পুঁজিবাজার
আইপিও-বন্ড সংস্কারে বিএসইসি-সরকারের সঙ্গে কাজ করবে ডিএসই
প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), ফান্ড ও বন্ড সম্পর্কিত কাজে কিছু সংস্কারের দরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম। এ সংক্রান্ত সংস্কারে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও সরকারের সঙ্গে আমরা কাজ করার চেষ্টা করবো বলেও জানান তিনি।
শনিবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আয়োজিত পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ডিবিএ প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম, আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ, বিএমবিএর সাবেক সভাপতি ছায়েদুর রহমানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ডিএসইর হিউম্যান রিসোর্স, টেকনিক্যাল দক্ষতা বাড়াতে হবে। আমরা শিগগিরই সেটা করবো। কিছু জায়গায় আমাদের স্বচ্ছতার অভাব আছে। এসব জায়গায় স্বচ্ছতা ফেরাতে আমরা কাজ করবো।
পুঁজিবাজার সংস্কারে কোথায় কোথায় সংস্কার প্রয়োজন তা আজকে সংবাদিকদের আলোচনায় উঠে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এজন্য সংবাদিকদের আন্তরিক ধন্যবাদ দেন ডিএসই চেয়ারম্যান।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসাবে দেখার সুযোগ নেই। পুঁজিবাজার মুদ্রাবাজার অর্থনীতির সুন্দরতম সৃষ্টি। তবে আমরা আমাদের সৃষ্টিটাকে অসৃষ্টি তৈরি করে ফেলেছি। সেটা আমাদের সামগ্রিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকেরই একটা প্রতিচ্ছবি। দেশের মাঝে দূর্নীতি, বিচারহীনতা, অদক্ষতা এবং ভুল সিদ্ধান্ত সেই বিষয়গুলো পুঁজিবাজারে আছে। সেটারই ফলাফল আজকেই এই পরিস্থিতি।
মমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা বিচারহীনতার একটা সংস্কৃতি তৈরি করেছি। যার জন্য মার্কেটে কারসাজি কমেনি। এতে বিনিয়োগকারী, বাজার মধ্যস্থতাকারী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত ব্যাংক নির্ভরতা ব্যাংককে ধ্বংস করেছে, একইসাথে আমাদের অর্থনীতিকে শেষ করেছে। এটা থেকে আমাদের বের হতে হবে।
ডিএসই চেয়ারম্যান আরও বলেন, ট্যাক্স সংক্রান্ত কিছু বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। আমরা এনবিআরের সাথে এ বিষয়ে কাজ করছি। যাতে এনবিআর বেশি ট্যাক্স পাবে, একইসঙ্গে বাজারের উন্নতিসাধন হবে। যা হবে মার্কেট ফ্রেন্ডলি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কাজ শেষের দিকে: সিএসই চেয়ারম্যান
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) চেয়ারম্যান একেএম হাবিবুর রহমান বলেন, সিএসই বাংলাদেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কাজটি করছে। এজন্য প্রয়োজনীয় তিনটি অংশ রেগুলেটরি, কারিগরি এবং মার্কেট ডেভেলপমেন্ট। এর মধ্যে রেগুলেটরি এবং কারিগরি অংশের কাজ শেষের দিকে, তৃতীয় অংশ মার্কেট ডেভেলপমেন্ট, সেটাও চলমান।
শনিবার (২ নভেম্বর) সিএসইর প্রধান কার্যালয়ে প্রথমবারের মত দুই দিনব্যাপী কমোডিটি ডেরিভেটিভস বিষয়ক সার্টিফিকেট প্রশিক্ষনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সিএসই এবং ডিএসইর ট্রেকের প্রতিনিধিগণের পাশাপাশি সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার, পরিচালক মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এমসিএক্স (মালটি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ) ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্টে এন্ড হেড অব রিসার্চ দেবজ্যোতি দে অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, সিএসই বাংলাদেশে প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার কাজটি করছে এবং এজন্য প্রয়োজনীয় তিনটি অংশের মধ্যে রেগুলেটরি এবং কারিগরি অংশের কাজ শেষের দিকে, তৃতীয় অংশ মার্কেট ডেভেলপমেন্ট- সেটাও চলমান। তারই ধারাবাহিকতায় সিএসই বেশ কিছু সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান এবং প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে আজকের এই সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানটি নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রশিক্ষণের তিনটি উদ্দেশ্য থাকে- নিজের দক্ষতাকে আরও উন্নিত করা, জ্ঞানকে বর্ধিত করা এবং এটিচুউড পরিবর্তন করা। আজকের এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনারা যেমন ট্র্যাডিশনাল মার্কেট এবং কমোডিটি মার্কেটের পার্থক্য বুঝতে পারবেন, তেমনি নতুন মার্কেটে অংশগ্রহণের প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবেন। আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে এই প্রশিক্ষন কার্যক্রমগুলিকে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের যুক্ত করে আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয় করে তোলা।