আন্তর্জাতিক
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া

শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আইন জারি করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিলটি পাস হলে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এমন কোনো আইন পাস হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনটি আগামী সপ্তাহে সংসদে উত্থাপন করা হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতি কমানো।’
আইনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি মা এবং বাবাদের জন্য তারা, আমার মতো, অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আমি চাই অস্ট্রেলিয়ার পরিবারগুলো জানুক যে সরকার আপনার পেছনে রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে কোনো জরিমানার বিধান রাখা হয়নি। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে শিশু-কিশোরদের প্রবেশ রোধ করার জন্য যুক্তিসংগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আইন উত্থাপিত হয়েছিল। এটি ব্যাপক দ্বিদলীয় সমর্থনও পেয়েছিল। ফলে আইনটি পাস হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ এই আইনকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের মনোবিকাশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড বলেন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এমনকি ইউটিউবও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
বিবিসি জানিয়েছে, সংসদে আইনটি পাস হওয়ার ১২ মাস পরে কার্যকর হবে। কার্যকর হওয়ার পরে বিভিন্ন সময় পর্যালোচনা করে হবে।
তবে বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগের বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করে বলেন, অনলাইনে বয়সসীমা মেনে চলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এরই মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের কঠোর সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়ায় শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বৃহত্তম সংস্থা ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান চাইল রাইটস টাস্কফোর্স’। প্রস্তাবিত আইনটিকে ‘খুব ভোঁতা একটি যন্ত্র’ বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে ভয়াবহ বিপর্যয়ে আফগানিস্তান, নিহত বেড়ে ৫০০

আফগানিস্তানে আঘাত হানা ভূমিকম্পে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত এ দুর্যোগে ৫০০ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে। এ ছাড়া হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন ধ্বংসাত্মক এ ভূকম্পনে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম আরটিএ-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
এর আগে, স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) গভীর রাতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে ভূমিকম্পটি। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর থেকে অন্তত আরও তিনবার ‘আফটার শক’ অনুভূত হয়েছে। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলও, যা কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরের পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও কম্পন অনুভূত হয়।
আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কুনার প্রদেশের নুর গাল, সাওকি, ওয়াটপুর, মানোগি এবং চাপা দারা জেলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে। হতাহতদের সংখ্যা চূড়ান্ত নয়, কারণ কর্মকর্তারা এখনও অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
তিনি জানান, ভূমিধসের কারণে সাওকি জেলার দেওয়া গুল এবং নূর গুল জেলার মাজার দারা যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে উদ্ধারকারী দলগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে অসুবিধা হচ্ছে।
স্থানীয়রা ইতোমধ্যে এটিকে দেশটিতে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে একটি বলে বর্ণনা করেছেন। আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদও ভূমিকম্পে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, দুঃখের বিষয়, আজ রাতের ভূমিকম্পে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় কিছু প্রদেশে প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মুজাহিদ বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তা এবং বাসিন্দারা উদ্ধার প্রচেষ্টায় নিয়োজিত আছেন। তিনি জানিয়েছেন, জীবন বাঁচাতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মূলত, ভৌগলিক কারণেই মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান বেশ ভূমিকম্পপ্রবণ। দেশটি এমন বেশ কয়েকটি ফল্ট লাইনের ওপরে অবস্থিত, যেখানে ভারতীয় এবং ইউরেশিয়ান টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।
আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত তিন দশকে কেবল ভূমিকম্পের কারণে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের।
১৯৯১ সালে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে হওয়া এক ভূমিকম্পে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়নে ৮৪৮ জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন।
এরপর ১৯৯৭ সালে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের প্রদেশ খোরাসানের কায়েন শহরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এক ভূমিকম্পে দুই দেশে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ; সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল ১০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি।
পরের বছরই ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের প্রায় বিচ্ছিন্ন ও তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ তাখারে ভয়াবহ আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানে, যার শিকার হয়ে আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানে প্রাণ হারান প্রায় ৪ হাজার মানুষ। এর মধ্যে আফগানিস্তানে নিহতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩০০।
আন্তর্জাতিক
আফগানিস্তানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প, নিহত ২০

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নানগারহার ও কুনার প্রদেশে ভূমিকম্পের কারণে আহত ১১৫ জনেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় রোববার (৩১ আগস্ট) রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮ কিলোমিটার গভীরে। এরপর থেকে অন্তত আরও তিনটি কম্পন হয়েছে। সেগুলোর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ২-এর মধ্যে।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বেশ কয়েক সেকেন্ড কম্পন টের পাওয়া যায়। প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
কাফি
আন্তর্জাতিক
ইউক্রেনে সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকারকে গুলি করে হত্যা

ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভে শহরে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন দেশটির সাবেক পার্লামেন্ট স্পিকার আন্দ্রি পারুবি। স্থানীয় সময় শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে অজ্ঞাত একজন বন্দুকধারী তাকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। হামলাকারীকে ধরতে দেশজুড়ে অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রোববার (৩১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫৪ বছর বয়সী পারুবি ২০১৬ সালের এপ্রিলে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট স্পিকার নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩-১৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের দাবিতে অনুষ্ঠিত ইউরোমাইদান আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।
এ ছাড়া ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত তিনি ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের সচিব ছিলেন। তার এ দায়িত্ব পালনের সময়কালেই রাশিয়া ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হয়।
সাবেক এই স্পিকারের নিহতের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি লিখেছেন, লভিভে অঞ্চলে ভয়াবহ এক হত্যাকাণ্ডে আন্দ্রি পারুবি নিহত হয়েছেন। তার পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। হত্যাকারীকে ধরতে ও তদন্তে সব ধরনের শক্তি-সরঞ্জাম কাজে লাগানো হচ্ছে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয়ও বলছে, এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও হত্যাকারীর পরিচয় কিংবা উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ড সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের সঙ্গে কোনোভাবে সম্পর্কিত কিনা, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লভিভের মেয়র আন্দ্রি সাদোভিই বলেন, আমাদের দেশ যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। আর আমরা দেখছি, নিরাপদ জায়গা এখন আর কোথাও নেই। হত্যাকারীকে খুঁজে বের করা এবং ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্প আরোপিত অধিকাংশ শুল্ক অবৈধ ঘোষণা করল মার্কিন আদালত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্কের বেশিরভাগকেই অবৈধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আপিল আদালত।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দেওয়া রায়ে আদালত জানায়, ট্রাম্প আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন (আইইইপিএ) অপব্যবহার করেছেন।
রায়ে ট্রাম্প প্রশাসনকে বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হলেও, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে রায় কার্যকর হবে।
শুক্রবার রায় ঘোষণার শুনানিতে অংশ নেওয়া ১১ জন বিচারকের মধ্যে সাতজন ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন।
আদালত জানিয়েছে, নতুন ট্যারিফ আইনি সংঘর্ষ সৃষ্টি করতে পারে। জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতার আওতায় আরোপিত এই শুল্ককে আইনবিরুদ্ধ আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন আদালত। বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের এমন কোনো এখতিয়ার নেই। শুল্কারোপের ক্ষমতা কেবল কংগ্রেসের রয়েছে।
রায়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, “এই আদেশ কার্যকর হলে দেশ ও অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে।” তিনি শুল্ক প্রত্যাহারকে ‘শতভাগ বিপর্যয়কর’ আখ্যা দিয়ে জানান, সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র শেষ পর্যন্ত জয়ী হবে।
আন্তর্জাতিক
ক্ষমতাচ্যুত হলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
সম্প্রতি কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে তার একটি ফোনকলের রেকর্ড ফাঁস হয়। এরপর তার পদ স্থগিত করে আদালত। অবশেষে শুক্রবার (২৯ আগষ্ট) ওই ফোনালাপের জেরে পেতোংতার্নকে ক্ষমতা থেকে পুরোপুরি সরিয়ে দেওয়া হলো।
২০২৪ সালের আগষ্টে থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা। মাত্র এক বছর পার হতেই ক্ষমতাচ্যুত হতে হলো তাকে। সদ্য সাবেক এ নারী থাই রাজনীতির অন্যতম প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের সদস্য।
ফাঁস হওয়া সেই ফোনকলে তাকে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলতে শোনা যায়। ওই সময় তিনি তার নিজ দেশের সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেন এবং দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, তার সেনাদের কারণেই কম্বোডিয়ার এক সেনার প্রাণ গেছে।
তার এ ফোনকলের রেকর্ড ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয় থাইল্যান্ডজুড়ে। এর কয়েকমাস পর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী এক সংঘাতও বেঁধে যায়; যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যার অবসান হয়।
গত ১৫ জুনের ওই ফোনকলে কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে পেতোংতার্ন আরও বলেন, যে কোনোকিছু চাইলে, আমাকে বলবেন। আমি বিষয়টি দেখব।
তার এ কথাটি নিয়েই মূলত বেশি সমালোচনা হয়। ফোনকলটি ফাঁস হওয়ার সময় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল দুই দেশের সীমান্তে। ওই সময় থাইল্যান্ডের মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদও প্রচণ্ডরকমভাবে দেখা যাচ্ছিল। তখনই ফোনকলটি সামনে আসে। যা সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ করে গোপনে থাইল্যান্ডের স্বার্থকে বিসর্জন দিচ্ছেন পেতোংতার্ন।
অবশ্য, ফোনালাপ ফাঁসের পর নিজ দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চান পেতোংতার্ন এবং দাবি করেন, কম্বোডিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনের কৌশল হিসেবেই এভাবে কথা বলেছিলেন তিনি।
কিন্তু, গত ১ জুলাই থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত তার প্রধানমন্ত্রীর পদ স্থগিত করে দেয়। যদিও তিনি সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রিসভায় রয়ে গিয়েছিলেন।