কর্পোরেট সংবাদ
সাউথইস্ট ব্যাংকের ‘ট্রেনিং মনোগ্রাফ’-এর মোড়ক উন্মোচন
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির অনলাইন বুলেটিন “ট্রেনিং মনোগ্রাফ”এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ মোড়ক প্রকাশ করা হয়। এই ডিজিটাল প্রকাশনা ব্যাংকিং খাত জুড়ে নলেজ শেয়ারিং, গবেষণা, এবং পেশাগত উন্নয়নের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দীন মোঃ ছাদেক হোসাইন উদ্বোধনী সংখ্যাটি উন্মোচন করেন, যেখানে ব্যাংকের বিভিন্ন বিভাগ এবং শাখার কর্মকর্তাদের লেখা ১৬টি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রথম সংখ্যাটি ব্যাংকিংয়ের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ইনসাইথ এবং দক্ষতা উপস্থাপন করেছে, যা নলেজ শেয়ারিং ও পেশাগত উন্নয়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। “ট্রেনিং মনোগ্রাফ” চালু করা সাউথইস্ট ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদী জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ় করে যা বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স, কর্মশালা এবং গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। এই প্রকাশনা ব্যাংকের ভেতরের ও বাইরের পাঠকদের জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের একটি সোর্স হিসেবে কাজ করবে।
“ট্রেনিং মনোগ্রাফ” অনলাইন বুলেটিনটি ব্যাংকিং পেশাজীবী এবং যারা এই খাতটি গভীরভাবে বুঝতে আগ্রহী তাদের জন্য একটি সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এটি পাঠকদের দক্ষতা এবং জ্ঞানের ভান্ডারকে উন্নত করতে, পেশাগত উন্নয়নে সহায়তা করতে এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়তে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।
এটি ব্যাংকিং খাতে নেতৃত্ব দানের লক্ষ্যে গবেষণা এবং বিভিন্ন আর্থিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ের ওপর ব্যবহারিক অন্তর্দৃষ্টি প্রদানেও সহায়ক। ব্যাংকের গবেষণা, অনুশীলন, উদ্ভাবন এবং সাম্প্রতিক বিষয়াবলি সংকলিত করে ট্রেনিং মনোগ্রাফ ব্যাংক এবং বৃহত্তর আর্থিক সম্প্রদায়ের সাথে জ্ঞান বিনিময়ের জন্য একটি সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাছুম উদ্দিন খান, আবিদুর রহমান চৌধুরী এবং অন্যান্য সিনিয়র নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকিং সম্প্রদায়ের জন্য প্রাসঙ্গিক অন্তর্দৃষ্টি এবং সেরা অনুশীলনগুলি প্রদান করে শিল্পে উৎকর্ষতা আনার লক্ষ্যে “ট্রেনিং মনোগ্রাফ” অনলাইন বুলেটিনটি একটি মূল্যবান সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
সিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বাড়লো ৭৭ শতাংশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি সিটি ব্যাংক পিএলসির চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে পরিচালন মুনাফা ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনলাইন ও বিশ্বজুড়ে ওয়েবের মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশ ও বিদেশের সকল বিনিয়োগকারী, শেয়ার বিশ্লেষক ও গণমাধ্যমের সামনে তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়।
ব্যাংকের এএমডি ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমান এই আর্থিক প্রতিবেদনের নানাদিক পূর্ণাঙ্গ আকারে তুলে ধরেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে ব্যাংকটির সমন্বিত পরিচালন মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে সিটি ব্যাংক এই মুনাফা করেছিল ৯৩২ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় এক হাজার ৬৫৩ কোটিতে। তবে ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ বেশি রাখার কারণে কর পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ। গত বছর প্রথম ৯ মাসে এ মুনাফা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা, যা এবার দাঁড়ায় ৪৫১ কোটিতে।
ব্যাংকটির এমডি ও সিইও মাসরুর আরেফিন জানান, চলতি বছর শেষে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা প্রথমবারের মতো ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। প্রথম ৯ মাসে ৭৭ শতাংশ মুনাফা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে তিনি জানান, ব্যাংকের আমানত এই ৯ মাসে ১০ হাজার ১০০ কোটি টাকা বাড়লেও আমানতের ব্যয় সাড়ে ৪ শতাংশে ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া সুদ আয়ের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি, সরকারি বিল-বন্ডে বিনিয়োগ থেকে ভালো অংকের আয় ইত্যাদি বিষয়কেও তিনি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, এই নয় মাসে ব্যাংকের আয় ৪০ শতাংশ বাড়লেও ব্যয় বেড়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। যার ফলে আয়-ব্যয়ের অনুপাত গত বছরের সাড়ে ৫৪ শতাংশ থেকে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।
