ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা
আগামী বছরের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষাও প্রায় দুই মাস পিছিয়ে যাচ্ছে। আগামী বছরের জুন মাসে নেয়া হতে পারে এই পরীক্ষা।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হবে এমনটি ধরে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেছিল শিক্ষাবোর্ডগুলো। সেই লক্ষ্যে এখন স্কুলগুলোতে চলছে নির্বাচনী পরীক্ষা। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে ফরম পূরণেরও ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে এমন চিন্তা করছে বোর্ডগুলো। গত বছর এই পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনার ক্ষতি হয়েছে। এজন্য ঠিকমতো পাঠ্যসূচি শেষ করা সম্ভব হয়নি। আবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও আবেদন আছে। তাই ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা নিয়ে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য এসএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর এইচএসসি পরীক্ষা পবিত্র ঈদুল আজহার পর নেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হতে পারে ৩১ মার্চে। আর পবিত্র ঈদুল আজহা হতে পারে আগামী বছরের ৭ জুন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আসছে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি, নিয়োগ পাবেন এক লাখ শিক্ষক
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি আসছে। এর অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ হতে পারে। কারণ, পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির প্রায় ৯৭ হাজার পদের মধ্যে মাত্র সাড়ে ১৯ হাজার পদ পূরণ হয়েছে। আরও ৭৭ হাজার ৫০০ পদ ফাঁকা রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজার পদ অবসরের কারণে শূন্য হয়েছে। আর এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে আগামী তিন মাসের মধ্যে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা লক্ষাধিক হবে। এবার বেশি শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হবে। কারণ, ইতিমধ্যে ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যোগ্য প্রার্থীর সংকট কাটবে।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর এনটিআরসিএ অনলাইনে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করে, যা ই-রিকুইজিশন নামে পরিচিত। এ কার্যক্রমে তথ্য দেওয়া যাবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে চাহিদা ফি জমা দেওয়া যাবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এবারই প্রথমবারের মতো আগামী তিন বছরের (৩১ ডিসেম্বর ২০২৭ পর্যন্ত) সম্ভাব্য শূন্য পদের চাহিদা পাঠাতে বলা হয়েছে। এর আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম (ই-রেজিস্ট্রেশন) শেষ করে এনটিআরসিএ।
গত ৩১ মার্চ পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদের সংখ্যা ছিল ৯৬ হাজার ৭৩৬ টি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজের শূন্য পদ ছিল ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদ্রাসা, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০ টি। পরে গত ২১ আগস্ট প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগে সম্মতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এনটিআরসিএ সূত্র বলছে, এনটিআরসিএ ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন শেষে শিক্ষকদের শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করেছে। শূন্য পদের চাহিদা পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই শেষে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন চাওয়া হবে। অনুমোদন পেলে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেন, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অংশ হিসেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ই-রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম শেষে শূন্য পদের চাহিদা আহ্বান করা হয়েছে। শূন্য পদের চাহিদা পেলে তা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
কবে নাগাদ বিজ্ঞপ্তি জারি হতে পারে—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট করে দিনক্ষণ বলা সম্ভব নয়। তবে আশা করছি, আগামী তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা সম্ভব হবে।’
২০০৫ সাল থেকে এনটিআরসিএ শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়। এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের (ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগ) চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সহকারী শিক্ষক পদে নির্বাচিত হয়েছেন ৬ হাজার ৫৩১ জন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
কোন জেলা থেকে কতজন নির্বাচিত
তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার প্রার্থীরা অংশ নেন। চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি সহকারী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা থেকে। এ জেলায় ৮১২ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছে। এরপরই রয়েছে কুমিল্লা, জেলাটিতে মোট ৬৪১ জন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা টাঙ্গাইল জেলা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৫৯৭ জন।
এছাড়া কক্সবাজার জেলার ১৮৫ জন, চাঁদপুরের ৩৫৮, নোয়াখালী ৩২৮, ফেনী ১৩৭, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩৪৯, লক্ষ্মীপুরে ৩২৭, কিশোরগঞ্জে ২৮৮, গাজীপুরে ২৪১, গোপালগঞ্জে ২৫৪, ঢাকায় ৩০৯, নরসিংদীতে ২৬০, নারায়ণগঞ্জে ১৮৪, ফরিদপুরে ২২৭, মাদারীপুরে ২০৮, মানিকগঞ্জে ৩০১, মুন্সিগঞ্জে ২২২, রাজবাড়ীতে ১০৪ এবং শরীয়তপুরে ১৯৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন।
চূড়ান্ত ফলাফল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০২৩ সালের ১৪ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ২৯ মার্চ এ ধাপের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ২২ এপ্রিল লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশিত হয়।
এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন। এরপর প্রার্থীদের নিজ নিজ জেলার শিক্ষা অফিসে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে চারবার
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ তিনবার অংশ নিতে পারবেন বলে গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। একজন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ চারবার বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন-ফিন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্ব-শাসিত সংস্থাগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর আলোকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’-এর ধারা-৫৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা, ২০১৪’ পুনর্গঠনপূর্বক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ চারবার অংশ নিতে পারবে- এরূপ বিধি সংযোজনের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে উপদেষ্টা পরিষদ নির্দেশনা দিয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দেশের ৬ মেডিকেল কলেজের নতুন নামকরণ
ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ ও জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ ৬টি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (চিকিৎসা শিক্ষা-১) সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারীর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের ৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে নিম্নবর্ণিতভাবে নামকরণ করা হলো। এর মধ্যে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ, নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজকে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া নতুন নামকরণের তালিকায় রয়েছে টাঙ্গাইলের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের নাম। এগুলো যথাক্রমে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এবং দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ পড়লো যেভাবে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম শুরুতেই ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ ছিল। তবে পরবর্তীতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। এসব অনেক আগের ঘটনা হলেও সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের ইতিহাস নিয়ে নতুন করে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকালে জাহিদুল ইসলাম তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘এই ভূখণ্ডে বিভিন্ন নাম থেকে ‘ইসলাম’ ও ‘মুসলিম’ শব্দ মুছে দেয়ার অন্যতম ভিকটিম, ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’।
এ দিন বিকেলে জনপ্রিয় বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়’ লিখে পোস্ট করেন। এরপর বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হতে থাকে।
জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা পোস্ট করছেন।
জানা যায়, ১৯৭০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকার এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার পূর্ব নাম জাহাঙ্গীরনগরের সঙ্গে মিলিয়ে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করে। মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় নামে এটি ছিল দেশের প্রথম ও একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর ১৯৭১ সালের ১২ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাস হলে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ১৯৭০ সালের শেষের দিকে ঠিক করা হয়। কিন্তু দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অর্ডিন্যান্সের সময় তৎকালীন প্রশাসন মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দেয়।’
এমআই