রাজনীতি
রাজধানীতে ৮ নভেম্বর বিএনপির শোভাযাত্রা
রাজধানীতে আগামী ৮ নভেম্বর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করবে বিএনপি। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ওই দিন বিকেল ৩টায় তারা এ শোভাযাত্রা করবে। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ ও জেলা ছাড়াও ঢাকা বিভাগের সব জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এক যৌথ সভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
যৌথসভা শেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ৭ নভেম্বরের গুরুত্বকে তুলে নিয়ে আসতে আমরা এবার দিবসটি ব্যাপকভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ৬ নভেম্বর ঢাকায় আলোচনা সভা করা হবে। পরদিন ৭ নভেম্বর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এ ছাড়া ওইদিন স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারত করা হবে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ৭ তারিখ বৃহস্পতিবার ও সপ্তাহের শেষ দিনে শোভাযাত্রা করলে সড়কে যানজট তৈরি হতে পারে এই আশংকায় একদিন পিছিয়ে ৮ নভেম্বরে শোভাযাত্রার আয়োজন রাখা হয়েছে। ওইদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করা হবে। এ ছাড়া সব বিভাগীয় শহরগুলোতে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে।
মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই যৌথ সভায় লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আফরোজা খান রীতা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, মীর সরাফত আলী সপু, আমিনুল হক, মাহবুবুল হক নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়, সতর্ক থাকতে হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা একটা জটিল সময় পার করছি। যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়নি। চক্রান্ত শেষ হয়নি। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ফ্যাসিস্টরা এখনো সক্রিয়। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন করে পুরো কাঠামোর পরিবর্তন করা যায় না। সেটার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়।
আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকার সময়ের সদ্ব্যবহার করবে বলে আশা করি। অন্যান্য বিষয়ের দিকে না গিয়ে নজরটা ওই দিকে দেবেন, ইলেকশন (নির্বাচন)— এটার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে হলে, জাতি হিসেবে টিকে থাকতে হলে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হলে এখানে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সবার অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ একটা নির্বাচন করতে হবে। সেই কারণেই কিন্তু এতগুলো প্রাণ গেছে, এত মানুষ দীর্ঘকাল ধরে লড়াই করেছে, সংগ্রাম করেছে, কারাগারে গেছে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করার লক্ষ্যে গঠিত সার্চ কমিটি দ্রুতই কমিশন গঠন করবে এবং সেই কমিশন দ্রুততার সঙ্গেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব।
সদ্য পদত্যাগী প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিন মাসে যদি হাবিবুল আউয়াল সাহেবরা নির্বাচন করে ফেলতে পারেন, তাহলে কেন পারা যাবে না। চাইলেই পারা যাবে, সে চেষ্টা করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই সরকারের অন্য কোনো রকম রাজনৈতিক এজেন্ডা নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি (ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস) এমন একজন ব্যক্তি, যিনি সারা পৃথিবীতে সমাদৃত এবং তিনি কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) করেছেন যে তার কোনো রকমের রাজনৈতিক ইচ্ছা নেই। দেশের মানুষ আপনাকে খুবই ভালোবাসে। আপনাকে সম্মান দিয়েছে, দেবে এবং দিতে চায়। একটাই অনুরোধ থাকবে, আপনার এই জায়গা যাতে নষ্ট না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার মামলায় সারা দেশের ৬০ লাখ মানুষকে আসামি করার হয়েছে। এখানে এমন লোক খুব আছে, যারা কারাগারে যায়নি, এমন লোক কম আছে, যারা মামলা খায়নি। ফাঁসি থেকে শুরু করে হত্যা, গুম, খুন সবকিছু এই দেশে আওয়ামী লীগ করেছে। সেখানে রাতারাতি আমরা সব পরিবর্তন করে ফেলতে পারব না, একটা সময় দিতে হবে, ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা আশা করব, অতি দ্রুত এবং তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) অবশ্যই চেষ্টা করছে। আমরা যারা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম, ছাত্রনেতারা সবাই মিলেই এই সরকার গঠন করেছি। আমরা আশা করছি, সরকার একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে। যে নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেননি অতীতে। সেই ভোট দিয়ে তারা নতুন সংসদ তৈরি করবেন। এটা আমাদের প্রত্যাশা এবং এটাই জনগণ চান।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে হাসনাত-সারজিসের রিট
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম রিট দায়ের করেছেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করা হয়।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
