কর্পোরেট সংবাদ
গ্রামে ১ হাজার গাছ রোপণ করলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম
কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি হল কৃষক ও কৃষিজ সম্পদ। বন্যা-পরবর্তী সময়ে এলাকাবাসীর কৃষিজ সম্পদের প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে নিজ গ্রামে এক হাজার ফলজ গাছ রোপন করলেন পরিবেশ, ভ্রমণ ও এ্যাভিয়েশন বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম।
শনিবার (৯ নভেম্বর) নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দশানী টবগা গ্রামে আম, জাম, কাঁঠাল, পেঁয়ারা, কাঠবাদাম, বাক্সবাদাম, লেবু ইত্যাদি গাছ রোপণ ও বিতরণ কার্যক্রম আয়োজন করা হয়।
এই কার্যক্রম সম্পাদনে সহযোগী হিসেবে ছিল মিশন গ্রিন বাংলাদেশ ও এসএমএস এনভায়রনমেন্টাল এলায়েন্স।
কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম বলেন, ফলজ গাছ শুধুমাত্র আমাদেরকে বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেনই দেয়না বরং এসব গাছ থেকে প্রাপ্ত ফল আমাদের শরীরে ভিটামিনের যোগানের পাশাপাশি ফল বিক্রয়ের মাধ্যমে সংসারে অর্থকড়িও দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রকৃতি থেকে বিনামূল্যে নিচ্ছি সেটা কোন হাসপাতাল থেকে নিতে গেলে প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের অর্থ গুণতে হত। জীবনে আমরা সবকিছুর জন্য অর্থ খরচ করলেও কেবলমাত্র প্রতিনিয়ত অক্সিজেন গ্রহণের জন্য খরচ করি না। কেউ না কেউ গাছ লাগিয়েছে বলেই কিন্তু আমরা নির্মল বাতাস গ্রহণ করতে পারছি। তাই আসুন আজ থেকে নিজের অক্সিজেনের ও ভিটামিনের যোগান নিজেই দেই।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চাটখিল উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মোকছেদ মিয়া বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বন্যা পরবর্তী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম এলাকার মধ্যে সবুজের ভারসাম্য রক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু বন্যার কারনে গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বৃক্ষরোপন ও বিতরণ প্রসঙ্গে মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহ্বায়ক আহসান রনি বলেন, ‘সারা দেশকে আমরা সবুজ করতে চাই। দেশ সবুজ হলে অনেকাংশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিই শুধু কমবে না বরং আমাদের দেশ ফিরে পাবে তার হারানো রূপ। আমরা ফিরে পাব সবুজ, শ্যামল বাংলাদেশ। এছাড়াও আমরা বুকভরে নিতে পারব নির্মল বাতাস।‘
গ্রামের বাসিন্দা সমাজসেবক ও সদ্যবিদায়ী দশানী টবগা গ্রামের (৭ নং ওয়ার্ড) কাউন্সিলর সালেহ আহমেদ সুমন বলেন, সম্প্রতি বন্যায় পাড়া-মহল্লায় এবং নার্সারিতে ও বনজ ও ফলদ গাছগুলো মারা যাওয়ায় এই মুহুর্তে নতুন উদ্যোমে বৃক্ষরোপণ অতিব জরুরি ছিলো। এছাড়াও, বর্তমানে ফলমূলের দাম আকাশচুম্বী তাই অনেকেই ফল থেকে প্রাপ্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন নিতে পারছে না। এ থেকে সমাধানের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ফলগাছ রোপন করা। আমাদের গ্রামে এই এক হাজার ফলজ গাছ রোপনের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের শুধুমাত্র ফলের চাহিদাই পূরণ করবে না বরং একইসাথেই অক্সিজেনেরও যোগান দিবে।
প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রতি বছর বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার প্রভাব শহরের পাশাপাশি গ্রামেও পড়ছে। এসব মোকাবেলায় নগরাঞ্চলে নানান পদক্ষেপ বা কর্মসূচী লক্ষণীয় হলেও গ্রামে সেটা অপ্রতুল। তাই উষ্ণতা কমাতে হোক কিংবা ফল খেতেই হোক, প্রচুর পরিমানে গাছ লাগানো গেলেই উষ্ণতা কমতে শুরু হবে বলে মনে করেন পরিবেশ ও জলবায়ু বিজ্ঞানীরা।
