জাতীয়
সাড়ে তিন কোটি শিশুর রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসা: ইউনিসেফ
সিসা দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। বিপজ্জনক মাত্রায় দেশে সাড়ে ৩ কোটির বেশি শিশুর রক্তে সিসা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) শিশুদের সিসা দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ‘আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ’ উপলক্ষে এক কর্মশালা হয়।
ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথভাবে এ আয়োজন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সিসাসহ শিশুদের ক্ষতি করে এমন ভারী ধাতুর উৎস সম্পর্কে ধারণা বাড়ানো এবং সিসার দূষণ কমানোর লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশীজনদের সম্পৃক্ত করতে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
কর্মশালায় পূর্ববর্তী গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য প্রমাণ ও ফলাফল তুলে ধরা হয়। যেখানে শিশুদের রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রায় সিসার উপস্থিতি, সিসার উৎস ও দূষণের উপায়গুলো দেখানো হয়। সিসা দূষণের বাস্তবতা বুঝতে হলে সারা দেশে এর উপস্থিতি (রক্তে সিসার মাত্রা) সম্পর্কিত উপাত্ত জানা জরুরি। এসব বিষয় জানা থাকলে বাংলাদেশ সরকার, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সংগঠনগুলো একসঙ্গে সিসা দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘সিসা ও ভারী ধাতুর দূষণ একটি নীরব ঘাতক, যা মোকাবিলায় প্রয়োজন জরুরি ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ। সবার জন্য একটি সিসামুক্ত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে সিসা দূষণ রোধ করতে অন্তর্বর্তী সরকার সব অংশীজনের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি সব অংশীজনকে এই কর্মশালায় সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাই। বাংলাদেশে বিষাক্ত ধাতুর সংস্পর্শে আসার প্রধান উৎসগুলো চিহ্নিত করতে আমরা একত্রে একটি বিস্তৃত ও কার্যকরী কর্ম পরিকল্পনা গড়ে তুলতে পারবো।’
সিসা দূষণ একটি জরুরি পরিবেশগত স্বাস্থ্য সংকট, বিশেষ করে বাংলাদেশে। দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন পরিবেশে ভারী ধাতুর দূষণ বাড়িয়েছে। যার ফলে শিশুদের বাতাস, পানি, মাটি, খাবার, খেলনা, রং ও রান্নার সামগ্রীর মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়েছে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কমিউনিটির নারী ও শিশুদের মধ্যে সিসা দূষণের প্রভাব ব্যাপক। এটি ছোট শিশুদের জন্য বেশি ক্ষতিকর, যা স্থায়ীভাবে তাদের স্নায়বিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কারণ হচ্ছে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ারস বলেন, ‘সাধারণত ভারী ধাতু বিশেষ করে সিসা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ওপর বেশি গুরুতর প্রভাব ফেলে। এই ক্ষতি চিরস্থায়ী ও অপরিবর্তনীয়। দুর্ভাগ্যবশত, শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বিকাশের সময়সীমা কমে যায় এবং প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে হৃদরোগ (কার্ডিওভাসকুলার) দেখা দেয়, গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে তাদের অনাগত শিশুরা হয় ক্ষতিগ্রস্ত। তবে সুস্পষ্ট আইন এবং বিশেষ করে বেসরকারি খাতের সঠিক ও কার্যকরী পদক্ষেপে এই দূষণ প্রতিরোধযোগ্য। এভাবে এই দূষণের ফলে ভুক্তভোগী নারী ও শিশুদের যে অতিরিক্ত খরচ ও ভোগান্তি হয়ে থাকে, পাশাপাশি সামগ্রিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে যে বাড়তি খরচ হয়ে থাকে, সেটাও অনেকাংশে কমিয়ে ফেলা সম্ভব। ইউনিসেফ অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে মিলে অন্তর্বর্তী সরকারকে একটি স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে প্রতিটি শিশু সিসা ও বিষাক্ত ধাতুমুক্ত পরিবেশে বেড়ে উঠতে, খেলতে ও শিখতে পারবে।’
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর, বি)র সঙ্গে মিলে ইউনিসেফ খুলনা, টাঙ্গাইল, পটুয়াখালী ও সিলেট জেলায় ৯৮০ এবং ঢাকায় ৫০০ শিশুকে পরীক্ষা করে সবার রক্তে সিসার উপস্থিতি শনাক্ত করে। এসব নমুনার মধ্যে চার জেলায় ৪০ শতাংশ এবং ঢাকায় ৮০ শতাংশ নমুনায় প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি সিসা পাওয়া যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত ন্যূনতম মাত্রার চেয়ে যা বেশি। অবশ্য শিশুদের রক্তে কোনো মাত্রায় সিসার উপস্থিতিই নিরাপদ নয়। তাই এই অংশীদারিত্বের (পার্টনারশিপ) মাধ্যমে সিসা শনাক্তকরণ ও সিসার সংস্পর্শে আসার উৎস ও উপায়গুলো রোধ করার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে।
