আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের জয়ে বিটকয়েনের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ
ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ পরিবর্তন এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে দেখা মিলেছে বড় উত্থানের। এছাড়া মার্কিন ডলার ও বিটকয়েনের মূল্যও বেড়েছে। আট বছরের মধ্যে গতকাল বুধবার এক দিনে মার্কিন ডলারের সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। বিটকয়েনের দামও এযাবৎকালের সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে।
ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প কর হ্রাস ও আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করলে মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে। এতে নীতি সুদহার হ্রাসের গতি কমতে পারে। নীতি সুদহার বাড়তি থাকলে বিনিয়োগকারীরা ডলারভিত্তিক সঞ্চয় পরিকল্প ও বিনিয়োগ থেকে বেশি মুনাফা পাবেন। খবর বিবিসির
গতকাল বিটকয়েনের রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বের বিটকয়েন ও ক্রিপ্টোকারেন্সির পরাশক্তি বানানোর’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাঁর এই প্রতিশ্রুতির কারণে বিটকয়েনের মূল্য ৬ হাজার ৬০০ ডলার বেড়ে ৭৫ হাজার ৯৯৯ ডলারে উঠেছে।
বিষয়টি হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বাইডেন প্রশাসনের এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের অমিল দেখা যাচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নিলেও ট্রাম্প তার উল্টো অবস্থান নিয়েছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ব্যয়ে যে অপচয় হয়েছে, তার নিরীক্ষার দায়িত্ব দিতে চান তিনি বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ককে। ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করছেন। তাঁর কোম্পানি টেসলা ২০২১ সালে বিটকয়েনে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন বা ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল; যদিও বিটকয়েনের মূল্য ওঠানামা করে। মাস্কের বিনিয়োগ বিটকয়েনের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এদিকে গতকাল টেসলার শেয়ারের মূল্য ১৪ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়ে দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছে। ইলন মাস্ক নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন। তাঁর এই সমর্থন এবং ট্রাম্পের ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি ইতিবাচক মনোভাবের কারণে বিটকয়েনের মূল্যে বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের সমর্থনকারী ইলন মাস্কের সম্পদ বাড়ল ১৫০০ কোটি ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। গতকাল প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় ইলন মাস্কের সম্পদ হু হু করে বাড়ছে। একদিনের ব্যবধানে মাস্কের সম্পদ বেড়েছে ১৫০০ কোটি বা ১৫ বিলিয়ন ডলার। খবর সিএনএন।
আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি টেসলার শেয়ারের দামই বেড়েছে ৪১১ মিলিয়ন ডলার। এক লাফে ১৫ বিলিয়ন ডলার বেড়ে যাওয়ায় মাস্ক এ অর্থ দিয়ে এখন কী কী করতে পারেন, তারও একটি হিসেবে দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
বলা হয়েছে, মাস্ক এই ১৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বিশ্বের সব মানুষকে এক ডলার করে দিলেও যে অর্থ থাকবে তা দিয়ে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের পুরো সম্পত্তি (তিন বিলিয়ন ডলার) কিনে নিতে পারেন।
তা ছাড়া, মাস্ক যদি নিজের কোম্পানি টেসলার তৈরি ব্যয়বহুল সাইবারট্রাকও কেনার কথা ভাবেন, তাহলে ১৫ বিলিয়ন ডলার দিয়ে প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার সাইবারট্রাক কিনে ফেলতে পারবেন।
স্পোর্টসে বিনিয়োগের ইচ্ছে হলে ডালাস কাউবয়েসের মতো দলকেও কিনে নিতে পারেন। এজন্য গুনতে হবে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ।
উল্লেখ, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য দু-হাত খুলে খরচ করেন মাস্ক। রিপাবলিকান শিবিরের নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রায় ১১৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন নির্বাচনে ৫ বাংলাদেশির জয়
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে পাঁচজন বাংলাদেশি নির্বাচিত হয়েছেন। দেশটির জর্জিয়া, কানেকটিকাট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তারা।
