রাজনীতি
গণতন্ত্র না ফিরলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না: তারেক রহমান
গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে না পারলে ষড়যন্ত্র রুখে দেয়া যাবে না। জবাবদিহি নিশ্চিত করতে না পারলে ভালো কিছু সম্ভব না। ভোট যাতে হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। মানুষ যাকে খুঁশি তাকে ভোট দেবে। ষড়যন্ত্র রুখতে হলে ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইন্সটিটিউটে কৃষক দলের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
১০ নভেম্বর থেকে আগামী তিনমাস প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষক সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, কৃষক দলকে কৃষকনির্ভর করে গড়ে তুলতে হবে। কৃষক সমাবেশে কৃষকদের সমস্যা শুনতে হবে। তারপর সেই সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতায় গেলে শহীদ জিয়াউর রহমানের খাল খনন কর্মসূচি শুরু করা হবে। আমাদের দেশে অনেক জায়গা আছে যেখানে আমাদের দেশের কৃষক প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ফসল উৎপাদনে বাধাগ্রস্ত হয়। খাল খননের মাধ্যমে শহীদ জিয়া পানির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। যেখানে একটি ফসল হতো সেখানে পানির কারণে দুইটি হয়েছিল, দুইটি ফসলের জায়গায় তিনটি ফসল হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নারীদের বড় একটা অংশ কৃষির সঙ্গে জড়িত। তাই কৃষির প্রতি নজর দিতে হবে। আমরা প্রতিবার চেষ্টা করেছি কৃষি সমস্যার প্রতি নজর দিতে। খালেদা জিয়ার সময় ৫ হাজার পর্যন্ত কৃষি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল। ফসলের মৌসুমে বিদ্যুৎ বিল সরকার বহন করতো। যার মধ্য দিয়ে কৃষকদের কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে।
কৃষকের বীজের সমস্যার সমাধান করা যায়নি উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, বিভিন্ন সময় ফসল নষ্ট হয় সেজন্য আমরা কৃষি বিমার কথা চিন্তা করেছি। অনেক সময় মহাজন থেকে ঋণ নেয়, যা কৃষকের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, সেখান থেকে আমরা যদি এটা করতে পারি তাহলে এই সমস্যাটা আর হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মতে, ২০ কোটি মানুষের জন্য খাদ্য উৎপাদন করতে হলে কৃষির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। এত মানুষের জন্য খাদ্য আমদানি সম্ভব না। তাই যেগুলো মৌলিক খাদ্য, সেগুলো দেশেই উৎপাদন করতে হবে। তাই কীভাবে কৃষি জমি বাড়ানো যায় সেটা আমাদের চিন্তা করতে হবে। কিছু পদক্ষেপ আছে যেগুলো করলে কৃষি জমি বাড়ানো যায়, এটা একমাত্র সম্ভব ক্ষমতায় গেলে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসা থেকে সেনাকুঞ্জের উদ্দেশে রওনা হবেন খালেদা জিয়া।
বুধবার (২০ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী এ বি এম আব্দুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৮ সালের পর খালেদা জিয়ার এটি প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি, যেখানে তিনি অংশগ্রহণ করবেন। এর আগে, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরের মাধ্যমে খালেদা জিয়া শেষবারের মতো জনসমক্ষে হাজির হয়েছিলেন।
এবারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যা ২০০৯ সালের পর তার প্রথম অংশগ্রহণ। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে মোট ২৬ জন আমন্ত্রিত হয়েছেন, যার মধ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যানসহ সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন।
সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কারাগারে থেকেও সালমানেরা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে: রিজভী
