জাতীয়
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
আজ ৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সিপাহী-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল। পাল্টে গিয়েছিল দেশের রাজনীতির গতিধারা।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হন শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তবে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে ৩ নভেম্বর সেনাবাহিনীতে একটি অভ্যুত্থানে গৃহবন্দি হন জিয়া। এরপর ৭ আগস্ট পাল্টা অভ্যুত্থানে মুক্ত হয়ে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন তিনি। চালু করেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের যাত্রা। ফলে স্বস্তি ফিরে আসে জনগণের মনে। তারপর থেকেই ৭ নভেম্বর পালিত হচ্ছে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে। বিএনপি সরকারের আমলে এ দিনটিতে ছিল সরকারি ছুটি।
গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের সময় দিনটি উদযাপন করতে পারেনি বিএনপি। এবার দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
দিবসটি উপলক্ষে ৬ নভেম্বর রাজধানীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। শুক্রবার রাজধানীতে ইতিহাসে স্মরণকালের সেরা র্যালি করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
৬ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ বঙ্গভবনে গিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক আহমেদকে গ্রেফতার করে মন্ত্রিসভা বাতিল ও জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। একই দিনে তিনি প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে দেশের প্রেসিডেন্টের পদে বসান। একপর্যায়ে ৬ নভেম্বর গভীর রাতে সেনাবাহিনীর সাধারণ সিপাহীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। সেই অভ্যুত্থানে স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন দিয়ে সর্বস্তরের জনতা রাজপথে নেমে আসে।
দিনটি উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘৭ নভেম্বর জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭৫ সালের এদিনে দেশপ্রেমে বলীয়ান হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিলো জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের অভূতপূর্ব অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। ৭ নভেম্বরের চেতনায় সব জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রের পথচলাকে অবারিত এবং জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরি।’
এদিকে পৃথক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকের এই মহান দিনে আমি দেশবাসী সবাইকে আহবান জানাই-এখনও দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চূড়ান্ত উত্তরণ হয়নি। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, নাগরিক স্বাধীনতা ও রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে গণতান্ত্রিক চেতনার বিকাশ সাধন করতে হবে। ৫ আগস্টের পরে দেশবাসী কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও এখনও অনেক কাজ বাকি রয়েছে। এখনও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে পদানত করার জন্য কুচক্রী মহল সদা তৎপর। সুতরাং যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, সেই একই চেতনা বুকে ধারণ করে বহুদলীয় গণতন্ত্র নিশ্চিত করা, স্বাধীনতার সুফল তথা অর্থনৈতিক মুক্তি, শান্তি-শৃঙ্খলা, সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
৫৫ শতাংশ তরুণ দেশ ছাড়তে আগ্রহী, নেপথ্যে বেকারত্ব-দুর্নীতি
বেকারত্ব নিয়ে দেশের ৪২ শতাংশ তরুণ উদ্বিগ্ন। তাঁদের মতে, বেকারত্বের কারণগুলো হচ্ছে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ, নিয়োগে বৈষম্য এবং পারিবারিক জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে না পারা। এসবের ফলে ৫৫ শতাংশ তরুণ বিদেশে যেতে আগ্রহী।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে ‘নেক্সট জেনারেশন বাংলাদেশ ২০২৪’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে ব্রিটিশ কাউন্সিলের মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
একই শিরোনামে ২০১০ ও ২০১৫ সালে দুটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। এবারের গবেষণাটি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৩ হাজার ৮১ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। প্রতিবেদনটি তুলে ধরেন এমঅ্যান্ডসি সাচি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসেসের ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং বিভাগের জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক আইবেক ইলিয়াসভ।
এর আগে ২০১৫ সালের জরিপে ৬০ শতাংশ তরুণ বলেছিলেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন, দেশ ঠিক পথেই এগোচ্ছে; কিন্তু ২০২৩ সালে এসে হারটি নেমেছে ৫১ শতাংশে। ২০১৫ সালের জরিপে কত শতাংশ তরুণ বিদেশ যাওয়ার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন, তা তৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি গবেষকেরা।
জরিপে অংশ নেওয়া ৩৭ শতাংশ তরুণ বলেছেন, বেকারত্বের বড় কারণ দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ। ২০ শতাংশ নিয়োগে বৈষম্য এবং ১৮ শতাংশ পারিবারিক জীবন ও কাজের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে না পারা বেকারত্বের বড় কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। ৪৪ শতাংশ তরুণ আগামী বছরের মধ্যে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী।
জরিপে উঠে আসে, ৭২ শতাংশ তরুণ ৭ জানুয়ারি হয়ে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী ছিলেন। তবে ৬৫ শতাংশ তরুণ নিজেদের বিচ্ছিন্ন (ডিজএনগেজ্ড) বলে মনে করছিলেন। ওই একতরফা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় যায় আওয়ামী লীগ। তবে গত জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে তাদের পতন হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ তরুণ নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ছেলেদের ৭৭ শতাংশ ও মেয়েদের ৫৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। ২৭ শতাংশ নারী পারিবারিক সহিংসতার শিকার। ৩০ শতাংশ তরুণ মনে করেন, নারীরা পুরুষের সমান নন। নারীদের ঘরের বাইরে পুরুষের মতো একই স্বাধীনতা পাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন ২৫ শতাংশ তরুণ।
তরুণেরা যেসব বিষয়ে অগ্রগতি দেখতে চান, শিক্ষা তার মধ্যে ১ নম্বর ক্ষেত্র। ৪৯ শতাংশ ‘পুওর টিচিং কোয়ালিটি’র (পাঠদানের নিম্নমান) কথা বলেছেন। বিশেষ করে তাঁরা আধুনিক কর্মবাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন পাঠদান ও পাঠ্যসূচির কথা বলেছেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থনে যুক্তরাজ্য সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ বলেন, সরকার দেশের তরুণদের আকাঙ্ক্ষাকে কেন্দ্রে রেখে কাজ করছে। সরকারের মৌলিক কাজ হবে মানবাধিকার রক্ষা, বৈষম্যহীন আইন ও নীতি কার্যকর এবং রাষ্ট্রে জনস্বার্থভিত্তিক নীতি কার্যকর করা।
অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিল দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হেলেন সিলভেস্টার ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানের একটি অংশে ‘স্কিলস ফর দ্য ফিউচার’ শিরোনামে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর
বাংলাদেশ পুলিশের ৯ জন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ৮ জন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক নয়টি প্রজ্ঞাপনে এ ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।
বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন—
এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভূঁইয়া মাহবুব হাসান, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান ঝন্টু, সিআইডির (এপিবিএনে বদলির আদেশপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউর রহমান, এসবির সহকারী পুলিশ সুপার আবু মো. ফজলুল করিম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার রনজিত কুমার বড়ুয়া, বেতবুনিয়া পিএসটিএসের সহকারী পুলিশ সুপার অপ্পেলা রাজু নাহা, সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. আক্তারুজ্জামান, সিলেট এসএমপির সহকারী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এবং মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজিজুর রহমান সরকার।
পৃথক নয়টি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সদস্যদের সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন।
প্রসঙ্গত, পুলিশ বাহিনীতে বিসিএস ক্যাডারের মাধ্যমে যে নিয়োগ দেওয়া হয় তার প্রথম পোস্টিং হয় একজন এএসপি হিসেবে অর্থাৎ সহকারী পুলিশ সুপার। সহকারী পুলিশ সুপার থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে একজন কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ট্রাম্পকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (৬ নভেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অনানুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর এ অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি।
এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
অভিনন্দন বার্তায় অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন; আপনাকে অভিনন্দন জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
এবারের নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজধানীর ১৩ স্থানে কম দামে মিলবে ডিম
আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি স্থানে উৎপাদক থেকে ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম সরবরাহ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দুই সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও করপোরেট), এজেন্ট-ডিলার, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আজ সভায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিম সরবরাহ করার সিদ্ধান্তসহ ৩টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের তেজগাঁও বাজার, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট (মোহাম্মদপুর) ও উত্তরা-১০ (খামারপাড়া রোড) স্থানগুলোয় এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাপ্তান বাজার, নিউমার্কেট, খিলগাঁও, জুরাইন, কোনাপাড়া সারুলিয়া, শনির আখড়া ও চিটাগাং রোডসহ ১৩টি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরাসরি উৎপাদক থেকে এজেন্ট বা ডিলারের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য সরবরাহ করা হবে। এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবে দুই সিটি করপোরেশন।
এর মধ্যে তেজগাঁও বাজার ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ৬ দশমিক ৫ লাখ করে মোট ১৩ লাখ এবং অবশিষ্ট ১১টি বাজারে মোট ৭ লাখ ডিম সমানুপাতিক হারে বণ্টন করে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানান।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আজ অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্ধারিত ১৩টি বাজারে ডিম সরবরাহের লক্ষ্যে গাড়ি পার্কিংসহ লোডিং-আনলোডিংয়ের জন্য পর্যাপ্ত জায়গার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রশাসকদের মৌখিক ও চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে ব্রাজিলের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
রাষ্ট্রদূত ফেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ব্রাজিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র আছে যেগুলোতে এখনো কাজ হয়নি, যা উভয় দেশের জন্য সম্ভাবনাময় হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়াতে দেশটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফেরেস ঢাকার তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত ফেরেস প্রধান উপদেষ্টাকে জানান, ব্রাজিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র আছে যেগুলোতে এখনো কাজ হয়নি, যা উভয় দেশের জন্য সম্ভাবনাময় হতে পারে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের পক্ষে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য রয়েছে। আমরা বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে এটিকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চাই।
ব্রাজিল বর্তমানে বাংলাদেশে অন্যান্য আইটেমের মধ্যে চিনি, সয়াবিন এবং কাঁচা তুলা রফতানি করে এবং দেশ থেকে বার্ষিক প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক পণ্য আমদানি করে।
ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে ব্রাজিলের মাংস রফতানি করা সম্ভব হলে তা জনগণের জন্য প্রোটিনের একটি ভালো উৎস হতে পারে। বাংলাদেশে স্থানীয় বাজারের ওপর তা কোনো প্রভাব ফেলবে না। তিনি গ্রিন এনার্জি, শিক্ষা, প্রতিরক্ষা, কৃষি এবং বিজ্ঞানকে সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ড. ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে বলেন, আমরা একসঙ্গে কাজ করলে অনেক সম্ভাবনা তৈরি হবে, যা দুই দেশের জন্যই অনেক লাভবান হবে। আসুন আমরা একসঙ্গে আরো সম্ভাবনার সন্ধান করি।
রাষ্ট্রদূত ফেরেস দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে বৈশ্বিক জোট- গ্লোবাল অ্যালায়েন্স টু পোভার্টি অ্যান্ড হাঙ্গারে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশই প্রথম দেশ যারা এ জোটে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এ সময় আগামী জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় যুব উৎসবে ব্রাজিলকে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানোর আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
এমআই