আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন কমলা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় সব রাজ্যে ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে ফল গণনা। ফলাফলে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে শুরুর দিকে বেশি ব্যবধান থাকলেও এখন অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সর্বশেষ আপডেট (বুধবার, সকাল ১১ টা ১০ মিনিট) বলছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩০ ইলেক্টোরাল ভোট। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১০ ইলেক্টোরাল ভোট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ৫৩৮। একজন প্রার্থীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার আগে ভোট শেষ হয় কেন্টাকিতে। এরপর ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ভোট শেষ হয়। তারপর থেকেই ভোটবুথগুলো থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে।
দুই ঘণ্টা আগেও ট্রাম্প থেকে অনেক পিছিয়ে ছিলেন কমলা। তবে ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় জয় পেয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। ৫৪টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে ট্রাম্পের কাছাকাছি এগিয়ে গেলেন কমলা।
শুধু ক্যালিফোর্নিয়ায় নয়, ওয়াশিংটন ও ইলিনয়ে কমলার জয় হয়েছে। এ ছাড়াও ম্যাসাচুসেটস, নিউ জার্সি, ভার্মন্ট, মেরিল্যান্ড, রোড আইল্যান্ড, ডেলাওয়ার ও কানেটিকাটেও জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে তাকে।
এছাড়া, নিউ ইয়র্কও নিজের ঝুলিতে পুরলেন কমলা। অঙ্গরাজ্যটির ২৮টি ইলেক্টোরাল ভোট গেছে সেখানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে।
এদিকে, এপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি। কেন্টাকি-ইন্ডিয়ানায়ও জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার আগে ভোট শেষ হয় কেন্টাকিতে। এরপর ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ভোট শেষ হয়। তারপর থেকেই ভোটবুথগুলো থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে।
সিএনএন জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনের অন্যতম সুইং স্টেট জর্জিয়ায় এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অঙ্গরাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এর আগে তিনি ফ্লোরিডায় জয় পান। টানা তৃতীয়বারের মতো নিজ অঙ্গরাজ্যে জয় পেলেন তিনি, পেয়েছেন ৩০ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি।
সুইং স্টেটগুলো হলো – পেনসিলভানিয়া (১৯ ইলেকটোরাল ভোট), মিশিগান (১০), জর্জিয়া (১৬), উইসকনসিন (১০), নর্থ ক্যারোলিনা (১৬), নেভাদা (৬) ও অ্যারিজোনা (১১)।
সাধারণত এই রাজ্যগুলোতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের প্রায় সমান সমর্থন থাকে। যার ফলে এখানকার ভোটারদের সিদ্ধান্তই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করে।
পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগানে এগিয়ে কমলা। অন্যদিকে জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনায় এগিয়ে ট্রাম্প। নেভাদা ও অ্যারিজোনা রাজ্যের ফলাফল ঘোষণা হয়নি এখনও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিজয় ঘোষণা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজেকে জয়ী ঘোষণা করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) গভীর রাতে ফ্লোরিডায় উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের সামনে ভাষণ দেওয়ার সময় এই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার (৬ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মধ্যরাতে উচ্ছ্বসিত সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় নির্বাচনে নিজের বিজয় ঘোষণা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফ্লোরিডায় নিজের প্রচার শিবিরের সদর দপ্তরে উত্তেজনায় পূর্ণ জনতার সামনে ট্রাম্প বলেন, আমেরিকা আমাদের একটি অভূতপূর্ব এবং শক্তিশালী ম্যান্ডেট দিয়েছে।
ট্রাম্পের জয় এখন অনেকটাই নিশ্চিত বলা যায়। তিনি ইতোমধ্যেই ২৬৭টি ইলেকটোরাল ভোটে এগিয়ে আছেন। অপরদিকে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এগিয়ে আছেন ২১৪টিতে। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ সুইং স্টেট পেনসিলভেনিয়াতেও জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই রাজ্যের ১৯টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়ে মোট ২৬৭টি ভোট নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প, যা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে তার জয়কে বেশ এগিয়ে দিয়েছে।
এছাড়া নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা, আলাস্কায়ও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে গত নির্বাচনে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
ফের হোয়াইট হাউজের দখল নিতে ট্রাম্পের দরকার আর মাত্র কয়েকটি ইলেকটোরাল ভোট। কিন্তু সেই মাহেন্দ্রক্ষণের জন্য যেন আর অপেক্ষা করতে পারছেন রিপাবলিকান সমর্থকরা। এরই মধ্যে রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করেছেন তারা।
এদিকে আলাস্কা ও হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের মাধ্যমে চলতি বছরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বেশিরভাগ দোদুল্যমান রাজ্যেই এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিবিসি, এপিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর বলছে, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা ও পেনসিলভানিয়ায় বেশিরভাগ ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
বুথফেরত জরিপে দেখা যাচ্ছে, গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ভোটাররা। এর আগে এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়াসহ ‘প্রতিপক্ষ’ দেশগুলো হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মার্কিন গোয়েন্দারা।
জয়ের আভাস পাওয়ার পর পরই ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জে ডি ভ্যান্স। এই জয়কে ‘রাজনৈতিক বিজয়’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নিউইয়র্কে কমালা হ্যারিস, টেক্সাসে বিজয়ী ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোটগণনা। এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল থেকে শুরু হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