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ গ্রেফতারকৃতরা কারাগারের ভেতর থেকেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য না থাকলে এবং কোনো ভাবে যদি শেখ হাসিনার পুনরুত্থান ঘটে তবে আমরা কেউ রেহাই পাবো না। সেই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মধ্যে যাদের সঙ্গে ভিতরে সম্পর্ক রাখে এমন দু-একজন বাদে কেই রেহাই পাবে না। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকবে না। তাই এ সরকারের গভীর চিন্তাভাবনা করে কাজ করা উচিৎ এবং আরও উচিৎ ছিলো।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, কয়েকজন উপদেষ্টার পদক্ষেপ আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। এটা গোটা জাতিকে শঙ্কার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণেই সালমান এফ রহমানের মতো লোকরা কারাগারের ভেতর থেকেও দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আর যারা এখনো গ্রেফতার হয়নি তারা বিপুল অংকের টাকা ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার পায়তারা করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
‘খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলে রোগাক্রান্ত অবস্থাতেও বিজয়ী হবে’
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলে রোগাক্রান্ত অবস্থাতেও বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
আমাকে দেশনায়ক-রাষ্ট্রনায়ক বলবেন না: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, দয়া করে আমার নামের সঙ্গে কেউ দেশনায়ক বা রাষ্ট্রনায়ক জাতীয় শব্দ ব্যবহার করবেন না। আজ মঙ্গলবার বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি দল যারা অতীতে দেশের উন্নয়নের জন্য, মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছে। অনেক ক্ষেত্রেই সফল হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে হয়নি। আমরা সবাই জানি, অনেকেই বলেছেন বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারলে, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী কাজ করতে পারলে, আগামী দিনে বিএনপিই সরকার গঠন করবে।’
তিনি বলেন, ‘এটা নির্ভর করছে দলের নেতাকর্মীদের ওপর। আমাদের এই ৩১ দফা হলো ভবিষ্যতে আমরা কীভাবে দেশ পরিচালনা করব, তার রূপরেখা। এটা প্রথমে ছিল ২৭ দফা। পরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমাদের যুগপৎ আন্দোলনে যেসব দল শরিক ছিল, তাদের সবার মতামতের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ, এটা শুধু বিএনপির নয়, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব দলের সম্মিলিত চিন্তার ফসল।’
ভার্চুয়াল বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, ‘এই ৩১ দফাকে দেশের মানুষের কাছে নিয়ে যেতে হবে। জনসভা করে নয়, ছোট ছোট উঠান বৈঠক করে গ্রামে গ্রামে ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে মানুষকে জানাব। আমি কয়েকদিন আগে এক বক্তব্যে বলেছিলাম, জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি না হলে তাহলে যেই সংস্কার করি, কাজে লাগবে না,’ বলেন তিনি।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণেরর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। এরজন্য ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। পৃথিবীর যেকোন গণতান্ত্রিক দেশে, ভোটের মাধ্যমে জবাবদিহিতা তৈরি হয়।’
সবশেষে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সহকর্মী হিসাবে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ ও নেতা হিসেবে আপনাদের কাছে নির্দেশ যে, আজকের পর থেকে দয়া করে আমার নাম যখন কেউ বলবেন, দেশনায়ক, রাষ্ট্রনায়ক এই কথাগুলো কথাগুলো দয়া করে কেউ ব্যবহার করবেন না।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচন দিলে দেশের অর্ধেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমি কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