উল্লেখ্য, কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম গত সপ্তাহে গ্রামে পাঁচশত তালবীজ রোপন করেন। এছাড়াও কিছুদিন আগে রাজধানী ঢাকায় পাঁচশত নিমগাছ রোপন ও নিয়মিত পরিচর্যার ব্যবস্থা করেছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
জনতা ব্যাংকের ‘ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স’ উদ্বোধন
ঢাকার জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজ আয়োজিত ৩০ কর্মদিবসব্যাপী ‘ফাউন্ডেশন কোর্স ফর অফিসার্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেছেন জনতা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবর রহমান।
সোমবার (১১ নভেম্বর) এ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন তিনি।
এই প্রশিক্ষণ কোর্সে জনতা ব্যাংকের ৫০ কর্মকর্তা অংশ নেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জনতা ব্যাংক স্টাফ কলেজের ডিজিএমসহ (ইনচার্জ) অন্যান্য নির্বাহী ও অনুষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এবি ব্যাংকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ শীর্ষক কর্মশালা
এবি ব্যাংক পিএলসি সম্প্রতি ব্যাংকের বাণিজ্যিক শাখা সমূহ এবং প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের জন্য “বাণিজ্য-ভিত্তিক মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ” বিষয়ক একটি দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মাদ মোক্তার হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবি ব্যাংক ফাউন্ডেশনের কনসালট্যান্ট কাইজার এ. চৌধুরী এবং এবি ব্যাংকের ডিএমডি ও ক্যামেলকো আমিনুর রহমান।
কর্মশালায় বিএফআইইউ-এর অতিরিক্ত পরিচালক মোক্তার হোসেন এবং যুগ্ম-পরিচালক মোশাররফ হোসেনসহ এবি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
এভারকেয়ার হসপিটালের ব্র্যান্ডিং ও পিআর প্রধান হলেন সালাহউদ্দিন মামুন
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিং এবং জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন মো. সালাহউদ্দিন মামুন। এর আগে তিনি এ বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এভারকেয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে জনসংযোগ ও ব্র্যান্ডিং খাতে অভিজ্ঞতা অর্জন করা সালাহউদ্দিন মামুন এখন থেকে এভারকেয়ার হসপিটালের বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা এবং সেবামূলক কার্যক্রম প্রচারের দায়িত্বে থাকবেন। তার নেতৃত্বে হাসপাতালের ব্র্যান্ডের উন্নতি এবং জনসম্পৃক্ততা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও প্রত্যাশা কর্তৃপক্ষের।
সালাহউদ্দিন মামুন তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ সম্পর্কে জানান, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামের সাথে নতুন করে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য এবং উদ্যোগগুলোর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে। আশা করছি, আমি আমার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এভারকেয়ারের সেবা কার্যক্রম এবং ব্র্যান্ডিং প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে সক্ষম হব।
প্রসঙ্গত, দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে গুণগত মানের স্বাস্থ্যসেবা এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল।
এখানে আছে ২৪/৭ জরুরি বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ, যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএসও এখন বিকাশ অ্যাপে
গ্রাহকরা এখন বিকাশ অ্যাপ থেকেই ঢাকা ব্যাংকের ডিপিএস সেবার পাশাপাশি ইসলামিক ডিপিএস সেবাও নিতে পারছেন যেকোনো সময়, যেকোনো স্থান থেকেই। এর মাধ্যমে বিকাশ গ্রাহকদের জন্য চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস সেবার পাশাপাশি দুটি ব্যাংকের শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামিক ডিপিএস সেবাও নেয়ার সুযোগ তৈরি হলো।
