রাজনীতি
৩০০ আসনেই নির্বাচন করবে জামায়াত

আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জামায়াত। এখন থেকে সব পর্যায়ে তৎপরতা হবে মাঠ পর্যায়ে। কোনো জায়গা বাদ যাবে না। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, পলিটিক্যাল ননপলিটিক্যাল সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছাতে হবে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও মিডিয়া সেক্রটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় শহরের নগুয়া এলাকায় আল-ফারুক ট্রাস্ট মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জ জেলা আমিরের শপথগ্রহণ ও সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আকন্দ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর পার্লামেন্টারিয়াল বোর্ড, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী নির্বাচন ৩০০ আসনে এককভাবে করা হবে। এখন জোট হবে কি হবে না তা মাথায় রাখার দরকার নেই। জোট আলাদা জিনিস। আমরা যদি দেখি জোটবদ্ধ নির্বাচনে ইসলামি আন্দোলনের উপকার হবে আমরা যাবো, তা-না হলে যাবো না। ইসলামের আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে দুনিয়ার স্বার্থকে সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামী কোনো কাজ করবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশের সর্বোত্রই জামায়াতে ইসলামী একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যদি জামায়াত এক বছর সময় পায় তাহলে দেশের এমন কোনো গ্রাম থাকবে না যেখানে সংগঠন হবে না। এ ভয়টাই তারা করতেছে। সমস্ত গ্রামে যদি জামায়াতের সংগঠন দাঁড়িয়ে যায় তখন জামায়াত হয়ে যাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রতিরোধ সংগঠন। সুতরাং তারা চাচ্ছে তাড়াতাড়ি নির্বাচন হয়ে যাক, ক্ষমতায় আসবে তারা। এসব দিবাস্বপ্ন নিয়ে উনারা একটু থাকুক, আমরা আমাদের কাজ করতে থাকি।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ আগামী দিনে ভারতের আধিপত্যবাদ মোকাবিলার একমাত্র শক্তি হিসেবে জামায়াতকেই বেছে নেবে। বিএনপি মনে করেছিলো ভারত বুঝি তাদেরকে ক্ষমতায় বসাবে। আসলে তারা এখন কিছুটা হতাশ হয়েছে।
কোন রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের আলাদা কোনো সম্পর্ক থাকবে না। আমাদের সম্পর্ক থাকবে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের সঙ্গে। বাংলাদেশ কোনো রাষ্ট্রের প্রতি আকৃষ্ট হবে না। আমাদের স্বার্থ হলো ১৮ কোটি মানুষের স্বার্থ। যেই দেশ আমাদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে আসবে। যে দেশ সর্বোচ্চ প্রফিট দিবে আমরা সেই দেশকেই সুযোগ দেব। সেটা চীন, জাপান, হিন্দুস্তান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান বুঝি না। আমাদের দরকার দেশের ১৮ কোটি মানুষের অর্থনৈতিক স্বার্থ।
জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে ও সেক্রটারি মাওলানা নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ময়মনসিংহ অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এনামুল হক, সাবেক জেলা আমির মাওলানা তৈয়বুজ্জামান, জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আজিজুল হক প্রমুখ।

রাজনীতি
হামলার প্রতিবাদে দেশব্যাপী এনসিপির বিক্ষোভ কর্মসূচি আজ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির পালন করবে দলটি।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পূর্বঘোষিত পদযাত্রা কর্মসূচি যথারীতি পালন করা হবে। তবে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এসব জেলায় পরে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে গোপালগঞ্জে হামলার অভিযোগ তুলে নাহিদ ইসলাম বলেন, মাসব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবেই এনসিপি গোপালগঞ্জে পদযাত্রা আয়োজন করে। যথাযথভাবে প্রশাসনকে জানিয়ে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হলেও আওয়ামী লীগ ও ‘মুজিববাদী’ সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এনসিপি দেখিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগের বাইরেও অন্য রাজনৈতিক দল সেখানে কর্মসূচি পালন করতে পারে।’
হামলার বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সমাবেশের আগে ও পরে একাধিকবার আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে প্রমাণিত, হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী যেভাবে সহযোগিতা করেছে, সে জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।’
প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা চলাকালে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেছে দলটি। ওই ঘটনার পর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বুধবার সন্ধ্যায় খুলনায় পৌঁছান।
রাজনীতি
এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবি ছাত্রশিবিরের

