আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমালো আদানি
বাংলাদেশের থেকে পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বকেয়া আদায়ের চেষ্টা করছে আদানি গ্রুপ। এমন সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এ তথ্য জানায় বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র। এছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ডাটা থেকেও জানা গেছে এই তথ্য।
গত মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেয় আদানি। এখন নতুন করে আরও ১০ শতাংশ কমিয়েছে তারা।
শুধুমাত্র বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠাতে ঝারখণ্ডের গোড্ডায় ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করে আদানি। গত আগস্ট মাসেও এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠিয়েছে গ্রুপটি। কিন্তু বকেয়া জমে যাওয়ায় অক্টোবরের শেষ দিকে এটি ৭০০ থেকে ৭৫০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনে তারা। আর গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশে মাত্র ৫২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, “আমরা ধীরে ধীরে বকেয়া পরিশোধ করছি। কেউ যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ সরবরাহকারীকে আমাদের জিম্মি করতে দেব না।”
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আদানির বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা তুলে দেওয়া এবং বাংলাদেশের বকেয়া পরিশোধের চেষ্টা ত্বরান্বিত করার পরও আদানির কাছ থেকে কম বিদ্যুৎ আসছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে জানতে আদানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। তবে গ্রুপের পক্ষ থেকে সরাসরি কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। কিন্তু আদানির একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং একইসঙ্গে বকেয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাধার পর কয়লার দাম বেড়ে গেলে জ্বালানির মূল্য পরিশোধে হিমশিম খাওয়া শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর গণ আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর বকেয়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
মিডিয়াতে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কর্মকর্তা এবং আদানি গ্রুপের সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিটকয়েনের দাম ৮০ হাজার ডলার ছাড়ালো
শীর্ষস্থানীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েন (বিটিসি) ৮০ হাজার ডলার ছাড়িয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেটে পৌঁছেছে। এর আগে এই বিটকয়েন সর্বোচ্চ ৭৬ হাজার ডলারে উঠেছিল। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর প্রথমবারের মতো বিটকয়েনের দামে এই লম্বা লাফ।
প্রেসিডেন্ট পদ ও সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পর এবার কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণের দিকেও এগিয়ে যাচ্ছে রিপাবলিকানরা। নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের ক্রিপ্টো রাজধানীতে পরিণত করবেন। এসবের জেরেই বিটকয়েনের দামে এই লম্বা লাফ।
বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টোকারেন্সি বিটকয়েনের দাম এ বছর ৮০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ট্রাম্পের হাইপ্রোফাইল সমর্থক ইলন মাস্কের প্রচারণা পাওয়া ডোজকয়েনসজ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোও লাভ করছে।
নির্বাচনের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি একটি কৌশলগত বিটকয়েন মজুত গড়ে তুলবেন। পাশাপাশি ডিজিটাল সম্পদবান্ধব আর্থিক নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেবেন। তার এ প্রতিশ্রুতি ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর বিধিনিষেধের কমানোর আশা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রথম কাজগুলোর একটি হবে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) বর্তমান চেয়ারম্যান গ্যারি গেন্সলারকে বরখাস্ত করা।
২০২১ সালে জো বাইডেন গ্যারি গেন্সলারকে নিয়োগ দেন। এরপরই গেন্সলার ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর এসইসির মাধ্যমে কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছেন।
স্টোনএক্স ফিন্যান্সিয়ালের বাজার বিশ্লেষক ম্যাট বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন যদি ক্রিপ্টো শিল্পের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করে, তাহলে বিটকয়েনের দাম ১ লাখ ডলার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন যে, এই পরিবর্তনগুলোর ফলে ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য তাৎক্ষণিক ওঠানামা করতে পারে—যা ছোট বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
