আন্তর্জাতিক
চীনের শীর্ষ ধনী বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী ঝং শানশান

চীনের বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নংফু স্প্রিং-এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ঝং শানশান টানা চতুর্থ বছরের মতো চীনের শীর্ষ ধনীর মর্যাদা ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিন থেকে প্রকাশিত চীনের শীর্ষ ধনীর তালিকায় তিনি প্রথম স্থানে রয়েছেন।
নিজেদের চীনের সবচেয়ে বড় বোতলজাত পানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দাবি করা নংফু স্প্রিং সম্প্রতি বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। অনলাইন আক্রমণের পাশাপাশি চীনের বোতলজাত পানির বাজারে তীব্র মূল্যযুদ্ধের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
গত বছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের মূল্য ২৮ শতাংশ কমে যায়। ফলে, ঝং শানশানের সম্পদ ৯ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার কমে গিয়ে ৫০ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাংঝৌ ওয়াহা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ঝং চিংহোউ মারা যাওয়ার পর থেকে নংফু স্প্রিংয়ের সমস্যাগুলো শুরু হয়। চিংহোউ ছিলেন ঝং শানশানের সাবেক ব্যবসায়িক অংশীদার।
তার মৃত্যুর পর অনেকেই অনলাইনে ৬৯ বছর বয়সী ঝং-এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। ঝং একসময় ওয়াহা গ্রুপের একজন পরিবেশক ছিলেন এবং পরে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসা শুরু করেন।
অভিযোগকারীরা নংফু স্প্রিংয়ের বিরুদ্ধে বয়কটের ডাক দেন এবং ঝং-এর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অভিযোগ ওঠে, ঝং-এর সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী, তার ৩৬ বছর বয়সী পুত্র শু জি মার্কিন নাগরিক হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে তার চীনা পরিচয় হারাবে। প্রতিষ্ঠানটির ২০২০ সালের প্রসপেক্টাসে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছিল।
নংফু স্প্রিং এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বারবার সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
আগস্ট মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন সিসিটিভি-তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঝং বলেন, তিনি নিজ থেকে এই অবস্থানে এসেছেন এবং তার “প্রতিটি পয়সা সৎ উপায়ে উপার্জন করা।” এছাড়াও তিনি জোর দিয়ে বলেন, নংফু স্প্রিং “চিরকাল চীনেরই থাকবে।”
এমআই

আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। এ কারণেই এমন পদক্ষেপ নিল ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত বছর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।
এরপর বেশ কয়েকটি দেশ আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র আইসিজের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নিন্দা জানিয়েছে এবং আদালতের বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ওমরাহ পালনে ইচ্ছুকদের জন্য বিশেষ সেবা চালু মূলত, সংস্থাটির ওপর বিধিনিষেধ আরও বাড়ানো হয়েছে যাতে ইসরায়েলি নেতাদের বিচার না হয়। গত বুধবার (২০ আগস্ট) এই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, নতুন করে আইসিসির আরও দুই বিচারক ও দুই আইনজীবীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের অনুমোদনে। রুবিও এর কারণ হিসেবে এক বিবৃতিতে বলেছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত একটি জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি। এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই ঘোষণায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বর্ধিত নিষেধাজ্ঞাগুলো একটি নিরপেক্ষ বিচারিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা এবং বিশ্বজুড়ে যুদ্ধাপরাধের শিকার মানুষের বিরুদ্ধে স্পষ্ট আক্রমণ। আইসিসি কোনো নিষেধাজ্ঞা, চাপ বা হুমকির তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাবে।
আন্তর্জাতিক
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে ৫৮ শতাংশ মার্কিন নাগরিক

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ মানুষ। রয়টার্স/ইপসোসের নতুন এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন জাতিসংঘের সব দেশের ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত।
জরিপে অংশ নেওয়া ৩৩ শতাংশ মার্কিন নাগরিক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির বিষয়ে একমত নন, আর ৯ শতাংশ কোনো উত্তর দেননি।
ছয় দিন ধরে চলা এই জরিপ গত সোমবার শেষ হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্পষ্ট দলীয় বিভক্তি দেখা গেছে। ৭৮ শতাংশ ডেমোক্র্যাট এই ধারণাকে সমর্থন করেছেন। তবে ৫৩ শতাংশ রিপাবলিকান সদস্যের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ জাতিসংঘের সব সদস্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে একমত নন।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র আমেরিকার ওপর নির্ভর করে আসছে, যার কাছ থেকে তারা প্রতি বছর কোটি কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সহায়তা পেয়ে আসছে। মার্কিন জনসমর্থন হ্রাস পাওয়া ইসরায়েলের জন্য উদ্বেগজনক লক্ষণ হবে, কারণ গাজায় কেবল হামাসের সঙ্গেই নয়, বরং তাদের আঞ্চলিক শত্রু ইরানের সাথেও অমীমাংসিত সংঘাতের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র কানাডা, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের ঘনিষ্ঠ তিন দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই জরিপ চালানো হলো। গাজায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ায় আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস জানিয়েছে, ব্যাপক দুর্ভিক্ষ এড়াতে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। যদিও ইসরায়েল গাজায় দুর্ভিক্ষের দায় অস্বীকার করেছে। তারা হামাসের বিরুদ্ধে ত্রাণের চালান চুরির অভিযোগ এনেছে। কিন্তু এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে হামাস।
রয়টার্স/ইপসোস জরিপের প্রায় ৬৫ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, গাজায় অনাহারের মুখোমুখি মানুষদের সাহায্য করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। সেখানে ২৮ শতাংশ দ্বিমত পোষণ করেছেন। দ্বিমত পোষণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই রিপাবলিকান।
আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তানে ট্রাক-মোটরসাইকেল-বাস সংঘর্ষ, নিহত ৭১

