আন্তর্জাতিক
প্রেসিডেন্ট হয়ে প্রথমেই যে ৭টি কাজ করবেন ট্রাম্প
নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিতে আবারও ওভাল অফিসে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভোটের প্রচারণায় তিনি অভিবাসন, অর্থনীতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মার্কিন কংগ্রেসে তার রাজনৈতিক এজেন্ডাগুলোর পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ প্রেসিডেন্সির পাশাপাশি তার দল রিপাবলিকান পার্টি ফের সিনেটেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বিজয়ী বক্তৃতায় ট্রাম্প বলেছেন, আমরা একটি সহজ মন্ত্রে শাসন করবো: প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, প্রতিশ্রুতি রাখবো। আমরা আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবো।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে তিনি কীভাবে এসব লক্ষ্য অর্জন করবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পরপরই যে সাতটি কাজ করতে চান-
১) অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়ন
ট্রাম্প প্রচারণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড়’ অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি মেক্সিকো সীমান্তের দেওয়াল সম্পূর্ণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যার নির্মাণকাজ তার প্রথম শাসনামলে শুরু হয়েছিল।
২০২৪ সালে বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সময় যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে অনুপ্রবেশের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, যদিও পরবর্তীতে তা কিছুটা কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের প্রতিশ্রুত এই বিশাল আকারের বিতাড়ন কার্যকর করা আইনগত এবং পরিচালনগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে এবং এতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমতে পারে।
২) অর্থনীতি, কর ও শুল্ক নিয়ে পদক্ষেপ
বাইডেন প্রশাসনের সময় বেড়ে যাওয়া মুদ্রাস্ফীতি কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও মুদ্রাস্ফীতির ওপর প্রেসিডেন্টের সরাসরি প্রভাব খুবই সীমিত। তিনি নতুন কর ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যেমন- বকশিস কর, সামাজিক সুরক্ষা কর ও করপোরেশন কর।
ট্রাম্প বেশিরভাগ বিদেশি পণ্যের ওপর অন্তত ১০ শতাংশ নতুন শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন এবং চীন থেকে আমদানিতে অতিরিক্ত ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই ধরনের পদক্ষেপে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যেতে পারে।
৩) জলবায়ু সম্পর্কিত বিধিনিষেধ শিথিল
প্রথম প্রেসিডেন্সিতে ট্রাম্প কয়েকশ পরিবেশগত সুরক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবারও তিনি একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিশেষ করে মার্কিন গাড়ি শিল্পকে সাহায্য করার জন্য।
তিনি আর্কটিক প্রান্তে তেল খননের পরিকল্পনা করেছেন। এতে জ্বালানি খরচ কমবে বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
৪) ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করা
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাহাড়সম ব্যয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ শেষ করবেন তিনি।
তবে কোন পক্ষকে কী ছাড় দিতে হবে, তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই পদক্ষেপ পুতিনকে উৎসাহিত করতে পারে।
৫) গর্ভপাত নিষিদ্ধ নয়
কমলা হ্যারিসের সঙ্গে বিতর্কে ট্রাম্প জাতীয়ভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার আইনে স্বাক্ষর করবেন না বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছেন, গর্ভপাত নিয়ে আইন তৈরির ব্যাপারে রাজ্যগুলোর স্বাধীনতা থাকা উচিত।
৬) ৬ জানুয়ারি দাঙ্গাকারীদের ক্ষমা
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল ভবনে হামলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত কিছু ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
৭) স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথকে বরখাস্ত
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করছেন স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই তাকে বরখাস্ত করার ঘোষণা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হলো ভারতের সব হোটেল-রেস্তোরাঁ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সব হোটেল বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হোটেল মালিকরা।
সম্প্রতি ত্রিপুরার হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার ফলে তারা এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছে।
এবিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সৈকত ব্যান্যার্জী বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন এবং চিন্ময় প্রভুকে অকারণে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রাজ্যের সব হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। তবে, যারা পূর্বে থেকে হোটেলের পরিষেবা নিচ্ছেন তাদের শুধু থাকতে দেওয়া হবে। অন্যদের পরিষেবা দেওয়া হবে না।
তা ছাড়া, সাময়িককালের জন্য প্রত্যেক রেস্তোরাঁর সামনে স্টিকার লাগানো হবে- বাংলাদেশিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের কাছে বকেয়া ১৯০ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিল চাইলো ত্রিপুরা
বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ পাওনা ১৩৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৯০ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা) জরুরি ভিত্তিতে চেয়েছে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার। বকেয়া অর্থ চেয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে ইতোমধ্যে চিঠিও দিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের বিদুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন (টিএসইসিএল)।
টিএসইসিএলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক দেবাশীষ সরকার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এ প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল বাবদ টিএসইসিএলের পাওনা ১৩৫ কোটি রুপি। পাওনা অর্থ চেয়ে আমরা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) চিঠি দিয়েছি। এর আগে বিপিডিবির চেয়ারম্যানকে ব্যক্তিগতভাবে আমি বকেয়া অর্থ পরিশোধের জন্য বলেছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সঙ্গেও আমাদের রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎমন্ত্রীর কথা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