ট্রাম্পের এজেন্ডায় কর কমানো ও ব্যবসার ওপর নিয়ন্ত্রণ কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি নির্বাচনে জেতার পর থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বেড়েছে।
সরকারের নির্বাহী বিভাগ তো রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রণে এসেছেই, আইনসভাও খুব সম্ভব তাদের নিয়ন্ত্রণেই আসছে। ফলে রিপাবলিকানরা ট্রাম্পের আইডিয়া কার্যকর করে আইন আকারে পাশ করার ক্ষমতা পাবে।
গত কয়েকদিনে প্রধান সব স্টক সূচক, ডলার ও মার্কিন বন্ডের মূল্যও বেড়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বের শীর্ষ দশ শক্তিশালী মুদ্রা
বিশ্বের ১৯৫টি দেশে বর্তমানে ১৮০টি মুদ্রা ব্যবহৃত হচ্ছে। একটি মুদ্রার শক্তি নির্ভর করে মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে সেটির চাহিদা, সরবরাহ পরিস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার মতো বিভিন্ন বিষয়ের ওপর।
মুদ্রাশক্তি বলতে একটি মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতাকে বোঝানো হয়। একক পরিমাণ জাতীয় মুদ্রা দিয়ে যত পণ্য ও সেবা কেনা যায় এবং বিনিময়ে যে পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা পাওয়া যায়, তার তুলনা করে এটি হিসাব করা হয়।
মুদ্রা সবসময় জোড়ায় বিনিময় হয়; যেমন, ভারতীয় রুপির বিপরীতে মার্কিন ডলার কেনা। তাই একটি দেশের মুদ্রার মূল্য বিদেশি মুদ্রার সাথে তুলনা করে নির্ধারিত হয়। এটি বিনিময় হার নামে পরিচিত।
এই বিনিময় হারই নির্ধারণ করে, বিদেশি মুদ্রায় পণ্য ও সেবার খরচ কেমন হবে। উদাহরণস্বরূপ, পাউন্ডের বিনিময় হার ডলারের তুলনায় দুর্বল হলে, যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করা পাউন্ড ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে।
বিশ্বের শক্তিশালী ১০টি মুদ্রা
১. কুয়েতি দিনার (কেডাব্লিউডি)
বেশিরভাগ মানুষ মার্কিন ডলারকে সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা মনে করলেও, কুয়েতি দিনার সেই স্থান দখল করে আছে।
১৯৬০-এর দশকে চালু হওয়া কুয়েতি দিনার বিশ্বজুড়ে তেলের রপ্তানির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার অবস্থান অর্জন করেছে।
২. বাহরাইনি দিনার (বিএইচডি)
বিশ্বের প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে উপসাগরীয় দেশগুলোর অর্থনৈতিক সুবিধা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।
বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনি দিনার। বাহরাইনি দিনারের মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত হয়।
৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর)
সরকারি মুদ্রা হিসেবে ভারতীয় রুপি ত্যাগ করার পর, ওমান সরকারি মুদ্রা হিসেবে ওমানি রিয়াল চালু করে। এটি মূলত অন্যান্য উপসাগরীয় দেশের মতোই, তেল রপ্তানি থেকে শক্তি অর্জন করে।
১৯৭০-এর দশকে চালু হওয়া এই মুদ্রার মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত হয়।
৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি)
বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে জর্ডানের দিনার।
১৯৫০ সালে এটি প্যালেস্টাইন পাউন্ডের পরিবর্তে চালু করা হয়। এর মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত।
নির্দিষ্ট বিনিময় হার, বৈচিত্র্যময় অর্থনীতি এবং গ্যাস ও তেল রপ্তানি সত্ত্বেও ধীর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ঋণের বৃদ্ধি এই মুদ্রাকে বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে এসেছে।
৫. জিব্রালটার পাউন্ড (জিআইপি)
১৯২০-এর দশকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য থেকে এটি সরকারি মুদ্রা হিসেবে চালু করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে জিব্রালটার পাউন্ড পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড স্টার্লিংয সমমূল্যের এই মুদ্রাটি পর্যটন এবং ই-গেমিং খাতের ওপর নির্ভরশীল।
৬. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি)
বিশ্বব্যাংক ব্রিটেনকে জিডিপি অনুযায়ী ষষ্ঠ বৃহত্তম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে লন্ডনের অবস্থান এবং ব্রিটেনের লাভজনক বাণিজ্য কার্যক্রমের ফলে ব্রিটিশ পাউন্ড একটি শক্তিশালী অবস্থান লাভ করেছে। এটি বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃত।
৭. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার (কেওয়াইডি)
ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থিত ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ একটি উপকূলীয় আর্থিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত।
১৯৭০-এর দশকে কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার চালু হয় এবং এটির মূল্য মার্কিন ডলারের সঙ্গে নির্ধারিত।
৮. সুইস ফ্রাঙ্ক (সিএইচএফ)
সুইজারল্যান্ড এবং লিচেনস্টাইনের সরকারি মুদ্রা সুইস ফ্রাঙ্ক বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে।
অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল সুইজারল্যান্ড বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
সুইস ফ্রাঙ্ক-এর মূল্য আগে ইউরোর সঙ্গে নির্ধারিত হতো। কিন্তু পরে এটি মুদ্রা বাজারে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
৯. ইউরো (ইইউআর)
ইউরোজোনের সরকারি মুদ্রা ইউরো বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৯টি সদস্য দেশের মধ্যে ব্যবহৃত হয়। ইউরো বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রার তালিকায় নবম স্থানে রয়েছে।
এটি মুদ্রা বাজারে ভাসমান মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি। এটি মার্কিন ডলারের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সঞ্চিত মুদ্রা এবং দ্বিতীয় সর্বাধিক লেনদেন হওয়া মুদ্রা।
১০. ইউএস ডলার (ইউএসডি)
ইউএস ডলার বিশ্বের সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া এবং সবচেয়ে বড় পরিমাণে সঞ্চিত মুদ্রা। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ এর অঞ্চল এবং পুয়ের্তো রিকো, জিম্বাবুয়ে, ইকুয়েডরসহ অন্যান্য সার্বভৌম দেশগুলোতে আইনগতভাবে স্বীকৃত।
তেল, সোনা, তামাসহ আরও বিভিন্ন পণ্যের মূল্য নির্ধারণে ইউএস ডলার বা মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়।
মার্কিন ডলারের আর্থিক শক্তির কারণে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বড় জিডিপির দেশ হিসেবে পরিচিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
পাশের দেশ ভারতে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ৩০-৪০ রুপি বেড়ে পাইকারি বাজারে এখন তার দাম উঠেছে ৭০-৮০ রুপিতে। ফলে ভোক্তাদের রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমস’র।
দিল্লির একজন বিক্রেতা বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, পাইকারি বাজার থেকেই তাদেরকে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, ফলে খুচরাতেও দাম বেশি পড়ছে। দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে বিক্রি খানিকটা কমেছে। কিন্তু বিকল্প নেই বলে মানুষকে কিনতেও হচ্ছে।
দিল্লির একজন ক্রেতা ফায়জা বলেন, মৌসুমের কারণে এখন পেঁয়াজের দাম যখন কমার কথা, তখন উল্টো দাম বেড়ে চলেছে। এক কেজি পেঁয়াজ ৭০ রুপিতে কিনতে হয়েছে। দামের কারণে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ব্যাহত হচ্ছে। তবে শুধু দিল্লি নয়, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে আরেক বড় শহর মুম্বাইয়েও। সেখানকার ক্রেতারাও উচ্চ মূল্যের চাপে পড়েছেন।
মুম্বাইয়ের একজন ক্রেতা এএনআইকে বলেন, পেঁয়াজ ও রসুন উভয়েরই দাম বেড়েছে। এর ফলে প্রতিটি পরিবারকেই অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। তিনি জানান, তিনি পাঁচ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন, মোট দাম দিতে হয়েছে ৩৬০ রুপি।
আকাশ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, পেঁয়াজের দাম অনেকটা বেড়ে ৭০-৮০ রুপিতে উঠেছে, যা কিছুদিন আগেও কেজিপ্রতি ৪০–৬০ রুপি ছিল। তিনি একে শেয়ারবাজারের সূচকের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন যে এই দামের ওঠা–নামা আছে। তার আশা, পেঁয়াজের দাম শিগগির কমে যাবে।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পেঁয়াজের দাম বাড়লেও ক্রেতারা তা কিনছেন। কারণ, সাধারণ মানুষের কাছে পেঁয়াজ একটি নিত্যপণ্য।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ
মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খাদ্য বাজারকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
অক্টোবরে বৈশ্বিক খাদ্যের মূল্য ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। সেপ্টেম্বর তুলনায় অক্টোবরেমূল্য বৃদ্ধির হার ২ শতাংম বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।
এফএও ফুড প্রাইস ইনডেক্স অক্টোবর মাসে ১২৭ দশমিক ৪ পয়েন্টে পৌঁছায়। এটি এপ্রিল ২০২৩-এর পর থেকে সর্বোচ্চ রেকর্ড। সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালের অক্টেবরে বিশ্বে খাদ্যপণ্যের যে দাম ছিল, তার তুলনায় চলতি ২০২৪ সালের অক্টোবরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে অন্তত ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
