পর্যটন
পর্যটকদের জন্য খুললো সাজেক-খাগড়াছড়ি
নিরাপত্তা সংকটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকার পর অবশেষে খুলছে খাগড়াছড়ি ও সাজেকের দুয়ার। খাগড়াছড়িতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এতে স্বস্তি ফিরেছে পর্যটক ও পর্যটনব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় পর্যটকরা পাহাড়ি এ জেলার সব পর্যটন স্থানের পাশাপাশি যেতে পারবেন সাজেকও।
এতে করে দীর্ঘ একমাস পর এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন ছাড়সহ নানান সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
এখানকার গাড়ি চালকরা জানান, এটাই তাদের জীবিকা। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষকে পাহাড়ি সৌন্দর্য ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখানো তাদের কাছে বিশাল আনন্দের ব্যাপার। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ায় তারা বেশ আনন্দে আছেন।
হোটেল ও মোটেল মালিকরা বলছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় গত একমাসে খাগড়াছড়িতে পর্যটন খাতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে। এবার তা কাটিয়ে উঠতে চান তারা।
এদিকে, খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক সহিদুজ্জামান জানিয়েছেন, জেলার সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পর্যটনকে কেন্দ্র করে এখানকার জীবন-জীবিকা গড়ে ওঠেছে। নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ এলাকা আবারও পর্যটকদের উপস্থিতিতে সরব থাকবে।’
তবে সাজেক খুললেও বান্দরবান পর্যটন কেন্দ্র নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখনও সেখানে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে ২৩ দিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ভ্রমণে ২৩ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুরে সংশ্লিষ্ট তিন জেলা প্রশাসনের জারি করা এক নির্দেশনা থেকে এ নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, আগামী ৮ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
অবশ্য, কী কারণে এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, তা পুরোপুরি স্পষ্ট করা হয়নি। তবে একাধিক সূত্রের দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি সময়ে সংগঠিত সহিংসতার ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানিয়েছেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রেই এই নির্দেশনা জারি হয়েছে। তাছাড়া সাজেক ভ্যালিতেও অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।
বান্দরবানের ডিসি জানান, অনিবার্য কারণবশত ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পর্যটকদের বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত খাগড়াছড়ির পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণের ব্যাপারে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
সাজেক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা
রাঙ্গামাটি এবং এর পাশ্ববর্তী এলকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামীকাল ৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত এই নির্দেশনা জারি করেছেন রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম।
জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়, রাঙ্গামাটির সাজেক এবং এর পাশ্ববর্তী এলকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আগামীকাল ৪ অক্টোবর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজেক ভ্যালিতে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বাসসকে জানান, রাঙ্গামাটির সাজেকসহ পাশ্ববর্তী এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে যাওয়ার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আগামীকাল ৪ অক্টোবর শুক্রবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেবে না ভারত!
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ভারতীয় ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে গত আগস্টে বিক্ষোভ দেখা গেলেও তাতে পরিবর্তন আসেনি। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতীয় ভিসা দেয়ার বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে নয়াদিল্লি।
জানা যায়, আপৎকালীন ও চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেয়া হবে না। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই বলা হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আপাতত বাংলাদেশিদের কেবল চিকিৎসা ও জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে।
গত অগস্টে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বন্ধ ছিল ভারতের ভিসা পরিষেবা। ভারতীয় দূতাবাসের বহু কর্মীকে ভারতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। পরে সেপ্টেম্বর থেকে আবার জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দেওয়া শুরু হয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলোতে।
এদিকে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভিসা সেন্টার খুলছে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায়। তবে এখনই সবাই ভিসা পাবে না। শুধু যারা চিকিৎসার জন্য আবেদন করবে, তাদেরই জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া হবে অগ্রাধিকার।
এছাড়া সাম্প্রতিক এক বিজ্ঞপ্তিতে ভারত জানিয়েছে, তাদের মতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক নয়। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভিসা প্রদানের বিষয়টিও আবার আগের মতো হয়ে যাবে। আপাতত শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান করা হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পর্যটন
বান্দরবান ভ্রমণে পর্যটকদের জন্য ২০ শতাংশ ছাড়
বান্দরবানে ঝিমিয়ে পড়া পর্যটনশিল্পকে চাঙা করার লক্ষ্যে অভ্যন্তরীণ পরিবহনের ভাড়া ২০ শতাংশ কমানো হয়েছে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা ভাড়া কমানোর ঘোষণা দেন। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই ২০ শতাংশ ছাড় কার্যকর থাকবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বান্দরবান প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি নাসিরুল আলম, সাধারণ সম্পাদক নেজাম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবহননেতারা বলেন, করোনাভাইরাসের অতিমারিসহ নানা পরিপ্রেক্ষিতে পাঁচ বছর ধরে জেলায় পর্যটকশূন্যতা বিরাজ করছে। জেলার অধিকাংশ মানুষ পর্যটন খাতের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন খাতের মালিক ও শ্রমিকেরা। জেলায় পর্যটক পরিবহনে এক হাজারের মতো মানুষ নিয়োজিত; যাঁরা জিপ, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারী। পর্যটক না থাকায় তাঁরা কর্মসংস্থান হারাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলার রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় কিছু সমস্যা থাকলেও অন্য এলাকাগুলোতে এখন পর্যটক ভ্রমণে কোনো ধরনের সমস্যা নেই। পর্যটকেরা যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থানে নিরাপদে ঘুরে বেড়াতে পারেন। বিষয়টি অনেকেই জানেন না। তাই পর্যটকদের উৎসাহিত করতে পরিবহনভাড়ায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো পর্যবেক্ষণ করে নীতিমালা প্রণয়ন করা হবে: আসিফ নজরুল
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নজরদারির সময় এসেছে। প্রত্ন নিদর্শনের জায়গা বেদখলের বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে লালবাগ কেল্লাকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের ইদ্রাকপুর কেল্লা, বাবা আদম মসজিদসহ বিভিন্ন প্রত্ন নিদর্শন পরিদর্শনে এসে এ কথা বলেন ড. আসিফ নজরুল।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘সপ্তাহের অন্যদিন ঘুরে দেখার সুযোগ হয় না। আমি চিন্তা করেছি শুক্রবার দেশের প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শনগুলো ঘুরে দেখবো। এটি সারাদেশে এত বেশি…মুন্সিগঞ্জের ইদ্রাকপুর কেল্লা রয়েছে, নারায়ণগঞ্জ একটি কেল্লা রয়েছে। এছাড়া লালবাগ কেল্লাকে আমরা ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছি। ভাবছি এখানে সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা কী কী আছে, তা নিজের চোখে না দেখলে সংরক্ষণের নীতিমালা ঠিক করা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের নজরদারির সময় এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অঞ্চলে উদ্ধারকৃত নিদর্শন সেখানে রাখা সম্ভব হয় না। অনেকগুলোর জাতীয় পর্যায়ে গুরুত্ব রয়েছে। যেসব জায়গা বেদখল হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
এসময় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক আফরোজা খান মিতাসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সকালে মুন্সিগঞ্জ সদরের ইদ্রাকপুর কেল্লা, বাবা আদম মসজিদ, টঙ্গিবাড়ীর নাটেশ্বর বৌদ্ধবিহার, সোনারং জোড় মঠসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন সরেজমিন ঘুরে দেখেন ড. আসিফ নজরুল।
এমআই