আন্তর্জাতিক
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া

শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আইন জারি করতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। বিলটি পাস হলে বিশ্বে প্রথমবারের মতো এমন কোনো আইন পাস হবে। আগামী বছরের শেষের দিকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনটি আগামী সপ্তাহে সংসদে উত্থাপন করা হবে। এই আইনের উদ্দেশ্য অস্ট্রেলিয়ার শিশুদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ক্ষতি কমানো।’
আইনটির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটি মা এবং বাবাদের জন্য তারা, আমার মতো, অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত। আমি চাই অস্ট্রেলিয়ার পরিবারগুলো জানুক যে সরকার আপনার পেছনে রয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে কোনো জরিমানার বিধান রাখা হয়নি। তবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে শিশু-কিশোরদের প্রবেশ রোধ করার জন্য যুক্তিসংগত পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সংসদে শিশুদের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা আইন উত্থাপিত হয়েছিল। এটি ব্যাপক দ্বিদলীয় সমর্থনও পেয়েছিল। ফলে আইনটি পাস হওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ এই আইনকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম শিশুদের মনোবিকাশে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড বলেন, ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম এমনকি ইউটিউবও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।
বিবিসি জানিয়েছে, সংসদে আইনটি পাস হওয়ার ১২ মাস পরে কার্যকর হবে। কার্যকর হওয়ার পরে বিভিন্ন সময় পর্যালোচনা করে হবে।
তবে বিশ্লেষকরা এই উদ্যোগের বিষয়ে দ্বিধা প্রকাশ করে বলেন, অনলাইনে বয়সসীমা মেনে চলা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কারিগরি সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
এরই মধ্যে প্রস্তাবিত আইনের কঠোর সমালোচনা করেছে অস্ট্রেলিয়ায় শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা বৃহত্তম সংস্থা ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান চাইল রাইটস টাস্কফোর্স’। প্রস্তাবিত আইনটিকে ‘খুব ভোঁতা একটি যন্ত্র’ বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
ওপাশ থেকে গুলি চললে, এপাশ থেকে গোলা চলবে: মোদি

দুই দেশের টানা ১৯ দিন উত্তেজনা, সংঘাত ও সহিংসতা চলার পর অবশেষে গত শনিবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। কিন্তু, চিরবৈরী দেশ দুটির ‘ডগফাইট’ এখনও চলছেই। হামলার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তো আছেই; চলছে পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিও।
সবশেষ পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ যেকোনো হামলার ব্যাপারে নিজ দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়া আরও জোরালোভাবে দেওয়ার নির্দেশ পেয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।
রোববার (১১ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, মোদি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা। অর্থাৎ, ওদিক থেকে যদি গুলি চালানো হয়, তবে এখান থেকে গোলা ছোড়া হবে।
মোদির এ নির্দেশনাকে একটি মোড় ঘোরানো সিদ্ধান্ত বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সূত্রগুলো, বিশেষ করে ভারতের বিমানঘাঁটিতে পাকিস্তানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর কাশ্মীরে এটিই সবচেয়ে বড় হামলা। পরোক্ষভাবে পাকিস্তান এ হামলায় জড়িত, এমন অভিযোগ তুলে বুধবার দেশটির সঙ্গে ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে ভারত। পাশাপাশি আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় দেশটি। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান। স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারতের সঙ্গে সবরকম বাণিজ্যও।
এরপর থেকে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকিতে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করে পরিস্থিতি, গত কয়েকদিনে রীতিমতো যুদ্ধের রূপ ধারণ করে যা।
এমন পরিস্থিতিতে চিরবৈরী দুদেশের মধ্যকার উত্তেজনা থামাতে এগিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। টানা ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর গত শনিবার (১০ মে) দুদেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে সক্ষম হয় দেশটি। ওইদিন সন্ধ্যায় প্রথম এ যুদ্ধবিরতির খবর নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, দুপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার পর আমি খুব উৎফুল্লতার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
একই বার্তা আসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর পক্ষ থেকেও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর এক পোস্টে রুবিও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি এবং মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তারিত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্ততাকারী যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বার্তা আসার কিছুক্ষণ পরই এ বিষয়ে বক্তব্য দেয় ভারত ও পাকিস্তান। বিস্তারিত আলোচনায় বসার ব্যাপারে আশ্বাস দেয় দুপক্ষই।
তবে ভারতের সরকারি সূত্র এখন বলছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ এখনো শেষ হয়নি এবং ‘সন্ত্রাসবাদের’ মোকাবিলায় ভারতের প্রতিক্রিয়া এখন থেকে এক নতুন দৃষ্টান্ত গড়বে।
এছাড়া কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের অবস্থানও স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই ইস্যুতে কোনও মধ্যস্থতা ভারত মেনে নেবে না। এই বিষয়ে একমাত্র আলোচনা হতে পারে পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কাশ্মীরি এলাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে।
ভারতের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয়—শুধু দুই দেশের সেনাবাহিনীর ডিজিএমও পর্যায়ে যোগাযোগ চলবে। তাদের ভাষায়, এই মুহূর্তে আলোচনার আর কোনও বিষয় নেই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সুইন্ডনে পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের উদ্যোগে মেয়র চেম্বার বিজনেস সামিট

নতুন এক যুগের সূচনা করেছে সুইন্ডনের একটি বিশ্বস্ত এবং প্রতিষ্ঠিত অ্যাকাউন্টিং ফার্ম পেস্লিপ অ্যাকাউন্ট। প্রতিষ্ঠানটি সুইন্ডন বরো কাউন্সিলের মেয়রের কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে একটি ব্যতিক্রমী ব্যবসায়িক ও কমিউনিটি সম্মেলন ‘মেয়র চেম্বার বিজনেস সামিট ২০২৫’।
এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি সুইন্ডনের ব্যবসা ও সমাজজীবনের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে উঠেছে। এতে শহরের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৫০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ৪০টিরও বেশি সামাজিক সংগঠন একত্রিত হয়েছে। মেয়র ইমতিয়াজ শেখ-এর মর্যাদাপূর্ণ চেম্বারে এই সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। যা উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, সিভিক নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক প্রভাবশালীদের একত্রিত করার জন্য এক শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।
এই সামিটের প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রান্সপোর্ট মিনিস্টার এমপি হেইডি আলেকজান্ডার (Heidi Alexander)। আরও উপস্থিত ছিলেন উইলস্টোন এমপি (Willstone MP) এবং মেয়র ইমতিয়াজ শেখ, যারা সুইন্ডনের বৈচিত্র্যময় এবং প্রাণবন্ত ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন ও স্বীকৃতি প্রকাশ করেন।
পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের নেতৃত্বে এই বৃহৎ সামিটটি সুইন্ডনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেয়রের চেম্বারে এতো বড় পরিসরে ব্যবসায়িক ও সামাজিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির অঙ্গীকার, দৃষ্টিভঙ্গি এবং কমিউনিটির প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে।
সম্মেলনে ৪০টিরও বেশি সামাজিক সংগঠনকে পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের পক্ষ থেকে তাদের অসাধারণ সামাজিক অবদানের জন্য সার্টিফিকেট অফ এপ্রিসিয়েশন প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ৫০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে—যারা স্বাস্থ্যসেবা, ক্যাটারিং, নির্মাণ, ফার্মেসি, খুচরা বিক্রয়, আর্থিক পরিষেবা ও সোশ্যাল কেয়ার,সলিসিটর ফারম, ব্যানক, শিক্ষা খাতে কাজ করছে—তাদের দৃঢ়তা ও উৎকর্ষতার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে ব্যবসা ও কমিউনিটির মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়, যেখানে কাউন্সিলর, স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এবং সুইন্ডনের উন্নয়নে অবদান রাখা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নেন।
পেস্লিপ অ্যাকাউন্টসের এমডি সুমন রায় ও গ্রোপ সিইও নিপা পাল এই সামিটে তাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন—যেখানে কমিউনিটি ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করে সুইন্ডনের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
একটি অগ্রগামী স্থানীয় প্রতিষ্ঠান যদি উদ্যোগী হয়, তবে কত বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব তা এই সম্মেলনটি প্রমাণ করে। এটি শুধু সুইন্ডনের ব্যবসায়িক ও সামাজিক নেতাদের কৃতিত্বকে উদযাপনই করেনি, বরং ভবিষ্যতের সম্মিলিত সাফল্যের পথও তৈরি করে দিয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ভারত-পাকিস্তানের

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টা আলোচনার পর একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে চিরবৈরী দুই পক্ষই। কিন্তু, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার এক রাত পার না হতেই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলছে ভারত ও পাকিস্তান।
