গণমাধ্যম
আরও ৩০ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল
দেশের আরও ৩০ সাংবাদিক ও ব্যক্তির অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)। রোববার (০৩ নভেম্বর) পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর স্বাক্ষরিত আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। তবে বিষয়টি আজই (০৫ নভেম্বর) জানা গেছে।
পিআইডির আদেশে বলা হয়েছে, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার আলোকে এসব সাংবাদিকের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকেরা হলেন- টিভি টুডের মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, কালের কণ্ঠের ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ২৪ এর রাহুল রাহা, এটিএন নিউজের নুরুল আমিন প্রভাষ, দৈনিক ডেসটিনির সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম, সময় টিভির আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের আবেদ খান, নিউজ২৪ এর জয়দেব চন্দ্র দাস, নাগরিক টিভির দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার জ ই মামুন, বাসসের মো. ওমর ফারুক, চ্যানেল আইয়ের হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির মাসুদা ভাট্টি, দৈনিক পূর্বকোণের কুদ্দুস আফ্রাদ, বৈশাখী টিভির সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্সার নাদিম কাদির, বাসসের মধুসূদন মন্ডল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আশিষ ঘোষ সৈকত, দৈনিক বাংলার জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দবাজারের কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের রফিকুল ইসলাম রতন, মাইটিভির নাসির উদ্দিন, আরটিভির আশিকুর রহমান, একুশে টিভির অখিল কুমার পোদ্দার, গাজী টিভির অঞ্জন রায়, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।
এর আগে গত ২৯ অক্টোবর আওয়ামীপন্থি ২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করে তথ্য অধিদপ্তর।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে সাংবাদিক হত্যার ৮৫ শতাংশ মামলায় শাস্তি হয় না: ইউনেস্কো
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক হত্যা নিয়ে দায়ের করা মামলার ৮৫ শতাংশ এখনও অমীমাংসিত বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি হয়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তির অবসানের আন্তর্জাতিক দিবসে, সব রাষ্ট্রকে সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির অবসানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে এই সংস্থাটি।
ইউনেস্কোর একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির মাত্রা এখনও দুঃখজনকভাবে অত্যন্ত বেশি। ৮৫ শতাংশ। ছয় বছরে যা মাত্র ৪ পয়েন্ট কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে, সত্য ঘটনা খুঁজে বের করার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রতি চারদিনে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাউকে দায়ী করা সম্ভব হয়নি।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেন, আমি আমাদের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই যাতে এই অপরাধগুলো যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। এ জন্য যা কিছু করা দরকার তার সবকিছুই আপনাদের করা উচিত। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা ঠেকাতে অপরাধীদের বিচার করা এবং দোষী সাব্যস্ত করা একটি প্রধান মানদণ্ড।
ইউনেস্কোর নতুন প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য হারে সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তি অব্যাহত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সাল থেকে ইউনেস্কোর রেকর্ড করা এসব হত্যার ৮৫ শতাংশই অমীমাংসিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও ইউনেস্কো এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। কারণ ৬ বছর আগে এই হার ছিল ৮৯ শতাংশ এবং বারো বছর আগে ছিল আরও বেশি; যা ৯৫ শতাংশ। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানোর বিষয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে রাষ্ট্রগুলো, বলছে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর (২০২২ -২০২৩) সালের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মোট ১৬২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আগের দুই বছরের (২০২০-২১) তুলনায় প্রায় অর্ধেক মৃত্যু হয়েছে দেশগুলোতে সশস্ত্র সংঘাতের সময়।
অন্যান্য দেশে, বেশিরভাগ সাংবাদিক মারা গেছেন সংগঠিত অপরাধ, দুর্নীতি বা জনগণের বিক্ষোভের ঘটনা কভার করতে গিয়ে। প্রতিবেদনটিতে আরও উদ্বেগজনক তথ্য দেয়া হয়েছে যে, ২০১৭ সাল থেকে নারী সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। যেখানে ১৪ জন নারী নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
২৮ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব
২৮ জন সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাবের বিবরণ তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে বিএফআইইউ দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি পাঠিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।
তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাওয়ার পর বিএফআইইউ ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়ে সেসব সাংবাদিকের সব ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়েছে। তাদের নামে কোনোও ব্যাংক লকার, সেভিংস কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এবং অন্যান্য আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত দলিলপত্র রয়েছে কি না বা অর্থের লেনদেন হয়েছে কি না-সেই তথ্য চাওয়া হচ্ছে।
যাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে তারা হলেন-বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ডিবিসি নিউজের সম্পাদক জায়েদুল হাসান পিন্টু, এবিনিউজ২৪ডটকমের এডিটর ইন চিফ সুভাষ সিং রায়, কালের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হায়দার আলী, এটিএনের জ. ই. মামুন, বাংলা ইনসাইডারের সম্পাদক সৈয়দ বোরহান কবীর, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিটি এডিটর মির্জা মেহেদী তমাল ও চিফ রিপোর্টার জুলকারনাইন রনো, সমকালের সম্পাদক আলমগীর হোসেন, বাসসের মধুসূদন মন্ডল, ডিবিসির মাসুদ আইয়ুব কার্জন, আমাদের সময়ের নির্বাহী সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, সাংবাদিক ফরাজী আজমল হোসেন, বৈশাখী টেলিভিশনের অশোক চৌধুরী, নির্বাহী সম্পাদক রাহুল রাহা, ডেইলি সানের সম্পাদক রেজাউল করিম লোটাস।
তালিকায় আরও রয়েছেন-নিউজ টোয়েন্টিফোরের ডেপুটি চিফ নিউজ এডিটর আশিকুর রহমান শ্রাবণ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন, স্বদেশ প্রতিদিনের সাবেক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, দৈনিক মুখপাত্রের সম্পাদক শেখ জামাল হোসেন, ডিবিসি নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি আদিত্য আরাফাত, এটিএন নিউজের বিশেষ প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম সৌরভ, যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, সাংবাদিক শ্যামল সরকার, ইত্তেফাকের নগর সম্পাদক আবুল খায়ের এবং দৈনিক কালবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক সন্তোষ শর্মা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
২০ সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল
আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত ২০ সাংবাদিক ও কর্মকর্তার প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদফতর।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) তাদের কার্ড বাতিল করে সংশ্লিষ্টদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন প্রধান তথ্য অফিসার (চলতি দায়িত্ব) মো. নিজামূল কবীর।
চিঠি বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালার অনুচ্ছেদ ৬.৯, ৬.১০, ৯.৫ ও ৯.৬ এর আলোকে এসব সাংবাদিক ও ব্যক্তিদের অনুকূলে তথ্য অধিদফতর থেকে এর আগে ইস্যু করা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হলো।
প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল হওয়া সাংবাদিকদের নাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
গণমাধ্যমে আঘাত বরদাস্ত করবে না সরকার: মাহফুজ আলম
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, গণমাধ্যমে আঘাত কোনোভাবেই সরকার বরদাস্ত করবে না। যারা এই ধরনের কার্যক্রম করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মাহফুজ আলম বলেন, আমরা শুনেছি একটা গোষ্ঠী একটা বিবৃতি ইস্যু করেছেন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) তারা কিছু গণমাধ্যমে হামলা করবে। এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হচ্ছে যারা এই ধরনের কার্যক্রম করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বিভিন্ন মিডিয়াকে হুমকি এবং ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশের কয়েকটি মিডিয়াকে হুমকি প্রদানসহ ঘেরাওয়ের ঘোষণার বিষয়টি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় অবহিত হয়েছে। এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য হলো, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। মিডিয়াকে হুমকি প্রদানসহ ঘেরাওয়ের ঘোষণায় মন্ত্রণালয় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
ডিসেম্বরের মধ্যে আমার দেশ পত্রিকা বাজারে আসছে: মাহমুদুর রহমান
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় দৈনিক ‘আমার দেশ’ বাজারে আসবে বলে জানিয়েছেন পত্রিকারটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মাহমুদুর রহমান বলেন, যত কষ্টই হোক, ডিসেম্বর মাসের মধ্যই ‘আমার দেশ’ পত্রিকা আপনাদের হাতে তুলে দেব। আমার দেশ পত্রিকা আবারও জনগণের পক্ষে কথা বলবে। ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে, লুটেরাদের বিরুদ্ধে কথা বলবে। শুধু সরকারের কাছে চাওয়া, এ পত্রিকা চালুর ব্যাপারে যেন আইনি বাধায় না পড়ে সে সহযোগিতা করা।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার ‘আমার দেশ’ পত্রিকার প্রেস সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। নতুন প্রেস বসাতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু এরই মধ্যে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়ে গেছে। এ ষড়যন্ত্র প্রতিরোধে আমার দেশের মতো মিডিয়া দরকার। ‘আমার দেশ’ কর্পোরেট স্বার্থের বাইরে, কোনো দলের স্বার্থের বাইরে, দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য দাঁড়াবে। দেশের মানুষের জন্য দাঁড়াবে। এজন্য ‘আমার দেশ’ দ্রুত চালু করতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি অন্য দুটি প্রেস থেকে ‘আমার দেশ’ ছাপা হবে।
পত্রিকাটি নতুন করে চালু করতে নিজেদের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, হাতে আর আড়াই মাসের কম সময় আছে। অফিস পেয়ে গেলে আশাকরি এর আগেই আমরা আসতে পারব। অন্য প্রেস থেকে ছাপা হলেও ছাপানোর আগে ম্যাটার তৈরি করতে হবে। তার জন্য অফিস দরকার। আমার ধারণা আমার সহকর্মীরা আমার সঙ্গে আরও এক বছর লড়াই করতে রাজি হবেন। কিন্তু অফিস খুঁজে পাওয়ার জন্য এখম আমাদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অফিসটা সেটাপ করাই এখন চ্যালেঞ্জ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রেসের কিছুই অবশিষ্ট নেই, জমিটা শুধু আছে। একটা নতুন প্রেস করতে যে টাকা প্রয়োজন সে অর্থ আমার নেই। আমরা যারা আমার দেশের পরিচালক তারা সবাই সীমিত অর্থের মালিক। আমরা কোনো কর্পোরেট মিডিয়া না, কোনো দলীয় মিডিয়া না। আমরা কষ্ট করে এটা চালাতাম। এ পত্রিকা চালাব, লেখালেখি করব এটাই আমার ইচ্ছা।
মাহমুদুর রহমান বলেন, দুদিন আগে বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ম্যাজিস্ট্রেট ও দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তালা ভেঙে ‘আমার দেশ’ প্রেস আমাদের বুঝিয়ে দেন। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই, প্রেসের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। এমনকি ইলেকট্রিক প্যানেল পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দুটি মেশিনের খণ্ডাংশ পড়ে আছে, যেগুলো ভাঙা সম্ভব না বলে চুরি করে নিয়ে যেতে পারেনি। এগুলো যে টুকরো-টুকরো করে কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার কিছু প্রমাণ প্রেসের মধ্যে পড়ে ছিল। দেখে মনে হয়েছে শেখ হাসিনা আমাকে টুকরো করতে না পেরে ‘আমার দেশ’ পত্রিকার প্রেস টুকরো টুকরো করেছে। এটাই ফ্যাসিবাদের চরিত্র। আমাদের জন্য ইতিবাচক যে সরকারি প্রতিনিধি অর্থাৎ একজন ম্যাজিস্ট্রেট এবং দুজন ওসি প্রেসের অবস্থা দেখেছেন। একজন ওসি গণমাধ্যমের কাছে স্বীকার করেছেন, এ প্রেসের আর কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই।
তিনি আরও বলেন, যেদিন আমরা ‘আমার দেশ’ পত্রিকার কম্পিউটার ও অন্যান্য জিনিসপত্র অন্যত্র স্থানান্তর করতে চেয়েছিলাম, সেদিন আমাদের অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন আমি জেলখানায় আটক ছিলাম। জেলখানায় আমাকে একজন খবর দিয়েছিল, আল্লাহর রহমতে তিনি এখনো জেলখানায় জীবিত আছেন। তিনি তখন জামায়াতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, আজহার ভাই। আমি শুধু তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আমার কোনো সহকর্মী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কি না? আল্লাহর রহমতে আমার কোনো সহকর্মীর কিছুই হয়নি। সবাই নিরাপদে ছিলেন। ওই মুহূর্তে এটাই আমার জন্য স্বস্তির সংবাদ ছিল।
দেশের মিডিয়া বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসরের কাজ করেছে বলে মন্তব্য করে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক বলেন, ‘হাসিনার ফ্যাসিবাদ যে এত ভয়ংকর হয়ে ওঠেছিল, তার পেছনে যেমন পুলিশ, আমলা, ব্যবসায়ী, সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল, তার সঙ্গে মিডিয়ারও ভূমিকা ছিল। মিডিয়া ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদের দোসরের কাজ করেছে। সংবাদ সম্মেলনের নামে নির্লজ্জ তেলবাজির প্রতিযোগিতা আমরা দেখেছি। সাংবাদিক হিসেবে আপনাদের ছোট হয়ে যাওয়ার কথা। এতটা ছোট হতে পারে আপনাদের সম্পাদকেরা। আমার তো বিদেশে বসেই লজ্জা লাগতো।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রেসের যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়েছে ২৫ কোটি এবং কাগজের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি টাকার। সব মিলিয়ে অন্তত ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি রাষ্ট্রের কাছে এ ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করবো।