দেশের বৃহত্তম এমএফএস প্রতিষ্ঠান বিকাশ তার প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক ডিপিএস সেবা নিয়ে আসে ২০২১ সালে। পর্যায়ক্রমে ইসলামিক ডিপিএস সেবা ও সাপ্তাহিক ডিপিএস সেবাও চালু করে প্রতিষ্ঠানটি। এখন পর্যন্ত গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে এই চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ৩০ লাখের বেশি মাসিক ও সাপ্তাহিক ডিপিএস খুলেছেন।
বিকাশ অ্যাপ দিয়ে কাগজপত্র বা ফর্ম পূরণের ঝামেলা ছাড়াই মাত্র কয়েক মিনিটে সহজ কয়েকটি ধাপে বিভিন্ন মেয়াদ ও অংকের ইসলামিক ডিপিএস সেবা নেয়া যায়। ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক ডিপিএস সঞ্চয় সেবা চালু করার জন্য অ্যাপের হোম স্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে যেয়ে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ‘ইসলামিক ডিপিএস’-এ ট্যাপ করে মেয়াদ, জমার ধরন ও পরিমাণ নির্বাচন করতে হবে। মাসিক ৫০০, ১ হাজার, ২ হাজার, ২.৫ হাজার, ৩ হাজার, ৫ হাজার এবং ১০ হাজার টাকা কিস্তিতে সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ চার বছর মেয়াদে সঞ্চয় স্কিম থেকে নিজের পছন্দমতো সঞ্চয় করতে পারবেন গ্রাহক। সঞ্চয়ের মেয়াদ পূরণ হওয়ার পর গ্রাহকেরা মুনাফাসহ পুরো টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবেন কোনো খরচ ছাড়াই।
প্রতি মাসের নির্ধারিত তারিখে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে সঞ্চয়ের কিস্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঢাকা ব্যাংকের ইসলামিক অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে যাবে। তাই, নির্ধারিত তারিখের আগেই প্রয়োজনীয় টাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে রাখার জন্য এসএমএস দিয়ে স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে গ্রাহককে। এছাড়া গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকে জমার পরিমাণ, সঞ্চয়ের সময়কাল, মুনাফার পরিমাণ সরাসরি দেখতে পারবেন যেকোনো সময়।
ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা ও পরিকল্পনা বিবেচনায় প্রতি মাসে কিছু সঞ্চয় করার জন্য এখন নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাংকে গিয়ে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার ঝামেলা নেই। ফলে ব্যাংকিং সেবার ভেতরে এবং বাইরে থাকা বিশাল জনগোষ্ঠী সহজেই ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিক সঞ্চয় সেবা নিতে পারছেন, যা সার্বিকভাবে গ্রাহকদের সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করছে এবং অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। বিকাশ অ্যাপ থেকে সেবাটি গ্রহণ করতে ডিজিটাল নিবন্ধনের মাধ্যমে গ্রাহকের তথ্য হালনাগাদ থাকতে হবে। অ্যাপ থেকেই যেকোনো সময় তথ্য হালনাগাদের সুযোগ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো ‘ভয়েস সার্চ’ সুবিধা
টাইপ না করে শুধুমাত্র কথা বলেই ‘ভয়েস সার্চ’ অপশন ব্যবহার করে ওয়েব ব্রাউজার বা অ্যাপে দরকারি কিছু খোঁজা এখন পৃথিবীজুড়েই খুব জনপ্রিয়। ব্যস্ততার সময়ে ভয়েস সার্চের মাধ্যমে খুব সহজেই কল দেয়া থেকে শুরু করে কোনো তথ্য বা সেবা নেয়া অনেকের কাছেই বেশ ট্রেন্ডি, বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। তবে শুধু তরুণরাই নয় আস্তে আস্তে সব বয়সীরাই ভয়েস সার্চে অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন। মানুষের জীবনকে সহজ করা এই প্রযুক্তি সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে দেশের বৃহত্তম ডিজিটাল আর্থিক সেবার প্ল্যাটফর্ম বিকাশ অ্যাপে।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বসবাস করা গৃহিণী নাসরিন আক্তার প্রতি মাসেই দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করা কিছু দাতব্য প্রতিষ্ঠানে সহায়তা পাঠান। বিকাশ অ্যাপে প্রতিবার ‘ডোনেশন’ আইকনটি খুঁজে বের করতে সময় লেগে যায়। তবে ভয়েস সার্চ সেবা যুক্ত হওয়ার পর তার মেয়ে তাকে অপশনটির ব্যবহার শিখিয়েছেন। ফলে এখন নিজেই ভয়েস সার্চ করে পছন্দের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অনুদান পাঠিয়ে দিতে পারছেন পঞ্চাশোর্ধ এই গৃহিণী। এখন তার মতো লাখো গ্রাহক স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করছেন বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হওয়া নতুন এই ফিচার।