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ হেরাতে একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ট্রাক এবং মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বাসযাত্রীসহ মোট ৭১ জন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে হেরাতের গুজারা শহরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছেন হেরাত প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র আব্দুল্লাহ মুত্তাকি।
হেরাত প্রাদেশিক পুলিশের কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ সাইদি জানিয়েছেন, বাসটি ইরান থেকে কাবুলের দিকে আসছিল; যাত্রীরা সবাই আফগান নাগরিক। বাসটির বেপরোয়া গতি এবং চালকের অসতর্কতার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন সাইদি।
গত শতকের আশির দশকে আফগানিস্তানে সাবেক সোভিয়েত বাহিনীর সামরিক অভিযানের সময় হাজার হাজার আফগান ইরানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিলেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সরকার এসব শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে জানুয়ারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ফিরে এসেছেন ১০ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি আফগান।
মঙ্গলবার দুর্ঘটনার শিকার বাসটির যাত্রীরাও শরণার্থী হিসেবে ইরানে বসবাস করছিলেন। সরকারি আদেশের পর তারা আফগানিস্তানে ফিরে আসছিলেন।
ইউসুফ সাঈদি জানান, বেপরোয়া গতিতে চলতে থাকা বাসটির সঙ্গে প্রথমে মোটর সাইকেলের সংঘর্ষ হয় এবং তার কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি জ্বালানিবাহী ট্রাককে আঘাত করে বাসটি। এতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং নিহতদের অনেকে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নিহতদের মধ্যে ট্রাকের চালক, তার সহকারী এবং মোটর সাইকেলের চালক এবং যাত্রী— এই চার জন ব্যাতীত বাকি ৬৭ জনই বাসযাত্রী ছিলেন।
সাঈদি জানিয়েছেন, বাসটির মাত্র তিনজন যাত্রী বেঁচে আছেন।
আফগানিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনা বিরল নয়। দুর্বল সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, পাহাড়ি পথ এবং চালকদের অসতর্কতার জন্য প্রায়েই বড় দুর্ঘটনা ঘটে দেশটিতে। গত ডিসেম্বরে একটি জ্বালানি ট্যাংকার ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ৫২ জন নিহত হয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা আসছেন বৃহস্পতিবার

চার দিনের সফরে আগামী বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ঢাকা আসছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। তার সফরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গতিশীল করার বিষয়ে আলোচনা হবে।
সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, গত জুনে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। নানা কারণে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। এখন উনি আসছেন। চার দিনের সফরে বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় আসবেন।
ঢাকা সফরকালে পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রীর মূল বৈঠকটি হবে অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সঙ্গে। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও সরকারের আরও কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে বসবেন কামাল খান।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলোচনার জন্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে। আগামী সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় সফরে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। সেসময় এ সমঝোতা স্মারকটি সই হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আন্তর্জাতিক
বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করলো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে দেশটিতে অধ্যয়নরত ৬ হাজারেরও বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্স।
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষার্থী ভিসা ইস্যুতে কড়াকড়ি আরোপ করার পাশাপাশি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত পোস্টও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফক্স ডিজিটাল।
ভিসা বাতিলের পেছনে প্রধান অভিযোগগুলো হলো আইন ভঙ্গ, ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন। এর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার ভিসা আইন ভঙ্গের কারণে বাতিল হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইনের ৩বি ধারা অনুযায়ী ২০০ থেকে ৩০০ ভিসা বাতিল হয়েছে। যেখানে সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডকে মানবজীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বা আইন লঙ্ঘনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
এছাড়া চলতি বছর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিভিন্ন দেশের দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছে, শিক্ষার্থী ভিসার আবেদনকারীদের বিস্তারিতভাবে যাচাই করার জন্য। বিশেষত যাদের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততা বা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার ইতিহাস রয়েছে। তাদের আবেদন আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মে মাসে কংগ্রেসে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ সংখ্যা আমার জানা নেই। তবে যেসব বিদেশি অতিথি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন, তাদের ভিসা আমরা বাতিল করতে থাকব।
তবে ডেমোক্র্যাটরা এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এটি শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও আইনি অধিকার হরণের শামিল।