রোববার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তান রোববার ভোরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে তারা নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ। এর আগেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে পাল্টা হামলার কথা জানায় ভারত।
এছাড়া, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ভারতের বিরুদ্ধেও যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে এবং জানায়, পাকিস্তানি বাহিনী দায়িত্বশীল ও সংযমীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, যুদ্ধবিরতির সফল বাস্তবায়নে যেকোনও জটিলতা সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। একইসঙ্গে সীমান্তে অবস্থানরত সৈন্যদেরও সংযম প্রদর্শন করা জরুরি।
এর আগে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত জুড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে ভারত।
গভীর রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র নিন্দা জানান ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। তিনি দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তান ফের গোলাগুলি শুরু করেছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এর জন্য সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তান দায়ী।
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতীয় সেনারাও এর সমুচিত জবাব দিচ্ছে এবং পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ভারত আশা রাখে, পাকিস্তান পরিস্থিতির গুরুত্ব উপলব্ধি করে অবিলম্বে এই চুক্তিভঙ্গ বন্ধ করবে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনও ধরনের অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘনের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মূলত, শনিবার (১০ মে) সন্ধ্যায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের কয়েক ঘণ্টা পরই বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগর, বারামুল্লা ও জম্মু। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে শহরগুলোতে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন মধ্যস্থতায় ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণাঙ্গ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প এই ঘোষণা দেন। তিনি উভয় দেশকে বিবেচনা বোধ ও বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানান এবং এই বিষয়ে তাদের মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওও এই বিষয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধবিরতি এবং একটি নিরপেক্ষ স্থানে বিস্তৃত বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শেহবাজ শরিফের প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের প্রশংসা করেন, যারা শান্তির পথ বেছে নিয়েছেন। রুবিও আরও জানান, গত ৪৮ ঘণ্টায় তিনি ও জে ডি ভ্যান্স শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শরিফও ছিলেন।
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারও পাকিস্তান ও ভারতের তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান সর্বদা তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সাথে আপস না করে এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি ও সামরিক অভিযান বন্ধ করবে। এই যুদ্ধবিরতি ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হবে। তিনি আরও জানান, আজ বিকেলে পাকিস্তানের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক (ডিজিএমও) তার ভারতীয় সমকক্ষকে ফোন করেন এবং উভয় পক্ষ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ এবং সমুদ্রে সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধ করতে সম্মত হয়। দুই পক্ষ আগামী ১২ মে পুনরায় যোগাযোগ করবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারত যদি থামে, তাহলে আমরাও থামব: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারত যদি উত্তেজনাকর পদক্ষেপ বন্ধ করে, তাহলে ইসলামাবাদও তাই করবে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। শনিবার (১০ মে) স্থানীয় একটি টেলিভিশন স্টেশনের সঙ্গে কথা বলার সময় ইসহাক দার এ কথা বলেন।
ভারত ও পাকিস্তান শনিবার একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করার এবং একে অপরের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ করার পর তার এই মন্তব্য এসেছে।
ইসহাক দার বলেন, যদি সামান্যতম বিচক্ষণতা থাকে, তাহলে ভারতও থামবে এবং যদি তারা থামে, তাহলে আমরাও থামব।
আমরা সত্যিকার অর্থে কোনো একটি দেশের আধিপত্য ছাড়াই শান্তি চাই, বলেও উল্লেখ করেন দার।
এদিকে, পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সংঘাত বন্ধ ও আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য দেশ দুটিকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইসলামাবাদে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক আলোচনার’ জন্য সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
কাফি