ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ ১২ এপ্রিল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার ভর্তি উপ-কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্নাতকের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আগামী ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এই তারিখ চূড়ান্ত নয় বলে সন্ধ্যায় জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান।
অন্যদিকে এবারো সিলেকশন প্রথা থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তার ভাষ্যমতে, দেশের ৫ বিভাগে অনুষ্ঠিতব্য এ পরীক্ষায় একবারে মোট ১ লাখের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবেন। ফলে প্রাথমিক পর্যায়ে আবেদনকারী সব শিক্ষার্থী চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন না।
অধ্যাপক ফরিদ খান বলেন, আজ ‘ভর্তি উপকমিটি’র মিটিং ছিল। সবাই মিলে যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে তা ‘ভর্তি কমিটি’র কাছে সুপারিশ করা হবে। ‘ভর্তি কমিটি’ এ সুপারিশ আমলে নিতেও পারেন আবার নাও পারেন। কারণ ভর্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত ‘ভর্তি কমিটি’ নিয়ে থাকেন। তবে তারিখ পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সিলেকশনের বিষয়ে তিনি জানান, পাঁচটা বিভাগে যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আছে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে একবারে এক লাখের মতো শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে। ফলে এক লাখের বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করলে সিলেকশন করা লাগবে। তবে সার্বিক বিষয়ে ‘ভর্তি কমিটি’ সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ১৪ নভেম্বরে এ বিষয়ে জানা যাবে।
এর আগে বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাবির ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি উপ-কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে রাবি ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ২০২৫ সালের ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল তারিখে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
১২৪ জন বাংলাদেশিকে বৃত্তি দেবে রাশিয়া
২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ১২৪টি বৃত্তি ঘোষণা করেছে রাশিয়া সরকার। শিক্ষার মান উন্নয়নের পাশাপাশি, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের রাশিয়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে ঘনিষ্ঠ পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ।
আবেদন প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
এই শিক্ষা বৃত্তির জন্য অনলাইনে https://education-in-russia.com এই ঠিকানায় আবেদন করা যাবে। আবেদন করার শেষ তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২৫। তবে আবেদনের আগে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। প্রথমেই সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কসিটের মূল এবং ফটোকপি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সত্যায়িত হতে হবে। এ ছাড়া পাসপোর্টটি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ১৮ মাসের মেয়াদ সম্পন্ন থাকতে হবে।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হওয়ার পর, শিক্ষার্থীদের রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকায় শিক্ষাগত সনদের কপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, স্বাস্থ্য সনদ, ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সম্মতিপত্র ও একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে।
সরাসরি তথ্য সংগ্রহের সুযোগ:
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিশদ জানার জন্য শিক্ষার্থীরা প্রতি রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার শিক্ষা বিভাগে যোগাযোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া উচ্চশিক্ষার সুযোগ এবং আবেদন প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি জানতে আগামী ২২ অক্টোবর ২০২৪ বিকেল ৪টায় রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকায় আয়োজিত ‘রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা’ বিষয়ক সেমিনারে অংশ নিতে পারেন।
রাশিয়ার উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা:
রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা শুধুমাত্র একাডেমিক মানোন্নয়নেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা, বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে সংযোগ এবং গবেষণার আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা, এবং মানবিক বিষয়ে শক্তিশালী গবেষণা কার্যক্রম রয়েছে, যা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নতুন জ্ঞানভাণ্ডার।
রাশিয়ায় শিক্ষালাভের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা রাশিয়ার জীবনযাপন, সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে মানসিক ও সামাজিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ান সরকার প্রদত্ত এই বৃত্তি শুধু একটি শিক্ষার সুযোগ নয়, বরং জীবন ও ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করার একটি অসাধারণ সম্ভাবনা।
যোগাযোগের তথ্য:
যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য শিক্ষার্থীরা সরাসরি সৈয়দ বজলুল হাসান রাজীবের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন (৪২, ভাষা সৈনিক এম এ মতিন সড়ক, ধানমন্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৫। মোবাইল: ০১৮১৭২৯৪৫৯৫)। তিনি রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার শিক্ষা বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কাজ করছেন এবং এই বৃত্তি সম্পর্কিত সব তথ্য প্রদানে সর্বদা প্রস্তুত।
রাশিয়ার শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে এবং নিজেকে আন্তর্জাতিকভাবে প্রাসঙ্গিক করতে এই বৃত্তি বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এক অপার সুযোগ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবির ভর্তিতে নাতি-নাতনি ও পোষ্য কোটা বাতিলে নোটিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি কোটা, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা ও খোলায়াড় কোটা বাতিলের জন্য আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রারকে ই-মেইলে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ছাড়া নোটিশদাতা অন্যরা হলেন- ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী।