২০২৪ সালের জুনে ইউএসএআইডির আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ও ইউনিসেফ ‘মাল্টি পলইন্ডিকেটর ক্লাস্টার সার্ভে (এমআইসিএস): রাউন্ড ৭ (২০২৪-২০২৫)’ শুরুর কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে। যেখানে প্রথমবারের মতো রক্তে সিসাও অন্যান্য বিষাক্ত ধাতুর মাত্রা সম্পর্কে উপাত্ত সংগ্রহের মডেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বড় পরিসরে এই নির্ভরযোগ্য ও জাতীয় পর্যায়ের উপাত্ত, নীতিমালা সংস্কারে জোরালো তথ্য প্রমাণ জোগান দেবে। বাংলাদেশে সিসামুক্ত ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী আইন ও পদক্ষেপ গ্রহণেও সহায়ক হবে, যেখানে সব পণ্য হবে সিসামুক্ত এবং থাকবে নিরাপদ শিল্পায়ন ব্যবস্থা।
শিশুদের সিসার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচানোর ও সিসামুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্য নিয়ে চালু হওয়া বৈশ্বিক উদ্যোগ ‘পার্টনারশিপ ফর এ লেড-ফ্রি ফিউচার (পিএলএফ)’ এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে সিসা দূষণ রোধের মাধ্যমে শিশুদের ওপর সিসার বিষক্রিয়া নির্মূল করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। পিএলএফের অংশীদার হিসেবে ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ সিসার সংস্পর্শে আসার উৎসসমূহ চিহ্নিত ও সিসা দূষণ প্রতিরোধ করতে প্রতিশ্রুতির কথা জানান দিয়েছে। পাশাপাশি সুশীল সমাজের সংস্থা ও বেসরকারি খাতের দক্ষতা, সম্পদ ও সহযোগিতা কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছে।
ইউনিসেফ সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিতে এবং ভারী ধাতুর উপস্থিতি পরীক্ষা করার আহ্বান জানায়। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ খাতের পরীক্ষাগারের সক্ষমতা জোরদার করতে একটি বহুখাতীয় কর্মপরিকল্পনার জন্য সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের প্রতি কর্মশালায় আহ্বান জানানো হয়।
একই সঙ্গে সিসা দূষণের কারণগুলো চিহ্নিত করতে সহায়তা, এর উৎস ও সংস্পর্শে আসার পথগুলো শনাক্ত করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে অংশীজনদের দক্ষতা কাজে লাগানোরও আহ্বান জানিয়েছে ইউনিসেফ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
২০২৩ সালে সর্বোচ্চ দুর্নীতি পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলায়
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জাতীয়ভাবে প্রাক্কলিত ঘুসের পরিমাণ ১০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও জিডিপির ০ দশমিক ২২ শতাংশ। সর্বোচ্চ দুর্নীতি ও ঘুসের হার পাসপোর্ট, বিআরটিএ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায়। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সেবা পেতে দেশের মানুষ এই পরিমাণ অর্থ ঘুস দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে সেবা খাতে দুর্নীতি: জাতীয় খানা জরিপ ২০২৩ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, সেবা পেতে খানা বা পরিবারপ্রতি ৫ হাজার ৬৮০ টাকা ঘুস দিতে হয়েছে। গড় ঘুসের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বিচারিক সেবা, ভূমি সেবা ও ব্যাংকখাতে। সেবা পেতে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার দুর্নীতি ও ৫০ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার ঘুসের শিকার হয়েছে।
৮ বিভাগের ১৫ হাজার ৫১৫টি পরিবারের তথ্য এই জরিপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৩ মে থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত জরিপ পরিচালনা করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়: আসিফ নজরুল
আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ওআত্নমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে আসিফ নজরুল তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। প্রতিবাদের পাশাপাশি তিনি ভারতের সঙ্গে সমমর্যাদা ও সমানাধিকারভিত্তিক বন্ধুত্ব বাংলাদেশ চায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আসিফ নজরুল লিখেছেন, আজ ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন তছনছ করা হয়েছে, বাংলাদেশের পাতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। (প্রশ্ন করি, এই ঘটনা ‘মুসলিম সংঘর্ষ সমিতি’ নামের কোনো সংগঠন বাংলাদেশে করলে কেমন আক্রমণাত্মক প্রচারণায় মেতে উঠত ভারত?)
ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আরও লেখেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব ভারতীয় সরকারের। তারা এটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার নিন্দা জানাই।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যেরও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি লেখেন, নিন্দা জানাই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সংখ্যালঘু ও দলিত সম্প্রদায়ের ওপর যা ঘটে, এর জন্য বরং উল্টো ভারতের (এবং মমতার) লজ্জিত হওয়া উচিত।
আসিফ নজরুল আরও লিখেছেন, ভারতকে বলি—আমরা সমমর্যাদা আর সমানাধিকার ভিত্তিক বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। শেখ হাসিনার সরকার বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকার লোভে ভারত-তোষণ নীতিতে বিশ্বাসী ছিল। তবে ভারতকে বুঝতে হবে, এটা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এই বাংলাদেশ স্বাধীন, সার্বভৌম ও আত্মমর্যাদাশীল। এই বাংলাদেশ নির্ভীক একটি তরুণ সম্প্রদায়ের।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ঢাকার বাতাস আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। তবে এ তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। বেশ কয়েক দিন ধরেই বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে ঢাকা।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, ১৮৬ স্কোর নিয়ে ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৪৮ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ২২৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ, ২১৯ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি শহর, ২১৭ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের আরেক শহর লাহোর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা চীনের হ্যাংজু শহরের স্কোর ২০২।
কিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ঢাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাবির হলপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এতে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি হলপাড়া থেকে বিভিন্ন হলের সামনে দিয়ে ভিসি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘ভারতীয় আধিপাত্য-ভেঙে দাও রুখে দাও’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ-শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘দিয়েছিতো রক্ত-আরও দেব রক্ত’, ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে ভিসি চত্বরে একটি সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থী শরবা মিত্র বলেন, ‘গত ১৬ বছর পরে বাংলাদেশ যখন দিল্লির গোলামি ছেড়ে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে, দিল্লির দিকে চোখে চোখ রেখে তাকাচ্ছে দিল্লির ঘুম তখন হারাম হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, এ দেশের মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই এ দেশেরই। এ দেশে কোনো বিদেশি শক্তির দালাল থাকবে না। এ দেশে যদি কোনো দালাল থাকে, তাহলে একমাত্র বাংলাদেশের দালাল থাকবে। আমাদের দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ভারতসহ সব বিদেশি শক্তির চক্রান্ত রুখে দিতে হবে।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, ‘ভারত দীর্ঘদিন ধরে আমাদের ওপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ নানা ধরনের আগ্রাসন চালিয়ে আসছে। ২৪ এর রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে এ দেশের ছাত্র-জনতা শুধুমাত্র হাসিনাকেই লাল কার্ড দেখায়নি, একই সঙ্গে লাল কার্ড দেখিয়েছে ভারতের আধিপাত্যবাদ ও আগ্রাসন কেও। এসব সহ্য করতে না পেরে ভারত আজ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনে হামলা করেছে।’
তিনি বলেন, হাই কমিশনে হামলা, বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা, এগুলো একটি দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর হুমকি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ভারতের দাদাদের বলে দিতে চাই, এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়। এটা নতুন বাংলাদেশ। আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত আসলে আমরা তার দাঁতভাঙা জবাব দেব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কেইপিজেডে ভূমি নিবন্ধন দ্রুত-সহজে করার সিদ্ধান্ত
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) পরিচালনা পর্ষদ ভূমি নিবন্ধন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা এবং বন্ড লাইসেন্সিং পদ্ধতি সহজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ এ শিল্পাঞ্চলকে বৈদেশিক বিনিয়োগের কেন্দ্রে পরিণত করা এর উদ্দেশ্যে।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে কেইপিজেড পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি গত নয় বছরের মধ্যে কেইপিজেড গভর্নিং বডির প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে ভূমি অধিগ্রহণ, বন্দর ও কাস্টমস, শ্রম আইন এবং বিনিয়োগকারী সহায়তা ব্যবস্থাসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। গভর্নিং বডি দ্রুত সময়ে কেইপিজেডকে বাকি ভূমি হস্তান্তর সম্পন্ন করা, অনুমোদিত অর্থনৈতিক অপারেটর মডেল চালু করা, বন্ড লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সহজ করা এবং শ্রম আইন সংক্রান্ত আলোচনার উদ্যোগ নেওয়ার মতো নির্বাহী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এছাড়া কেইপিজেডকে সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রশাসন থেকে বের করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অধীনে নিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
বিডা ও বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন বলেন, ‘আমাদের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের সমর্থন দিয়ে তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানাতে হবে। পরীক্ষামূলকভাবে বিডাতে একটি বিশেষদল তৈরি করা হয়েছে, যারা কেইপিজেডের মূল চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করবে।
‘আমরা উদাহরণ তৈরি করতে চেয়েছিলাম। আজকের সফল বৈঠক প্রমাণ করে সরকার দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে পারে,’ তিনি বলেন।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, আজকের ফলাফল সরকারের নতুন কাজের ধরনকে চিত্রিত করে, যেখানে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়। আশা করি, যে প্রতিক্রিয়াশীল সংস্কারের ফলে বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে প্রচলিত অনেক অভিযোগ অচল হয়ে যাবে।
ইয়াংওয়ান করপোরেশনের পরিচালনায় থাকা কেইপিজেড বর্তমানে ৪৮টি অত্যাধুনিক শিল্প ইউনিটে ৩৪ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থান দিচ্ছে। আড়াই হাজার একর জমির ৫২ শতাংশ সবুজায়নের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।