আন্তর্জাতিক
নিউইয়র্কে কমালা হ্যারিস, টেক্সাসে বিজয়ী ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোটগণনা। এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল থেকে শুরু হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
ফলাফলের সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী নিউইয়র্কে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস। অন্যদিকে টেক্সাসে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মূলত জনসংখ্যার দিক থেকে বড় কয়েকটি অঙ্গরাজ্য থেকে পাওয়া ফলাফলে এখনও কোনও অপ্রত্যাশিত ফল পাওয়া যায়নি।
সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা বলছে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস নিউইয়র্কে জয়ী হয়েছেন। এর আগে তাকে ইলিনয়, নিউ জার্সি, মেরিল্যান্ড, ম্যাসাচুসেটস, রোড আইল্যান্ড, ডেলাওয়ার এবং কানেটিকাট ও ভারমন্ট অঙ্গরাজ্যে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প টেক্সাস, ওহাইও, নর্থ ডাকোটা, সাউথ ডাকোটা, লুইজিয়ানা, মন্টানা, মিসৌরি, ইউটাহ এবং ওয়াইওমিং-এ জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে তাকে ফ্লোরিডা, আলাবামা, মিসিসিপি, টেনেসি, সাউথ ক্যারোলাইনা, আরকানসাস, ওকলাহোমা, কেন্টাকি, ইন্ডিয়ানা এবং ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় জয়ী ঘোষণা করা হয়।
মার্কিন এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ভোট গণনার শুরু দিকের এই ফলাফলের পর ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ১৯৮টি এবং হ্যারিস ৯৯টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন। মূলত এখন পর্যন্ত ফলাফলে কোনও অঘটন ঘটেনি। এই অঙ্গরাজ্যেগুলোতে যা ফলাফল দেখা যাচ্ছে, ফল সেরকম হবে বলে আগেই ধারণা করা হয়েছিল।
অন্যদিকে বিবিসি বলছে, ট্রাম্প এখন পর্যন্ত ১৭৮টি এবং হ্যারিস ৮১টি ইলেক্টরাল ভোট পেয়েছেন।
মূলত এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের জন্য বড় পুরষ্কার হয়ে এসেছে ফ্লোরিডা। কারণ ইলেক্টরাল ভোটের হিসেবে ফ্লোরিডা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তৃতীয় বৃহত্তম। ক্যালিফোর্নিয়ার ৫৪ আর টেক্সাসের ৩৮ এর পরেই রয়েছে ফ্লোরিডার ৩০টি ইলেক্টরাল ভোট।
তবে মঙ্গলবারের নির্বাচনে ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বিজয় আশ্চর্যজনক কিছু ছিল না। গত এক দশক ধরেই এই অঙ্গরাজ্য রিপাবলিকানদের দখলে রয়েছে। ১২ বছর আগে ২০১২ সালে বারাক ওবামাই সর্বশেষ ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে ফ্লোরিডায় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিসট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ায় মোট ৫৩৮ ইলেক্টরাল ভোট আছে এবং এর মধ্যে যে প্রার্থী ২৭০টি ইলেক্টরাল ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন। তবে গত এক বছরের জনমত জরিপ এবং অতীত নির্বাচনের আলোকে ৪৩টি অঙ্গরাজ্যের ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে আছে।
আর সাতটি অঙ্গরাজ্যে— জর্জিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, পেন্সিলভানিয়া, অ্যারিজনা, নেভাদা আর নর্থ ক্যারলাইনায় কে জিতবে, তা নিশ্চিত ছিল না। এই রাজ্যেগুলোকে ‘সুইং স্টেট’ বলা হয় এবং সেখানে মোট ৯৩টি ইলেক্টরাল ভোট আছে।
অর্থাৎ, নির্বাচনে জয়ের জন্য একজন প্রার্থীকে এই সাতটি সুইং স্টেটের অন্তত চারটিতে জয়লাভ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়ে এনেছেন কমলা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় সব রাজ্যে ভোটকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চলছে ফল গণনা। ফলাফলে রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এগিয়ে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে শুরুর দিকে বেশি ব্যবধান থাকলেও এখন অনেকটাই কাছাকাছি চলে এসেছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের সর্বশেষ আপডেট (বুধবার, সকাল ১১ টা ১০ মিনিট) বলছে, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩০ ইলেক্টোরাল ভোট। ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২১০ ইলেক্টোরাল ভোট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ইলেক্টোরাল কলেজ ৫৩৮। একজন প্রার্থীর জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৭০ ভোট।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার আগে ভোট শেষ হয় কেন্টাকিতে। এরপর ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ভোট শেষ হয়। তারপর থেকেই ভোটবুথগুলো থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে।
দুই ঘণ্টা আগেও ট্রাম্প থেকে অনেক পিছিয়ে ছিলেন কমলা। তবে ক্যালিফোর্নিয়ায় বড় জয় পেয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। ৫৪টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়ে ট্রাম্পের কাছাকাছি এগিয়ে গেলেন কমলা।
শুধু ক্যালিফোর্নিয়ায় নয়, ওয়াশিংটন ও ইলিনয়ে কমলার জয় হয়েছে। এ ছাড়াও ম্যাসাচুসেটস, নিউ জার্সি, ভার্মন্ট, মেরিল্যান্ড, রোড আইল্যান্ড, ডেলাওয়ার ও কানেটিকাটেও জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে তাকে।
এছাড়া, নিউ ইয়র্কও নিজের ঝুলিতে পুরলেন কমলা। অঙ্গরাজ্যটির ২৮টি ইলেক্টোরাল ভোট গেছে সেখানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর পক্ষে।