ফলাফলের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী নিউইয়র্কে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। অন্যদিকে টেক্সাসে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মূলত জনসংখ্যার দিক থেকে বড় কয়েকটি অঙ্গরাজ্য থেকে পাওয়া ফলাফলে এখনও কোনও অপ্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা বলছে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস নিউইয়র্কে জয়ী হয়েছেন। এর আগে তাকে ইলিনয়, নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, ডেলাওয়ার এবং কানেটিকাট ও ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প টেক্সাস, ওহাইও, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, লুইজিয়ানা, মন্টানা, মিসৌরি, ইউটাহ এবং ওয়াইওমিং-এ জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে তাকে ফ্লোরিডা, আলাবামা, মিসিসিপি, টেনেসি, সাউথ ক্যারোলাইনা, আরকানসাস, ওকলাহোমা, কেন্টাকি, ইন্ডিয়ানা এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জয়ী ঘোষণা করা হয়।
মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভোট গণনার শুরু দিকের এই ফলাফলের পর ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ১৯৮টি এবং হ্যারিস ৯৯টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন। মূলত এখন পর্যন্ত ফলাফলে কোনও অঘটন ঘটেনি। এই অঙ্গরাজ্যেগুলোতে যা ফলাফল দেখা যাচ্ছে, ফল সেরকম হবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে বিবিসি বলছে, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ১৭৮টি এবং হ্যারিস ৮১টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
মূলত এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য বড় পুরষ্কার হয়ে এসেছে ফ্লোরিডা। কারণ ইলেক্টরাল ভোটের হিসেবে ফ্লোরিডা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৪ আর টেক্সাসের ৩৮ এর পরেই রয়েছে ফ্লোরিডার ৩০টি ইলেক্টরাল ভোট।
তবে মঙ্গলবারের নির্বাচনে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিজয় আশ্চর্যজনক কিছু ছিল না। গত এক দশক ধরেই এই অঙ্গরাজ্য রিপাবলিকানদের দখলে রয়েছে। ১২ বছর আগে ২০১২ সালে বারাক ওবামাই সর্বশেষ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ফ্লোরিডায় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩৮ ইলেক্টরাল ভোট আছে এবং এর মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন। তবে গত এক বছরের জনমত জরিপ এবং অতীত নির্বাচনের আলোকে ৪৩টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে আছে।
আর সাতটি অঙ্গরাজ্যে— জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, পেন্সিলভানিয়া, অ্যারিজনা, নেভাদা আর নর্থ ক্যারলাইনায় কে জিতবে, তা নিশ্চিত ছিল না। এই রাজ্যেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলা হয় এবং সেখানে মোট ৯৩টি ইলেক্টরাল ভোট আছে।
অর্থাৎ, নির্বাচনে জয়ের জন্য একজন প্রার্থীকে এই সাতটি সুইং স্টেটের অন্তত চারটিতে জয়লাভ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২০ মিলিয়ন ডলারে পিওর ইট বিক্রি করে দিল ইউনিলিভার
খাবার পানি শোধনকারী (ফিল্টার) পিওর ইট ১২০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছে ইউনিলিভার। গ্লোবাল ওয়াটার টেকনোলজি কোম্পানি এও স্মিথ কর্পোরেশন নিজেদের ওয়েবসাইটে পিওর ইট কিনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি করেছিলো গ্লোবাল ওয়াটার।
জানা যায়, ২০০৪ সালে ভারতের চেন্নাইতে পিওর ইট প্রথম চালু করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এটি চালু করা হয় বলে জানিয়েছিল ইউনিলিভার। ইউনিলিভার বাংলাদেশে ২০১০ সালে পিওর ইট চালু করে।
পিওর ইট কিনে নেওয়া এও স্মিথ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কেভিন জে হুইলার বলেন, পিওর ইট বাজারে আমাদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডগুলোর পরিপূরক। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও পিওর ইট বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং মেক্সিকোয় বিক্রি হচ্ছে। পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি এই বছরের শুরুতে ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিলিভার পিওর ইট বিক্রি থেকে বছরে ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি রয়েছে বাংলা। এবারের ব্যালট পেপারে চারটি বিদেশি ভাষার মধ্যে একটি ছিল বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর অনুযায়ী নিউইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। প্রতিবেদন অনুসারে, এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হল নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, ‘অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ৪টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশনস নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন ২ শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলিতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে (ব্যালট পেপারের জন্য) অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুণ্ন হতে পারেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো গত্যন্তর ছিল না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫-এর আওতায় দু’বছর আগে নিউইয়র্কের আদালতে একটি মামলা করা হয় । মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যে-সব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার প্রদান করা হোক।
পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি বিদেশি ভাষার অন্যতম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলায় প্রথম ছাপা হলো নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার (৫ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরীয় ও বাংলা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন দুই শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
নিউইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যে এক লাখেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস ও ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লাখেরও বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউইয়র্ক প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, আমি বুঝতে পারছি যে ব্যালট পেপারের জন্য অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুন্ন হতে পারেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো গত্যন্তর ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫- এর আওতায় দুবছর আগে নিউইয়র্কের আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যেসব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার দেওয়া হোক।
পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী- দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।