া বাদ দিলে ঘুরতে খুব বেশি খরচ হওয়ার কথা নয়। যদি আগে থেকে বুকিং সেরে রাখা যায়।
নেপাল
কম খরচে নেপাল ঘুরতে চাইলে বিমান নয়, শিলিগুড়ি থেকে বাসে কাঠমাণ্ডু চলে যান। একটু বেশি সময় লাগবে এই যা। এছাড়া প্রাইভেট গাড়িও পাওয়া যায়। পৌঁছাতে সময় লাগবে ঘণ্টা তিনেক। অফ সিজনে এলেও গাড়ি, হোটেল ভাড়া তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
আর বেশ কিছুদিন আগে থেকে হোটেল করে রাখলেও খানিকটা সাশ্রয় হয়। ঘোরার জায়গার তো শেষ নেই। হাতে সময় থাকলে বোধি স্তূপ, নারায়ণহিতি প্যালেস, সংগ্রহশালা, কৈসর মহল, নীলকণ্ঠ মন্দির ঘুরে আসতে পারেন।
শ্রীলঙ্কা
শ্রীলঙ্কার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার মতো। পাহাড়, সমুদ্র ও সবুজ চা বাগানে ভরা শ্রীলঙ্কা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। কিছুটা কম খরচে বিমানের টিকিট কেটে রাখতে পারলে খরচ কমবে ভ্রমণে। থাকার হোটেল রয়েছে বিভিন্ন দামের। হাতে খুব বেশি সময় না থাকলে ক্যান্ডি, নুয়েরাএলিয়া, সীতাএলিয়া, গ্রেগরি লেক ঘুরে দেখতে পারেন।
কাছেই আছে পিনাওয়ালা এলিফেন্ট অরফ্যানেজ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৫০-৬০টি হাতির বাস। শ্রীলঙ্কা কিন্তু বিখ্যাত দারুচিনির জন্য। তাই মাড়ু নদীর ধারে দারুচিনি দ্বীপ থেকে ঘুরে আসতে ভুলবেন না। ফিরতি পথে রাজধানী শহর কলম্বো ঘুরে দেখে নিতে পারেন।
ভুটান
শান্ত, নিরিবিলি, পাহাড় ও জঙ্গলে ঘেরা ভুটানের সরল জীবনযাত্রাই পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ। তবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে পর্যটকদের ভিড় বেশি থাকে। তাই খরচ কমাতে চাইলে ওই সময় বাদে অফটাইম বেছে নিন। বৌদ্ধমঠ ও মন্দিরে ঘেরা ভুটানের সব জায়গায় কিন্তু গাড়ি পৌঁছায় না।
তাই হেঁটে হেঁটে ঘুরতে পারলে তবেই যান ভুটান। তার মধ্যে দেখার মতো বৌদ্ধমঠ হল দ্রামেতসে গোয়েম্বা, চোরতেন কোরা, ত্রাশিগাং জং, মংগার জং। প্রাচীন একটি অভয়ারণ্য গোম্ফু কোরা। যদিও বৌদ্ধমঠগুলো দেখতে একই রকম তাই সবগুলোতে যেতে না পারলেও সমস্যা নেই।
মিশর
নীলনদের তীরে অবস্থিত মিশরের পিরামিড পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে একটি। কলকাতা থেকে যেতে গেলে দিল্লি বা মুম্বই থেকে রাজধানী কায়রোতে যেতে হয়। এক ঝলকে দেখলে অনেকটা রাজস্থানের মতো মনে হবে।
মিশরের ইতিহাস ও এই দেশ এতই বিশাল যে একবার এসে পুরোটা আত্মস্থ করা প্রায় অসম্ভব। তাই যে কোনো একটি দিক থেকে শুরু করাই ভালো। তবে সেখানে খাবার ও পানির দাম একটু বেশি। তবে যাতায়াতের খরচ ও হোটেলের ভাড়া কমাতে না পারলে খরচ বেশ ভালোই হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে সৌদি আরবে
আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল ২০৩৪ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে সৌদি আরব। এবার এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিফা জানাল, আগামী ২০৩৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করবে সৌদি আরব।
বুধবার একটি ভার্চুয়াল সভায় ২০৩৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে সৌদি আরবের নাম ঘোষণা করেছে ফিফা। একই দিনে ফিফা আরো জানিয়েছে, ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজন করবে মরক্কো, স্পেন ও পর্তুগাল মিলে। এছাড়া, বিশ্বকাপের শতবর্ষ উপলক্ষে একটি করে ম্যাচ হবে আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়েতে।
২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে বদলে যাচ্ছে ফুটবল বিশ্বকাপের চেহারা। শেষ কয়েকটি আসর বসেছিল ৩২ দল নিয়ে। যাতে বিশ্বকাপে খেলা হতো ৬৪ ম্যাচ। আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ থেকে দল বাড়ছে আরও ১৬টি, যার ফলে বাড়ছে ম্যাচসংখ্যাও। দশ বছরের পরের তথা ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপেও অংশ নেবে ৪৮টি দল।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ৪৮ দলের অংশগ্রহণে ২০৩৪ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ৫টি শহরের ১৫টি স্টেডিয়ামে, এর মধ্যে ৮টি রাজধানী রিয়াদে। আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনে (ফিফা) আনুষ্ঠানিকভাবে টুর্নামেন্টের বিড করার পর এ ঘোষণা আসল।
ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য অনেক আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু করেছিল সৌদি আরব। বিশেষত ফুটবলে বিশাল বাণিজ্যের বাজার ধরতে তারা পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড খুলেছিল। তার অধীনে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও নেইমার জুনিয়রসহ ইউরোপ মাতানো অসংখ্য ফুটবলারকে নিজেদের ক্লাবে ভিড়িয়েছে সৌদি। অবশেষে তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
খেলাধুলা
অনূর্ধ্ব-১৯ শিরোপা জয়ীদের প্রধান উপদেষ্টার অভিনন্দন
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ দলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আবারও অনূর্ধ্ব–১৯ এশিয়া কাপ জয় করায় বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিজয়ের মাসে আন্তর্জাতিক বিজয়ের জন্য গর্বিত জাতির পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারত। বাংলাদেশ ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রানে অলআউট হয়। জবাবে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোণঠাসা হয়ে যায় ভারত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে ভারত অলআউট হলে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশের যুবারা।
২০২৩ সালে এই স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলদেশ।