রাজনীতি
আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের

দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে।
আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় পার্টি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমরা মরতে এসেছি, আমরা মরতে চাই, কত মারবে তোমরা আমরা দেখতে চাই।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ‘জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, আল্লাহ আমাদের প্রটেকশন দিচ্ছেন বলে এখনো বেঁচে আছি, অন্য কারও প্রটেকশনে নয়। বিচারের জন্য যদি আল্লাহর সাহায্যের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাহলে দেশ কীভাবে চলবে। আমরা একদিনের ডেমোক্রেসি চাই না। সব সময়ের ডেমোক্রেসি চাই। আমরা চাই সরকার হবে- ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’।
তিনি বলেন, আমরা দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, সবসময় থাকবো। আমার পরবর্তী প্রজন্ম এলেও জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে থাকবে এবং একইভাবে এগিয়ে যাবে। আমাদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দুই তারিখের কর্মসূচি চলবে। আমাদের কর্মসূচি ও আন্দোলন সবই চলবে নিয়মতান্ত্রিক এবং অহিংসভাবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশটা এখন ভালো অবস্থায় নেই। শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বিভক্তি করেছিলেন এখন একইভাবে বিভক্তি করা হচ্ছে। এখন হাজার হাজার মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উনারা যা বলে তা-ই সঠিক, বাকি সবাই ভুল। উনারা এখন বিচারকার্যেও গিয়ে বাধা দেয়। উনাদের ইচ্ছা হলো আমাদের অফিস ভেঙে দিয়ে গেল। কারও যদি ভুল হয় সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক উপায় আছে, তাই বলে তাকে ধ্বংস করে দেবেন, এটা কেমন হবে।
জিএম কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা সবসময় সমর্থন জানিয়েছি। তাদের পক্ষে সে সময় অনেক কথা বলেছি, বিবৃতি দিয়েছি। যে কারণে আমার অনেক ক্ষতিও হতে পারতো। কিন্তু এসব কিছুর পরোয়া আমরা করিনি। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
‘আমি এখন বলছি, জাতীয় পার্টি একটি জনগণের রাজনৈতিক দল। হয়তো সারাদেশে আমাদের অবস্থান কিছুটা কম আছে, তবুও আমরা টিকে আছি। চাপে গর্তে ঢুকে গেলেও বারবার জাতীয় পার্টি উঠে দাঁড়ায়, এটাই অনেকের সহ্য হয় না। যে কারণে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। জাতীয় পার্টি সবসময় জনবান্ধব দল ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে।’
তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবকে যতই অপবাদ দেওয়া হোক না কেন জনগণ তার পাশে ছিল। অনেকে বলে এরশাদ সাহেবকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নামানো হয়েছে, এটা একদমই ভুল কথা। উনি জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছেন। তবে একানব্বই থেকে উনার (এরশাদ) এবং জাতীয় পার্টির ওপর নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
জিএম কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো সময় দলীয়করণ করেনি। জাতীয় পার্টি সবসময় বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে একটি গোষ্ঠী জাতীয় পার্টির নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, সবাই বলে আমরা নাকি আওয়ামী লীগের দোসর। কিন্তু কীভাবে দোসর হলাম। আমরা শেখ হাসিনার কোনো ধরনের জনবিরোধী কাজের সঙ্গে ছিলাম না। আমরা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের জনবিরোধী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আওয়ামী লীগের দলীয়করণের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলেন ১৫ বছর অবৈধ শাসনামল ছিল। তবে আমরা বলি সেটি ছিল ১০ বছর, ২০১৪-২০২৪ পর্যন্ত সরকারকে আমরা অবৈধ শাসনামল হিসেবে দেখছি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত শাসন আমলকে অবৈধ বলা ঠিক নয়, তবে খারাপ শাসনামল বলতে পারেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সব দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তখন কি সব দল শেখ হাসিনার সরকারকে বৈধতা দেয়নি। এটা কি একা জাতীয় পার্টি দিয়েছিল।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, যখন নির্বাচনে যেতে চাই না, তখন জোর করা হয়। কিন্তু যখন যেতে চাই, তখন বাধা আসে। জাতীয় পার্টি একটি রাজনৈতিক দল, আমাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার, যে কোনো দলের সঙ্গে আমরা যেতে পারি।
কাফি

রাজনীতি
দেশের পচা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে: জামায়াত আমীর

জামায়াত ক্ষমতায় গেলে প্রথমে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনবে জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের পচা শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে। এই শিক্ষা নৈতিক চরিত্রের অধিকারী বানায় না। শিক্ষা অর্জনের পর ফাইল নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে চাকরি পাওয়া যায় না। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে প্রথমে শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হবে। শিক্ষা অর্জন করার পর নিজেই চাকরি করবে চয়েজ করে। শিক্ষা অর্জন করে একজন লোকও বেকার থাকবে না।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পূর্ণমীলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।
এসময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, প্রবাসীদের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। তাদেরকে রেমিট্যান্স যোদ্ধা বলবেন, আর নাগরিকত্বের প্রথম অধিকার ভোট দিতে দেবেন না এটা হবে না। আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সেই ভোট তারা স্বচ্ছভাবে এবং স্বাচ্ছন্দ্যভাবে দিতে পারে দেশে কিংবা বিদেশে থেকে।
তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর যারা জাতির ওপর জুলুম করলো এখনও তারা তা অব্যাহত রেখেছে। মাঝেমধ্যে তারা মাথা উঁচু করে, বিভিন্ন কথা বার্তা বলে, তছনছ করে দাও এসব বলে। এগুলোর মাধ্যমে জাতিকে অস্থির করতে চায়, আড়াই বছরের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত খুন করলো, এতোকিছুর পর তারা অনুশোচনা করে না, জাতির কাছে মাফ চাইবে না, যা করেছে জাতির কাছে দিবালোকের মতো স্পষ্ট তার পরও লজ্জিত হয়নি, এগুলোর জন্য তাদের অনুতপ্ত হওয়া উচিত। সেইগুলো না করে তারা জাতিকে অস্থির করতে চায়।
তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে বলেন, আমরা সেনাবাহিনীকে জনগণের সাথে দেখতে চাই। কোনো দলের সাথে দেখতে চাই না। সেনাবাহিনী কোনো দলের নয়। সেনাবাহিনী কোনো দলের বিপক্ষেও নয়। সেনাবাহিনী দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রহরী। সেনাবাহিনী আমাদের অহংকার।
জামায়াত আমীর যুবকদের উদ্দেশ্য বলেন, আমি যুবকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই তোমাদের নেতৃত্বের হাত ধরে বাংলাদেশ পরিবর্তন হয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর জালিমের যাতাকলে অতিষ্ট হয়েছি, প্রতিবাদ করেছি, আন্দোলন করেছি, ফ্যাসিবাদীদের আমরা বিদায় করতে পারি নাই। আমরা একটা বিশৃঙ্খল বাংলাদেশ দেখতে চাই না, মানবিক বাংলাদেশ দেখে যেতে চাই। আগামী দিনে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে তোমরাই ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর তোমরা ভোট দিতে পারো নাই। এখনও যাদের বয়স হয় নাই। কিন্তু ভোটের আগে যাদের বয়স হয়ে যাবে। সরকারের কাছে অনুরোধ এই যুবকরাই লড়াই করে অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। যাদের বয়স নির্বাচনের সিডিউলের আগে ১৮ বছর হয়ে যাবে তাদের ভোটাধিকার অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এবারের ভোটে কোনো কালো শক্তি তাদের হাত দিতে আসে তাহলে জুলাইতে যেভাবে কালো শক্তিদের বিতাড়িত করা হয়েছে সেইভাবে এখনও মোকাবিলা করবে। এবারের ভোটের লড়াই যুবকদের নেতৃত্বে হবে।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আমীর বলেন, আমরা প্রধান উপদেষ্টার কথায় আস্থা রাখতে চাই। তিনি ইতিমধ্যে বলেছেন এপ্রিলের মধ্যখানে নির্বাচন দেবেন। তিনি যেন জাতিকে দেওয়া তার কথা রক্ষা করেন। আমরা বলেছিলাম নির্বাচন রমজানের আগে হলে ভালো হয়। একান্ত কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে সেটি অবশ্যই এপ্রিল মাস অতিক্রম করা উচিত নয়। এই নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয়, জনগণ যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।
বড়লেখা উপজেলা জামায়াতের আমীর এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আব্দুল বাছিতের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি ইয়ামীর আলী, মৌলভীবাজার-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ঢাকা পল্টন থানা আমীর শাহিন আহমদ খান, ড. আনোয়ারুল ওয়াদুদ টিপু, সিলেট মহানগর শিবিরের সভাপতি শরীফ মাহমুদ, মৌলভীবাজার শহর শিবিরের সভাপতি তারেক আজিজ, জেলা সভাপতি নিজাম উদ্দিন।
রাজনীতি
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী মারা গেছেন

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর স্ত্রী নাসরিন সিদ্দিকী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। নাসরিন সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শনিবার (৭ জুন) দিনগত রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নাসরিন সিদ্দিকী। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নাসরিন সিদ্দিকীর জানাজা, দাফন ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলে দলীয় পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
রাজনীতি
আগে জুলাই সনদ, পরে নির্বাচন: হাসনাত

প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিলে যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছেন, তা ইতিবাচক। তবে, তার আগে জুলাই সনদ এবং ঘোষণাপত্র অবশ্যই দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (৭ জুন) সকালে নিজ এলাকা কুমিল্লার দেবিদ্বারে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, লেবেল প্লেইন ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
জানা গেছে, জুলাই শহীদ পরিবারের জন্য তিনটি গরু কোরবানি করেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। পরে বৃষ্টির মধ্যে শহীদ রুবেল ও সাব্বিরের পরিবারের জন্য তিনি কোরবানির মাংস নিয়ে যান। এ সময় শহীদ পরিবারের খোঁজ খবর নেন তিনি।
এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ভাষণে তিনি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণাসহ নানান বিষয় তুলে ধরেন।
তার ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রাজনীতি
কমলাপুরে আজও ঘরমুখো মানুষের ভিড়

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে কমলাপুর রেলস্টেশনে আজও ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। মানুষের আনাগোনায় স্টেশন এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। এ ছাড়া সকাল থেকে ছেড়ে যাওয়া কোনো ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়নি।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত দু-তিনদিনের তুলনায় কমলাপুর রেলস্টেশনে যাত্রীদের উপস্থিতি কিছুটা কম। অনেকেই স্টেশনে প্রবেশের জন্য বাঁশের তৈরি ব্যারিকেড লাইন দাঁড়িয়ে আছেন। যাত্রীরা টিকিট প্রদর্শন না করে প্রথম ধাপ পার হতে পারছেন না।
এরপর করা হচ্ছে দ্বিতীয় ধাপে আবারও টিকিট যাচাই। সবশেষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশে টিকিট প্রদর্শন করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে আমরা প্রস্তুত। ঈদযাত্রা এখন পর্যন্ত স্বস্তির। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেন শিডিউল বিপর্যয় নেই।
কাফি
রাজনীতি
দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালানে ফখরুল

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো দেশবাসীর প্রতি দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি। মোবারকবাদ জানিয়ে তিনি বলেছেন, আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলিমকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানাই। কামনা করি তাদের অবিরাম সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, পরম ত্যাগের নির্দেশনা স্বরূপ কোরবানি বা ঈদুল আজহা পালন করা হয় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। ঈদুল আজহার তাৎপর্য হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা। সেজন্য বিশ্ব মুসলিম ঈদুল আজহার উৎসবে মিলিত হয়। মনের অশুভ অন্ধকার দূর করে সহজ-সরল-অনাড়ম্বর জীবনযাপনের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনের মূল শিক্ষার উৎসই হচ্ছে পশু কোরবানি।
তিনি কোরবানির শিক্ষা স্মরণ করিয়ে বলেন, কোরবানির মহিমান্বিত শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা এবং মানবকল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করাই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।
বিগত দেড় দশকের রাজনৈতিক বাস্তবতা প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন,দানবীয় দুঃশাসনের জাঁতাকল থেকে জনগণ খানিকটা স্বস্তি পেলেও চূড়ান্ত মুক্তি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদেরকে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। নানা ধরনের কুটিল চক্রান্তের আশ্রয় নিয়ে মহল বিশেষ কৌশলে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে, এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
ঈদুল আজহার ইতিহাস ও আত্মত্যাগের চেতনাকে সামনে টেনে তিনি বলেন,আত্মত্যাগের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তায়ালার কোরবানির বিধান মানবজাতির সৃষ্টিলগ্ন থেকেই কার্যকর হয়ে এসেছে। স্রষ্টার প্রতি নিঃস্বার্থ আত্মনিবেদন ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রতিবছর পশু কোরবানি দেয়, এর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাকের প্রতি নিবেদিত বান্দা হওয়ার প্রেরণা পায়।
ঈদের সামাজিক তাৎপর্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, কোরবানির ঈদ বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। প্রতিটি উৎসবই ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানুষের চিত্তবৃত্তি ও ঔদার্য প্রসারিত করে। উৎসব মানবজাতিকে সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করে। সামাজিক অন্ধকারের গহন থেকে মানবিক আলোর ভূমিতে সমবেত করে।
সবশেষে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান, ত্যাগের মহিমায় সব স্বার্থপরতা পরিহার করে মানবকল্যাণ এবং সমাজে শান্তি, ন্যায়, সুবিচার ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। আসুন, আমরা অঙ্গীকার করি— কায়েমি স্বার্থকে এড়িয়ে ঈদুল আজহার এ আনন্দ, ত্যাগ ও উৎসবের দিনে অসহায়-নিরন্ন মানুষের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।
বিএনপি মহাসচিবের প্রার্থনা, ঈদুল আজহা সবার জীবনকে করে তুলুক আনন্দময়, মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে আমি এ প্রার্থনা জানাই।