মূল্যবৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়া এবং জ্বালানির ক্রমবর্ধমান মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। এর ফলে কৃষি উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খাদ্য বাজারকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
এই মূল্যবৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে ভোজ্য তেল। অক্টোবর মাসে ভোজ্য তেলের মূল্য ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দুবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে কম উৎপাদনের কারণে পাম, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও সরিষার তেলের মূল্য বেড়েছে।
শস্যের মূল্য দশমিক ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে, অক্টোবর ২০২৩-এর তুলনায় শস্যের মূল্য এখনও ৮ দশমিক ৩ শতাংশ কম।
ডেইরি এবং দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্য ১ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। বৈশ্বিক চাহিদা বৃদ্ধির ফলে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। চিনির দাম অক্টোবর মাসে ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। ব্রাজিলে খরার কারণে চিনির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছে এবং জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিও এর একটি বড় কারণ। তবে, গত বছরের তুলনায় চিনির মূল্য এখনও ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ কম।
মাংসের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অক্টোবরে মাংসের মূল্য দশমিক ৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। তবে, গত বছরের তুলনায় মাংসের মূল্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি রয়েছে। পশ্চিম ইউরোপে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু বাজারে চাহিদা মেটানো সম্ভব হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
চীনের শীর্ষ ধনী বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী ঝং শানশান
চীনের বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নংফু স্প্রিং-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ঝং শানশান টানা চতুর্থ বছরের মতো চীনের শীর্ষ ধনীর মর্যাদা ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিন থেকে প্রকাশিত চীনের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তিনি প্রথম স্থানে রয়েছেন।
নিজেদের চীনের সবচেয়ে বড় বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দাবি করা নংফু স্প্রিং সম্প্রতি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। অনলাইন আক্রমণের পাশাপাশি চীনের বোতলজাত পানির বাজারে তীব্র মূল্যযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
গত বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য ২৮ শতাংশ কমে যায়। ফলে, ঝং শানশানের সম্পদ ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে ৫০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাংঝৌ ওয়াহা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ঝং চিংহোউ মারা যাওয়ার পর থেকে নংফু স্প্রিংয়ের সমস্যাগুলো শুরু হয়। চিংহোউ ছিলেন ঝং শানশানের সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার।
তার মৃত্যুর পর অনেকেই অনলাইনে ৬৯ বছর বয়সী ঝং-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। ঝং একসময় ওয়াহা গ্রুপের একজন পরিবেশক ছিলেন এবং পরে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসা শুরু করেন।
অভিযোগকারীরা নংফু স্প্রিংয়ের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দেন এবং ঝং-এর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অভিযোগ ওঠে, ঝং-এর সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী, তার ৩৬ বছর বয়সী পুত্র শু জি মার্কিন নাগরিক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে তার চীনা পরিচয় হারাবে। প্রতিষ্ঠানটির ২০২০ সালের প্রসপেক্টাসে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছিল।
নংফু স্প্রিং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বারবার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগস্ট মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঝং বলেন, তিনি নিজ থেকে এই অবস্থানে এসেছেন এবং তার “প্রতিটি পয়সা সৎ উপায়ে উপার্জন করা।” এছাড়াও তিনি জোর দিয়ে বলেন, নংফু স্প্রিং “চিরকাল চীনেরই থাকবে।”
এমআই