নোটিশে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের ‘সন্তানদের’ জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে হবে। নোটিশ গ্রহীতারা ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা সব গণতান্ত্রিক ও অধিকার রক্ষার আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের ভূমিকা ছিল অবিস্মরণীয়।
নোটিশে আইনজীবীরা জানান, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে হতে হবে এবং অন্য কোনো মানদণ্ডে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সাধারণত বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী এবং অযৌক্তিক, কোনো বৈধ রাষ্ট্রীয় উদ্দেশ্যের সঙ্গে কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।
নাতি-নাতনি কোটা সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি উল্লেখ করে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে মাত্র ৫ শতাংশ কোটা নির্ধারণ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রেও এই রায় প্রয়োগ করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনি কোটায় ভর্তির সুযোগ সৃষ্টি করা সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি।
পোষ্য কোটা বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (০৪) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নারী বা শিশুদের অনুকূলে বা নাগরিকদের যেকোনো অনগ্রসর অংশের উন্নতির জন্য বিশেষ বিধান করা যেতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা সেই মানদণ্ড পূরণ না করা। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে-মেয়ে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ওয়ার্ড/পোষ্য কোটায় ১ শতাংশ সংরক্ষণ করা বৈষম্যমূলক, স্বেচ্ছাচারী ও অযৌক্তিক, যার সঙ্গে কোনো যৌক্তিক সম্পর্ক নেই।
খেলোয়াড় কোটা বাতিলের দাবি জানিয়ে নোটিশে বলা হয়, খেলোয়াড়দের কোটায় ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া খেলোয়াড়দের কোটা সংবিধানে সংজ্ঞায়িত পশ্চাৎপদ বিভাগের অধীনে পড়ে না। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়ায় ক্রীড়াবিদদের জন্য বিশেষ কোটাও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থি। এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শুরু আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রেজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন চলবে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইট https://admission.eis.du.ac.bd-এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এ বছর আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।
২০২৫ সালের ৪ জানুযারি চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়াও কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জানুযারি, বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি, এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ৮ ফেব্রুয়ারি হবে। আইবিএ ইনস্টিটিউটটিউটের পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে আন্তঃক্লাব বিতর্ক উৎসবে চ্যাম্পিয়ন জহুরুল হক হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলের বিতর্ক ক্লাব ‘সূর্য সেন বিতর্ক ধারা’-এর উদ্যোগে ‘দ্রোহের তর্ক ১.০’ শীর্ষক বিতর্ক উৎসবে আন্তঃক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বিতর্ক ক্লাব ‘হাউস অব ডিবেটরস’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি রানার আপ হয়েছে।
শনিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সূর্যসেন হল মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সূর্য সেন বিতর্ক ধারার সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার হায়দার, নগদহাট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসরাফিল মোল্লা, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারী বক্তব্য রাখেন। সূর্যসেন বিতর্ক ধারার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশেষ জ্ঞানের সঠিক বিকাশে বিতর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। বিতর্কের মাধ্যমে মানুষ প্রশ্ন করতে এবং প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শেখে।
শৈশবকাল থেকেই বিতর্কের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সমাজের ভিত্তি অনেক মজবুত হয়। নিয়মিত বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ‘বিরোধের পথে আসুক জয়, দ্রোহের তর্কে নতুন সূর্যোদয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দু’দিনব্যাপী এই উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ২৬টি বিতার্কিক দল অংশ নেয়। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদা মালিহা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সাঈদুজ্জামান নূর আলভী চ্যাম্পিয়ন হয়। অনুষ্ঠানে বিতর্ক ক্লাবের বার্ষিক মুখপত্র ‘অর্ক’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাউথইস্ট ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বিকাশের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বেসরকারি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। এর মাধ্যমে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টদের সাউথইস্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২৪/৭ ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা প্রদান করা যাবে। বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টদের চব্বিশ ঘন্টা দ্রুততার সাথে অর্থ প্রবাহ পরিচালনা করতে সহায়তা করার জন্য এই সুবিধাজনক এবং সুরক্ষিত পরিষেবাটি চালু করা হয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মোঃ ছাদেক হোসাইন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি বিনিময় করেন।
এই চুক্তির অধীনে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টরা যাদের সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসিতে একাউন্ট রয়েছে তারা ২৪/৭ ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট পরিষেবার মাধ্যমে তাৎক্ষনিক অ্যাড মানি এবং ই-মানি স্থানান্তর করতে সক্ষম হবে। এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে প্রবর্তিত এই ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যালেন্স স্থানান্তর করে তাদের ডিজিটাল ওয়ালেটে ই-মানি জেনারেট করতে পারবে এবং তারা তাদের ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে সাউথইস্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ই-মানি স্থানান্তর করতে পারবে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবিদুর রহমান চৌধুরী ও মাসুম উদ্দিন খান, বিকাশ লিমিটেডের সি এফ ও মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর, এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এমআই