এদিকে, এপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ৪০টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি। কেন্টাকি-ইন্ডিয়ানায়ও জয় পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবার আগে ভোট শেষ হয় কেন্টাকিতে। এরপর ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ভোট শেষ হয়। তারপর থেকেই ভোটবুথগুলো থেকে ফলাফল আসতে শুরু করে।
সিএনএন জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনের অন্যতম সুইং স্টেট জর্জিয়ায় এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। অঙ্গরাজ্যটিতে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ভোট গণনা হয়েছে। এর আগে তিনি ফ্লোরিডায় জয় পান। টানা তৃতীয়বারের মতো নিজ অঙ্গরাজ্যে জয় পেলেন তিনি, পেয়েছেন ৩০ ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন তিনি।
সুইং স্টেটগুলো হলো – পেনসিলভানিয়া (১৯ ইলেকটোরাল ভোট), মিশিগান (১০), জর্জিয়া (১৬), উইসকনসিন (১০), নর্থ ক্যারোলিনা (১৬), নেভাদা (৬) ও অ্যারিজোনা (১১)।
সাধারণত এই রাজ্যগুলোতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের প্রায় সমান সমর্থন থাকে। যার ফলে এখানকার ভোটারদের সিদ্ধান্তই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ধারণ করে।
পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও মিশিগানে এগিয়ে কমলা। অন্যদিকে জর্জিয়া ও নর্থ ক্যারোলিনায় এগিয়ে ট্রাম্প। নেভাদা ও অ্যারিজোনা রাজ্যের ফলাফল ঘোষণা হয়নি এখনও।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২০ মিলিয়ন ডলারে পিওর ইট বিক্রি করে দিল ইউনিলিভার
খাবার পানি শোধনকারী (ফিল্টার) পিওর ইট ১২০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছে ইউনিলিভার। গ্লোবাল ওয়াটার টেকনোলজি কোম্পানি এও স্মিথ কর্পোরেশন নিজেদের ওয়েবসাইটে পিওর ইট কিনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি করেছিলো গ্লোবাল ওয়াটার।
জানা যায়, ২০০৪ সালে ভারতের চেন্নাইতে পিওর ইট প্রথম চালু করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এটি চালু করা হয় বলে জানিয়েছিল ইউনিলিভার। ইউনিলিভার বাংলাদেশে ২০১০ সালে পিওর ইট চালু করে।
পিওর ইট কিনে নেওয়া এও স্মিথ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কেভিন জে হুইলার বলেন, পিওর ইট বাজারে আমাদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডগুলোর পরিপূরক। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও পিওর ইট বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং মেক্সিকোয় বিক্রি হচ্ছে। পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি এই বছরের শুরুতে ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিলিভার পিওর ইট বিক্রি থেকে বছরে ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি রয়েছে বাংলা। এবারের ব্যালট পেপারে চারটি বিদেশি ভাষার মধ্যে একটি ছিল বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর অনুযায়ী নিউইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। প্রতিবেদন অনুসারে, এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হল নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, ‘অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ৪টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশনস নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন ২ শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলিতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে (ব্যালট পেপারের জন্য) অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুণ্ন হতে পারেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো গত্যন্তর ছিল না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫-এর আওতায় দু’বছর আগে নিউইয়র্কের আদালতে একটি মামলা করা হয় । মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যে-সব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার প্রদান করা হোক।
পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি বিদেশি ভাষার অন্যতম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলায় প্রথম ছাপা হলো নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার (৫ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরীয় ও বাংলা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন দুই শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
নিউইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যে এক লাখেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস ও ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লাখেরও বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউইয়র্ক প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, আমি বুঝতে পারছি যে ব্যালট পেপারের জন্য অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুন্ন হতে পারেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো গত্যন্তর ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫- এর আওতায় দুবছর আগে নিউইয়র্কের আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যেসব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার দেওয়া হোক।
পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী- দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প- কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? তা নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা, মেলানো হচ্ছে নানান সমীকরণ।
প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হঠাৎ ছিটকে পড়া এবং ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলাসহ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নাটকীয় নানান ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
এবারের প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংকট সমাধানের পাশাপাশি ইউক্রেন ও গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বৈশ্বিক বিষয়গুলোও গুরুত্ব পেতে দেখা যাচ্ছে।
বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটা ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিত হলেও এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নেবেন মার্কিন নাগরিকরা। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন নাগরিকদের বাইরেও সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ নজর রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে।
নির্বাচনের শেষ দিকের প্রচারণায় ভোটারদের নানা ধরনের আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প এবং কমলা। ভোটারদের উদ্দেশে কমলা হ্যারিস বলেছেন, নির্বাচিত হলে প্রথম দিন থেকেই তিনি জীবনযাত্রার খরচ কমানোর দিকে মনোযোগ দেবেন। তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে খাদ্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রথমবারের মতো বাড়ি কেনার সুবিধা, আবাসনের ব্যবস্থা ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রাকে সাশ্রয়ী করার অঙ্গীকার করেছেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী তেল উৎপাদন বাড়িয়ে জ্বালানির দাম কমানো হবে। যদিও সুদের হার কমানো এককভাবে প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে নয়, তবুও তিনি এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে হ্যারিস তার দীর্ঘকালীন প্রসিকিউটরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন, যেখানে ট্রাম্প এরই মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ট্রাম্প মাদক চক্র ও গ্যাং সহিংসতা দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি ডেমোক্র্যাটদের অধীনস্থ শহরগুলোকে পুনর্গঠন করতে চান। প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী বা ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে ‘বিপজ্জনক শত্রুদের’ মোকাবিলারও ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
গর্ভপাতের অধিকারকে কেন্দ্র করে কমলা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন। সারা দেশে এই অধিকারকে সুরক্ষিত করার আইন প্রণয়নের পক্ষে জোর দিচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, ট্রাম্প এই বিষয়ে একক কোনো নীতিতে এগোতে পারেননি। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নিয়োগ দেওয়া তিনজন বিচারপতি ২০২২ সালে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার (‘রো বনাম ওয়েড’ রুলিং) বাতিল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি বিদেশি ভাষার অন্যতম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হলো নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ৪টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন দুই শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
এই নির্বাচনে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো মার্কিন নাগরিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে নর্থ ডাকোটা বাদে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি ৪৯টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে আগেই ভোটার নিবন্ধন করা হয়। ভোটের আগেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
এমনকি বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকরাও ভোটার নিবন্ধনে নাম লেখাতে পারেন। এক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালোটে বা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার জন্যও তারা আবেদন করতে পারেন। ভোটাররা কতক্ষণ ভোট দিতে পারবেন, সেটি অঙ্গরাজ্য গুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে সাধারণত আগাম ভোটের সুযোগ দেওয়া হয়। যার ফলে তালিকাভুক্ত ভোটাররা নির্বাচনের দিনের আগেই তাদের ভোট দিতে পারেন।
সেখানে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এক্ষেত্রে অসুস্থতা, প্রতিবন্ধীদের জন্য, ভ্রমণ বা অন্য কোনো কারণে দেশ বা অঙ্গরাজ্যের বাইরে থাকায় ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না যারা তাদের জন্য ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যাবেন, তাদের সশরীরে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দিতে হবে।এর মধ্যেই প্রায় ৭৫ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন।