পুঁজিবাজার
দেড় ঘণ্টায় ৩৪১ শেয়ারের দরবৃদ্ধি, লেনদেন ৩৪০ কোটি
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধ্বমূখী প্রবণতায় চলছে লেনদেন। এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম দেড় ঘণ্টায় ৩৪১টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ডিএসইর লেনদেন শুরুর দেড় ঘণ্টা পর অর্থাৎ বেলা ১১টা ৩২মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর প্রধান সূচক বা ‘ডিএসইএক্স’ ৭২ দশমিক ০৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে।
প্রধান সূচকের সঙ্গে শরিয়াহ সূচক বা ‘ডিএসইএস’ দশমিক ১১ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে আর ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২০ দশমিক ৬১ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১১৭৪ ও ১৯৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আলোচ্য সময়ে ডিএসইতে মোট ৩৪০ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪১টির, কমেছে ২৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারদর।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
লেনদেন বাড়লেও আরও পুঁজি হারালো বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে (০১ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় লেনদেন শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। তবে আলোচ্য সপ্তাহে বিনিয়োগকারীদের মূলধন বা বাজার মূলধন আরও কমেছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিলো ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৩৫৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আর সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ০ দশমিক ১০ শতাংশ বা ৬৫১ কোটি ৪২ লাখ টাকা।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইর দুই সূচক কমেছে। চলতি সপ্তাহে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৮ শতাংশ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে প্রধান সূচকটি দাড়িয়েছে ৫ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে। এছাড়া, ডিএসইর অপর সূচক ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২২ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ২ দশমিক ৯২ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। চলতি সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯০৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ২২১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৩১৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৪৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৩৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সোনালী সিকিউরিটিজের লেনদেন স্থগিত
পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএসইর ট্রেক হোল্ডার সোনালী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ইক্যুইটি ঘাটতিতে থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির লেনদেন স্থগিত করেছে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ফলে গত তিনদিন ধরে ট্রেকটির লেনদেন বন্ধ রয়েছে। সোনালী সিকিউরিটিজের মালিকানায় রয়েছেন শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং সোনালী পেপারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস।
গত রবিবার (১ ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রবাবর এ সংক্রান্ত এক চিঠি পাঠিয়েছে ডিএসই। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ব্রোকারেজ হাউজটি পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নিট অর্থ বা ইক্যুইটি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ ইক্যুইটি থাকার শর্ত থাকলেও সোনালী সিকিউরিটিজ তাতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে ব্রোকারেজ হাউজটির নিবন্ধন সনদ নবায়ন না করে ট্রেকের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে ডিএসইকে নির্দেশ দেয় বিএসইসি। ফলে গত ২ ডিসেম্বর ব্রোকারেজ হাউজটির লেনদেন বন্ধ করে ডিএসই। যা এখনও পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে।
বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমানে স্টক ব্রোকার ও ডিলারের ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারীদের নিবন্ধন সনদ ইস্যু এবং নবায়নের ক্ষেত্রে বিদ্যমান পরিশোধিত মূলধনের ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ সার্বক্ষণিক নিট অর্থ বা ইক্যুইটি রাখতে হবে। ফলে, স্টক ব্রোকার ও ডিলারের পরিশোধিত মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ ঘাটতি বা লোকসান থাকতে পারবে। এর বেশি হলে সেই ব্রোকার ও ডিলারের সনদ বাতিল করা হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বলেন, ব্রোকারেজ হাউজটি নিবন্ধন সনদ নবায়নের জন্য বিএসইসিতে আবেদন করে। তবে ইক্যুইটি ঘাটতিতে থাকায় নিবন্ধন সনদ নবায়ন না করে বিএসইসি থেকে ডিএসইকে চিঠির মাধ্যমে অভিহিত করা হয়। সেই সঙ্গে সিকিউরিটিজ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। ফলে পর্যাপ্ত ইক্যুইটি ঘাটতিতে থাকায় গত ২ ডিসেম্বর লেনদেন স্থগিত করা হয়।
এবিষয়ে জানতে সোনালী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে অর্থসংবাদের পরিচয় পেয়ে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে পরে কথা বলবেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিআইসিএমের ১৭তম এজিএম সম্পন্ন
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের (বিআইসিএম) ১৭তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডের বিজিআইসি টাওয়ারে অবস্থিত বিআইসিএমের সম্মেলন কক্ষে এই এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ক্যাপিটাল মার্কেটের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এজিএমে সভাপতিত্ব করেন।
ইন্সটিটিউটের নির্বাহী প্রেসিডেন্ট (ভারপ্রাপ্ত) নাজমুছ সালেহীন ও বিআইসিএমের অন্যান্য সদস্যগণ বার্ষিক সাধারণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে মোনার্ক হোল্ডিংসকে জরিমানা
পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্রোকারেজ হাউজ মোনার্ক হোল্ডিং লিমিটেডকে জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। মূল ব্যবসার বাইরে বিনিয়োগ করার প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৩৪ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভা শেষে বিএসইসির নিবাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূল ব্যবসার বাইরে বিনিয়োগ করায় মোনার্ক হোল্ডিংকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সঙ্গে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে মোনার্ক মার্ট এবং সফটাভিন লিমিটেড-এ বিনিয়োগ করা অর্থ মোনার্ক হোল্ডিংয়ের হিসাবে ফেরত আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কমিশন সভায় আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে এ অর্থ ফেরত আনতে ব্যর্থ হলে প্রতিদিনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার কারসাজির দায়ে ৯ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির দায়ে ৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসি’চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৩৪ তম কমিশন সভা গত (৩ ডিসেম্বর) কমিশনের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ফর্চুন সুজের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিমের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অক্টোবর ২০২১ তারিখ হতে ২৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত এনআরবি কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজি করে সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ আইন ভঙ্গের দায়ে মো: আবুল খায়েরকে ২ কোটি ৩০ লাখ, মোঃ আবুল কালাম মাতবরকে ৪ কোটি ১৫ লাখ, কাজী সাদিয়া হাসানকে ১১ লাখ, কোনিকা আফরোজকে ১ লাখ, ডিআইটি কোপারেটিভ লিমিটেডকে ১২ লাখ, আলিয়া বেগমকে ১ লাখ, মহাম্মদ বাসারকে ১ লাখ, মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ১ লাখ, সাজিদ মাতবরকে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ডে দণ্ডিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।