টিএসইসিএল এখন আর্থিকভাবে কঠিন সময় পার করছে। একদিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বাড়ছে, অন্যদিকে তহবিলে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ নেই। বকেয়া সেই অর্থ এখন আমাদের খুব প্রয়োজন।
প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ইস্যুতে ভারতের জাতীয় তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন সংস্থা এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেডের মাধ্যমে হয়েছিল এ চুক্তি।
চুক্তি অনুসারে বাংলাদেশে সরবরাহকৃত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ৬ দশমিক ৬৫ রুপি করে পাবে ত্রিপুরার রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত চুক্তি করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। হাইকোর্ট সম্প্রতি সেই চুক্তির ব্যাপারে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদানির পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ চুক্তিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রতিনিধিরা অবশ্য বলেছেন যে এখনই কোনো চুক্তি বাতিলের পথে হাঁটছেন না তারা।
এর আগে গত শনিবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রাজধানী আগরতলায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে তার রাজ্য।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার প্রতিক্রিয়া হিসাবে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক স্থগিত করার কথা বিবেচনা করছে ত্রিপুরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা দেবে না কলকাতার হাসপাতাল
বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেপ্তার ও সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কলকাতার মানিকতলার একটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা দিবে না।
এদিকে জেএন রায় হাসপাতালের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বাংলাদেশিরা ভারতীয় পতাকা অবমাননা করছেন, এজন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
হাসপাতাল কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত ভারতীয় নিউজ সংস্থা পিটিআইকে গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বলেন, আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাংলাদেশি রোগীদের আর চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ তারা ভারতের প্রতি অসম্মান জানিয়েছে।
এই কর্তকর্তা বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে, এজন্য তিনি অন্যান্য হাসপাতালকেও একই পন্থা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই ব্যক্তি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশে ভারত বিরোধীতা বাড়ছে। আমরা আশা করছি অন্যান্য হাসপাতালগুলোও একই পদক্ষেপ নিবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশাল স্বর্ণখনির সন্ধান পেল চীন
বড় এক স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছে চীন। দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হুনানের পিংয়াং জেলার ওয়াকু গ্রামে সন্ধান পাওয়া এই খনির বিশাল সোনার মজুদ চীনের স্বর্ণ শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) হুনান প্রদেশের ভূতাত্ত্বিক ব্যুরো জানিয়েছে, নতুন এই স্বর্ণখনির ২ হাজার মিটার গভীরতার মধ্যে ৪০টিরও বেশি গোল্ড ওর ভেইনস বা স্বর্ণের আকরিক স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
খনিটির গভীরতা ৬ হাজার ৬শ ফিট পর্যন্ত বিস্তৃত। এর আকরিক স্তরের জমাট সোনা পৃথিবীর ভূত্বকের ফাটল দিয়ে গরম লাভা প্রবাহিত হয়ে গঠিত হয়েছে।
খনির আবিষ্কারক দলের অন্যতম সদস্য চেন রুলিন জানিয়েছেন, প্রতি টন আকরিক থেকে গড়ে ১৩৮ গ্রাম বিশুদ্ধ সোনা উত্তোলন সম্ভব।
চেন রুলিন আরও বলেন, খনিটির ৩০০০ মিটার গভীরতায় মজুদ রয়েছে উচ্চমানের ১০০০ টনেরও বেশি সোনা। এর বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ৮০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
ত্রিমাত্রিক কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে, খনি বিশেষজ্ঞরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে, ৯,৮০০ ফুট গভীরতায় ১,১০০ টন সোনা থাকতে পারে— যা স্ট্যাচু অব লিবারটির থেকে প্রায় আট গুণ ভারী।
এই সোনা চীনের দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিঠিয়ে রপ্তানি খাতেও ভূমিকা রাখবে।
খনিটি থেকে ইতোমধ্যে স্বর্ণ উত্তোলন শুরু হয়েছে। বর্তমানে প্রতি টন আকরিকে গড়ে ১৩৮ গ্রাম বিশুদ্ধ স্বর্ণ মিলছে। আবিষ্কারক দলের উপ-প্রধান লিউ ইয়োনচুন জানিয়েছেন, স্বর্ণ আহরণের ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন তারা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের জম্মু-কাশ্মির
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্য। রাজ্যটিতে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা ১৯ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ভূতত্ত্ব সংস্থা ন্যাশনাল সেন্টার ফল সিসমোলজি (এনসিএস)।
রাজ্যের সব এলাকায় এ ভূমিকম্পের কম্পণ অনুভূত হয়েছে। অনেক এলাকায় লোকজনকে আতঙ্কে ছোটাছুটি করতেও দেখা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মিরের কোনো এলাকা থেকে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো সংবাদ আসেনি।
এনসিএসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান-তাজিকিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ২০৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল এ ভূকম্পের উৎপত্তিস্থল।
ভৌগলিক অবস্থানজনিত কারণে বরাবরই ভূমিকম্পপ্রবণ জম্মু-কাশ্মির। অনেক বড় আকারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের অতীত রেকর্ড রয়েছে এই অঞ্চলের। মূলত ভূমিকম্প থেকে আত্মরক্ষা নিশ্চিত করতেই এ রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের লোকজন যে কাদামাটি দিয়ে তৈরি ঘরবাড়িতে বসবাস করেন।
এর আগে ২০০৫ সালের ৮ অক্টোবর ৭ দশমিক ২ মাত্রার এক ভূমিকম্পে জম্মু-কাশ্মিরের ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন। কাশ্মিরের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চল ছিল সেই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। সূত্র: এনডিটিভি
কাফি