কর পরবর্তী মুনাফা ততটা না বাড়ার পেছনে তিনি জানান, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঋণের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত (এ বছর সংরক্ষিত মোট প্রভিশনের ৬৭ শতাংশ) ধরে রেখেছে, যা বছরের শেষে গিয়ে পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ডিএমডি ও চিফ রিস্ক অফিসার মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী, ডিএমডি ও হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স এ কে এম সায়েফ উল্লাহ কাউসার এবং হেড অব ট্রেজারি মো. শাহ আলম। অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সমাপ্ত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৪ নভেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুল জলিল, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, স্বতন্ত্র পরিচালক মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া শরী’আহ সুপারভাইজরি কমিটির সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ, অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, মোঃ আলতাফ হুসাইন ও মোহাম্মদ জামাল উদ্দিন মজুমদার ও কোম্পানি সেক্রেটারি (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের ডিএমডি পদে ৬ জনের পদোন্নতি
ইসলাামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মাহমুদুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ, কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন, ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ও মো. মাকসুদুর রহমান। এর আগে তারা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মাহমুদুর রহমান ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইং, নোয়াখালী জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মো. রফিকুল ইসলাম ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৮ সালে সিনিয়র অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ক্যামেলকো ও ইনভেস্টমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিভিশনের প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ) থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, ইংল্যান্ড, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত ও মালয়েশিয়া সফর করেন।
মুহাম্মাদ সাঈদ উল্লাহ স্পেশাল ইনভেস্টমেন্ট উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের হিউম্যান রিসোর্সেস উইং, ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট উইং, রিটেইল ইনভেস্টমেন্ট উইং, ঢাকা নর্থ জোন ও সিলেট জোনসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইসলামিক ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া থেকে অনার্স ও মাস্টার্স এবং পরে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য চীন, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, নেপাল, ভুটান, জর্ডান ও ভারত সফর করেন।
কে এম মুনিরুল আলম আল-মামুন ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমির প্রিন্সিপাল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ফরেন ট্রেড অপারেশন্স ডিভিশনের প্রধান, নওয়াবপুর রোড ও পল্টন শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৯ সালে লন্ডন ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স (এলআইবিএফ) থেকে সার্টিফাইড ডকুমেন্টারি ক্রেডিট স্পেশালিস্ট (সিডিসিএস) ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ২০০৬ সালে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে ফাইন্যান্সে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, হংকং, ভারত, মালয়েশিয়া ও উজবেকিস্তান সফর করেন।
ড. এম কামাল উদ্দীন জসীম ব্যাংকের ক্যামেলকো ও অপারেশন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ঢাকা ইস্ট জোনপ্রধান ও বিজনেস প্রমোশন অ্যান্ড মার্কেটিং ডিভিশন, হেড অফিস কমপ্লেক্স করপোরেট শাখা, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট শাখার প্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ব্যাংকে যোগদানের আগে তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, রাশিয়া, তুরস্ক, চীন, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেন।
মো. মাকসুদুর রহমান ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স উইংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ১৯৯৫ সালে প্রবেশনারি অফিসার হিসেবে ব্যাংকে যোগদান করেন এবং ব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট উইং, ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং, ফরেন রেমিট্যান্স ডিভিশনের প্রধান, যশোর ও খুলনা জোনপ্রধানসহ প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বিএসএস (অনার্স) ও এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য জার্মানি, গ্রিস, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, মিশর, উজবেকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও ভারত সফর করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