গোপালগঞ্জে বুধবার (১৬ জুলাই) জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলা চালিয়েছে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা। এরই প্রতিবাদে এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির। বিক্ষোভে ছাত্রশিবির নেতারা এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।
বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে মিছিলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়। পরবর্তীতে এটি রাজু ভাষ্কর্য ঘুরে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি চত্বর পার হয়ে আবার রাজু ভাষ্কর্যে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ বলেন, ক্যান্সার যেভাবে মানুষের শরীরে নিরব ঘাতক হিসেবে থাকে, আওয়ামী লীগও এভাবে লুকিয়ে আছে। গত বছরের ষোল জুলাই তারা আবু সাইদ, ওয়াসিম, শান্তদের শহিদ করেছে। এর এক বছরের মাথায় তারা জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতার করুন। আপনারা আওয়ামী লীগকে উচিত শিক্ষা দিতে না পারলে জনগণ আপনাদের উচিত শিক্ষা দেবে।
ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম বলেন, আমরা আশা করেছিলাম জুলাইয়ের পরে যে গোষ্ঠী গত ১৬ বছর সন্ত্রাস চালিয়েছে, তাদের বিতাড়িত করা হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, তারা গোপালগঞ্জে ঘাঁটি গেড়ে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে বলছি, জুলাইয়ের এই বাংলাদেশে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের কোন জায়গা হবে না।
তিনি আরো বলেন, জুলাই রক্তের উপর আপনারা (অন্তবর্তীকালীন সরকার) ক্ষমতায় বসেছেন। আপনারা এখানে ভোগ বিলাসের জন্য বসেননি। আপনারা যদি জুলাইয়ের সাথে গাদ্দারি করেন, খুনি হাসিনার যেই পরিণতি হয়েছিল তার চাইতে খারাপ পরিণতি আপনাদের হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের শিবির সভাপতি রেজাউল করিম শাকিল বলেন, বাংলাদেশের সমগ্র আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের সকল সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জে আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ জেলাটিকে (গোপালগঞ্জ) নিজেদের সন্ত্রাসীদের ক্যান্টনমেন্টে পরিণত করেছে।গোপালগঞ্জকে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের কোন জেলা নয়। গোপালগঞ্জকে মনে হচ্ছে একখন্ড ছোট্ট দিল্লি।
এসময় তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, অবিলম্বে গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নয়তো গোপালগঞ্জের যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিরোধী এই অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্রজনতা নিয়ে মার্চ করতে বাধ্য হব।
ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ বলেন, জুলাইয়ের এক বছর পার হলেও বাংলাদেশ এখনো ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। এখনো জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমরা গোপালগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। একইসাথে, তাদের দ্রুত গ্রেফতারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, আমরা কি হাসবো না কাঁদব মাঝে মাঝে তা খুঁজে পাই না। সারাদেশে যখন আওয়ামী লীগের ৩০০ এমপি পালিয়ে যায়, গোপালগঞ্জের গুটি কয়েকের লাফালাফি দেখে আমাদের মাঝে মাঝে হাসি পায়। আবার দুঃখ হয়, ইন্টারিম গভর্নমেন্টের এই ব্যর্থতা দেখে। তিনি অভিযোগ করেন, ইন্টেরিম সরকারের প্রত্যেকটা প্রশাসন প্রত্যেকটা ক্যাটাগরিতে চরমতম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের ক্যান্টনমেন্ট খ্যাত সকল সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা যারা, গোপালগঞ্জে তারা আশ্রিত ছিল। তারা সবাই মিলে সন্ত্রাসী হামলা করেছে। ইন্টেরিম গভর্নমেন্ট এখানেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা সুস্পষ্ট কন্ঠে ইন্টেরিম গভর্নমেন্টকে বলতে চাই, আপনারা যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন আল্লাহর ওয়াস্তে দায়িত্বটা ছেড়ে দেন। বাংলাদেশে অসংখ্য তরুণ-যুবক আছে এই দায়িত্ব পালনের জন্য।
রাজনীতি
শহীদ আবু সাঈদেরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের সূচনা ঘটায়: আহমদ আবদুল কাদের