গতকাল বুধবার দেশটির বেসরকারি নির্বাচনী ফলাফল এবং স্থানীয় কমিউনিটি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত মঙ্গলবার দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরেরদিন ফলাফল প্রকাশিত হয়।
বিজয়ী বাংলাদেশিরা হলেন, নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী, নিউ হ্যাম্পশায়ার স্টেট রিপ্রেজেনটেটিভ আবুল খান, কানেকটিকাট স্টেট সিনেটর মাসুদুর রহমান, জর্জিয়া স্টেট সিনেটর পদে ডেমোক্রাট প্রার্থী শেখ এম. রহমান ও একই স্টেটের অপর ডিস্ট্রিক্ট থেকে সিনেটর নাবিলা ইসলাম।
এ ছাড়া পেনসিলভানিয়া, মিশিগান, নিউজার্সিসহ অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি-আমেরিকান কাউন্টি ও অন্যঅন্য পর্যায়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। তবে তদের ফলাফল এখনো জানা যায়নি।
নির্বাচিত মধ্যে পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলম্যান ড. নুরান নবী। তিনি নিউজার্সি প্লেইন্স বরো টাউনশিপ থেকে প্রথম নির্বাচিত ২০০৭ সালে। এরপর টানা ১৪ বছর ধরে এ পদে আছেন। এ ছাড়া ৬ বারের মতো দেশটির নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের আইনসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আবুল বি খান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথমেই যে ৭টি কাজ করবেন ট্রাম্প
নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে আবারও ওভাল অফিসে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটের প্রচারণায় তিনি অভিবাসন, অর্থনীতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসে তার রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্সির পাশাপাশি তার দল রিপাবলিকান পার্টি ফের সিনেটেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বিজয়ী বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছেন, আমরা একটি সহজ মন্ত্রে শাসন করবো: প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রতিশ্রুতি রাখবো। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে এসব লক্ষ্য অর্জন করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পরপরই যে সাতটি কাজ করতে চান-
১) অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন
ট্রাম্প প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড়’ অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মেক্সিকো সীমান্তের দেওয়াল সম্পূর্ণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার নির্মাণকাজ তার প্রথম শাসনামলে শুরু হয়েছিল।
২০২৪ সালে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, যদিও পরবর্তীতে তা কিছুটা কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত এই বিশাল আকারের বিতাড়ন কার্যকর করা আইনগত এবং পরিচালনগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে এবং এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে।
২) অর্থনীতি, কর ও শুল্ক নিয়ে পদক্ষেপ
বাইডেন প্রশাসনের সময় বেড়ে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রেসিডেন্টের সরাসরি প্রভাব খুবই সীমিত। তিনি নতুন কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেমন- বকশিস কর, সামাজিক সুরক্ষা কর ও করপোরেশন কর।
ট্রাম্প বেশিরভাগ বিদেশি পণ্যের ওপর অন্তত ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং চীন থেকে আমদানিতে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যেতে পারে।
৩) জলবায়ু সম্পর্কিত বিধিনিষেধ শিথিল
প্রথম প্রেসিডেন্সিতে ট্রাম্প কয়েকশ পরিবেশগত সুরক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিশেষ করে মার্কিন গাড়ি শিল্পকে সাহায্য করার জন্য।
তিনি আর্কটিক প্রান্তে তেল খননের পরিকল্পনা করেছেন। এতে জ্বালানি খরচ কমবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
৪) ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়সম ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করবেন তিনি।
তবে কোন পক্ষকে কী ছাড় দিতে হবে, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই পদক্ষেপ পুতিনকে উৎসাহিত করতে পারে।
৫) গর্ভপাত নিষিদ্ধ নয়
কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কে ট্রাম্প জাতীয়ভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার আইনে স্বাক্ষর করবেন না বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, গর্ভপাত নিয়ে আইন তৈরির ব্যাপারে রাজ্যগুলোর স্বাধীনতা থাকা উচিত।
৬) ৬ জানুয়ারি দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিছু ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
