রাজনীতি
আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে: জিএম কাদের

দলীয় কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, আমরা মরতে চাই, দেখি কত লোক মারতে পারে।
আগামীকাল শনিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় পার্টি পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ করবে বলেও জানান তিনি। জি এম কাদের বলেন, আমরা মরতে এসেছি, আমরা মরতে চাই, কত মারবে তোমরা আমরা দেখতে চাই।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ‘জাতীয় পার্টির অফিসে হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জিএম কাদের আরও বলেন, আল্লাহ আমাদের প্রটেকশন দিচ্ছেন বলে এখনো বেঁচে আছি, অন্য কারও প্রটেকশনে নয়। বিচারের জন্য যদি আল্লাহর সাহায্যের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তাহলে দেশ কীভাবে চলবে। আমরা একদিনের ডেমোক্রেসি চাই না। সব সময়ের ডেমোক্রেসি চাই। আমরা চাই সরকার হবে- ‘অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’।
তিনি বলেন, আমরা দেশের জনগণের পাশে ছিলাম, সবসময় থাকবো। আমার পরবর্তী প্রজন্ম এলেও জাতীয় পার্টি জনগণের পাশে থাকবে এবং একইভাবে এগিয়ে যাবে। আমাদের ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের দুই তারিখের কর্মসূচি চলবে। আমাদের কর্মসূচি ও আন্দোলন সবই চলবে নিয়মতান্ত্রিক এবং অহিংসভাবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশটা এখন ভালো অবস্থায় নেই। শেখ হাসিনা দেশটাকে যেভাবে বিভক্তি করেছিলেন এখন একইভাবে বিভক্তি করা হচ্ছে। এখন হাজার হাজার মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, উনারা যা বলে তা-ই সঠিক, বাকি সবাই ভুল। উনারা এখন বিচারকার্যেও গিয়ে বাধা দেয়। উনাদের ইচ্ছা হলো আমাদের অফিস ভেঙে দিয়ে গেল। কারও যদি ভুল হয় সেখানে ব্যবস্থা নেওয়ার অনেক উপায় আছে, তাই বলে তাকে ধ্বংস করে দেবেন, এটা কেমন হবে।
জিএম কাদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমরা সবসময় সমর্থন জানিয়েছি। তাদের পক্ষে সে সময় অনেক কথা বলেছি, বিবৃতি দিয়েছি। যে কারণে আমার অনেক ক্ষতিও হতে পারতো। কিন্তু এসব কিছুর পরোয়া আমরা করিনি। তারপরও আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায় অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
‘আমি এখন বলছি, জাতীয় পার্টি একটি জনগণের রাজনৈতিক দল। হয়তো সারাদেশে আমাদের অবস্থান কিছুটা কম আছে, তবুও আমরা টিকে আছি। চাপে গর্তে ঢুকে গেলেও বারবার জাতীয় পার্টি উঠে দাঁড়ায়, এটাই অনেকের সহ্য হয় না। যে কারণে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়। জাতীয় পার্টি সবসময় জনবান্ধব দল ছিল, এখনো আছে এবং আগামীতেও থাকবে।’
তিনি বলেন, এরশাদ সাহেবকে যতই অপবাদ দেওয়া হোক না কেন জনগণ তার পাশে ছিল। অনেকে বলে এরশাদ সাহেবকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে নামানো হয়েছে, এটা একদমই ভুল কথা। উনি জনগণের ইচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়েছেন। তবে একানব্বই থেকে উনার (এরশাদ) এবং জাতীয় পার্টির ওপর নানা ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
জিএম কাদের আরও বলেন, জাতীয় পার্টি কোনো সময় দলীয়করণ করেনি। জাতীয় পার্টি সবসময় বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছে। তবে একটি গোষ্ঠী জাতীয় পার্টির নামে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে নানা রকমের ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, সবাই বলে আমরা নাকি আওয়ামী লীগের দোসর। কিন্তু কীভাবে দোসর হলাম। আমরা শেখ হাসিনার কোনো ধরনের জনবিরোধী কাজের সঙ্গে ছিলাম না। আমরা বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের জনবিরোধী ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। আওয়ামী লীগের দলীয়করণের বিরুদ্ধে আমরা সোচ্চার ছিলাম।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, অনেকে বলেন ১৫ বছর অবৈধ শাসনামল ছিল। তবে আমরা বলি সেটি ছিল ১০ বছর, ২০১৪-২০২৪ পর্যন্ত সরকারকে আমরা অবৈধ শাসনামল হিসেবে দেখছি। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত শাসন আমলকে অবৈধ বলা ঠিক নয়, তবে খারাপ শাসনামল বলতে পারেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সব দল শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তখন কি সব দল শেখ হাসিনার সরকারকে বৈধতা দেয়নি। এটা কি একা জাতীয় পার্টি দিয়েছিল।
জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, যখন নির্বাচনে যেতে চাই না, তখন জোর করা হয়। কিন্তু যখন যেতে চাই, তখন বাধা আসে। জাতীয় পার্টি একটি রাজনৈতিক দল, আমাদের অধিকার আছে রাজনীতি করার, যে কোনো দলের সঙ্গে আমরা যেতে পারি।
কাফি

রাজনীতি
ইসলামবিদ্বেষী হওয়ার কারণেই হাসিনার পতন হয়েছে: রাশেদ খান

ইসলামবিদ্বেষী হওয়ার কারণেই শেখ হাসিনার পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে শায়খুল হাদিস পরিষদ আয়োজিত জাতীয় কনফারেন্সে তিনি এ কথা বলেন।
গণঅধিকার পরিষদের ওই নেতা বলেন, এদেশে কেউ কখনো ইসলামের বিরুদ্ধে ও বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করতে পারেনি। আগামীতে পারবে না।
হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের দল গণঅধিকার পরিষদ ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাস করে। দেশে আমরা রাজনীতি করছি, আপনাদের মতো আমরা ইসলামিক দল নই, কিন্তু আমরা যারা মধ্যপন্থা অবলম্বন করি, আমরা কেউ ইসলামের বিরুদ্ধে নই। ইসলামিক মূল্যবোধকে ধারন করে বাংলাদেশের যে গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা, সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বড় একটি রাজনৈতিক শক্তি বললে আমার কাছে মনে হয় ভুল হবে না। আপনারা বলেন যে আপনারা অরাজনৈতিক, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতি অনেকটা আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন। যেটি আতাউল্লাহ ভাই বললেন যে হেফাজতে ইসলাম এবং আপনারা, আপনারা একটি অরাজনৈতিক শক্তি। কিন্তু বাংলাদেশে যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, যারাই রাজনীতি করুক না কেন, হেফাজতে ইসলামকে বাদ রেখে বাংলাদেশে রাজনীতি করা যাবে না।
সরকারের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, কতজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছে, কতজন আহত হয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করুন। শাপলা চত্বরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ যে গণহত্যা চালিয়েছিল, সেই গণহত্যার বিচার কিন্তু আজ কতজন শহীদ হয়েছে সেই তালিকা এখনো পর্যন্ত তৈরি করা হয়নি। সুতরাং যারা এই আলেম সমাজকে বিভিন্ন সময় আক্রান্ত করেছে, রক্তাক্ত করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনুন। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের, আলেম সমাজকে দূরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গঠন করা যাবে না। আমরা নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন দেখছি।
রাজনীতি
ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনরায় আনতে হবে: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দলের নাম ব্যবহার করে কেউ যেন ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে এবং দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগগুলো নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “এসব সংস্কার বা দেশ কিভাবে চলবে, তার সব প্রস্তাবনা বিএনপি ৩১ দফা কর্মসূচিতে অনেক আগেই দিয়ে রেখেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবনাগুলোর ৯৫ ভাগই আমাদের দলের ৩১ দফায় রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার বিদায় নিয়েছে, এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়। জনগণের রাজনৈতিক, ভোটের, বেঁচে থাকার, কর্মসংস্থান, নারী, শিক্ষা-চিকিৎসা, এবং কৃষক ও শ্রমিকের অধিকার নিশ্চিত করতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
আগামী নির্বাচনে নেতাকর্মীদের করণীয় প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে ৩১ দফার ভিত্তিতে আমাদের জনরায় নিয়ে আসতে হবে। এ জন্য ধানের শীষের প্রতিটি কর্মী এবং জাতীয়তাবাদের প্রতিটি সমর্থককে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই মহান সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”
তিনি নেতাকর্মীদের সতর্ক করে বলেন, “স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও অদৃশ্য অপশক্তি মাঝে মাঝে মাথা তুলছে। আমরা যদি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ইস্পাতের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, জনগণের কাছে যেতে পারি, তাহলেই নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে সফল জনরায় আনতে পারব।”
তিনি আরও বলেন, সবাই যেন সচেতন থাকে এবং দলের নামে কেউ কোনো বিভ্রান্তি না ছড়ায়। জনগণের পাশে থেকে জনসেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
বক্তব্যের শেষে তিনি দুটি বিষয়ে নেতাকর্মীদের শপথ নিতে বলেন:
১. দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ থাকা।
২. দলের নামে কেউ যেন ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে না পারে।
এ সময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হাত তুলে তার প্রতিজ্ঞাকে সমর্থন জানান।
দীর্ঘ ৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্মেলন উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং আরও অনেক কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতা। এই সম্মেলনে ১৩টি উপজেলা ও ৮টি পৌরসভার মোট ২ হাজার ৯০ জন কাউন্সিলর নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দেবেন।
রাজনীতি
জামায়াত ক্ষমতায় এলে নারী উদ্যোক্তাদের বিশেষ ঋণ দেওয়া হবে: ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, তার দল ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করতে বিশেষ ঋণ সহায়তা প্রদান করা হবে। তিনি মনে করেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ‘উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বেকারত্ব বৃদ্ধির কারণে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়ে। এ সমস্যা সমাধানে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি অভিযোগ করেন যে অতীতের সরকারগুলো জনগণের উন্নয়নে মনোযোগী না হয়ে নিজেদের দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে। তিনি বলেন, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শোষকদের চেয়েও বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীগুলো দুর্নীতিতে এগিয়ে ছিল।
তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠার পর থেকে শোষণের বিরুদ্ধে আপোসহীন সংগ্রাম করে আসছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা কোনো পরাশক্তির কাছে মাথানত করবে না এবং প্রয়োজনে আরও জীবন দিতে প্রস্তুত।
ড. হেলাল উদ্দিন তার নির্বাচনী এলাকা ঢাকা-৮ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই এলাকাকে নতুন বাংলাদেশের মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি শাহবাগ, রমনা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে পর্যটন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করার প্রতিশ্রুতি দেন।
যানজট নিরসনের বিষয়ে তিনি বলেন, হকারদের উচ্ছেদ করে কর্মহীন করা হবে না। বরং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করে হকারদের ব্যবসার সুযোগ দেওয়া হবে, যার ফলে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি যানজটও কমবে। তিনি আশ্বাস দেন যে জামায়াত ক্ষমতায় গেলে ফুটপাতের দোকানদার থেকে শুরু করে বড় ব্যবসায়ীকেও কোনো প্রকার চাঁদা দিতে হবে না। তিনি ঢাকা-৮ আসনের জনগণের কাছে তার দলকে সমর্থন করার আহ্বান জানান।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
রাজনীতি
জাতির ওপর জবরদস্তি করা ঠিক নয়: সালাহউদ্দিন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, কোনো দল চাইলে নিজের অবস্থান থেকে দাবি জানাতে পারে, তবে তা পুরো জাতির ওপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া উচিত নয়। আমরা যেন কেউ কারও ওপর জবরদস্তি না করি। যে পরিবর্তন আমরা চাই, তা একদিনে সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে, ধাপের পর ধাপ এগোতে হবে। আসুন, আমরা কোনো নতুন সংকট তৈরি না করে ঐক্য ধরে রাখি।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা’ আয়োজিত তৃতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, গতকাল দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হয়েছে। আজকের পত্রিকায় দেখলাম, কোথাও বলা হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী সরকার গঠন করবে, আর বিএনপি হবে বিরোধী দল! তাহলে কি জনগণের রায় ছাড়াই এসব ঠিক করে ফেলা হচ্ছে? আপনারা যদি এতটাই আত্মবিশ্বাসী হন যে সরকার গঠন করবেনই, তাহলে নির্বাচনে আসেন না কেন? আজ একটা অজুহাত, কাল আরেকটা— এইভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য সবাই বুঝে গেছে।
তিনি সব রাজনৈতিক দল এবং জনগণের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আসুন, আমরা সংকট নয়, ঐক্য তৈরি করি। ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে আরও দৃঢ় করি এবং এটিকে শক্তিতে রূপান্তরিত করি। গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা থাকলে তবেই আমরা সফল হতে পারব।
আলোচনার টেবিলে মতৈক্য না হলে প্রচলিত বিধি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে যেন কেউ কারও ওপর চাপিয়ে না দেয় কিছু। পরিবর্তন সময়সাপেক্ষ বিষয়। একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা থেকে ধাপে ধাপে বের হয়ে এসে আজ যে অবস্থানে পৌঁছেছি, ইনশাআল্লাহ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে আমরা একটি শক্তিশালী, বৈষম্যহীন, সাম্য ও ন্যায়বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারব। এটি শহীদদের স্বপ্ন ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পথ।
সরকারে ছাত্র প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সালাহউদ্দিন বলেন, ছাত্রদের সরকারের দায়িত্বে থাকা উচিত হয়নি। তারা চাইলে জাতির প্রেশার গ্রুপ হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারত। কিন্তু সরকারে যাওয়ার পর প্রতিনিয়ত তাদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল বলে আমি মনে করি।
রাজনীতি
ঐক্যের মাধ্যমে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের পতাকাকে আমরা উড্ডীয়মান রাখব তারেক রহমানের নেতৃত্বে। এখন থেকেই ঐক্যের মাধ্যমে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, আমাদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে আগামী নির্বাচনের দিকে। এই সম্মেলনে একটি সুন্দর নেতৃত্ব আসবে, সেই নেতৃত্বের মাধ্যমে আমরা আগামী নির্বাচনে ঘরে ঘরে যাব। এটা তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরামর্শ দিয়েছেন, আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে প্রত্যেক ঘরে যেতে হবে। জেনারেশনের কাছে পৌঁছতে হবে। বিশেষ করে আমাদের মা-বোন যারা বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ত্যাগ স্বীকার করেছে, সম্মেলনের কাউন্সিলর, ডেলিগেটসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের নেতৃত্বে আমরা এই দলকে একত্রিত করব, একত্রিত রাখব।
তিনি আরও বলেন, আজকে সবাই একমঞ্চে। আমরা একমঞ্চে মিলিত হয়েছি। রামগঞ্জে আমরা ঐক্যের বন্ধন তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। এখানে কোনো পক্ষ-বিপক্ষ নেই। কোনো মতভেদ নাই। সুদৃঢ় ঐক্যের জায়গায় জেলা বিএনপির নেতৃত্বে রামগঞ্জ পৌর ও উপজেলা বিএনপি এবং সব অঙ্গসংগঠনের নেতারা আজ আমরা এক ছায়াতলে। একটা ছাতার নিচে, একটি মঞ্চে প্রধান অতিথির উপস্থিতিতে এক এবং ঐক্যবদ্ধভাবে একত্রিত হয়েছি।
রামগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মজুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী।
রামগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক শেখ কামরুল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম ও প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাছিবুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি ইমাম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশীদ হারু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী প্রমুখ।