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যারা আজকের এই প্রশিক্ষন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন, আমরা আশা করবো আপনারাই হবেন কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার পর অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে প্রথম সারিতে। আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অত্যন্ত সুন্দরভাবে এক্সচেঞ্জ স্থাপনের কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো। এর মাধ্যমে আমরা একটি গতিশীল পুঁজিবাজারও গঠন করতে পারবো ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএসইর পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাংলাদেশ কোটি কোটি মানুষের দেশ এবং বিপুল সম্ভাবনাময়। অথচ কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার দিক থেকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল বা পাকিস্তান থেকে এখনো পিছিয়ে আছে। আজ কমোডিটি এক্সচেঞ্জ থাকলে পন্যের সঠিক এবং যৌক্তিক মূল্য পাওয়া যেত এবং মূল্যের এত উঠানামা হত না। এতে করে ভোক্তা থেকে উৎপাদনকারী সবাই উপকৃত হত। কাজেই আমাদের অর্থনীতির জন্য এই কমোডিটি এক্সচেঞ্জের প্রতিষ্ঠা এবং এর কার্যক্রম শুরু করা অতীব জরুরি।
তিনি বলেন, সিএসইর এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে গেলাম। কারন, এই প্রশিক্ষণটিও প্রথম হিসেবে ইতিহাসের অংশ হয়ে গেল। একই সাথে আপনারাও প্রথম প্রশিক্ষন গ্রহণকারী হিসেবে ইতিহাসের অংশীজন হলেন। আপনাদের অনুরোধ করবো যে, খুব গুরুত্ব আর মনোযোগ দিয়ে প্রশিক্ষণটি সম্পন্ন করবেন যেন পরবর্তীতে এই জ্ঞান আপনি কাজে লাগাতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সিএসইর এমডি সাইফুর রহমান বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অনেক আগ থেকেই কমোডিটি ডেরিভেটিবস এক্সচেঞ্জ রয়েছে। তারপরও এক্সচেঞ্জগুলো এবং প্রতিষ্ঠিত ব্রোকাররা নিয়মিত প্রশিক্ষনের আয়োজন করেন। এই প্রশিক্ষনগুলোর দুটি দিক আছে- প্রথমত, নতুন নতুন পরিবর্তনগুলো জানানো এবং দ্বিতীয়ত নতুন জেনারেশনকে প্রস্তুত করা। ইতোমধ্যে সিএসই কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের জন্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছে এবং সংশ্লিষ্ট রেগুলেশন অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে জমা দিয়েছে, যা খুব শিগগিরই অনুমোদন পাবে বলে আশা করছি।
সিএসইর এমডি বলেন, এখন গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো মার্কেট এবং মার্কেট সংশ্লিষ্ট অংশগ্রহণকারীদের উপযুক্তভাবে তৈরি করা। অর্থাৎ যারা এক্সচেঞ্জের সাথে যুক্ত হবেন তাদেরকে সঠিকভাবে প্রস্তুতের জন্য বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান এবং ট্রেনিংয়ের ধারাবাহিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখা। গত দুই বছর ধরে সে লক্ষ্যে সিএসই টিম সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরনের নিয়মিত কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, আজকে শুরু হতে যাচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষন, কারন এই প্রশিক্ষণ শেষে প্রতিটি অংশগ্রহণকারীদেরকে যে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে, যা তাকে পরবর্তীতে তার প্রতিষ্ঠানে এমনকি বাজার প্রস্তুতির প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। অর্থাৎ মার্কেট প্রস্তুতির কাজটি এতই ব্যাপক যে, সিএসইর একার পক্ষে সম্ভব না। বিনিয়োগকারী পর্যন্ত পৌঁছাত গেলে আপানরাই হবেন মধ্যজন যারা প্রথম প্রশিক্ষণগ্রহণকারী হিসেবে পরবর্তী জনকে প্রশিক্ষণ দিবেন। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়াতে আপানাদের স্বাগতম এবং আমরা আশা করছি সবার সার্বিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতায় খুব অল্প সময়ে একটি সুগঠিত কমোডিটি এক্সচেঞ্জ স্থাপনের কাজটি আমরা দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করতে পারবো।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সপ্তাহজুড়ে ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন ১০ কোম্পানির
বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ১০ কোম্পানির। ডিএসইর ব্লকে এই ১০ কোম্পানির মোট ৬৫ কোটি ৬১ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো- লাভেলো আইসক্রিমের, প্রাইম ব্যাংক, বেক্সিমকো, ব্যাংক এশিয়া, ওরিয়ন ইনফিউশন, বেক্সিমকো ফার্মা, সায়হাম কটন, আইসিবি সোনালী ওয়ান, রিলায়েন্স ওয়ান এবং প্রাইম ইন্স্যুরেন্স।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানিগুলোর মধ্যে ব্লকে লাভেলো আইসক্রিমের সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে ব্লকে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ২৭ লাখ ১০ হাজার টাকা। বিদায়ী সপ্তাহে কোম্পানিটির সর্বশেষ দর ছিল ৮৮ টাকা ৯০ পয়সা।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাইম ব্যাংকের ১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ বেক্সিমকোর ১০ কোটি ৫২ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহজুড়ে ব্লকে লেনদেন হওয়া অন্য ৭টি কোম্পানির মধ্যে- ব্যাংক এশিয়ার ১০ কোটি ৫২ লাখ ১০ হাজার টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৫ কোটি ৫১ লাখ ৩০ হাজার টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৪ কোটি ১৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সায়হাম কটনের ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, আইসিবি সোনালী ওয়ানের ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রিলায়েন্স ওয়ানের ১ কোটি ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ১ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ক্যাপিটাল গেইনের করহার কমাতে কাজ করছে বিএসইসি
ক্যাপিটাল গেইনের উপর আরোপিত কর হার হ্রাসের বিষয়ে সরকার এবং এনবিআরের সাথে কথা চলছে বলে জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। তিনি বলেন, বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়নে বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা চলছে।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিএসইসি ভবনে পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সংস্কারের জন্য বিএসইসি কাজ করছে। সকলের সাথে সমন্বয় করেই বাজারের জন্য ভালো কিছু করতে চাই। বিনিয়োগকারীদের কল্যাণের কথা ভেবে বিএসইসি বাজারে ক্যাপিটাল গেইনের উপর আরোপিত করহার কমানোর বিষয়ে সরকার এবং এনবিআরের সাথে কথা বলছে। এই বিষয়টির সমাধানে আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুতই এ বিষয়টিতে আমরা ভালো কিছু নিয়ে আসতে পারবো বলে আশা করছি।
তিনি জানান, পুঁজিবাজারের সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের উন্নয়নে বিএসইসি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে এবং বিএসইসির সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের আধুনিকায়নে বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা চলছে।
সভায় সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও কল্যাণের স্বার্থে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন পলিসি নিয়ে বিএসইসি, পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স, ডিএসই, সিএসই ও সিডিবিএলের মধ্যে আলোচনা হয়। এ সময় পুঁজিবাজারের বিদ্যমান কর নীতির প্রয়োজনীয় সংস্কার, পুঁজিবাজারের সার্ভেইল্যান্সের মান উন্নয়ন ও সার্ভেইল্যান্সের মাধ্যমে অনিয়মের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনয়নসহ সার্ভেইল্যান্স ব্যবস্থার সংস্কার এবং পুঁজিবাজারের বিদ্যামান শেয়ার লেনদেনের সেটেলমেন্ট সময়কে আরো দ্রুত করা ও বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের জন্য সুবিধাজনক করার বিষয়সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া পুঁজিবাজারের অনিয়ম রোধে এবং কারসাজিকারীদের শাস্তির আওতায় আনতে সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম আধুনিকায়ন বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় সভায় উপস্থিত সকলে বিএসইসির পাশাপাশি এক্সচেঞ্জসমূহের সার্ভেইল্যান্স সিস্টেমের উন্নয়ন এবং তাদের সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রমও জোরদার করা প্রয়োজন মর্মে মত দেন। পাশাপাশি বাজারে প্রাইস ম্যানুপুলেশন ও ইনসাইডার ট্রেডিংসহ অন্যান্য অনিয়ম রোধকল্পে বিএসইসি, ডিএসই, সিএসই সকলের সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সার্ভেইল্যান্স কার্যক্রম আরো শক্তিশালীকরণের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এছাড়াও পুঁজিবাজারকে আরো গতিশীল করতে ও বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ আগ্রহী করতে পুঁজিবাজারে বিদ্যামান কর নীতির সংস্কার আনয়ন এবং করহার যৌক্তিকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়।