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট অপশক্তি ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই আবু সাঈদসহ ৬ জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করলেও শহীদেরা মরেনি। শহীদ আবু সাঈদসহ ৬ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেদিন গণঅভ্যুত্থানের বার্তা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আসে। মূলত শহীদ আবু সাঈদেরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সূচনা ঘটায়। ৫ আগস্ট জাতি ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তিলাভ করে। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে সকল শহীদের মাগফিরাত কামনা করছি। আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী যোদ্ধাদের সুস্থতা ও স্বাভাবিক জীবন কামনা করছি।
বুধবার (১৬ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জুলাই শহীদেরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তা এখনো বিলোপ হয়নি। যেভাবে দেশপ্রেমিক শক্তির সুদৃঢ় ঐক্য সেদিন গড়ে উঠেছিল তা দলীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আজ ধ্বংস হতে চলেছে। অভ্যুত্থানের ১ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত একজন শহীদের খুনের বিচার কার্য সম্পন্ন হয়নি। জুলাই মাস শেষ হতে চললেও জুলাই সনদ ঘোষণা ও মৌলিক সংস্কারে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরাজিত শক্তি এখনো ওৎপেতে আছে। জাতিসংঘ সহ পশ্চিমা শক্তি নতুন করে বাংলাদেশের প্রতি কৌতুহলী হয়ে উঠছে। দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে এগুলো ভালো লক্ষণ নয়। আমরা এসবের অবসান চাই। গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। খেলাফত মজলিস এই লক্ষ্যে কাজ করছে।
এদিন বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম-মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাজী নুর হোসেন, আমীর আলী হাওলাদার, শ্রমিক মজলিস সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম এরশাদ, মহানগরী দক্ষিণ সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম হুমায়ুন কবির আযাদ, কাজী আরিফুর রহমান, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, সেলিম হোসাইন, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন, ইসলামী যুব মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মনসুরুল আলম, ছাত্র মজলিস মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন প্রমুখ।
রাজনীতি
এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি গণঅধিকার পরিষদের

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি বর্ষণ অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
নেতৃদ্বয় বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরও নিষিদ্ধ ঘোষিত এই দলটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা এবং বিস্ফোরণের ঘটনা এর জ্বলন্ত প্রমাণ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে, তখন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রাজনৈতিক পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে, যা অনতিবিলম্বে বন্ধ না করলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজনীতি
এনসিপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলায় ছাত্র জমিয়তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রলীগ) নেতাকর্মীদের যৌথ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ।
বুধবার ((১৬ জুলাই) ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী ও সাধারণ সম্পাদক সাদ বিন জাকিরের যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, সমাবেশ শেষে শহরের পৌর পার্কসংলগ্ন এলাকায় এনসিপি নেতৃবৃন্দের গাড়িবহর ঘিরে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। বিভিন্ন দিক থেকে গাড়ি আটকে হামলা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করা হয়। এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, নিষিদ্ধ সংগঠনের অব্যাহত আস্ফালন এবং প্রশাসনের নীরবতা দেশে রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিবেশকে বিপর্যস্ত করে তুলছে।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ মনে করে, এই হামলা কেবল এনসিপির ওপর নয়—বরং দেশের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার এবং জনগণের নিরাপদ রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর সরাসরি আঘাত।
আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা এবং বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্বই মূলত এই সহিংসতার প্রশ্রয় হয়ে উঠছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর লাগামহীন আস্ফালন, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নিরপরাধ মানুষদের নিরাপত্তাহীনতা—এ সবকিছুই গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কোনো গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীদের রক্ষাকবচ হয়ে ওঠা নয়।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ জোরালোভাবে বলছে—জুলাই-পরবর্তী গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে এমন ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। আমরা অবিলম্বে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।