পুঁজিবাজার
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আইপিও অর্থ ব্যবহার তদন্তে কমিটি
পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের ব্যবহার এবং বিগত ৬ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গঠিত তদন্ত কমিটিকে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে এ সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করতে নির্ধশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. আল মাসুম মির্ধা, বিএসইসির সহকারী পরিচালক মোসাব্বির আল আশিক এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক স্নেহাশিষ চক্রবর্তী।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, গঠিত তদন্ত কমিটি ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের আর্থিক রেকর্ড পর্যালোচনা করবে এবং আইপিওর অর্থ কীভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল তা তদন্ত করবে। কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য মতে, মিথ্যা জমির মালিকানা দাবি, ভুল আর্থিক এবং জালিয়াতি শেয়ার মানি ডিপোজিটের অভিযোগ উঠায় ২০২২ সালের জানুয়ারিতে আইপিও সাবস্ক্রিপশন প্রক্রিয়াটি স্থগিত করা হয়েছিল। পরে তদন্তে জাল জমির মালিকানা নথি, ভুল আর্থিক বিবরণী এবং জালিয়াতি শেয়ার মানি ডিপোজিটের প্রমাণ পাওয় যায়। এরই ধরাবাহিকতায় বিএসইসি এশিয়াটিক ল্যাবরেটরির প্রত্যেক পরিচালক ও ইস্যু ম্যানেজারকে ৫০ লাখ টাকা করে জরিমানা করে। এছাড়া, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনির আহমেদ, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা এবং কোম্পানি সচিবকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৩৪.৫০ টাকায়। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির পরিচালন পর্ষদ স্পনসর এবং পরিচালকদের বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২.৮২ টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ২.১৯ টাকা। গত ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯.৩১ টাকা। আগামী ১৯ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ নভেম্বর।
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, ওরাল লিকুইড, সাসপেনশনের জন্য পাউডার, চক্ষু চিকিৎসা, ইনজেকশন এবং অন্যান্য ফার্মাসিউটিক্যাল আইটেম সহ সারা বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য (মানুষের ব্যবহারের জন্য) উৎপাদন, বিক্রয় এবং বিতরণ করে থাকে।
প্রসঙ্গত, বিএসইসির ৮৩৭তম কমিশন সভায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের বুক বিল্ডিং পদ্ধতির আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকার মূলধন সংগ্রহ করবে কোম্পানিটি। এজন্য গত বছরের ১৬ থেকে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। ওই বছরের ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর কোম্পানির শেয়ারের কাট-অব প্রাইস (প্রান্তসীমা মূল্য) নির্ধারণে বিডিং অনুষ্ঠিত হয়। বিডিংয়ে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা (ইআই) কোম্পানির শেয়ারের প্রান্তসীমা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রান্তসীমা মূল্যের চেয়ে ৩০ শতাংশ বা ২০ টাকা এ দুইয়ের মধ্যে যেটি কম হবে, সে মূল্যে শেয়ার ইস্যু করার শর্ত দিয়েছিল বিএসইসি। চলতি বছরের ৫ মার্চ থেকে পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির লেনদেন চালু হয়।
আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহিত অর্থে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদন ভবন নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ইস্যু ব্যবস্থাপনা খরচ খাতে ব্যয় করবে বলে জানিয়ে ছিল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করেছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বেক্সিমকোর তিন কোম্পানিতে বিশেষ নীরিক্ষা চালাবে বিএসইসি
পুঁজিবাজারে বহুল আলোচিত বেক্সিমকো গ্রুপের তিন কোম্পানি, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি লিমিটেড (বেক্সিমকো), বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডে বিশেষ নিরীক্ষা চালাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৯৩৫তম কমিশন সভায় আলোচিত তিন কোম্পানির উপর বিশেষ নীরিক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিএসইসির নিবাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেড ও শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেডের বিগত ৫ বছরের আর্থিক প্রতিবেদনের উপর এই নীরিক্ষা পরিচালনা করা হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
শেয়ার কারসাজির দায়ে ১৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ১২৬ কোটি টাকা জরিমানা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কারসাজির দায়ে ১৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গ করার দায়ে মোট ১২৬ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৩৫ তম কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে বিএসইসির নিবাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসির শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে সমীর সেকান্দারকে ৩২ কোটি ২৫, মাহের সেকান্দারকে ৫২ লাখ, আবু সাদাত মো. সায়েমকে ২১ কোটি ৯০ লাখ, আব্দুল মবিন মোল্লাকে ৯ লাখ এবং তাজবীদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আব্দুল মবিন মোল্লাকে ১ লাখ, আফরা চৌধুরীকে ৩৫ লাখ, আনিকা ফারহিনকে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে মো. আমিনুল ইসলামকে ৩ কোটি ২০ লাখ, নাবিল ফিড মিলসকে ১০ লাখ, নাবিল নাবা ফুডস লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তালিকাভুক্ত ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে রিসানা করিমকে ৬ কোটি, সোহেল আলমকে ১৮ কোটি ৪০ লাখ, নুরুন্নাহার করিমকে ১০ লাখ, মোহাম্মদ এবাদুল করিমকে ১৩ কোটি ১৫ লাখ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসকে ২ কোটি ৪৬ লাখ, বিকন মেডিকেয়ারকে ৫ কোটি ৫০ লাখ এবং মো. এখলাছুর রহমানকে ১৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রাইট শেয়ার ইস্যু করবে বার্জার পেইন্টস
পুঁজিবাজারে বিবিধ খাতে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ রাইট শেয়ার ইস্যু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন সাপেক্ষে রাইট শেয়ার ইস্যু করা হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ ১৭টি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ার ১১১০ টাকা করে (প্রিমিয়াম ১১০০ টাকা) করে ইস্যু করতে চায়।
রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে তৃতীয় কারখানার প্রকল্পে ব্যবহার করতে চায় বার্জার পেইন্টস। এ লক্ষ্যে আগামী আগামী ২৫ জানুয়ারি বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) এর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ইজিএমে অংশগ্রহণকারী শেয়ারহোল্ডার নির্বাচনে আগামী ২ জানুয়ারি রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ১২ কোটি টাকার লেনদেন
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭২টি শেয়ার ৪০ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ১২ কোটি ৬৯ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ৪ কোটি ৮৪ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার ও তৃতীয় স্থানে থাকা জিপিএইচ ইস্পাতের ১ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
একমি ল্যাবরেটরিজের উদ্যোক্তার শেয়ার বিক্রি
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের এক উদ্যোক্তা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির উদ্যোক্তা পারভীন আক্তার খানম ২২ ৮ লাখ শেয়ার বিক্রি সম্পন্ন করেছেন।
এর আগে, গত ২ ও ৪ ডিসেম্বর তিনি শেয়ারগুলো বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
কাফি