৭) স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছেন স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই তাকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন কংগ্রেসের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সদস্য সারা ম্যাকব্রাইড
যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন সারা ম্যাকব্রাইড। ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী হিসেবে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্য থেকে তিনি প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সারা রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি পরিষদ প্রার্থী তৃতীয় জন ওয়েলেনকে হারিয়ে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। মোট পড়া ভোটের মধ্যে সারা পেয়েছেন ৫৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিনেটের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ও প্রতিনিধি পরিষদের ৪৩৫টি আসনের সব কটিতে নির্বাচন হয়েছে। কয়েকটি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদেও ভোট হয়েছে।
৩৪ বয়সী সারা ২০২০ সালে ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে ডেলাওয়ার অঙ্গরাজ্য থেকে সিনেটর নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রথম জাতীয় সম্মেলনে প্রথমবারের মতো বক্তৃতা দেন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার অধীনে ২০১২ সালে তিনি হোয়াইট হাউসে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেন।
গতকাল নির্বাচনের আগে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সারা বলেন, ‘কোনো ক্ষেত্রে আপনি যখন প্রথম ব্যক্তি হন, তখন আপনাকে আপনার সেরাটা দিতে চেষ্টা করতে হয়। তাই আমার ওপর অনেক দায়িত্ব আছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গত কয়েক বছরে ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী আইন বেড়েছে। ২০২৩ সালে দেশটির ৩৭টি অঙ্গরাজ্যের হাসপাতালে লিঙ্গ পরিবর্তন সেবার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে অন্তত ১৪২টি আইন করা হয়েছে। ওই বছর আগের বছরের চেয়ে প্রায় তিন গুণ বেশি ট্রান্সজেন্ডারবিরোধী আইন করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ট্রাম্পের জয়ে নিম্নমুখী বৈশ্বিক পণ্যবাজার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার জয়ে চাপের মুখে রয়েছে বৈশ্বিক পণ্যবাজার। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল, ধাতু ও খাদ্যশস্যসহ অন্যান্য পণ্যসামগ্রীর দাম আজ কমেছে। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, আজ বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও সয়াবিনের দাম প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ায় চাপে রয়েছে এশিয়ার বাজার। এ সময় তামার দাম কমেছে ২ শতাংশের বেশি।
আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম গত কয়েক দিন ধরে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখেছিল। তবে আজ স্থিতিশীল ছিল মূল্যবান ধাতুটির দাম।
এ বিষয়ে স্যাক্সে ব্যাংকের কমোডিটি স্ট্র্যাটেজির প্রধান ওলে হ্যানসেন রয়টার্সকে বলেন, ‘আজকের বৈশ্বিক পণ্যবাজারের পরিস্থিতি মার্কিন ভোট গণনা ও ট্রাম্পের বিজয়ের পক্ষে প্রাথমিক ফলাফলের প্রথম প্রতিক্রিয়া। নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হলে চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়তে পারে। দেশটি তামা, লোহা ও ইস্পাতের শীর্ষ ব্যবহারকারী হওয়ায় তা নেতিবাচক। শুল্ক বাড়লে তা চাহিদার ওপর প্রভাব ফেলে। এ আশঙ্কায় এরই মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম নিম্নমুখী হয়েছে।’
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করতে চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তাই তিনি জয়ী হলে বিপদে পড়তে পারে চীনের শিল্প ধাতু ও ইস্পাত খাত।
বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রফতানিতে উল্লেখযোগ্য হিস্যা রয়েছে ইরানের। খাতসংশ্লিষ্টদের ধারণা, ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির জ্বালানি তেল রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী পণ্যটির সরবরাহ বিঘ্ন ঘটতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সয়াবিন রফতানি করে থাকে চীনে। বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলে কৃষি খাতও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করলে যুক্তরাষ্ট্রের সয়াবিনের ওপরও পাল্টা শুল্ক আরোপ করতে পারে চীন।
এমআই