নিজের বা প্রিয়জনের মোবাইল রিচার্জ, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, অনলাইনে বা অফলাইনে পণ্য ও সেবা কেনাকাটা, টাকা পাঠানো, সরকারি ফি পরিশোধ, আর্ত-মানবতার সেবায় অনুদান, মাসিক বা সাপ্তাহিক ডিপিএস-এর মাধ্যমে সঞ্চয়, ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম দেয়া, ব্যাংক থেকে বিকাশে বা বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করাসহ এখন প্রায় সব ধরনের আর্থিক লেনদেনে বিকাশ অ্যাপের ব্যবহার কোটি গ্রাহকের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। বিকাশ অ্যাপের বৈচিত্র্যময় সেবা থেকে সহজে ও কম সময়ে প্রয়োজনীয় সেবাটি খুঁজে পেতেই বিকাশ অ্যাপে যুক্ত করা হয়েছে ‘ভয়েস সার্চ’ অপশন।
অ্যাপের হোমস্ক্রিনে যুক্ত সার্চ অপশন থেকে বাংলা বা ইংরেজিতে টাইপ করে চার ধরনের তথ্য খুঁজে নিতে পারছেন গ্রাহকরা। সেই একই স্থানে ভয়েস সার্চ আইকন চেপে ধরে কথা বলেই কন্টাক্ট লিস্টে থাকা নাম্বার, বিকাশের যেকোনো সেবা, বিকাশ থেকে দেয়া অফার এবং যেকোনো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় তথ্য বা সেবা খুঁজে পাবেন গ্রাহক। ভয়েস সার্চ এর ক্ষেত্রেও বাংলা বা ইংরেজি যেকোনো ভাষা ব্যবহার করেই সার্চ করার সুযোগ রয়েছে।
শহরে বা গ্রামে প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এখন আর্থিক সেবা নেয়ার জন্য বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করেন। এখন পর্যন্ত গুগল প্লে-স্টোর এবং অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে পাঁচ কোটিরও বেশি বার বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করা হয়েছে। ভয়েস সার্চ অপশনটি অ্যাপ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের আর্থিক সেবা নেয়ার অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে আরো উপভোগ্য।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জেন-জি এবং মিলেনিয়ালদের মাঝে ভয়েস সার্চের প্রবণতা অন্য প্রজন্মগুলোর চেয়ে বেশি। গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রাইসওয়াটারহাউসকুপারস (পিডব্লিউসি)-এর এক সাম্প্রতিক জরিপ অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের ৫৯ শতাংশ দিনে অন্তত একবার তাদের স্মার্টফোন, ট্যাব বা অন্য কোনো ডিভাইসে ভয়েস অ্যাসিসটেন্স ব্যবহার করেন, আর ২৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই হার ৬৫ শতাংশ।
বিকাশ অ্যাপের নতুন এই সুবিধা সম্পর্কে বিকাশের হেড অব করপোরেট কমিউনিকেশনস অ্যান্ড পিআর শামসুদ্দিন হায়দার ডালিম বলেন, “গ্রাহকের প্রতিদিনকার আর্থিক লেনদেনকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে নিয়মিতভাবে বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হয় নতুন নতুন ফিচার, যা ক্রমেই একে পরিণত করছে একটি লাইফস্টাইল অ্যাপে। পৃথিবীর সেরা প্রযুক্তিগুলো ব্যবহার হচ্ছে বিকাশ অ্যাপে, যা গ্রাহকের ডিজিটাল লেনদেনের অভিজ্ঞতাকে আরও নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করছে ভয়েস সার্চ-এর মতো উদ্ধাবনী সব ফিচারের মাধ্যমে। আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে ডিজিটাল অভ্যস্ততা আরও বাড়াতে উদ্বুদ্ধ করবে এই ধরণের গ্রাহককেন্দ্রিক উদ্ভাবনী ফিচারগুলো।”
এমআই