জাতীয়
শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ
শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এইচ এম এরশাদবিরোধী গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন চত্বর) পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। বুকে-পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক ও স্বৈরাচার নিপাত যাক’ লিখে বিক্ষোভ করার সময় নূর হোসেনকে গুলি করে পুলিশ। দিনটি ‘গণতন্ত্র মুক্তি দিবস’ হিসেবেও পালিত হয়ে আসছে।
এই দিবস উপলক্ষে গণতন্ত্র মঞ্চ আজ সকাল সাড়ে ৮টায় গুলিস্তানের নূর হোসেন চত্বরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে। সকাল ৮টায় শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সিপিবি। এ ছাড়া বিভিন্ন দল ও সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে। শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেছেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। তাঁকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নূর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, তবে যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নূর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তাঁর সেই স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি। নব্বইয়ের মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আগের রাতের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন করার মধ্য দিয়ে। ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও, এখনও তাদের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৮ কর্মকর্তাকে বদলি
পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ২৮ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে ২৫ জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ৩ জন সহকারী পুলিশ সুপার রয়েছেন।
বদলিকৃত কর্মকর্তাদের তালিকা দেখুন এখানে…
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কপ-২৯ সম্মেলনে আজ ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (১৩ নভেম্বর) কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস-২৯ (কপ-২৯)-এ ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ‘প্রধান উপদেষ্টা বুধবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে কপ২৯-এ ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।’
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কপ২৯ সম্মেলন শুরু হয়েছে। অধ্যাপক ইউনূস জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে চার দিনের সফরে এখন বাকুতে রয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস মঙ্গলবার বাকুতে কপ২৯-এর উদ্বোধনী দিনে ব্যস্ত দিন পার করেন। ওইদিন তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অন্তত ২০ জন শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা কপ২৯ ভেন্যুতে বিশ্ব নেতাদের শীর্ষ সম্মেলনে তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এবং তুর্কি ফার্স্ট লেডির সঙ্গে দেখা করেন। প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান তাকে তুরস্ক সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি গভীর সংস্কার ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার যাত্রায় বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন। ড. ইউনূস তাদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গেও সাক্ষাৎ প্রধান উপদেষ্টা করেন। ড. ইউনূস জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে গিয়ে বন্দি ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেয়ার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এছাড়া প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের সঙ্গে দেখা করেছেন।
অন্যদের মধ্যে তিনি বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার রাষ্ট্রপতি, বসনিয়া-হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার রাষ্ট্রপতি, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টিনিগ্রোর রাষ্ট্রপতি, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিফা সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ড. ইউনূস আইওএম মহাপরিচালকের সঙ্গেও দেখা করেছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এফটিএ বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন বলেছেন, জাপানের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) দুদেশের বাণিজ্য সম্ভাবনাকে উজ্জ্বল করবে এবং এটি বাংলাদেশের সামনে সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দেবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা একথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি ও দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, জাপানের সাথে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি হলে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ককে স্বচ্ছ ও বিশ্বাসের মানদন্ডে পৌঁছেছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনা আছে। সুশাসন নিশ্চিত করে সরকার সে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে চায়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি বলেন,বাংলাদেশের সাথে জাপানের বন্ধুত্বের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ব্যবস্যা বাণিজ্য সম্প্রসারণের মধ্যে দিয়ে সেই বন্ধুত্ব আরো নিবিড় হবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশই বাণিজ্য সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা: শ্রম উপদেষ্টা
কোনো কারখানার মালিকপক্ষ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান শ্রমিক অসন্তোষের যৌক্তিক সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে তা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শ্রমিকদের রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। আমরা আপনাদের কষ্ট অনুভব করছি। আপনাদের ন্যায্য পাওনা আপনারা অবশ্যই পাবেন।
মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন-ভাতা সঠিকভাবে পরিশোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ভাই-বোনদের বকেয়া পাওনা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আপনাদের ফ্যাক্টরি চলে। দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সব কারখানায় সরকার-ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যত্যয়ের কোনো সুযোগ নেই। কেউ মজুরি বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মালিকপক্ষের সমস্যা পেলে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। দেশকে সচল রাখতে হবে। রাস্তাঘাট অবরোধ করে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার সুযোগ নেই।
শ্রমিক অসন্তোষের কারণ অনুসন্ধান করা ও তা নিরসনের লক্ষ্যে ক্লাস্টার-ভিত্তিতে কমিটি গঠনের নির্দেশনা দিয়ে এই উপদেষ্টা বলেন, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়া, সাভারসহ কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ক্লাস্টার-ভিত্তিতে কমিটি গঠন করতে হবে। ওই কমিটি মালিকপক্ষকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করবে। তারা বেতন-ভাতা পরিশোধ করছে কি না, সেটিও নিশ্চিত করবে। শ্রমিক অসন্তোষ কেন হচ্ছে, কারণ কী—অনুসন্ধানপূর্বক সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। শ্রমিক অসন্তোষ তৈরিতে বহিরাগতদের উসকানি রয়েছে কি না, সেটিও খতিয়ে দেখবে এ কমিটি।
তিনি দেশের স্বার্থে শ্রমিকদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বচ্ছতা ও সততা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
এসময় দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া বেতন না দিতে পারা বার্ডস গ্রুপকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব বাজেট থেকে সুদমুক্ত ১৪ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সীমিত ডিকার্বনাইজেশন সক্ষমতা সম্পন্ন বেশিরভাগ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের সবুজ শিল্প বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও রেয়াতি ডিকার্বনাইজেশন ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাজে লাগিয়ে ক্লাইমেট ক্লাবের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।
এখানে প্রাপ্ত একটি বার্তায় বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ২৯ সম্মেলনে জার্মানি ও চিলি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের জলবায়ু ক্লাব নেতাদের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন আরো বেশি দ্রুত ও টেকসই উপায়ে হ্রাস এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন ৪৩ শতাংশ কমাতে এবং ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-শূন্যে পৌঁছানোর জন্য উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে ব্যাপক আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ প্রয়োজন।
তিনি বিশেষ করে উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রমাণিত কম নির্গমন প্রযুক্তি প্রদর্শন ও স্থাপন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘অনেক ডিকার্বনাইজেশন প্রযুক্তির জন্য উলে¬খযোগ্য অগ্রিম বিনিয়োগের প্রয়োজন। অর্থায়নের সীমিত সুযোগ রয়েছে এমন দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো সবচেয়ে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ ধরণের অধিক মূলধন বিনিয়োগ করা শিল্পের জন্য একটি বাধা হতে পারে।
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের শিল্পের জন্য রেয়াতি অর্থের সুযোগ লাভকে উৎসাহিত করে শিল্প ডিকার্বনাইজেশনের ক্ষেত্রে অর্থায়নের জন্য আর্থিক ব্যবস্থার বিকাশের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তির আর্টিকেল ৬.৮ এর অধীনে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি হস্তান্তর নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
আমদানিতে সুষম কার্বন খরচ আরোপ করে একটি সুষম ক্ষেত্র তৈরি করতে কার্বন মূল্য নির্ধারণ বা সীমা সমন্বয় করের ওপর আন্তর্জাতিক চুক্তির উপর জোর দিয়ে, ২০০৬ সালের নোবেল পিস লরিয়েট বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে (এলডিসি) তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার প্রেক্ষিতে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।
শিল্পের ডিকার্বনাইজেশন সম্পর্কে তিনি বলেন, কার্বন নির্গমন বিশ্বব্যাপী স্বল্প-কার্বন প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনের জন্য প্রণোদনা কমিয়ে দিতে পারে, কারণ কিছু খাত টেকসই ব্যবস্থা অনুশীলনের তুলনায় ব্যয়কে অগ্রাধিকার দিতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এসব ঝুঁকি প্রশমিত করার জন্য, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার সাথে ডিকার্বনাইজেশন প্রচেষ্টার ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্বন সীমা সমন্বয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মতো নীতিগুলি অপরিহার্য।’
তিনি আরো বলেন, অন্যদিকে, এসব নীতি বাংলাদেশের মতো বিশেষভাবে দুর্বল উন্নয়নশীল দেশের কোম্পানিগুলির প্রতিযোগিতামূলকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অধিক নির্গমন নীতির কারণে উচ্চ উৎপাদন খরচের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী তাদেরকে কম প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে।
তিনি আরো বলেন, ‘অতএব, স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য তাদের বিশেষ পরিস্থিতি ও উন্নয়ন চাহিদার কারণে অগ্রাধিকারমূলক ব্যবস্থার প্রয়োজন হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খণ্ডিত উপায়ে উচ্চাভিলাষী প্রশমন নীতিগুলো শিল্প কর্মকা-কে এমন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছে যেখানে কার্বন মূল্যের কোনো নীতি নেই বা কম কঠোর, যা কার্বন নির্গমনের দিকে ধাবিত করে এবং এইভাবে সামগ্রিক বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন হ্রাসের বৈশ্বিক লক্ষ্যকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
তিনি বলেন, ইইউ প্রস্তাবিত কার্বন বর্ডার অ্যাডজাস্টমেন্ট মেকানিজম (সিবিএএম) রপ্তানিকৃত পণ্যগুলোতে নির্গমনের মান পরোক্ষভাবে প্রয়োগ করে এবং কার্বন নির্গমন প্রতিরোধ করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে তাদের জলবায়ু নীতি শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, একটি ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবর্তনকে সমর্থন করার পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ও উদীয়মান বাজারে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
এমআই