পাঁচশ তালবীজ রোপণ করলেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম
বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশ আন্দোলনকে গুরুত্ব দিয়ে এবং বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে নিজ গ্রামে পাঁচশত তালবীজ রোপন করলেন পরিবেশ, ভ্রমণ ও এ্যাভিয়েশন বিষয়ক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম। নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দশানী টবগা গ্রামে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দুই দিনব্যাপী তালবীজ রোপন কার্যক্রম শেষ হয় শনিবার (২ নভেম্বর)। এই কার্যক্রম সম্পাদনে সহযোগী হিসেবে ছিল মিশন গ্রিন বাংলাদেশ।
তালবীজ রোপনের উদ্যোক্তা পরিবেশ কর্মী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের দেশে বর্তমান সময়ে বজ্রপাতে মারা যাওয়ার সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। মানুষের পাশাপাশি প্রতি বছর অনেক গবাদি পশু মারা যায় এ বজ্রপাতে। তাল গাছ এসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে বলে এমন উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো আপনারাও তালের সময়ে তাল খেয়ে সেই বীজ বসতভিটার আশেপাশে অথবা রাস্তার ধারে রোপণ করুন কিংবা সেই বীজ তুলে দিন আমাদের হাতে। আসুন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় ও বজ্রপাত থেকে বাঁচতে তালের বীজ রোপণ করি এবং নিজ চারপাশকে আরও একটু সবুজ করি।
তালবীজ রোপন করা প্রসঙ্গে মিশন গ্রিন বাংলাদেশের আহ্বায়ক আহসান রনি বলেন, সারাদেশকে আমরা সবুজ করতে চাই। দেশ সবুজ হলে অনেকাংশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিই শুধু কমবে না বরং আমাদের দেশ ফিরে পাবে তার হারানো রূপ। আমরা ফিরে পাব সবুজ, শ্যামল বাংলাদেশ। এছাড়াও আমরা বুকভরে নিতে পারব নির্মল বাতাস।
গ্রামের বাসিন্দা ও সরল অংক বইয়ের লেখিকা জান্নাতুল ফেরদৌস অনি রাস্তার দুধারে তালবীজ লাগানো প্রসঙ্গে বলেন, মাটির ক্ষয়রোধ, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি ঘরের খুঁটি ও হাতপাখা তৈরিতে তালগাছের ব্যবহার হয়ে আসছে শত বছর ধরে। তালপাতার পাখা আমাদের বাঙ্গালী জাতির ঐতিহ্যের একটি অংশ। তাল গাছের ডালের আঁশ থেকে রকমারি দ্রব্যাদি প্রস্তুত হয়। তিনি আরও বলেন, তালগাছের সংখ্যা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে তাই আমাদেরকে প্রচুর পরিমানে তালবীজ রোপন করতে হবে যাতে করে প্রকৃতি ঠিক থাকে।
প্রসঙ্গত, তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে প্রতি বছর উষ্ণতা বাড়ছে। পৃথিবী বিশেষ করে গত কয়েক বছরে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ উষ্ণায়নের ফলে প্রতিনিয়ত কঠিন হয়ে পড়ছে মানুষের বসবাস। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পৃথিবী ব্যাপী নানান পদক্ষেপ বা কর্মসূচী লক্ষণীয় হলেও দেশে সেটা অপ্রতুল। ঝুঁকি মোকাবেলায় পরিবেশবিদ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞগণ বৃক্ষরোপনের উপর বেশ গুরুত্ব দিচ্ছেন। এছাড়াও গত কয়েক বছরে দেশব্যাপী বজ্রপাতের ফলে প্রাণহানির ঘটনা হু হু করে বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতি বৃক্ষরোপনে বিশেষ তালগাছ লাগানোর উপর জোর দিচ্ছে বৃক্ষপ্রেমী ও পরিবেশকর্মীরা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
কর্পোরেট সংবাদ
স্বপ্ন-তে ১৬০ টাকায় গরুর মাংস-আলু মিক্স কম্বো
বাংলাদেশের সেরা রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘স্বপ্ন’ এবার গ্রাহকদের কেনার সুবিধার্থে এনেছে গরুর মাংস ও আলু মিক্স কম্বো নিয়ে সাশ্রয়ী অফার। শুক্র ও শনিবার (১ ও ২ নভেম্বর) ঢাকা, কুমিল্লা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও সাভার জোনের নির্দিষ্ট আউটলেটে এই অফার থাকবে।
‘স্বপ্ন’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছোট পরিবারের কেনার সুবিধার্থে গরুর মাংসের সাথে আলুসহ কম্বো প্যাক করা হয়েছে। যেখানে কম্বো প্যাকটির নাম গরুর মাংস-আলু মিক্স (স্মল)- ছোট এই প্যাকে থাকছে গরুর মাংস ২০০ গ্রাম এবং আলু ১০০ গ্রাম (১০ পিস গরুর মাংসের সাথে ১০ পিস আলু)-যার বিক্রয়মূল্য রাখা হয়েছে মাত্র ১৬০ টাকা।
আর একটি প্যাকে থাকছে গরুর মংস-আলু মিক্স (লার্জ)- বড় এই প্যাকে ৩৭৫ গ্রাম মাংসের সাথে ২০০ গ্রাম আলু থাকবে-যার বিক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।
মূলত, একটি পরিবারের এক বা দুবেলার মাংস-ভাতের আয়োজনে ক্রেতাদের জন্যে সুবিধাজনক এই প্যাক এনেছে ‘স্বপ্ন’।
কাফি