ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে আন্তঃক্লাব বিতর্ক উৎসবে চ্যাম্পিয়ন জহুরুল হক হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সূর্যসেন হলের বিতর্ক ক্লাব ‘সূর্য সেন বিতর্ক ধারা’-এর উদ্যোগে ‘দ্রোহের তর্ক ১.০’ শীর্ষক বিতর্ক উৎসবে আন্তঃক্লাব বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের বিতর্ক ক্লাব ‘হাউস অব ডিবেটরস’ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটি রানার আপ হয়েছে।
শনিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সূর্যসেন হল মিলনায়তনে উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সূর্য সেন বিতর্ক ধারার সভাপতি মো. মাসুম বিল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন ভূইয়া, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, হল ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক ড. শাহরিয়ার হায়দার, নগদহাট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইসরাফিল মোল্লা, ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি অর্পিতা গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আদনান মুস্তারী বক্তব্য রাখেন। সূর্যসেন বিতর্ক ধারার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল গালিব অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বিশেষ জ্ঞানের সঠিক বিকাশে বিতর্কের গুরুত্ব অপরিসীম। বিতর্কের মাধ্যমে মানুষ প্রশ্ন করতে এবং প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শেখে।
শৈশবকাল থেকেই বিতর্কের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত হওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সমাজের ভিত্তি অনেক মজবুত হয়। নিয়মিত বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, ‘বিরোধের পথে আসুক জয়, দ্রোহের তর্কে নতুন সূর্যোদয়’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দু’দিনব্যাপী এই উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ২৬টি বিতার্কিক দল অংশ নেয়। আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বারোয়ারি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদা মালিহা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরীণ বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় সাঈদুজ্জামান নূর আলভী চ্যাম্পিয়ন হয়। অনুষ্ঠানে বিতর্ক ক্লাবের বার্ষিক মুখপত্র ‘অর্ক’-এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন শুরু আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্রেজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়েছে। আবেদন চলবে আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত।
ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ওয়েবসাইট https://admission.eis.du.ac.bd-এ গিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এ বছর আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫০ টাকা।
২০২৫ সালের ৪ জানুযারি চারুকলা ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এছাড়াও কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা ২৫ জানুযারি, বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারি, এবং ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষা ৮ ফেব্রুয়ারি হবে। আইবিএ ইনস্টিটিউটটিউটের পরীক্ষা ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীরা ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাউথইস্ট ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বিকাশের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বেসরকারি সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। এর মাধ্যমে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টদের সাউথইস্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ২৪/৭ ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট সেবা প্রদান করা যাবে। বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টদের চব্বিশ ঘন্টা দ্রুততার সাথে অর্থ প্রবাহ পরিচালনা করতে সহায়তা করার জন্য এই সুবিধাজনক এবং সুরক্ষিত পরিষেবাটি চালু করা হয়েছে।
সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুদ্দিন মোঃ ছাদেক হোসাইন এবং বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি বিনিময় করেন।
এই চুক্তির অধীনে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টরা যাদের সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসিতে একাউন্ট রয়েছে তারা ২৪/৭ ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট পরিষেবার মাধ্যমে তাৎক্ষনিক অ্যাড মানি এবং ই-মানি স্থানান্তর করতে সক্ষম হবে। এছাড়া বিকাশের মাধ্যমে প্রবর্তিত এই ডিজিটাল লেনদেন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট এবং মার্চেন্টরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যালেন্স স্থানান্তর করে তাদের ডিজিটাল ওয়ালেটে ই-মানি জেনারেট করতে পারবে এবং তারা তাদের ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে সাউথইস্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ই-মানি স্থানান্তর করতে পারবে।
সাউথইস্ট ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবিদুর রহমান চৌধুরী ও মাসুম উদ্দিন খান, বিকাশ লিমিটেডের সি এফ ও মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর, এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
লটারিতে স্কুলে ভর্তি, শূন্য আসনের তথ্য চেয়েছে মাউশি
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৫) জন্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে লটারি পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে শূন্য আসনের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।
আজ রবিবার (৩ নভেম্বর) এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মাউশি।
এতে বলা হয়েছে, দেশের সব সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মহানগর ও জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের (২০২৫) জন্য প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে লটারি পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য সরকারি ও মহানগর এবং জেলা সদর উপজেলায় অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোকে শূন্য আসনের তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হল।
গত ৩০ অক্টোবর থেকে এই তথ্য জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে এবং ৮ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য জমা দিতে হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়সূচি
তথ্য জমা দেয়ার শেষ তারিখ: ৮ নভেম্বর ২০২৪
অনলাইন আবেদন গ্রহণের শুরু: ১২ নভেম্বর ২০২৪
অনলাইন আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪
ভর্তির লটারি: ডিসেম্বর ২০২৪ (তারিখ পরে জানানো হবে)
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালা অনুসরণ করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সঠিক তথ্য প্রদান করতে হবে। ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নির্ধারিত এলাকায় সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে অন্তর্ভুক্ত করার নিয়ম রয়েছে। এছাড়া অনলাইন আবেদন ফরমে ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্য যুক্ত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর ও রাউটিং নম্বর প্রদান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভুল তথ্য জমা দিলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে মাউশি।
ভর্তিতে কোটা পদ্ধতিতে পরিবর্তন
এবার কোটাভিত্তিক ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকত, কিন্তু আসন শূন্য থাকলে নাতি-নাতনিদেরও সেই কোটায় ভর্তির সুযোগ দেয়া হতো। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা বা শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাই এই কোটা সুবিধা পাবেন। আসন শূন্য থাকলে মেধাতালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও প্রায় দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের জুন মাসে নেয়া হতে পারে এই পরীক্ষা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হবে এমনটি ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে এমন চিন্তা করছে বোর্ডগুলো। গত বছর এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর এইচএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে ৩১ মার্চে। আর পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে আগামী বছরের ৭ জুন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আসছে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ পাবেন এক লাখ শিক্ষক
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ হতে পারে। কারণ, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে। আর এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে আগামী তিন মাসের মধ্যে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা লক্ষাধিক হবে। এবার বেশি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ, ইতিমধ্যে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যোগ্য প্রার্থীর সংকট কাটবে।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর এনটিআরসিএ অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া যাবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।
গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬ টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, এনটিআরসিএ ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে। শূন্য পদের চাহিদা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে। শূন্য পদের চাহিদা পেলে তা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। তবে আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হবে।’
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।