আজ সোমবার মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দেশ একটি ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল (রোববার) আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য রেখেছেন, ভালো হয়েছে। অনেকে আশান্বিত হয়েছেন, আমি একটু আশাহত হয়েছি। আমি আশা করেছিলাম, প্রধান উপদেষ্টা তার সমস্ত প্রজ্ঞা দিয়ে সমস্যাটা চিহ্নিত করে নির্বাচনের একটি রূপরেখা দেবেন। আমি কেন বার বার নির্বাচনের কথা বলছি। কারণ নির্বাচন দিলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বিএনপি ক্ষমতায় যাক, না যাক, সেটা বড় বিষয় নয়। কিন্তু আজকে যারা দেশের ক্ষতি করতে চাচ্ছে, দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চাচ্ছে, দেশকে সংঘাতে জড়াতে চাচ্ছে, তারা তখন পিছিয়ে যেতে বাধ্য হবে। কারণ ওই সরকারের পেছনে জনগণের সমর্থন থাকবে। এটা চিন্তা করতে হবে।
তিনি বলেন, এখন যে পরিবর্তন এসেছে তা বুঝতে হবে। বুঝতে হবে, ছেলেরা কি বলছে। আমরা ১৫ বছর ধরে লড়াই-সংগ্রাম করেছি, যান দিয়েছি, প্রাণ দিয়েছি, মামলা খেয়েছি, জেলে গেছি। তারপরও শেষ লাথিটা গোলে কে মেরেছে? ছাত্ররা মেরেছে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, আমরা (বিএনপি) যখন সারা দেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছি, তখন আমি আমার বক্তব্যে একটা কথা খুব জোর দিয়ে বলতাম। কোথায়, আমরা তো নবীনদের দেখতে পাচ্ছি না, তরুণদের দেখতে পাচ্ছি না, ছাত্রদের দেখতে পাচ্ছি না। ছাত্র-তরুণরা যদি সঙ্গে না আসে, তাহলে বুক পেতে গুলি নেবে কে? বুক পেতে গুলি নেয়ার প্রতীক ছাত্র, তরুণ, যুবক। যার পিছুটান নেই, যে ভ্যানগার্ড। আমরা মধ্য বয়সী, বয়স্করা পরিবারের কথা চিন্তা করি। আমরা ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করি। আমি যদি আজ গুলি খেয়ে পড়ে যাই, আমার পরিবারের কি হবে সেই চিন্তা করেছি- তাই না? কিন্তু বুক পেতে দাঁড়িয়ে থাকা, সাঈদ রংপুরে যেভাবে দাঁড়ালো, দ্যাট ওয়াজ দ্য টার্নিং পয়েন্ট অব মুভমেন্ট। এ বিষয়টি আমাদের চিন্তা করতে হবে। সুতরাং, ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কখনোই দূরত্ব সৃষ্টি করা যাবে না।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের সরকার (অন্তর্বর্তী সরকার) যতদিন বেশি থাকে, তত সমস্যা তৈরি হবে। কারণ এর তো ম্যান্ডেট নেই। এ তো নির্বাচিত সরকার নয়। এর পেছনে শক্তিটা কোথায়? এ জন্যই এই সরকারকে চিন্তা করতে হবে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব, প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে। আমরাও সংস্কার চাই, তবে তা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে করতে হবে। এমন সময় যেন না নেয়, যে সময় নিতে গেলে জনগণের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা হয়, যে আপনি (অন্তর্বর্তী সরকার) থেকে যেতে চাইছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, হাসিনা পালিয়ে গেছে কেন? হাসিনা পালিয়ে গেছে, তিনি চিন্তা করতে ভুল করেছেন। আমরা বার বার বলেছি, দেয়ালের লিখন পড়েন, মানুষের চোখের ভাষা বোঝেন। মানুষ এখন আর আপনাদের চায় না। আপনারা দেশটাকে ধ্বংস করেছেন। আমাদের কথা তারা শোনেনি। না শুনে উল্টো নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে, ছাত্রদের গুলি করে হত্যা করেছে এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। আমরা কেউ যেন এমন কাজ না করি, যা দেশকে আবার অনিশ্চয়তা, অস্থিরতার দিকে নিয়ে যাবে।
মওলানা ভাসানীর স্মৃতিচারণ করে তিনি আরও বলেন, মওলানা ভাসানী আমাদের সেই পথ বার বার দেখিয়েছেন। তাকে বলা হতো প্রফেট অব ভায়োলেন্স। তিনি প্রথম পল্টন ময়দানে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি প্রথম আন্দোলন শুরু করেছিলেন আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে। একদিকে তিনি যেমন আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারতেন, আরেকদিকে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা করে নিয়ে আসতে পারতেন।
কাফি