এর আগে বুধবার রাতে (২৩ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই তাদের দাবি পূরণ করে অন্তর্বর্তী সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-২ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে বিশেষ করিয়া বিগত ১৫ বৎসরের স্বৈরাচারী শাসনামলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হত্যা, নির্যাতন, গণরুম কেন্দ্রিক নিপীড়ন, ছাত্রাবাসে সিট বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নসহ নানাবিধ জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল এবং এতৎ সম্পর্কিত প্রামাণ্য তথ্য দেশের সব প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হইয়াছে এবং কিছু সন্ত্রাসী ঘটনায় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের অপরাধ আদালতেও প্রমাণিত হইয়াছে; এবং যেহেতু ১৫ জুলাই ২০২৪ তারিখ হইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগণকে উন্মত্ত ও বেপরোয়া সশস্ত্র আক্রমণ করিয়া শত শত নিরপরাধ শিক্ষার্থী ও ব্যক্তিদের হত্যা করিয়াছে এবং আরও অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করিয়াছে; এবং যেহেতু সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রহিয়াছে যে, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক, ধ্বংসাত্মক ও উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যের সহিত জড়িত রহিয়াছে; সেহেতু সরকার ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা-১৮ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ নামীয় ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্তা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল।’
এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ঢাবিতে সাদ্দামসহ ছাত্রলীগের ২২০ জনের নামে মামলা
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২২০ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। রোববার (২৬ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমম্বয়ক আরমান হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি ও সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু, ঢাকা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদের নাম প্রথমদিকে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলা পরবর্তী শাহবাগ থানায় একটি সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় সমম্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, গত ২১ তারিখে আমরা একটি মামলা করেছিলাম, সেখানে যারা বাদ পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে এবং যারা আন্দোলনের মূল উসকানিদাতা তাদের অন্তর্ভুক্ত করে ২২০ জনের নামে আমরা আরেকটি একটি মামলা দায়ের করেছি শাহবাগ থানায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমান হোসেন মামলাটি দায়ের করেছেন।
তিনি বলেন, আইনগত পদক্ষেপের ক্ষেত্রে আপনারা সবাই এগিয়ে আসবেন। আপনারা যে যেভাবে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মামলা দিন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আব্দুল কাদের জানিয়েছেন, ১৫ জুলাইয়ের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় তৎকালীন প্রশাসনের বিরুদ্ধেও মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মামলার বাদী আরমান হোসেন বলেন, গত ১৫ জুলাই শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ নির্মম হামলা এবং আঘাত করেছে, এটা সবাই প্রত্যক্ষ করেছেন। গত ২১ তারিখে একটি মামলা হয়েছে, সেখানে কিছু আসামি বাদ পড়ে, কিছু মূল হোতা বাদ পড়ে। এ ছাড়া প্রত্যেক হলে হলে যারা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধা দিয়েছে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহারে ১৯৮ থেকে ২২০ নম্বরে উল্লিখিতদের বাধাদানকারী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ গ্রেপ্তার
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০২২ সালের ১২ অক্টোবর জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে মিরসরাই থানায় মোশাররফ হোসেন ও তার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেলসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
এর আগে ১২ অক্টোবর ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফসহ ৯০ জনের নামে আরেকটি মামলা হয়। মিরসরাইয়ে ৮ বছর আগে বিএনপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ হারুন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন চট্টগ্রাম-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম, তৃতীয়, সপ্তম, নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চায় জামায়াতে ইসলামী
জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ চায় বলে জানিয়েছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক আব্দুল হালিম।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
আব্দুল হালিম বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ একেক দিন একের রুপে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৫ বছরে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ জন ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছেন, ১ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে দলটির পতন হয়েছে। এখন জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন জরুরি বলে দাবি করেছেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল।
আব্দুল হালিম বলেন, যত দ্রুত সম্ভব মৌলিক সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন দেবে বলে প্রত্যাশা জামায়াতের।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।