পুঁজিবাজার
আইপিও-বন্ড সংস্কারে বিএসইসি-সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ডিএসই
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), ফান্ড ও বন্ড সম্পর্কিত কাজে কিছু সংস্কারের দরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। এ সংক্রান্ত সংস্কারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করার চেষ্টা করবো বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আয়োজিত পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, বিএমবিএর সাবেক সভাপতি ছায়েদুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ডিএসইর হিউম্যান রিসোর্স, টেকনিক্যাল দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমরা শিগগিরই সেটা করবো। কিছু জায়গায় আমাদের স্বচ্ছতার অভাব আছে। এসব জায়গায় স্বচ্ছতা ফেরাতে আমরা কাজ করবো।
পুঁজিবাজার সংস্কারে কোথায় কোথায় সংস্কার প্রয়োজন তা আজকে সংবাদিকদের আলোচনায় উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য সংবাদিকদের আন্তরিক ধন্যবাদ দেন ডিএসই চেয়ারম্যান।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। পুঁজিবাজার মুদ্রাবাজার অর্থনীতির সুন্দরতম সৃষ্টি। তবে আমরা আমাদের সৃষ্টিটাকে অসৃষ্টি তৈরি করে ফেলেছি। সেটা আমাদের সামগ্রিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকেরই একটা প্রতিচ্ছবি। দেশের মাঝে দূর্নীতি, বিচারহীনতা, অদক্ষতা এবং ভুল সিদ্ধান্ত সেই বিষয়গুলো পুঁজিবাজারে আছে। সেটারই ফলাফল আজকেই এই পরিস্থিতি।
মমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি তৈরি করেছি। যার জন্য মার্কেটে কারসাজি কমেনি। এতে বিনিয়োগকারী, বাজার মধ্যস্থতাকারী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত ব্যাংক নির্ভরতা ব্যাংককে ধ্বংস করেছে, একইসাথে আমাদের অর্থনীতিকে শেষ করেছে। এটা থেকে আমাদের বের হতে হবে।
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ট্যাক্স সংক্রান্ত কিছু বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। আমরা এনবিআরের সাথে এ বিষয়ে কাজ করছি। যাতে এনবিআর বেশি ট্যাক্স পাবে, একইসঙ্গে বাজারের উন্নতিসাধন হবে। যা হবে মার্কেট ফ্রেন্ডলি।
অনুষ্ঠানে ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক ছিল কেননা গত ১৫ বছররে আমরা নির্যাতিত বা নিগৃহিত। সাবেক এক অর্থমন্ত্রীর ফটকাবাজার ধারণা থেকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারকরা বের হয়ে আসছে বলে মনে হচ্ছে না। এটা বুঝতে হবে, পুঁজিবাজর অর্থনীতির ভিত্তি রচনা জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারকে সংস্কারে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে হবে।
সিএমজিএফের সভাপতি এস এম গোলাম সামদানি ভূইয়া বলেন, রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরে নতুন যে কমিশন গঠন হয়েছে। তার কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, পুঁজিবাজারে ইতিবাচন একটি পরিবর্তন আসবে। আমরা মনে করি সে পরিবর্তনটা আসে নি। প্রাথমিক ভাবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজার সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যার্থ হয়েছে। পাশাপাশি শুরু তারা যে পদক্ষেপ গুলো নিয়েছিল, মার্কেটের সবাই খারাপ সাবাইকে ধরতে হবে। এই ধরণের পদক্ষেপ বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। সেখানে আমরা সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছি।
অর্থসূচকের সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গেলে বলতে হবে সর্বাঙ্গে ব্যথা ওষুধ দিবো কোথা। বাজার সংক্রান্ত সমস্যা এতোটা বৃস্তিত যে এ জায়গা থেকে উত্তরণ এতোটা সহজ নয়। কিন্তু উত্তরণের স্বপ্ন আমাদের দেখতে হবে এবং আমি মনে করি আমরা সবাই মিলে যদি চেষ্টা করি এ পরিস্থিতি থেকে আমরা উত্তরণ করতে পারবো।
তিনি বলেন, বাজারের গত কয়েক মাসের যে চিত্র আমরা দেখছি, তা গত ১৫ বছরের দুঃশাসনের বহিঃপ্রকাশ। দুঃশাসন সকল ক্ষেত্রেই ছিলো, কিছু গুষ্ঠি, কিছু নেটওয়ার্ক, কিছু পরিবার তারাই দেশ চালাবে, তারাই লুট করবে, এনজয় করবে আর সাধারণ মানুষ গিনিপিগের মতো তাদের এই রসদ যোগাবে।
জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে বলেছিও এবং যতো সৃজনশীল উপায়ে সম্ভব মন্দ কোম্পানি আনা, সুকুকের নামে বিশেষ প্রোডাক্ট আনা, প্রিফারেন্স শেয়ার আনাসহ যতগুলো পণ্য বিশ্বের বাজারে ভালো ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় সবগুলো ইন্সট্রুমেন্ট কারসাজির যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেগুলোর ভবিষ্যৎ শেষ করে দেয়া হয়েছে।
অন্যান্যদের মাঝে ডেইলি স্টারের সিনিয়র রিপোর্টার আহসান হাবিব বলেন, পুঁজিবাজারে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারীর মূলত ক্যাপিটাল গেইনের দিকেই নজরটা থাকে। ডিভিডেন্ট ইনকামের দিকে নজর আছে এই ধরণের বিনিয়োগকারী আমার ১৫ বছরের সাংবাদিকতার জীবনে হাতে গণা দুই-তিন জনকে দেখেছি। বিশ্বের যে কোন দেশে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মূলত ক্যাপিটাল গেইনের দিকেই ঝুঁকে, এখানে সমস্যার কিছু নেই। তবে আমাদের দেশে এই পরিমানটা অনেক বেশি। সুতরাং আমাদের ব্রোকারদের এবং মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর এখানে আসলে একটু অবদান রাখার সুযোগ আছে। বিনিয়োগকারীদের মেন্টালিটিতে কিভাবে চেঞ্জ আনা যায়।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ইন্ডেক্স কমে গেলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে চিন্তা থাকে যে সরকারের পক্ষ থেকে আসলে কোন ভাবে সাপোর্ট দিয়ে মার্কেটকে বাড়ানো হবে। এটা হতে পারে, কিন্তু বড় ধরণের যখন কোন ক্রাস হয় তখন সরকার সাপোর্ট করতে পারে। কিন্তু কিছু দিন পরপরই সরকারের কাছে আমরা এই ধরণের সাপোর্ট চায়ব, সেটা আসলে কোন দেশে দেয় কি না আমার জানা নেই। সুতরাং বিনিয়োগকারীদের এই মাইন্ডস্টে গুলো চেঞ্জ আনার জন্য ব্রোকারেজ হাউস গুলো কাজ করতে পারে।
প্রথম আলোর বিজনেস ইডিটর সুজয় মহাজন বলেন, বিনিয়োগ সুরক্ষায় কোম্পানিগুলো অনন্ত ১ কোটি টাকার একটা বিনিয়োগ সুরক্ষা তহবিল করা উচিত। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের সামাজিক মর্জাদা দেওয়া দরকার। কেন একজন বিনিয়োগকারী সিআরপি পাবে না। এছাড়া বাজারে নতুন বিনিয়োগকারী আনতে হবে। তার জন্য বিও এ্যাকাউন্ট খোলার কথা প্রক্রিয়াটা আরো সহজতর করতে হবে। প্রয়োজনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে বিও খোলতে হবে। তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তথ্য যত দ্রুত ডিসক্লোজ করতে পারবেন বাজারে ম্যানুপুলেশন করা সম্ভাবনা তত কম হবে। স্বতন্ত্র পরিচালকদের অবশ্যই জবাবদিহিতায় আনতে হবে।
যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার মুনির হোসেন বলেন, পুঁজিবাজার দীর্ঘদিন থেকে যে আস্থাহীনতা ও সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। ডিবিএ এবং ডিএসইসির বক্তব্যেই অনেক সময় মত পার্থক্য থাকে তাহলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিভাবে আস্থা পাবে। আগে আপানাদের মধ্যে সমন্বয় আনতে হবে তাহলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা আসবে। পুঁজিবাজারে সংস্কার নিয়ে মূলত ৪ টি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলব, এক নাম্বারে হলো স্বদিচ্ছা তারপর হলো নলেজ বা লিডারসিপ কয়ালিটি কামব্যাক, চাপমুক্ত বাজার শেষ হলো এ্যাকশন। তাহলে বাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে।
সমকালের সিনিয়র রিপোর্টার আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেট মূলত ব্রোকার বা বাজার মধ্যস্ততাকারীদের বাজার। ব্রোকার কমিউনিটি চাইলে বাজারের সব সমস্যা সমাধান নিজেরাই করতে পারে। আমার ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষনে আমি দেখেছি ব্রোকারেজ হাউজগুলোর মালিকানা ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান যখন থেকে নিয়েছে তখন থেকে সমস্যা শুরু হয়েছে। বিশাল বিশাল অফিস, বড় বেতন, বিরাট পরিচালনা ব্যয় ফলে এই খরচ তুলতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে। মার্কেট টো ছোট মার্কেট এখান থেকে তো বড় প্রফিট আসেনা।
তিনি বলেন, ব্রোকার সাব-ব্রোকার তৈরি করেছে। সাব-ব্রোকার ব্যবসা করে যতো টাকা ব্রোকার হাউজকে দিবে তার পার্সেন্টিজ সে পাবে। ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিয়ত শেয়ার কেনা-বেচায় উৎসাহ দেয়া হয়।
টিবিএসের বিশেষ প্রতিনিধি জেবুননেসা আলো বলেন, সোনালী পেপার যে ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে। শুধু বাংলাদেশের শিক্ষার্থী নয় বিদেশের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্যও এটা একটা ভালো ফাইন্যান্সিয়াল স্টেটমেন্ট হতে পারে। কিভাবে ব্যালান্স সিটটাকে ম্যানুপুলেট করে একেবারে ফেক ব্যালান্স সিট করা হলো। তখনকার কমিশনসহ সবাই জানতো কিন্তু কেউ কোন কথা বলে নি। তার ১০ টাকার শেয়ার ৯০০ টাকায় নিয়ে ১ বছরের মধ্যে বিক্রি করে টাকা তুলে নিলো। এখন ৯০০ টাকা থেকে শেয়ার ১৫০ টাকায় এসে ঠেকছে। তো এভাবে বাজার পড়বে না তো কি হবে? এগুলো নিয়ে ডিবিএর কাজ কারা উচিত।
ফান্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সিনিয়র রিপোর্টার দৌলত আক্তার মালা বলেন, পুঁজিবাজারে ডাবল ট্যাক্সসেশন আছে এবং ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স আছে। প্রতি বাজেটেই সারপ্রাইজ হিসাবে আসে ট্যাক্সটা, হটাৎ করেই বিনিয়োগকারীরা জানতে পারেন যে তাদের ওপরে ট্যাক্স দেওয়া হয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়ে। এক্ষেত্রে একটা ট্যাক্স বাউন্ড এক্সজেমশন দেওয়া চাই।
৭১ টিভির চিফ বিজনেস ইডিটর সুশান্ত সিনহা বলেন, পুঁজিবাজারটা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি কার হয়েছে। যে সকল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসই, ডিবিএ ইতিবাচক করতে কাজ করছে তাদের মধ্যে তথ্যের বিভ্রান্তি আছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল মুহিতে বলা পুঁজিবাজার হলো সবচেয়ে বড় ফটকা বাজার, এই ধারণা আমাদের বাজারের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। অর্থনীতিতে পুঁজিবাজার আসলেই দরকার কি দরকার না সেইটা নিয়ে ডিবিএ ও ডিএসইর আলোচনা হওয়া দরকার। করণ বাংলাদেশে যত বড় বড় অর্থনীতিবিদ বা থিংক ট্যাংক রয়েছে তাদের কখন পুঁজিবাজার অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান তা নিয়ে কিছু বলতে ও গবেষণা করতে দেখি নি। শুধু তাদের বক্তব্যে থাকে পুঁজিবাজার নিয়ে এই করা উচিত ওই করা উচিত।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসইতে পিই রেশিও কমেছে ২.০৩ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে ২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ৯ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্টে। ফলে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও ০ দশমিক ২০ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ০৩ শতাংশ কমেছে।
খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৩ দশমিক ১৮ পয়েন্টে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৫ দশমিক ২৩ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬ দশমিক ৩৪ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১০ দশমিক ১৩ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১০ দশমিক ৭০ পয়েন্টে, টেক্সটাইল খাতে ১০ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১২ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১৩ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ১৩ দশমিক ৯১ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৪ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৮ দশমিক ২৭ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৪ দশমিক ৮৭ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ২৫ দশমিক ৮২ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ৩৪ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৬০ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে, পাট খাতে ৭৯ দশমিক ০৭ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৮১ দশমিক ১৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে আইবিবিএল পারপেচুয়াল বন্ডের সর্বোচ্চ দরপতন
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৮৩ কোম্পানির মধ্যে ২৮৭টির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ শেয়ার দর পতন হয়েছে আইবিবিএল সেকেন্ড পারপেচুয়াল মুদারাবা বন্ড।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির ইউনিটদর কমেছে ২৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। বন্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩ হাজার ২৫০ টাকা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ার দর কমেছে ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৫ টাকা ৮০ পয়সা।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ার দর কমেছে ১৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসিআই, শাইনপুকুর সিরামিকস, ওরিয়ন ফার্মা, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ফারইস্ট নিটিং, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এক সপ্তাহে জুট স্পিনার্সের শেয়ারদর বেড়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশ
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হওয়া ৩৮২ কোম্পানির মধ্যে ৭২টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে জুট স্পিনার্স লিমিটেড। এক সপ্তাহে শেয়ারটির দর বেড়েছে সাড়ে ২৭ শতাংশের বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানির দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৫৪ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৪৩ টাকা ৬০ পয়সা।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফাইন ফুডসের শেয়ার দর বেড়েছে ২২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২১৪ টাকা ২০ পয়সা।
আর তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৬ টাকা ৪০ পয়সা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে– রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ, সমতা লেদারের ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ, ফার কেমিক্যালের ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৯ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে অগ্নি সিস্টেমস
বিদায়ী সপ্তাহে (১৭ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৮২ কোম্পানির শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে অগ্নি সিস্টেমস লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
সূত্র মতে, সমাপ্ত সপ্তাহে কোম্পানিটির গড়ে ১৪ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ অবদান অগ্নি সিস্টেমসের।
লেনদেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সোনালী আঁশের সপ্তাহজুড়ে গড়ে ১২ কোটি ০৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে আসা মিডল্যান্ড ব্যাংকের বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার হাতবদল হয়েছে গড়ে ১১ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এছাড়া, প্রতিদিন গড় লেনদেনে সাপ্তাহিক শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- বিচ হ্যাচারি, লাভেলো আইসক্রিম, ইসলামী ব্যাংক, বিএসসি, বেক্সিমকো ফার্মা, ফাইন ফুডস এবং ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ভারতের শেয়ারবাজারে একদিনে সূচক বাড়লো ২ হাজার পয়েন্ট
সপ্তাহের শেষ দিনে ভারতের শেয়ারবাজারের সেনসেক্স সূচক প্রায় দুই হাজার পয়েন্ট বেড়েছে। নিফটি সূচকটিও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সাড়ে ৫০০ পয়েন্ট। আদানির ঘুষ কাণ্ডের জেরে বৃহস্পতিবার খাদে নেমেছিল সূচক।
শুক্রবার ৭৯ হাজার ১১৭ দশমিক ১১ পয়েন্টে বন্ধ হয় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ। এদিন সূচক সেনসেক্স ১ হাজার ৯৬১ দশমিক ৩২ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। যা প্রায় ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ। সকালে লেনদেন শুরুর দিকে সেনসেক্স সূচকটি ছিল ৭৭ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে। এদিনের সূচকটি সর্বোচ্চ ৭৯ হাজার ২১৮ দশমিক ১৯ পয়েন্টে ওঠেছিল।
অন্যদিকে এদিন ২৩ হাজার ৪১১ দশমিক ৮০ পয়েন্টে খুলেছিল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই)। দিন শেষে এর সূচক নিফটি ২৩ হাজার ৯০৭ দশমিক ২৫ পয়েন্টে এসে থেমেছে। এই বাজারে ৫৫৭ দশমিক ৩৫ পয়েন্টের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে আজ সূচকটি সর্বোচ্চ বেড়েছে।
শনিবার ভারতের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে যার এক্সিট পোল। সেখানে অধিকাংশ সমীক্ষক সংস্থাই বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটকে এগিয়ে রেখেছে। বাজার বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভোটের ফল ঘোষণার আগের দিন আদানির ঘুষকাণ্ডের চেয়ে এক্সিট পোলকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। যার জেরে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে সেনসেক্স ও নিফটি।
এসএম