জাতীয়
সাফ চ্যাম্পিয়নদের রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন

টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করায় বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তিনি অভিনন্দন জানান।।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং এই অর্জন বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এরআগে সাফ জয়ী মেয়েদের অভিননন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের নারী ফুটবল দলের বিরাট অর্জন। আমি তোমাদেরকে নিয়ে গর্বিত। পুরো জাতি তোমাদের নিয়ে গর্বিত। অভিনন্দন সেসব খেলোয়াড়দের যারা আমাদের এই গৌরব এনে দিয়েছেন।
২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো। দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে দিয়ে সাফের ফাইনালে তারা নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে।
কাফি

জাতীয়
মিনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরা

মিনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরা। অন্যান্য দেশের হজযাত্রীরাও মিনায় সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং দলের দলনেতা ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং ধর্মসচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিকও এখন মিনায় অবস্থান করছেন।
৮ জিলহাজ্ব মিনায় আগমনের মাধ্যমেই শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। সৌদি সরকারের নির্দেশনায় গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকেই হাজীরা মিনায় আসতে শুরু করেন। হাজীদের আগমন নির্বিঘ্ন করতেই এরূপ নির্দেশনা জারী করে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
মিনার বিস্তীর্ন প্রান্তর এখন ‘লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক’ ধ্বনিতে মুখরিত। বিত্ত-বৈভব, কামনা-বাসনাকে পরিত্যাগ করে হাজীরা আল্লাহর সান্নিধ্য ও ক্ষমাপ্রত্যাশী। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনায় হাজীদের মন ব্যাকুল। তারা পাপতাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়।
হাজীদের পরিধেয় সেলাইবিহীন শুভ্র দু’টুকরো কাপড়। আজ তারা ধনসম্পত্তির জন্য লালায়িত নয় মোটেও। তারা আল্লাহর অনুগ্রহ পেতে চায়। তারা আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে পরিশুদ্ধ হতে চায়। সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতো নিষ্পাপ হতে চায়।
মিনা হতে আজ রাতেই আরাফাতে রওয়ানা হবেন হাজীরা। ভিড় ব্যবস্থাপনার জন্য আগেভাগেই হাজীদেরকে আরাফাতে নিতে বলেছে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। আগামীকাল ৯ জিলহাজ্ব সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর থেকে সূর্যাস্ত যাওয়ার পূর্বে কিছু সময় আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। এরপর হাজীরা মাগরিবের নামাজ না পড়েই মুজদালিফার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। মুজদালিফায় পৌঁছে হাজিরা মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন এবং মুজদালিফায় রাত্রিযাপন করবেন।
এবছর সারাবিশ্ব থেকে প্রায় ১৪ লাখ ৭০ হাজার হজযাত্রী হজপালনের জন্য সৌদি আরবে এসেছেন। স্থানীয় হজযাত্রী মিলে এই সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি হজযাত্রীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৯৫৮ জন।
জাতীয়
আ. লীগ নিষিদ্ধ করার বিষয়টি সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: জাতিসংঘ

পরিস্থিতি বিবেচনায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলে মনে করে জাতিসংঘ। এই অবস্থান স্পষ্ট করে আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস বলছেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহনমূলক নির্বাচনে কমিশনকে সহায়তা করবে তারা।
বুধবার (০৪ জুন) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধির সঙ্গে ‘ডিক্যাব টক’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে গত জুলাই ও আগস্টে মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন যে প্রতিবেদন দিয়েছে, তাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা বলা আছে। এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, নারী-পুরুষ ও জাতিসত্তা নির্বিশেষে সমাজের সকল অংশের নাগরিক ভোট দিতে পারা উচিত। দেশের পরিস্থিতি হিসেব করে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর জাতিসংঘের বিবেচনায় অংশগ্রহণমূলক মানে দেশের সব মানুষের অংশগ্রহণ। আর আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতিসংঘ টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিতে আগ্রহী জাতিসংঘ। তবে নির্বাচন কখন হবে, সেটা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ ঠিক করবে বলে জানান জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী।
দেশে রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে বেশ কথা চলছে। গোয়েন লুইস ঠিক কোনটি আগে চান, এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগণের। বাংলাদেশকে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার উল্লেখ করে, ভবিষ্যতে সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
এদিকে রাখাইনে মানবিক করিডোর হবে কিনা সেটা নির্ভর করবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সরকারের ওপর। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সরকার সম্মত হলেই এটা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে জানান গোয়েন লুইস। দুই দেশ সম্মতি দিলে জাতিসংঘ সহযোগিতা করবে। তবে এ বিষয়ে জাতিসংঘ কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বলেও জানান তিনি।
এ সময় এই প্রভাবশালী কূটনীতিক জানান, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক অফিস চালুর বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিকাব সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুন।
কাফি
জাতীয়
প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাবে জামায়াত: ইসি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ কমিশন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতের আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতীকের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়ে নিয়েছি। একই প্রজ্ঞাপনে ২০০৮ সালে দলটিকে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতীক কোনো দলকে দিলে সেটি সেই দলের জন্য সংরক্ষিত থাকে আরপিও অনুযায়ী। দলটি প্রতীকসহ নিবন্ধন পাবে।
তিনি আরও বলেন, ডিএসসিসি নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ বিশদভাবে দেখেছি। আমরা রেফারেন্সগুলোও দেখেছি। আমরা মনে করি গেজেট প্রকাশ করার মধ্যে ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে।
কাফি
জাতীয়
গুমের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার দেশের মাটিতে হবে: প্রেস সচিব

গুমের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা গুম হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে আশু করণীয় বিষয় কী কী, তা জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া নিখোঁজ ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা সবচেয়ে বেশি গুমের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, র্যাবের ইন্টেলিজেন্স ভয়াবহ কিলার ও হত্যাকারী দল ছিল বলে জানিয়েছে গুম কমিশন। র্যাবের সদস্যরা পদোন্নতি ও ভালো পোস্টিংয়ের জন্য গুম ও খুনের সঙ্গে জড়াতো।
তিনি বলেন, গুমের নির্যাতনের ভয়াবহতা নিয়ে জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। গণভবনে র্যাবের নির্যাতন ও গুমের ঘটনা নিয়ে হরর মিউজিয়াম হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গুম কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু হবে, যা ধারাবাহিকভাবেই চলবে।
কাফি
জাতীয়
গুমসংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে ও বই আকারে প্রকাশ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

গুম সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে দেওয়ার পাশাপাশি বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন গুম কমিশন। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ড. ইউনূস এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ভদ্রলোকেরা, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।
কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এ দেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন, আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।
একজন কমিশন সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে যোগাযোগ করেন। দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।
কমিশন সদস্যরা জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও তিনশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন প্রধান।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেছি।
অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে এ সময় কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রতিবেদন জমাকালে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, গুম কমিশন সদস্যনূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন।
কাফি