সভার আলোচনায় পুঁজিবাজারের বিদ্যামান শেয়ার লেনদেনের সেটেলমেন্ট সময়কে আরো দ্রুত করা এবং বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের জন্য সুবিধাজনক করার জন্য কীভাবে কাজ করা যেতে পারে, করার প্রক্রিয়াসহ এর সুবিধা-অসুবিধা ও ফলাফল ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল, পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিসহ বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নিয়ে কমিটি করার সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান ছাড়াও বাকি তিন কমিশনার- মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর, ফারজানা লালারুখ; বিএসইসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ; পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্সের সকল সদস্যবৃন্দ এবং ডিএসই, সিএসই এবং ও সিডিবিএলের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
মুনাফায় ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা
বিদায়ী সপ্তাহে ((২৭ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক রিটার্নে দর বেড়েছে ১৭ খাতে। দর বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় রয়েছে। আলোচ্য সপ্তাহে দর কমেছে ২ খাতে। আর একটি খাতে দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচ্য সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি মুনাফা হয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড খাতে। এ খাতে বিদায়ী সপ্তাহে দর বেড়েছে ১০ দশমিক ১০ শতাংশ। ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ দর বেড়ে সাপ্তাহিক রিটার্ন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সাধারণ বিমা খাত। একই সময়ে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ দর বেড়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে সেবা খাত।
সাপ্তাহিক রিটার্নে অন্য দরবৃদ্ধি পাওয়া অন্যান্যে খাতের মধ্যে- প্রকৌশল খাতে ৫ দশমিক ৩০ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ৪ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৩ দশমিক ৪০ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ, সিমেন্ট খাত ও বিবিধ খাতে ২ দশমিক ২০ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ২ দশমিক ১০ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ১ দশমিক ৯০ শতাংশ, ট্যানারি খাতে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ, পাট খাতে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ এবং কাগজ ও প্রকাশনা খাতে ১ শতাংশ দর বেড়েছে।
সাপ্তাহিক রিটার্নে দর কমেছে দুই খাতে। এর মধ্যে ব্যাংক খাতে ০ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সিরামিক খাতে ০ দশমিক ১০ শতাংশ দর কমেছে।
এছাড়া, আইটি খাতে দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ব্যাংক খাত
বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ব্যাংক খাত। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে এই খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ।
ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, খাতভিত্তিক লেনদেনের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফার্মা খাতে লেনদেন হয়েছে ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর বস্ত্র খাতে ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ লেনদেন করে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
খাতভিত্তিক লেনদেনর তালিকায় থাকা অন্য খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য খাতে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ৭ শতাংশ, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিবিধ খাতে ৪ দশমিক ২০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ৪ শতাংশ, সাধারণ বিমা খাত ও বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সমান ৩ দশমিক ৯০ শতাংশ, যোগাযোগ খাতে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ, ভ্রমন খাতের ০৩ শতাংশ, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২ দশমিক ৪০ শতাংশ, জীবন বিমা খাতে ২ শতাংশ, সেবা খাতে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ, পেপার খাতে ১ দশমিক ৩০ শতাংশ, সিমেন্ট খাত ও সিরামিকস খাতে সমান ০ দশমিক ৯০ শতাংশ, পাট খাতে ০ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং ট্যানারি খাতে সমান ০ দশমিক ৫০ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
এসএম